ঢাকা ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪

রক্তাক্ত ফিলিস্তিনিকে জিপে বেঁধে অভিযান

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ০৯:০১ এএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ০৯:০১ এএম
রক্তাক্ত ফিলিস্তিনিকে জিপে বেঁধে অভিযান
জেনিনে সাময়িক অভিযানের সময় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী কাবাতিয়াতে অবস্থান নেয়। এ সময় আহত ফিলিস্তিনিকে জিপে বেঁধে রাখা হয়। ছবি: সংগৃহীত

অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে অভিযান চালানোর সময় এক ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করে রক্তাক্ত অবস্থায় জিপের হুডের (ইঞ্জিনের ওপরের অংশ) সঙ্গে বেঁধে নিয়ে যায় ইসরায়েলি সেনারা।

শনিবার (২২ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ওই ভিডিওটি নিয়ে মুখ খুলেছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীও।

ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আহত ব্যক্তির নাম মুজাহেদ আজমি। ওই ফিলিস্তিনি বাসিন্দাকে দুটি অ্যাম্বুলেন্সের মধ্য দিয়ে যাওয়া একটি জিপের সামনে রক্তাক্ত শরীর নিয়ে বাঁধা অবস্থায় দেখা গেছে। 

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে বলেছে, পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে ইসরায়েলি সেনা অভিযান চলাকালে গুলি বিনিময়ের সময় ওই ফিলিস্তিনি আহত হন। তিনি সন্দেহভাজন ছিলেন। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, আহত ওই ফিলিস্তিনিকে এভাবে গাড়ির সামনে বেঁধে রেখে তাদের সেনারা প্রটোকল ভেঙেছে।  

আহত ওই ফিলিস্তিনির পরিবার বলেছে, তারা একটি অ্যাম্বুলেন্স খুঁজছিলেন। ওই সময় সেনাবাহিনী তাকে ধরে জিপের হুডের ওপর বেঁধে রাখে। এরপর গাড়িটি চালিয়ে যায়। পরে আহত ফিলিস্তিনিকে চিকিৎসার জন্য রেড ক্রিসেন্টে পাঠানো হয়। এ ঘটনার তদন্ত করবে বলে জানিয়েছে  আইডিএফ।

এদিকে হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় ওই উপত্যকায় ২৪ ঘণ্টায় ১০১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১৬৯ ফিলিস্তিনি। এতে উপত্যকাটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭ হাজার ৫৫১ জনে। মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, ইসরায়েলের নৃশংস হামলায় এ পর্যন্ত ৮৫ হাজার ৯১১ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।  

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় যেসকল স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে সেগুলোর নিচে এখনো অনেক মানুষ চাপা পড়ে আছে। ইসরায়েলি অবরোধের ফলে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া মানুষদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে উদ্ধারকাজে নিয়োজিত বিভিন্ন সংস্থা। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তাতে কোনো কর্ণপাত করছে না ইসরায়েল। যেখানে সর্বশেষ রায়ে তেল আবিবকে অবিলম্বে রাফাতে হামলা কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, রবিবার (২৩ জুন) ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা প্রধান ও মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেছেন। যেখানে গাজা যুদ্ধের পরবর্তী ধাপ ও লেবাননের সঙ্গে সীমান্তে শত্রুতা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহর সঙ্গে লেবাননের অস্ত্র বিনিময় ব্যাপক সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি করেছে। আট মাসের বেশি আগে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের সঙ্গে অগ্নিসংযোগ করছে। গোষ্ঠীটি বলেছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি না হওয়া পর্যন্ত তারা থামবে না।

হিজবুল্লাহর নতুন ড্রোন ভিডিও প্রকাশ 
রবিবার আল-জাজিরার প্রতিবেদনে হিজবুল্লাহ নতুন ড্রোন ভিডিও প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এই ভিডিওতে হাইফা শহরের সামরিক অঞ্চলসহ ইসরায়েলের স্পর্শকাতর স্থানগুলো দেখানো হয়েছে, যা দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা বৃদ্ধি করেছে।

