ঢাকা ১২ আষাঢ় ১৪৩১, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪

সাংবাদিকদের ওপর নজরদারি করে ভারত সরকার : অ্যামনেস্টি

প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:০১ এএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:৪৪ এএম
সাংবাদিকদের ওপর নজরদারি করে ভারত সরকার : অ্যামনেস্টি

প্রখ্যাত সাংবাদিকদের ওপর নজরদারি চালাতে পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করেছে ভারত সরকার। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও ওয়াশিংটন পোস্টের চালানো নতুন এক তদন্তে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি গতকাল বৃহস্পতিবার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। 

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, ডিজিটাল মিডিয়া আউটলেট দ্য ওয়্যারের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক সাংবাদিক সিদ্ধার্থ ভারদারাজন এবং অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্টের (ওসিআরপি) দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সম্পাদক আনন্দ মঙ্গনালের আইফোন স্পাইওয়্যার দিয়ে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। ফোনে এ নজরদারির সবশেষ চিহ্ন ২০২৩-এর অক্টোবরেও পাওয়া গেছে। 

এর মধ্যে ডিজিটাল ফরেনসিকের মাধ্যমে মঙ্গনালের আইফোন ডিভাইস থেকে সুনির্দিষ্ট প্রমাণও উদ্ধার করা হয়েছে। অথচ সে সময় তিনি আইওএসের সবশেষ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করছিলেন।  
 
অ্যামনেস্টিস সিকিউরিটি ল্যাবের প্রধান ডোনচা ও কেয়ারভায়েল দাবি করেছেন, ভারতে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করার কারণে তাদের ওপর নজরদারি বাড়ছে। এ ছাড়া কঠোর আইনের অধীনে তাদের কারাদণ্ড দেওয়া হচ্ছে এবং বিভিন্ন উপায়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। 

তিনি আরও বলেন, ‘বারবার প্রকাশ হওয়ার পরেও ভারতে পেগাসাস স্প্যাইওয়্যারের ব্যবহার সম্পর্কে জবাবদিহিতার লজ্জাজনক অভাব রয়েছে।’

ইসরায়েলি ফার্ম এনএসওর তৈরি নজরদারি সিস্টেম পেগাসাস দিয়ে ফোন মালিকের অগোচরেই সে ফোনের বার্তা, ইমেইল ও ছবি দেখা সম্ভব। এ ছাড়াও এর মাধ্যমে ফোনে আড়িপাতা, ফোনের অবস্থান ট্র্যাক করা এবং এমনকি ক্যামেরা কাজে লাগিয়ে মালিকের ছবিও তুলতে পারে।

বিশ্বজুড়ে বেশ কয়েকটি দেশের সরকারের বিরুদ্ধে এই নজরদারি সফটওয়্যার সিস্টেমের অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। অনেক দেশেই দেখা গেছে, এটিকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার না করে উল্টো বিরোধীমত দমন, আন্দোলনকর্মী ও সাংবাদিকদের ওপর নজরদারিতে ব্যবহার করেছে। 

সূত্র: অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল/ওয়াশিংটন পোস্ট  

পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গি সন্দেহে আরও একজন গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ০৯:০১ পিএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ০৯:০১ পিএম
পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গি সন্দেহে আরও একজন গ্রেপ্তার

আবারও পশ্চিমবঙ্গ থেকে ধরা পড়ল আনসার আল আসলামের আরেক সন্দেহভাজন জঙ্গি! এবার হাওড়া স্টেশন চত্বর থেকে ওই জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এসটিএফ। 

মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকালে গ্রেপ্তার করে তাকে আদালতে পেশ করা হয়। তাকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

পুলিশ সূত্রের খবর, গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম হারেজ শেখ। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নদিয়া জেলার নবদ্বীপ থানার অন্তর্গত মায়াপুরের মোল্লাপাড়ার বাসিন্দা তিনি। হারেজও আনসার আল ইসলামের শাহাদত জঙ্গি মডিউলের সদস্য বলে এসটিএফের দাবি।

কাঁকসা থেকে গ্রেপ্তার হাবিবুল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হারেজের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। তার পরই গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। গ্রেপ্তারদের টানা জেরা করতে চান তদন্তকারীরা। তারা পশ্চিমবঙ্গে কোনো ফিদায়ে (আত্মঘাতী) হামলার ছক কষছিল কিনা, তা জানার চেষ্টা চলছে।

