ঢাকা ২১ আষাঢ় ১৪৩১, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলায় ২ লাখ ডলারের বই বিক্রি

প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৪, ০৯:৫৮ পিএম
আপডেট: ২৮ মে ২০২৪, ১০:০০ পিএম
নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলায় ২ লাখ ডলারের বই বিক্রি
নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলা

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ৩ দিনে দুই লাখ ডলারের বাংলা বই বিক্রি করেছেন ৪১ জন প্রকাশক। সোমবার (২৭ মে) রাতে শেষ হয়েছে ৩৩তম আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলা। জ্যামাইকা পারফর্মিং আর্ট সেন্টারে ৪ দিনের এই বইমেলায় ৪১টি প্রকাশনা সংস্থা অংশ নেয়। 

গত শুক্রবার (২৪ মে) বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি নুরুল হুদা বইমেলা উদ্বোধনের পর বই বিক্রির সঙ্গে চলে কবিতা পাঠ, সেমিনার, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, বিতর্ক প্রতিযোগিতাসহ বৈচিত্র্যময় সব আয়োজন। মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের এ আয়োজন পরিণত হয় বিশ্ব বাঙালির মিলন উৎসবে।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি নুরুল হুদা বলেন, ‘শেষ হলো বাঙালি অভিবাসীদের সবচেয়ে বড় আয়োজন নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলা। মেলা উদ্বোধনের পর প্রতিদিন এসেছি এখানে। যতদূর বাংলা ভাষা ততদূর বাংলাদেশ- এ কথাটির সত্যতা পুনর্বার আমরা দেখতে পাচ্ছি এই বইমেলায়। এ আয়োজন বিশ্ব বাঙালি এক মিলনস্থল হয়ে উঠেছে।’

নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলার অন্যতম আকর্ষণ ‘মুক্তধারা/জিএফবি সাহিত্য পুরস্কার’। এর আর্থিক মূল্যমান ৩ হাজার ডলার। এবার এই পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাভাষার অন্যতম প্রধান লেখক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। 

তিনি বলেন, ‘নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলা উদ্বোধন করতে ২০০৪ সালে একবার এসেছিলাম, সেবার যুক্তরাষ্ট্রের চারটি শহরে বইমেলা হয়েছিল, আমিও গিয়েছিলাম নিউইয়র্ক, নিউ জার্সি, লস এঞ্জেলস এবং ডালাসে। আমি দেখেছি বাঙালিদের মধ্যে এক ঐক্যের সুর গ্রথিত করেছে এই বইমেলা। সেই বইমেলা আমাকে পুরস্কার দিয়েছে। আমি অনেক সম্মানিত বোধ করছি, আনন্দ লাগছে খুব।’

মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত সাহা বলেন, “প্রতিবছরই বাংলাদেশ থেকে আসা প্রকাশকদের বিনামূল্যে বইমেলা স্টল দেওয়া হয়। অংশগ্রহণকারী প্রকাশকদের মধ্য থেকে একটি সংস্থাকে দেওয়া হয় ‘চিত্তরঞ্জন সাহা সেরা প্রকাশক পুরস্কার’। এক হাজার ডলার মূল্যমানের এ পুরস্কার পেয়েছেন সময় প্রকাশনীর কর্ণধার ও সম্পাদক  ফরিদ আহমেদ। প্রকাশকরা অত্যন্ত খুশি। চার দিনের বইমেলার প্রথম দিন ছিল উদ্বোধন। তারপর তিন দিনে ৪১টি প্রকাশনা সংস্থা বিক্রি করেছে ২ লাখ ডলারের বাংলা বই।”

৩৩তম নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলার আহ্বায়ক হাসান ফেরদৌস বলেন, ‘বাংলাদেশ, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, কলকাতাসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে মেলায় এসেছেন সাহিত্যিক, প্রকাশক এবং দর্শনার্থীরা। বিতর্ক, সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, একক সঙ্গীতানুষ্ঠান দর্শকদের আনন্দিত করেছে। আমার কাছে এবারের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি ছিল নতুন প্রজন্মের ব্যাপক অংশগ্রহণ। আমরা আগামী মেলাগুলো তাদের হাতেই সমর্পণ করতে চাই। আগামী বছর একই স্থানে মে মাসের ২৩ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত চলবে আন্তর্জাতিক এই বাংলা বইমেলার ৩৪তম আসর।’

মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের প্রচার সম্পাদক তোফাজ্জল লিটন জানান, বইমেলায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. অধ্যাপক আ আ ম স আরিফিন সিদ্দিক, কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৌমিত্র শেখর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সদস্য সচিব অভিনেত্রী সারা জাকের এবং অভিনেতা ও চিত্রশিল্পী আফজাল হোসেন, একুশে পদকপ্রাপ্ত ছড়াকার লুৎফুর রহমান রিটনসহ শতাধিক গুণীজন। একক সঙ্গীতানুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন ভারতের পদ্মশ্রীপ্রাপ্ত রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, লিলি ইসলাম এবং নিরুপমা রহমান।

সালমান/

সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ বাংলাদেশি নিহত

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ০৬:৫৬ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ০৬:৫৬ পিএম
সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ বাংলাদেশি নিহত
মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও মোহাম্মদ তারেক

সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন।

সৌদি আরবের স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার (২৯ জুন) রাত ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ২টা) জেদ্দা-মদিনা সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন সাতকানিয়া উপজেলার মাদার্শা ইউনিয়নের মাঝের দোকান এলাকার মিয়াপাড়ার বাসিন্দা নুর আহমদের ছেলে মোহাম্মদ মহিউদ্দিন (৩০) ও আবদুল করিমের ছেলে মোহাম্মদ তারেক (২৭)।

মাদার্শা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ ন ম সেলিম বলেন, মহিউদ্দিন মদিনায় একটি খেঁজুরবাগানে কাজ করতেন। আর মোহাম্মদ তারেক কাপড়ের দোকানে কাজ করতেন। তারা দুজন অপর বন্ধু মনছুরের গাড়িতে করে জেদ্দা শহরে ঘুরতে যান। জেদ্দা থেকে ফেরার পথে একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে তাদের বহনকারী গাড়ির সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও মোহাম্মদ তারেক নিহত হন। সৌদি পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আহত মনছুরকে জেদ্দার কিং ফাহাদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে ফেঞ্চুগঞ্জ অর্গানাইজেশন অব বাফেলো ইনকের অভিষেক

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ১২:৩৪ এএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ১২:৪৬ এএম
যুক্তরাষ্ট্রে ফেঞ্চুগঞ্জ অর্গানাইজেশন অব বাফেলো ইনকের অভিষেক
ছবি: সংগৃহীত

অত্যন্ত আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বাফেলোতে ফেঞ্চুগঞ্জ অর্গানাইজেশন অব বাফেলো ইনক এর নতুন কমিটির অভিষেক ও ঈদ পূণর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (২৩ জুন) স্থানীয় কোমো পার্ক ব্লুবার্ডের এই অনুষ্ঠানে বিপুলসংখ্যাক প্রবাসী ফেঞ্চুগঞ্জবাসী পরিবার-পরিজন নিয়ে অংশগ্রহণ করেন।

প্রবাসে সবাই ব্যস্ত সময় পার করেন। ব্যস্ত জীবনে এরকম একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পেরে আয়োজকরা খুশি। তাদের এই পরিশ্রম স্বার্থক হয়েছে অনুষ্ঠানে ব্যাপক অংশগ্রহণে।

বাফেলোতে বর্তমানে বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বসবাস করলেও খুব বেশি সময় থেকে তারা বসবাস শুরু করেননি। যে কারণে ফেঞ্চুগঞ্জ অর্গানাইজেশন অব বাফেলো ইনক এর অভিষেক অনুষ্ঠান ছিল প্রথম কমিটির। এর আগে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে কর্মকাণ্ড শুরু করা হয়। আহ্বায়ক করা হয় রেজাউল ইসলাম সেলিমকে। তিনিই রবিবার নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক খবরের কাগজের বিশেষ প্রতিনিধি (স্পোর্টস) মো. মহিউদ্দিন পলাশ, আহমেদ গনি, জাহিদ চৌধুরী।

নতুন কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মো. আব্দুন নুর। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ ফখর উদ্দিন।