‘টু হুম ইট মে কনসার্ন’ শিরোনামে হিজবুল্লাহর প্রকাশিত ভিডিওটিতে ইসরায়েলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করেছে। যেখানে হাকিরিয়া কমপ্লেক্সেরও স্পষ্ট অবস্থান নির্ধারণ করতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি করেছে হিজবুল্লাহ। মূলত এই কমপ্লেক্স থেকে ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় ও সামরিক কমান্ড পরিচালিত হয়।

হিজবুল্লাহর দাবি, ভিডিওটিতে এমন তথ্য রয়েছে যা কেউ আগে করতে সক্ষম হয়নি। যেখানে ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো, যেমন তেল শোধনাগার, বিদ্যুৎকেন্দ্র, উপগ্রহ (স্যাটেলাইট) ঘাঁটি ও তিনটি গ্যাস উত্তোলন কেন্দ্রের সামুদ্রিক স্থানাঙ্কের অবস্থান ধারণ করতে সক্ষম হয়েছে হিজবুল্লাহ।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের আকাশসীমা হাইফা বন্দরে অনুপ্রবেশের কয়েকদিন পর হিজবুল্লাহ আবারও ড্রোন ফুটেজ প্রকাশ করেছে। পুনরায় এমন পদক্ষেপের অর্থ হলো, এটি হিজবুল্লাহর তরফ থেকে ইসরায়েলের জন্য আরও একটি সতর্কবার্তা। এটা দেখিয়ে দিয়েছে যে, তারাও ইসরায়েলের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করতে পারে। এমনকি সর্বাত্মক যুদ্ধে লক্ষ্যবস্তু হতে পারে এমন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর অবস্থান নির্ধারণ করতেও সক্ষম তারা। সূত্র: রয়টার্স, আনাদোলু নিউজ এজেন্সি, আল-জাজিরা 

ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০২:০৫ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৪:৪৭ পিএম
ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে
ছবি: সংগৃহীত

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর ঘটনায় ইরানে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ চলছে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৭ জুন) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, যা চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।

তবে দুই ঘণ্টা করে মধ্যরাত পর্যন্ত কয়েক দফায় সময় বাড়ানো হতে পারে।

দেশের ৫৮ হাজার ৬৪০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে। যেখানে প্রায় ৬ কোটি ১০ লাখ মানুষ ভোট দিতে যাচ্ছেন। 

ভোটকেন্দ্রগুলোর বেশিরভাগই স্কুল ও মসজিদ।

ব্যালটগুলো হাতে গোনা হবে বলে চূড়ান্ত ফলাফল দুদিনের মধ্যে ঘোষণা করা হতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে। তবে এর আগেই পাওয়া যেতে পারে প্রাথমিক পরিসংখ্যান।

ইরানের গার্ডিয়ান কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের যাচাই-বাছাই করে ছয়জনকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়। তবে এদের মধ্যে তেহরানের মেয়র আলিরেজা জাকানি এবং আমিরহোসেন গাজিজাদে হাসেমি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় এখন চার প্রার্থী ভোটে লড়ছেন।

তারা হলেন- মোহাম্মদ বাগের গালিবাফ, সাইদ জালিলি, মাসুদ পেজেশকিয়ান ও মোস্তফা পুরমোহাম্মদী। সূত্র: আল-জাজিরা

পপি/

ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে ভালো করেছেন, দাবি বাইডেনের

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৪:০৫ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৪:০৯ পিএম
ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে ভালো করেছেন, দাবি বাইডেনের
ছবি: সংগৃহীত

নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রথমবারের মতো মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নিয়েছেন রিপাবলিকান দলের প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিতর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ভালো করেছেন বলে দাবি জো বাইডেনের।  

শুক্রবার (২৮ জুন) বিতর্ক পরবর্তী খাবারের জন্য আটলান্টার একটি ওয়াফেল হাউস রেস্তোরাঁ থেকে নেমে আসার পর বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা ভালো করেছি।’