মূলত সোশ্যাল মিডিয়ায় জাল বিছিয়ে তরুণ-তরুণীদের দলে টানতেন শাহাদত মডিউলের কমান্ডরা। প্রথমে চলত স্ক্যানিং। দেখা হতো, কারা ইসলামিক মৌলবাদের প্রতি আগ্রহী। তার পর অডিও মেসেজ পাঠিয়ে চলত মগজ ধোলাই।

এই কাজে ব্যবহার করা হতো বিশেষ মোবাইল অ্যাপ ‘বিপ’। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশেষ এই গ্রুপে চলত কথাবার্তা। সেই গ্রুপেই এখন কড়া নজর তদন্তকারীদের। সূত্রের দাবি, একইভাবে ‘রিক্রুট’ করা হয়েছিল হাবিবুল্লাকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হামলার ছক জানার চেষ্টা চলছে।

বাংলাদেশের সঙ্গে পানি বণ্টন চুক্তি নবায়নে আপত্তি জানিয়ে মোদিকে মমতার চিঠি

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ০২:১৭ পিএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ০২:১৭ পিএম
বাংলাদেশের সঙ্গে পানি বণ্টন চুক্তি নবায়নে আপত্তি জানিয়ে মোদিকে মমতার চিঠি
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

বাংলাদেশের সঙ্গে পানি বণ্টন চুক্তি নবায়ন নিয়ে আলোচনায় আপত্তি জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে কলকাতা ও ঢাকার মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে দাবি করে তিনি বলেছেন, ‘রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা ও মতামত ছাড়াই এই ধরনের একতরফা আলোচনা গ্রহণযোগ্য ও কাম্য নয়। 

মোদিকে পাঠানো চিঠিতে পানি বণ্টন চুক্তি নবায়নের সরাসরি বিরোধিতা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল সোমবার কলকাতার সচিবালয় নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকের মধ্যে পাঠানো ওই চিঠিতে মমতা বলেছেন, ‘গঙ্গা জল বণ্টন চুক্তি পুনরায় নবায়ন করা হলে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়বে পশ্চিমবঙ্গবাসী। আমরা জানতে পেরেছি, ১৯৯৬ সালের ফারাক্কা চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে চলেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। ২০২৬ সালে এই চুক্তিটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এই চুক্তিতে জল ভাগাভাগির নীতিটাও লঙ্ঘন করা হচ্ছে। গঙ্গার জল বণ্টন হলে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। প্রভাব পড়বে কলকাতা বন্দরেও।’

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মোদির বৈঠকের সময় পানি বণ্টনসংক্রান্ত আলোচনায় তাকে আমন্ত্রণ না জানানোর ঘটনায়ও তীব্ৰ ক্ষোভ প্রকাশ করে মমতা বলেন, এ ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার নীতি লঙ্ঘন করেছে।

মমতা বলেন, কলকাতার সঙ্গে ঢাকার সম্পর্কের কথা প্রধানমন্ত্রীর অজানা থাকার কথা নয়। গঙ্গা পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে দিয়ে গেছে। ফলে দুই দেশের মধ্যে আলোচনায় পশ্চিমবঙ্গেরও থাকার কথা ছিল। কিন্তু মোদি সরকারের একতরফা সিদ্ধান্ত গ্রহণ কাঙ্ক্ষিত নয়, গ্রহণযোগ্যও নয়।

গত ২২ জুন দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদি এবং শেখ হাসিনার মধ্যে বৈঠকে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে দুটি নদীর পানি বণ্টন নিয়ে আলাদা করে কথা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, তিস্তার পানি বণ্টনের দিশা খুঁজে বের করা হবে এবং ১৯৯৬ সালের গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর কাজ শুরু করা হবে। তিস্তার পানি বণ্টনের জন্য ভারত একটি বৃহৎ জলাধার এবং আনুষঙ্গিক পরিকাঠামো নির্মাণ করবে।

এখানেই আপত্তি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি অভিযোগ করে আসছেন, ফারাক্কা বাঁধের জন্য মালদা, মুর্শিদাবাদসহ আরও কিছু জায়গায়, নদী ভাঙন, পলি জমা এবং প্রতিবছর ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে।

