প্রখ্যাত সাংবাদিকদের ওপর নজরদারি চালাতে পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করেছে ভারত সরকার। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও ওয়াশিংটন পোস্টের চালানো নতুন এক তদন্তে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি গতকাল বৃহস্পতিবার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, ডিজিটাল মিডিয়া আউটলেট দ্য ওয়্যারের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক সাংবাদিক সিদ্ধার্থ ভারদারাজন এবং অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্টের (ওসিআরপি) দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সম্পাদক আনন্দ মঙ্গনালের আইফোন স্পাইওয়্যার দিয়ে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। ফোনে এ নজরদারির সবশেষ চিহ্ন ২০২৩-এর অক্টোবরেও পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে ডিজিটাল ফরেনসিকের মাধ্যমে মঙ্গনালের আইফোন ডিভাইস থেকে সুনির্দিষ্ট প্রমাণও উদ্ধার করা হয়েছে। অথচ সে সময় তিনি আইওএসের সবশেষ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করছিলেন।
অ্যামনেস্টিস সিকিউরিটি ল্যাবের প্রধান ডোনচা ও কেয়ারভায়েল দাবি করেছেন, ভারতে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করার কারণে তাদের ওপর নজরদারি বাড়ছে। এ ছাড়া কঠোর আইনের অধীনে তাদের কারাদণ্ড দেওয়া হচ্ছে এবং বিভিন্ন উপায়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘বারবার প্রকাশ হওয়ার পরেও ভারতে পেগাসাস স্প্যাইওয়্যারের ব্যবহার সম্পর্কে জবাবদিহিতার লজ্জাজনক অভাব রয়েছে।’
ইসরায়েলি ফার্ম এনএসওর তৈরি নজরদারি সিস্টেম পেগাসাস দিয়ে ফোন মালিকের অগোচরেই সে ফোনের বার্তা, ইমেইল ও ছবি দেখা সম্ভব। এ ছাড়াও এর মাধ্যমে ফোনে আড়িপাতা, ফোনের অবস্থান ট্র্যাক করা এবং এমনকি ক্যামেরা কাজে লাগিয়ে মালিকের ছবিও তুলতে পারে।
বিশ্বজুড়ে বেশ কয়েকটি দেশের সরকারের বিরুদ্ধে এই নজরদারি সফটওয়্যার সিস্টেমের অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। অনেক দেশেই দেখা গেছে, এটিকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার না করে উল্টো বিরোধীমত দমন, আন্দোলনকর্মী ও সাংবাদিকদের ওপর নজরদারিতে ব্যবহার করেছে।
সূত্র: অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল/ওয়াশিংটন পোস্ট