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সিএনএনের আটলান্টা স্টুডিওতে এই বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। বিতর্কের আয়োজন করে সিএনএন ও এবিসি। 

বিতর্ক মঞ্চে প্রথা অনুসারে করমর্দন করেননি বাইডেন ও ট্রাম্প। 

সিএনএনের তাৎক্ষণিক জরিপে অনুসারে, অধিকাংশ দর্শকের মতে জো বাইডেনের সঙ্গে বিতর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হয়েছেন।

তাদের তাৎক্ষণিক জরিপ অনুযায়ী, দর্শকদের মতে নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে ৬৭ শতাংশ বলেছেন ট্রাম্প ভালো করেছেন। বাকি ৩৩ শতাংশ বাইডেনের পক্ষে মত দিয়েছেন।

তবে সিএনএন বলছে, জরিপে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা দেশটির ভোটারদের প্রতিনিধিত্ব করেন না। শুধুমাত্র যারা বিতর্কটি দেখেছেন এবং এই জরিপে অংশ নিয়েছেন তাদের মতামতই এই ফলাফলে প্রতিফলিত হয়েছে। সূত্র : এএফপি

ইসরাত চৈতী/ 

যুক্তরাজ্যের নির্বাচনচূড়ান্ত বিতর্কে মুখোমুখি সুনাক-স্টারমার

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৯:৩০ এএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৯:৩০ এএম
যুক্তরাজ্যের নির্বাচনচূড়ান্ত বিতর্কে মুখোমুখি সুনাক-স্টারমার
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা কেইর স্টারমার। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের নির্বাচন সামনে রেখে চূড়ান্ত টেলিভিশন বিতর্কে মুখোমুখি হয়েছিলেন দেশটির ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা কেইর স্টারমার।

চূড়ান্ত বিতর্কে উঠে এসেছিল স্বাস্থ্য, সামাজিক নীতি, অভিবাসন, নির্বাচন ফলাফল নিয়ে বাজির অভিযোগের মতো বিষয়গুলো। একে অন্যকে ধরাশায়ী করার চেষ্টারও কমতি ছিল না। তবে শেষ পর্যন্ত সমতায় শেষ হয় বিতর্ক।

নির্বাচনি ফলাফল নিয়ে বাজি ধরার অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেন, তিনি ওই অভিযোগগুলো শোনার পর হতাশ ও ক্ষুব্ধ অনুভব করেছেন।

অন্যদিকে লেবার পার্টির নেতা কেইর স্টারমার বলেন, ‘বাজির অভিযোগগুলো নেতৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।’ স্বল্প কর, সামাজিক কল্যাণের বিষয়গুলোও উঠে এসেছিল বিতর্কে। সুনাক দাবি করেন, লেবার ক্ষমতায় এলে উচ্চ করের সম্মুখীন হতে হবে জনসাধারণকে। অন্যদিকে তারা স্বল্প কর বজায় রাখতে পারবেন। পাশাপাশি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে দুর্বলের জন্য সমর্থনের বিষয়টি সব সময় রক্ষণশীল সরকারের আমলেই হবে।

অভিবাসন নিয়ে স্টারমার বলেন, সীমান্তের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হলো যে পরিমাণ মানুষ ছোট নৌকা নিয়ে ইংলিশ চ্যানেল দিয়ে প্রবেশ করছে, সে বিষয়টি। এর জবাবে সুনাককে বলতে শোনা যায়, এ ধরনের নৌকা আসা ঠেকানোর জন্যই তারা রুয়ান্ডা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলেন।

মূলত ওই নীতিতে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের যুক্তরাজ্য থেকে রুয়ান্ডায় পাঠিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে সুনাকের সরকার। তবে লেবার পার্টি জানিয়েছে, তারা এ পরিকল্পনার বিরোধী। ক্ষমতায় এলে সেটি বাতিল করা হবে বলেও জানিয়ে রেখেছে তারা। এর বদলে বিভিন্ন বাহিনী ও দক্ষ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে ‘বর্ডার সিকিউরিটি কমান্ড’ গড়ে তুলবে। সূত্র: আল-জাজিরা

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টকে ‘কালো জাদু’!