১৯৯৬ সালে গঙ্গার পানি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল। আগামী ২০২৬ সালে এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ১৯৯৬ সালের চুক্তির শর্তাবলীতে উল্লেখ ছিল, এই চুক্তি নবায়ন করতে হলে দুই পক্ষের সহমতের ভিত্তিতেই করতে হবে। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো আন্তর্জাতিক চুক্তির ক্ষেত্রে যে রাজ্যের ভূখণ্ড বা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে চুক্তি হবে, সেই রাজ্যের মতামত অবশ্যই বিবেচ্য। এর আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের আমলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর আপত্তির কারণে দিল্লি এবং ঢাকা সহমত থাকা সত্ত্বেও তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়িত হয়নি।

১৯৯৬ সালের গঙ্গা পানি চুক্তি নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকার। অভিযোগ, ফারাক্কা ব্যারেজ তৈরি হওয়ার পর থেকেই গঙ্গা তীরবর্তী এলাকায় বন্যা এবং ভাঙনের সংকট তৈরি হয়েছে। সাধারণ মানুষের বাড়ি, কৃষিজমি গঙ্গার গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে।

কারামুক্ত জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ১২:৫৬ পিএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ০২:৫৩ পিএম
কারামুক্ত জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ
জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ

যুক্তরাষ্ট্রের গুপ্তচরবৃত্তি আইন লঙ্ঘনের দোষ স্বীকার করবেন- এমন সমঝোতা চুক্তির পর কারামুক্ত হলেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্য ছেড়েছেন তিনি।
 
মঙ্গলবার (২৫ জুন) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, গত সোমবার যুক্তরাজ্যের বালমার্স কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন তিনি।

অ্যাসাঞ্জ নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়ায় ফেরার অনুমতিও পেয়েছেন। 

মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে উইকিলিকস জানায়, জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ মুক্ত এবং যুক্তরাজ্য ছেড়েছেন। স্থানীয় সময় বুধবার (২৬ জুন) সকালে যুক্তরাষ্ট্র পৌঁছানোর কথা রয়েছে তার।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষাবিষয়ক গোপন তথ্য সংগ্রহ এবং প্রকাশের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে অ্যাসাঞ্জকে ২০১৯ সালে গ্রেপ্তার করে যুক্তরাজ্য পুলিশ। পাঁচ বছর ধরে ব্রিটেনের কারাগারে ছিলেন তিন। 

কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করে আসছে, উইকিলিকস ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধের বিষয়ে এমন কিছু তথ্য প্রকাশ করেছে, যা অনেক মানুষের জীবনকে বিপন্ন করে তুলেছে।

২০১০ সালে ইরাক ও আফগানিস্তানে যুদ্ধের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গোপন নথি ফাঁস করে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক হৈ-চৈ ফেলে দেয় জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের উইকিলিকস।

এরপর যুক্তরাষ্ট্র ৫২ বছর বয়সী জুলিয়ানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করে এবং গ্রেপ্তার তৎপরতা শুরু হয়। সূত্র: বিবিসি ও এনডিটিভি

পপি/অমিয়/

যুদ্ধ থামবে না: নেতানিয়াহু

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ০৮:৫১ এএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ০৮:৫১ এএম
যুদ্ধ থামবে না: নেতানিয়াহু
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু

গাজায় চলমান তীব্র লড়াই শেষের দিকে, কিন্তু তার মানে এই নয় যে যুদ্ধ থামছে। হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হওয়ার পরও যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ কথা বলেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা উত্থাপন, সেটিতে ইসরায়েলের সমর্থন ও হামাসের পক্ষ থেকে পাল্টা প্রতিক্রিয়া আসার কয়েক সপ্তাহ পর সামনে এল ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য। 

চ্যানেল-১৪-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু ইঙ্গিত দেন, তিনি চুক্তির অংশবিশেষে সম্মত হতে পারেন, যা হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের বাড়ি ফেরাতে সহায়ক হবে। তবে তিনি যে যুদ্ধ পুরোপুরি থামানোর বিষয়ে একমত হবেন না, তা আবারও তুলে ধরেন। 

ইনস্টিটিউট ফর পলিসি স্টাডিজের বিশ্লেষক ফিলিস বেনিস বলেন, ইসরায়েলের উদ্যোগে এ যুদ্ধ অতি দ্রুত শেষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তিনি আরও বলেন, নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক সক্রিয়তা, কারাগারের বাইরে থাকা- এসব নির্ভর করছে এই যুদ্ধ দীর্ঘ সময় ধরে চালিয়ে যাওয়ার ওপর। 

