ঢাকা ১০ আষাঢ় ১৪৩১, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

বাইডেনকে বুড়ো ও দুর্বল বললেন ট্রাম্প

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৪, ০৮:৫২ এএম
আপডেট: ১৬ জুন ২০২৪, ০৮:৫২ এএম
বাইডেনকে বুড়ো ও দুর্বল বললেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন-সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প

আর মাত্র কয়েক মাস পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এবারের নির্বাচনে দুই প্রার্থীর বয়স আলোচনার একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। হোয়াইট হাউসে ফিরতে মরিয়া সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে সম্প্রতি বুড়ো ও দুর্বল বলে আক্রমণ করেছেন। নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে অনেক প্রশ্ন থাকা সত্ত্বেও বাইডেনের বেশি বয়সকে নির্বাচনি প্রচারের দুর্বলতা হিসেবে ব্যবহার করছেন ট্রাম্প। অথচ বাইডেনের চেয়ে মাত্র তিন বছরের ছোট তিনি! বর্তমানের বাইডেনের বয়স ৮১ বছর, আর ট্রাম্পের বয়স ৭৮ বছর।

শনিবার (১৬ জুন) বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ডানপন্থি গণমাধ্যমের সহায়তায় ট্রাম্প শক্তিশালী হিসেবে প্রচারণা ইমেজ তৈরির চেষ্টা করছেন। প্রতিপক্ষকে (বাইডেন) বার্ধক্য ও পরবর্তী নেতৃত্বের জন্য দুর্বল বলে দাবি করে যাচ্ছেন তিনি। 

অনেক সময় ‘স্লিপি’ বলেও ডাকা হয় বাইডেনকে। ট্রাম্পের প্রচার শিবির থেকে প্রায় প্রতিদিন বাইডেনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হোঁচট খাওয়া বা কথা বলার সময় ভুলে যাওয়ার মতো নানা বিষয় নিয়ে ভিডিও প্রকাশ করা হয়। 

তাদের দাবি, বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে কার্যকর নন- এসব ভিডিও তারই প্রমাণ। কিন্তু এসব ভিডিওর বেশির ভাগই সম্পাদনা করা ও বাস্তবতার সঙ্গে কোনো মিল নেই। 

অবশ্য ট্রাম্পের বয়স নিয়েও ইতোমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বাইডেন শিবির থেকে। ট্রাম্প নিজেকে তরুণ দেখাতে অতিমাত্রায় কসমেটিকস ও হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করছেন। এর ফলে দূর থেকে তাকে অধিকতর তরুণ দেখায় বলে অনেকে মনে করছেন।

গত শুক্রবার ফ্লোরিডায় ট্রাম্প তার ৭৮তম জন্মদিন উদযাপন করেছেন। ট্রাম্প তার জন্মদিনের জমকালো আয়োজনে অতিথিদের যুক্তরাষ্ট্রের পতাকার আদলে পোশাক পরে আসতে বলেন। তার পাঠানো আমন্ত্রণপত্রে লেখা হয়, ‘আমেরিকার এযাবতকালের শ্রেষ্ঠ প্রেসিডেন্টের জন্মদিন উদযাপনে আমাদের সঙ্গে যোগ দিন।’

এদিকে ট্রাম্পকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাইডেন। এক্স পোস্টে এক বার্তায় বাইডেন বলেছেন, ‘শুভ ৭৮তম জন্মদিন, ডোনাল্ড। এক বুড়োর কাছ থেকে আরেক বুড়ো জন্মদিনের এ শুভেচ্ছা নিন। বয়স শুধু একটি সংখ্যা।’ সূত্র: এএফপি

দক্ষিণ কোরিয়ায় ব্যাটারি কারখানায় আগুন, নিহত ১৬

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ০৪:১৭ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ০৪:১৭ পিএম
দক্ষিণ কোরিয়ায় ব্যাটারি কারখানায় আগুন, নিহত ১৬
ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি লিথিয়াম ব্যাটারি উৎপাদন কারখানায় আগুন লেগে অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন আরও পাঁচজন।

স্থানীয় সময় সোমবার (২৪ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানী সিউলের দক্ষিণে হোয়াসিয়ংয়ে ব্যাটারি প্রস্তুতকারক একটি কারখানায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।

স্থানীয় দমকল কর্মকর্তা কিম জিন-ইয়ং জানিয়েছেন, গুদামটিতে প্রায় ৩৫ হাজার ইউনিট ব্যাটারি ছিল। ব্যাটারি সেলগুলোতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ফলে আগুনের সূত্রপাত হয়। তবে আগুন লাগার কারণ এখনো স্পষ্ট জানা যায়নি। এদিকে আগুনের তীব্রতার কারণে উদ্ধারকারীদের পক্ষে মরদেহ শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপ এর আগে এক প্রতিবেদনে জানায়, কারখানার ভেতর থেকে প্রায় ২০ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে।

তবে কিম জিন-ইয়ং এক টেলিভিশন ব্রিফিংয়ে বলেছেন, অগ্নিকাণ্ডে ১৬ জন মারা গেছেন। পুড়ে গেছেন দুইজন। অনেকেই গুরুতর আহত হয়েছেন। কারখানার ভেতরে আটকে পড়া পাঁচজনকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন উদ্ধারকারীরা। সূত্র: রয়টার্স