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৯:০৬ এএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৯:০৬ এএম
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টকে ‘কালো জাদু’!
ফাথিমাত শামনাজ আলী সালিম ও মোহামেদ মুইজ্জু

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জুকে ‘কালো জাদু’ করার অভিযোগে দেশটির পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী ফাথিমাত শামনাজ আলী সালিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) পুলিশ জানিয়েছে, শামনাজ আলী সালিমকে গত রবিবার রাজধানী মালে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে আরও দুজন ছিলেন। তদন্তের জন্য সালিমকে এক সপ্তাহের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

মালদ্বীপের স্থানীয় গণমাধ্যম সান জানিয়েছে, পুলিশ কালো জাদুর কারণে পরিবেশমন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের খবরের সত্যতা নিশ্চিত বা প্রত্যাখ্যান কোনোটিই করেননি। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ মালদ্বীপের আইনে ‘জাদুবিদ্যা’কোনো ফৌজদারি অপরাধ নয়। তবে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে ইসলামিক আইনের অধীনে ছয় মাসের কারাদণ্ড হতে পারে। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

পাকিস্তানে তীব্র গরমে পাঁচ শতাধিক মৃত্যু

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৮:৫৮ এএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৮:৫৮ এএম
পাকিস্তানে তীব্র গরমে পাঁচ শতাধিক মৃত্যু
ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ছয় দিনে ওই অঞ্চলে ৫ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শুধু একদিনেই দেশটির জরুরি সেবাকর্মীরা প্রায় দেড়শ জনের লাশ সংগ্রহ করেছে। 

পাকিস্তানের দ্য ইদি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস জানায়, সাধারণত করাচিতে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ জনের লাশ মর্গে নিয়ে থাকে তারা। কিন্তু গত ছয় দিনে তারা মোট ৫৬৮টি লাশ সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে শুধু মঙ্গলবারই লাশ সংগ্রহ করতে হয়েছে ১৪১টি।

বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, প্রত্যেকটি মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এখনই আলাদা করে স্পষ্টভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে করাচির তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে বেড়ে যাওয়ায় মৃতের সংখ্যাও বেড়েছে। আর উচ্চ আর্দ্রতার কারণে ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো গরম অনুভূত হচ্ছে। এত গরমে জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনসাধারণ। 

করাচির সরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ইমরান সারওয়ার শেখ জানান, গত রবিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত ২৬৭ জন মানুষ হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ১২ জন মারা গেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি- হাসপাতালে যারা আসছেন তাদের বেশিরভাগই ৬০-৭০ বছর বয়সী। যদিও কয়েকজন ছিলেন ৪৫ বছরের। আর দুজনের বয়স ছিল বিশের কোঠায়।’ 

যারা হাসপাতালে আসছেন- তাদের বমি, ডায়রিয়া ও উচ্চমাত্রায় জ্বরসহ নানা উপসর্গ রয়েছে জানিয়ে ইমরান শেখ বলেন, ‘তাদের অনেকেই বাইরে কাজ করতেন। আমরা তাদের বলেছি, তারা যেন প্রচুর পানি পান করেন এবং হালকা জামাকাপড় পরেন।’

পাকিস্তানের এক আবহাওয়াবিদ এই উচ্চ তাপমাত্রাকে ‘আংশিক দাবদাহ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। দেশটির গণমাধ্যমের খবর বলছে, গরম পরিস্থিতি সামাল দিতে বিভিন্ন স্থানে ‘হিটওয়েভ সেন্টার ও ক্যাম্প’ খোলা হয়েছে।

তবে হিটস্ট্রোকে উচ্চ মৃত্যু হওয়ার খবর অস্বীকার করেছেন করাচির কমিশনার সৈয়দ হাসান নাকভি। তিনি বলেন, ‘প্রকৃত মৃতের সংখ্যা প্রতিবেদনে যতটা দেখানো হচ্ছে, ততটা বেশি নয়।’ সূত্র: বিবিসি, জিও নিউজ