কমিটির অপর সদস্যরা হলেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল ইসলাম সেলিম, সহ-সভাপতি শরিফ মিয়া, মাহফুজ মতিন, সহ-সাধারণ সম্পাদক বোরহান আহমেদ, অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ ইসলাম (সুজন), সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েদুর রহমান, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক  জুবেদ মিয়া, সমাজকল্যাণ সম্পাদক সাব্বির হোসেন, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক শেখ মো. জয়নুল ইসলাম, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক তাজুল ইসলাম তাজু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক কামাল আহমেদ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা আয়েশা খানম, আপ্যায়ন সম্পাদক শরীফুল  ইসলাম, আইন ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক মুজিব হায়দার বদরুল। সদস্য মুকিম চৌধুরী, কয়েছ আহমেদ, মিজানুর রহমান, সৈয়দ সদরুল আলম ও আহমদ হোসেন।

এমএ/

প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের চাবিকাঠি: বাংলাদেশ

প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৪, ১০:০৬ এএম
আপডেট: ২০ জুন ২০২৪, ১১:৪০ এএম
প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের চাবিকাঠি: বাংলাদেশ
জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৬তম অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন জেনেভাস্থ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের ভারপ্রাপ্ত স্থায়ী প্রতিনিধি সঞ্চিতা হক। ছবি: সংগৃহীত

নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ প্রায় সাত বছর ধরে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে আসছে। মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনই এই সংকটের একমাত্র টেকসই সমাধান বলে মন্তব্য করেছেন জেনেভাস্থ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের ভারপ্রাপ্ত স্থায়ী প্রতিনিধি সঞ্চিতা হক।

জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৬তম অধিবেশনে রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার পরিস্থিতির উপর অনুষ্ঠিত একটি সংলাপে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি জানান, বাংলাদেশ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে। 

এ বিষয়ে তিনি রাখাইনে রোহিঙ্গাদের আত্মীকরণের জন্য তাদের জীবিকার ব্যবস্থা উন্নয়নকল্পে বিনিয়োগ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

ভারপ্রাপ্ত স্থায়ী প্রতিনিধি রাখাইনের বুথিডং-এ রোহিঙ্গা গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া, রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা এবং তাদের জোরপূর্বক বিভিন্ন সশস্ত্রবাহিনীতে নিয়োগের সাম্প্রতিক খবরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

তিনি মায়ানমারে যুদ্ধরত সকল পক্ষকে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা দেওয়া এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

সম্প্রতি বাংলাদেশের জনগণ ও স্থাপনা লক্ষ্য করে মায়ানমার থেকে গুলি চালানোর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মায়ানমারের যেকোনো সংঘাত তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়, তবে এটি যেন বাংলাদেশের জনগণ ও সম্পদকে প্রভাবিত না করে।’

তিনি বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তার আহ্বান জানান। 

এ ছাড়া তিনি মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারকে ন্যায়বিচার অর্জন এবং রোহিঙ্গা সংকটের একটি টেকসই সমাধান না হওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গা ইস্যুকে অগ্রাধিকার দেওয়ার অনুরোধ করেন।

সংলাপের শুরুতে মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক কাউন্সিলে মায়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের মানবাধিকার পরিস্থিতির উপর একটি প্রতিবেদন পেশ করেন।

হাইকমিশনার সাম্প্রতিক সহিংসতা বৃদ্ধি, রোহিঙ্গাদের জোরপূর্বক সশস্ত্র বাহিনীতে নিয়োগ এবং রাখাইনে ঘৃণ্য যুদ্ধ-কৌশল নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং ২০১৬ ও ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংস অপরাধের পুনরাবৃত্তি রোধ করার জন্য সকল পক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।  

জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৬তম অধিবেশন ১৮ জুন জেনেভায় শুরু হয়ে ১২ জুলাই পর্যন্ত চলবে।

সাদিয়া নাহার/অমিয়/

ফিনল্যান্ডে উদযাপন হয়েছে ঈদুল আজহা

প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২৪, ১০:৩৪ এএম
আপডেট: ১৭ জুন ২০২৪, ০৩:১০ পিএম
ফিনল্যান্ডে উদযাপন হয়েছে ঈদুল আজহা
ছবি: সংগৃহীত

ফিনল্যান্ড জুড়ে মুসলমানরা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য আর উৎসাহের মধ্য দিয়ে উদযাপন হয়েছে ঈদুল আজহা।

রবিবার (১৬ জুন) ফিনল্যান্ডের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা উদযাপন করলেন ঈদুল আজহা।

হেলসিঙ্কির ভান্তা স্পোর্টস সেন্টারের মিলনায়তনে ইসলামী রীতি অনুযায়ী দুটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জামাত হয় সকাল সোয়া ৮টায় এবং দ্বিতীয়টি সকাল সোয়া ৯টায়।

এতে ইমামতি করেন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব মাওলানা মো. বশির আহমেদ।

ঈদের জামাত শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

জামাত দুটিতে অন্যান্যদের মধ্যে অংশ নেন, লিমন চৌধুরী, নাজমুল হুদা, কামরুল আলম কামাল, নাসির খান, কামরুল হাসান জনি, মো. জাহাঙ্গীর আলম, এন জামান ভূইয়া, মাহবুবুল আলম, মহিউদ্দিন আহমেদ মানিক, জহিরুল আলম নজরুল, ফয়েজ আহমেদ ঢালী, জামান সরকার, সালেক আহমেদ সালেহ, ইমন আহমেদ, আকরাম হোসেন, মহি খান, আলাউদ্দিন মোহাম্মদ, শামীম বেপারী, আতাউর রহমান খান, মাসুদ আবদুল্লাহ, স্বপন বংগবাসী, আ. লতিফ, লিটন দেওয়ান, মহসিন আলম, হালিম, তানভীর রশিদ, আবুল কালাম আজাদ, মেহেদী হাসান লিও, হামিদুল ইসলাম, দবির হোসেন, মো. রকিবুল ইসলাম রুবেল, সাব্বির আহমেদ লস্কর, রাব্বি আহমেদ, জায়ান, আরিয়ান, হোসাইন রিফাত আরমান, সাজিদ খান জনি, রাফাত ঢালী প্রমুখ।


ফিনল্যান্ডে বরাবরের মত এবারেও বাঙালিদের ঈদ উৎসবে ছিল বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি খাবার, একে অপরের বাড়িতে নেমন্তন্ন খাওয়া, মাতৃভূমি বাংলাদেশে টেলিফোন করে পরিবারের ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় ও খোঁজখবর নেওয়া ইত্যাদি । ঈদের এই আনন্দে একে অপরের বাড়িতে নেমন্তন্ন খাওয়ার রেওয়াজ একাধারে ৩-৪ দিন চলতে থাকে।

সাদিয়া নাহার/অমিয়/

লিবিয়ায় অপহৃত নাটোরের চার যুবক উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১৩

প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২৪, ০৫:৫০ পিএম
আপডেট: ০৯ জুন ২০২৪, ০৫:৫০ পিএম
লিবিয়ায় অপহৃত নাটোরের চার যুবক উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১৩
উদ্ধার হওয়া নাটোরের চার যুবক

লিবিয়ায় অপহরণের শিকার নাটোরের গুরুদাসপুরের চার যুবককে উদ্ধার করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। এ ঘটনায় অপহরণকারীসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রবিবার (৯ জুন) বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টার দিকে তাদের উদ্ধার করা হয়। এক ভিডিওবার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভুক্তভোগী যুবকদের একজন সোহান।

১৩ সেকেন্ডের ওই ভিডিও বার্তায় সোহান তার মা-বাবার উদ্যেশে বলেন, ‘মা-আব্বা, আমরা এখন ভালো আছি, সেভ আছি। সেনাবাহিনীর আন্ডারে আছি। তোমরা টেনশন করো না।’

সোহান উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের বিয়াঘাট  চরপাড়া গ্রামের কৃষক শাজাহান প্রাংয়ের ছেলে।

উদ্ধার অন্য তিন যুবক হলেন- একই এলাকার তয়জাল শেখের ছেলে সাগর হোসেন (২৪), শুকুর আলীর ছেলে নাজিম আলী (৩২) ও ইনামুল ইসলামের ছেলে বিদ্যুৎ হোসেন (২৬)।

সোহানের চাচাতো ভাই সিয়াম জানান, বাংলাদেশ সময় রবিবার সকাল ১১টার দিকে লিবিয়া সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে সোহানসহ জিম্মি চারজনকে উদ্ধার করে। ওই সময় ১২ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে ১০ জন বাংলাদেশি, দুইজন লিবিয়ার নাগরিক। এ ছাড়া সেহানদের সঙ্গে অপহরণ হওয়ার পর রাস্তায় মুক্ত হওয়া ঢাকার ফরহাদকেও পরে গ্রেপ্তার করেছে লিবিয়া সেনাবাহিনী। 

গত ১ জুন শনিবার রাতে খাবার খাওয়ার সময় তারা অপহরণের শিকার হয়েছিলেন। 

সালমান/অমিয়/