বেনিস যোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে উল্লেখযোগ্য চাপ না এলে এটি পরিবর্তন হবে না। এরকম চাপ হতে পারে ইসরায়েলকে অর্থ বা অস্ত্র দেওয়া থামিয়ে দেওয়া যা তারা এ যুদ্ধে ও গণহত্যায় ব্যবহার করছে।

এদিকে, ইসরায়েলে নেতানিয়াহু সরকারের বিরুদ্ধে জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা নিয়ে বিক্ষোভ হচ্ছে। তবে বেশির ভাগ ইসরায়েলি এখনো নেতানিয়াহু সরকারের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাকে সমর্থন করে।

গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা অব্যাহত রয়েছে। সহায়তা প্রবেশেও বাধা সৃষ্টি করে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। শিশুরা ইতোমধ্যে অপুষ্টিতে ভুগতে শুরু করেছে। আল-জাজিরার প্রতিবেদন বলছে, উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালে আরও দুই শিশু অপুষ্টিতে মারা গেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, এই দুই শিশুসহ ক্ষুধা ও তৃষ্ণায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩১-এ। 

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে গাজার যুদ্ধ। এ যুদ্ধে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৭ হাজার ৫৯৮ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ৮৬ হাজার ৩২ জন। আরও বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। অন্যদিকে, ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাস যে হামলা চালিয়েছিল, তাতে মারা গিয়েছিল ১ হাজার ১৩৯ জন। 

লেবাননে হামলা ইসরায়েলি বাহিনীর

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তাদের যুদ্ধবিমান দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে সামরিক বাহিনী জানায়, লেবাননের আয়তারোউন গ্রামে হিজবুল্লাহর সামরিক সাইটে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ ছাড়া কফার কিলা ও খিয়ামেও হিজবুল্লাহর অবকাঠামো লক্ষ করে আঘাত হেনেছে তারা। 

তারা আরও জানায়, লেবানন থেকে হিজবুল্লাহর চালানো হামলায় দুই ইসরায়েলি সেনা আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। ইসরায়েলের মেতুলা শহরকে লক্ষ করে গত রবিবার হামলা চালানো হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েল ও লেবানন সীমান্তে উত্তেজনা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই পক্ষ থেকেই যুদ্ধের হুঁশিয়ারি জানানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরু হলে তারা ইসরায়েলকে সমর্থন দেবে। সূত্র: আল-জাজিরা 

আসামে বন্যা, বৃষ্টি ও ভূমিধসে ৩৭ মৃত্যু, বাস্তুচ্যুত ১২ হাজার

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ০৮:৪৬ এএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ০৮:৪৬ এএম
আসামে বন্যা, বৃষ্টি ও ভূমিধসে ৩৭ মৃত্যু, বাস্তুচ্যুত ১২ হাজার
ছবি: সংগৃহীত

ভারী বৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধসে ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্য আসামে গত দুই মাসে ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। গতকাল সোমবার (২৪ জুন) দেশটির কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।

ওই অঞ্চলে গত দুদিন ধরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে এসেছে। এ ছাড়া বন্যা পরিস্থিতিরও কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কিন্তু তারপরও আসামের ১১ জেলার দুই লাখ মানুষ এখনো বন্যা কবলিত। রাজ্যটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের এক বিজ্ঞপ্তির বরাতে এ তথ্য জানা গেছে।

রাজ্যটিতে ১২ হাজারেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। আগামী জুলাইয়ে সেখানে আরেক দফা বন্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ। ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী কুশিয়ারা নদীর পানি বেশ কিছু স্থানে বিপদসীমার ওপরে রয়েছে।

গত দুই মাসের বন্যায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলে। আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ বলেছে, পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গত রবিবার বন্যার বিষয়ে বৈঠক করেছেন। এ ধরনের দুর্যোগের ক্ষেত্রে ও আসন্ন বর্ষা মৌসুমকে কেন্দ্র ভারত সরকার কতটা প্রস্তুত তা জানতে যান তিনি।

সিকিম ও মনিপুরে হয়ে যাওয়া বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশও দিয়েছেন অমিত শাহ। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদনও জমা দিতে বলেছেন তিনি। এ ছাড়া উত্তরপূর্বাঞ্চলে অন্তত ৫০টি পুকুর খনন করা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন শাহ। সূত্র: রয়টার্স, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস