ঢাকা ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪

পশ্চিমবঙ্গে আটক বাংলাদেশের আনসার-আল-ইসলামের নেতা

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ১২:৪৫ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ১২:৪৫ পিএম
পশ্চিমবঙ্গে আটক বাংলাদেশের আনসার-আল-ইসলামের নেতা

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের দেওয়া সূত্র ধরে এবং কিছু এনক্রিপ্টেড বা সুরক্ষিত গোপন মেসেজ ক্র্যাক করে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে অপারেট করা এক সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।

বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের কাঁকসা থেকে শনিবার (২২ জুন) সন্ধ্যায় মহম্মদ হাবিবুল্লা নামে এক যুবকসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের পর এমনটাই দাবি করেছে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। 

বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার-আল-ইসলামের একটি মডিউল বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরেই সক্রিয় ছিল। শাহাদত নামে সেই মডিউলের প্রধান বা আমির হিসেবে কাজ করতেন হাবিবুল্লা। কাঁকসা থানায় গ্রেপ্তার হাবিবুল্লার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং ইউএপিএ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।

বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার-আল-ইসলামের সদস্য ছিলেন হাবিবুল্লা। সেই সংগঠনের অন্যতম সদস্য ‘ফিদায়েঁ’ ইসমাইল শাহাদত। মনে করা হচ্ছে তার নামেই তৈরি হয়েছে নতুন এই মডিউল। যার অর্থ, নিজে থেকে শহিদ হওয়া। অর্থাৎ আত্মঘাতী জঙ্গি বা ‘ফিদায়েঁ’। জিহাদের জন্য নিজের জীবন বিসর্জন দিতেও পিছপা হব না, এই সংকল্পের বীজই বুনে দেওয়া হতো সদস্যদের মধ্যে। সূত্রের দাবি, বিদেশে আত্মগোপন করে সালাউদ্দিন নাসের নামের একজন মডিউলটি অপারেট করেন।

মূলত সোশ্যাল মিডিয়ায় জাল বিছিয়ে তরুণ-তরুণীদের দলে টানতেন তারা। প্রথমে চলত স্ক্যানিং। দেখা হতো, কারা ইসলামিক মৌলবাদের প্রতি আগ্রহী। তারপর অডিও মেসেজ পাঠিয়ে চলত মগজ ধোলাই। ব্যবহার হতো বিশেষ মোবাইল অ্যাপ ‘বিপ’। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশেষ এক গ্রুপে চলত কথাবার্তা। সেই গ্রুপেই এখন কড়া নজর তদন্তকারীদের। সূত্রের দাবি, এইভাবে ‘রিক্রুট’ করা হয়েছিল হাবিবুল্লাকে। কম্পিউটার সায়েন্সের এই পড়ুয়া বেশির ভাগ সময়ই মোবাইল, ল্যাপটপে মুখ গুজে থাকতেন। এলাকায় কারও সঙ্গে বিশেষ মিশতেন না বলেই দাবি পড়শিদের। তবে আপাত শান্তশিষ্ট, মেধাবী হাবিবুল্লা যে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকবে, তা মানতে পারছে না এলাকার বাসিন্দারা।

সম্প্রতি ঢাকার শাহিনবাগ, গুলিস্তান এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে নয়া ‍‍‍‘শাহাদত’ মডিউলের ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সূত্রের দাবি, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই বাংলার তিন চক্রীর হদিস মিলেছে। মূলত ঢাকা, সাতক্ষীরা, যশোর এলাকায় অপারেট করেন তারা। ধৃতদের রবিবার বর্ধমানের আদালতে পেশ করা হয়েছে। 

আটকদের মধ্যে তিনজন সরাসরি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বলে সন্দেহ এসটিএফের। কয়েকজন ওই জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিতে যাওয়ার পথে এসটিএফের হাতে ধরা পড়েছেন। আটক হাবিবুল্লার ভাই স্কুলছাত্র। তাকেও আটক করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হাবিবুল্লা পূর্ব বর্ধমানের বুদবুদ থানা এলাকার মানকর কলেজের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের কম্পিউটার সায়েন্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। খবর পেয়ে কাঁকসা থানায় পৌঁছান আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ আধিকারিকরা। সেখানে ছিলেন কাঁকসার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারও।

এই মডিউলের সদস্যরা নিজেদের মধ্যে বিশেষভাবে সুরক্ষিত বা এনক্রিপটেড মেসেজ ব্যবস্থার মাধ্যমে কথাবার্তা বলতেন। সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল কায়দার সঙ্গে যোগাযোগে থাকা আনসার-আল-ইসলামের মডিউল ভারত ও বাংলাদেশে নাশকতামূলক কাণ্ড ঘটাবে বলেই গোপনে কাজ করছিল মনে করছে এসটিএফ।

কাঁকসায় তার বাড়ি থেকেই হাবিবুল্লাকে গ্রেপ্তার করে এসটিএফ। হাবিবুল্লাহ ছাড়াও তার বাবা মহম্মদ ইসমাইল মুন্না ও পরিবারের কয়েকজনকে আটক করেছে এসটিএফ। তার বাড়ি থেকে বেশ কিছু নথিও উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গেছে।

ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০২:০৫ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৪:৪৭ পিএম
ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে
ছবি: সংগৃহীত

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর ঘটনায় ইরানে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ চলছে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৭ জুন) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, যা চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।

তবে দুই ঘণ্টা করে মধ্যরাত পর্যন্ত কয়েক দফায় সময় বাড়ানো হতে পারে।

দেশের ৫৮ হাজার ৬৪০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে। যেখানে প্রায় ৬ কোটি ১০ লাখ মানুষ ভোট দিতে যাচ্ছেন। 

ভোটকেন্দ্রগুলোর বেশিরভাগই স্কুল ও মসজিদ।

ব্যালটগুলো হাতে গোনা হবে বলে চূড়ান্ত ফলাফল দুদিনের মধ্যে ঘোষণা করা হতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে। তবে এর আগেই পাওয়া যেতে পারে প্রাথমিক পরিসংখ্যান।

ইরানের গার্ডিয়ান কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের যাচাই-বাছাই করে ছয়জনকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়। তবে এদের মধ্যে তেহরানের মেয়র আলিরেজা জাকানি এবং আমিরহোসেন গাজিজাদে হাসেমি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় এখন চার প্রার্থী ভোটে লড়ছেন।

তারা হলেন- মোহাম্মদ বাগের গালিবাফ, সাইদ জালিলি, মাসুদ পেজেশকিয়ান ও মোস্তফা পুরমোহাম্মদী। সূত্র: আল-জাজিরা

পপি/

ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে ভালো করেছেন, দাবি বাইডেনের

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৪:০৫ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৪:০৯ পিএম
ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে ভালো করেছেন, দাবি বাইডেনের
ছবি: সংগৃহীত

নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রথমবারের মতো মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নিয়েছেন রিপাবলিকান দলের প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিতর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ভালো করেছেন বলে দাবি জো বাইডেনের।  

শুক্রবার (২৮ জুন) বিতর্ক পরবর্তী খাবারের জন্য আটলান্টার একটি ওয়াফেল হাউস রেস্তোরাঁ থেকে নেমে আসার পর বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা ভালো করেছি।’

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সিএনএনের আটলান্টা স্টুডিওতে এই বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। বিতর্কের আয়োজন করে সিএনএন ও এবিসি। 

বিতর্ক মঞ্চে প্রথা অনুসারে করমর্দন করেননি বাইডেন ও ট্রাম্প। 

সিএনএনের তাৎক্ষণিক জরিপে অনুসারে, অধিকাংশ দর্শকের মতে জো বাইডেনের সঙ্গে বিতর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হয়েছেন।

তাদের তাৎক্ষণিক জরিপ অনুযায়ী, দর্শকদের মতে নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে ৬৭ শতাংশ বলেছেন ট্রাম্প ভালো করেছেন। বাকি ৩৩ শতাংশ বাইডেনের পক্ষে মত দিয়েছেন।

তবে সিএনএন বলছে, জরিপে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা দেশটির ভোটারদের প্রতিনিধিত্ব করেন না। শুধুমাত্র যারা বিতর্কটি দেখেছেন এবং এই জরিপে অংশ নিয়েছেন তাদের মতামতই এই ফলাফলে প্রতিফলিত হয়েছে। সূত্র : এএফপি

ইসরাত চৈতী/ 

যুক্তরাজ্যের নির্বাচনচূড়ান্ত বিতর্কে মুখোমুখি সুনাক-স্টারমার

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৯:৩০ এএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৯:৩০ এএম
যুক্তরাজ্যের নির্বাচনচূড়ান্ত বিতর্কে মুখোমুখি সুনাক-স্টারমার
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা কেইর স্টারমার। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের নির্বাচন সামনে রেখে চূড়ান্ত টেলিভিশন বিতর্কে মুখোমুখি হয়েছিলেন দেশটির ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা কেইর স্টারমার।

চূড়ান্ত বিতর্কে উঠে এসেছিল স্বাস্থ্য, সামাজিক নীতি, অভিবাসন, নির্বাচন ফলাফল নিয়ে বাজির অভিযোগের মতো বিষয়গুলো। একে অন্যকে ধরাশায়ী করার চেষ্টারও কমতি ছিল না। তবে শেষ পর্যন্ত সমতায় শেষ হয় বিতর্ক।

নির্বাচনি ফলাফল নিয়ে বাজি ধরার অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেন, তিনি ওই অভিযোগগুলো শোনার পর হতাশ ও ক্ষুব্ধ অনুভব করেছেন।

অন্যদিকে লেবার পার্টির নেতা কেইর স্টারমার বলেন, ‘বাজির অভিযোগগুলো নেতৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।’ স্বল্প কর, সামাজিক কল্যাণের বিষয়গুলোও উঠে এসেছিল বিতর্কে। সুনাক দাবি করেন, লেবার ক্ষমতায় এলে উচ্চ করের সম্মুখীন হতে হবে জনসাধারণকে। অন্যদিকে তারা স্বল্প কর বজায় রাখতে পারবেন। পাশাপাশি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে দুর্বলের জন্য সমর্থনের বিষয়টি সব সময় রক্ষণশীল সরকারের আমলেই হবে।

অভিবাসন নিয়ে স্টারমার বলেন, সীমান্তের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হলো যে পরিমাণ মানুষ ছোট নৌকা নিয়ে ইংলিশ চ্যানেল দিয়ে প্রবেশ করছে, সে বিষয়টি। এর জবাবে সুনাককে বলতে শোনা যায়, এ ধরনের নৌকা আসা ঠেকানোর জন্যই তারা রুয়ান্ডা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলেন।

মূলত ওই নীতিতে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের যুক্তরাজ্য থেকে রুয়ান্ডায় পাঠিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে সুনাকের সরকার। তবে লেবার পার্টি জানিয়েছে, তারা এ পরিকল্পনার বিরোধী। ক্ষমতায় এলে সেটি বাতিল করা হবে বলেও জানিয়ে রেখেছে তারা। এর বদলে বিভিন্ন বাহিনী ও দক্ষ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে ‘বর্ডার সিকিউরিটি কমান্ড’ গড়ে তুলবে। সূত্র: আল-জাজিরা

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টকে ‘কালো জাদু’!

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৯:০৬ এএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৯:০৬ এএম
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টকে ‘কালো জাদু’!
ফাথিমাত শামনাজ আলী সালিম ও মোহামেদ মুইজ্জু

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জুকে ‘কালো জাদু’ করার অভিযোগে দেশটির পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী ফাথিমাত শামনাজ আলী সালিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) পুলিশ জানিয়েছে, শামনাজ আলী সালিমকে গত রবিবার রাজধানী মালে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে আরও দুজন ছিলেন। তদন্তের জন্য সালিমকে এক সপ্তাহের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

মালদ্বীপের স্থানীয় গণমাধ্যম সান জানিয়েছে, পুলিশ কালো জাদুর কারণে পরিবেশমন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের খবরের সত্যতা নিশ্চিত বা প্রত্যাখ্যান কোনোটিই করেননি। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ মালদ্বীপের আইনে ‘জাদুবিদ্যা’কোনো ফৌজদারি অপরাধ নয়। তবে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে ইসলামিক আইনের অধীনে ছয় মাসের কারাদণ্ড হতে পারে। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

পাকিস্তানে তীব্র গরমে পাঁচ শতাধিক মৃত্যু

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৮:৫৮ এএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৮:৫৮ এএম
পাকিস্তানে তীব্র গরমে পাঁচ শতাধিক মৃত্যু
ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ছয় দিনে ওই অঞ্চলে ৫ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শুধু একদিনেই দেশটির জরুরি সেবাকর্মীরা প্রায় দেড়শ জনের লাশ সংগ্রহ করেছে। 

পাকিস্তানের দ্য ইদি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস জানায়, সাধারণত করাচিতে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ জনের লাশ মর্গে নিয়ে থাকে তারা। কিন্তু গত ছয় দিনে তারা মোট ৫৬৮টি লাশ সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে শুধু মঙ্গলবারই লাশ সংগ্রহ করতে হয়েছে ১৪১টি।

বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, প্রত্যেকটি মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এখনই আলাদা করে স্পষ্টভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে করাচির তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে বেড়ে যাওয়ায় মৃতের সংখ্যাও বেড়েছে। আর উচ্চ আর্দ্রতার কারণে ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো গরম অনুভূত হচ্ছে। এত গরমে জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনসাধারণ। 

করাচির সরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ইমরান সারওয়ার শেখ জানান, গত রবিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত ২৬৭ জন মানুষ হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ১২ জন মারা গেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি- হাসপাতালে যারা আসছেন তাদের বেশিরভাগই ৬০-৭০ বছর বয়সী। যদিও কয়েকজন ছিলেন ৪৫ বছরের। আর দুজনের বয়স ছিল বিশের কোঠায়।’ 

যারা হাসপাতালে আসছেন- তাদের বমি, ডায়রিয়া ও উচ্চমাত্রায় জ্বরসহ নানা উপসর্গ রয়েছে জানিয়ে ইমরান শেখ বলেন, ‘তাদের অনেকেই বাইরে কাজ করতেন। আমরা তাদের বলেছি, তারা যেন প্রচুর পানি পান করেন এবং হালকা জামাকাপড় পরেন।’

পাকিস্তানের এক আবহাওয়াবিদ এই উচ্চ তাপমাত্রাকে ‘আংশিক দাবদাহ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। দেশটির গণমাধ্যমের খবর বলছে, গরম পরিস্থিতি সামাল দিতে বিভিন্ন স্থানে ‘হিটওয়েভ সেন্টার ও ক্যাম্প’ খোলা হয়েছে।

তবে হিটস্ট্রোকে উচ্চ মৃত্যু হওয়ার খবর অস্বীকার করেছেন করাচির কমিশনার সৈয়দ হাসান নাকভি। তিনি বলেন, ‘প্রকৃত মৃতের সংখ্যা প্রতিবেদনে যতটা দেখানো হচ্ছে, ততটা বেশি নয়।’ সূত্র: বিবিসি, জিও নিউজ