পপি/

পশ্চিমবঙ্গে আটক বাংলাদেশের আনসার-আল-ইসলামের নেতা

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ১২:৪৫ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ১২:৪৫ পিএম
পশ্চিমবঙ্গে আটক বাংলাদেশের আনসার-আল-ইসলামের নেতা

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের দেওয়া সূত্র ধরে এবং কিছু এনক্রিপ্টেড বা সুরক্ষিত গোপন মেসেজ ক্র্যাক করে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে অপারেট করা এক সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।

বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের কাঁকসা থেকে শনিবার (২২ জুন) সন্ধ্যায় মহম্মদ হাবিবুল্লা নামে এক যুবকসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের পর এমনটাই দাবি করেছে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। 

বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার-আল-ইসলামের একটি মডিউল বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরেই সক্রিয় ছিল। শাহাদত নামে সেই মডিউলের প্রধান বা আমির হিসেবে কাজ করতেন হাবিবুল্লা। কাঁকসা থানায় গ্রেপ্তার হাবিবুল্লার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং ইউএপিএ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।

বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার-আল-ইসলামের সদস্য ছিলেন হাবিবুল্লা। সেই সংগঠনের অন্যতম সদস্য ‘ফিদায়েঁ’ ইসমাইল শাহাদত। মনে করা হচ্ছে তার নামেই তৈরি হয়েছে নতুন এই মডিউল। যার অর্থ, নিজে থেকে শহিদ হওয়া। অর্থাৎ আত্মঘাতী জঙ্গি বা ‘ফিদায়েঁ’। জিহাদের জন্য নিজের জীবন বিসর্জন দিতেও পিছপা হব না, এই সংকল্পের বীজই বুনে দেওয়া হতো সদস্যদের মধ্যে। সূত্রের দাবি, বিদেশে আত্মগোপন করে সালাউদ্দিন নাসের নামের একজন মডিউলটি অপারেট করেন।

মূলত সোশ্যাল মিডিয়ায় জাল বিছিয়ে তরুণ-তরুণীদের দলে টানতেন তারা। প্রথমে চলত স্ক্যানিং। দেখা হতো, কারা ইসলামিক মৌলবাদের প্রতি আগ্রহী। তারপর অডিও মেসেজ পাঠিয়ে চলত মগজ ধোলাই। ব্যবহার হতো বিশেষ মোবাইল অ্যাপ ‘বিপ’। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশেষ এক গ্রুপে চলত কথাবার্তা। সেই গ্রুপেই এখন কড়া নজর তদন্তকারীদের। সূত্রের দাবি, এইভাবে ‘রিক্রুট’ করা হয়েছিল হাবিবুল্লাকে। কম্পিউটার সায়েন্সের এই পড়ুয়া বেশির ভাগ সময়ই মোবাইল, ল্যাপটপে মুখ গুজে থাকতেন। এলাকায় কারও সঙ্গে বিশেষ মিশতেন না বলেই দাবি পড়শিদের। তবে আপাত শান্তশিষ্ট, মেধাবী হাবিবুল্লা যে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকবে, তা মানতে পারছে না এলাকার বাসিন্দারা।

সম্প্রতি ঢাকার শাহিনবাগ, গুলিস্তান এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে নয়া ‍‍‍‘শাহাদত’ মডিউলের ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সূত্রের দাবি, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই বাংলার তিন চক্রীর হদিস মিলেছে। মূলত ঢাকা, সাতক্ষীরা, যশোর এলাকায় অপারেট করেন তারা। ধৃতদের রবিবার বর্ধমানের আদালতে পেশ করা হয়েছে। 

আটকদের মধ্যে তিনজন সরাসরি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বলে সন্দেহ এসটিএফের। কয়েকজন ওই জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিতে যাওয়ার পথে এসটিএফের হাতে ধরা পড়েছেন। আটক হাবিবুল্লার ভাই স্কুলছাত্র। তাকেও আটক করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হাবিবুল্লা পূর্ব বর্ধমানের বুদবুদ থানা এলাকার মানকর কলেজের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের কম্পিউটার সায়েন্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। খবর পেয়ে কাঁকসা থানায় পৌঁছান আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ আধিকারিকরা। সেখানে ছিলেন কাঁকসার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারও।

এই মডিউলের সদস্যরা নিজেদের মধ্যে বিশেষভাবে সুরক্ষিত বা এনক্রিপটেড মেসেজ ব্যবস্থার মাধ্যমে কথাবার্তা বলতেন। সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল কায়দার সঙ্গে যোগাযোগে থাকা আনসার-আল-ইসলামের মডিউল ভারত ও বাংলাদেশে নাশকতামূলক কাণ্ড ঘটাবে বলেই গোপনে কাজ করছিল মনে করছে এসটিএফ।

কাঁকসায় তার বাড়ি থেকেই হাবিবুল্লাকে গ্রেপ্তার করে এসটিএফ। হাবিবুল্লাহ ছাড়াও তার বাবা মহম্মদ ইসমাইল মুন্না ও পরিবারের কয়েকজনকে আটক করেছে এসটিএফ। তার বাড়ি থেকে বেশ কিছু নথিও উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গেছে।

অনিয়মের অভিযোগে ভারতের পরীক্ষাপ্রধান বরখাস্ত

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ০৯:১৯ এএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ০৯:১৯ এএম
অনিয়মের অভিযোগে ভারতের পরীক্ষাপ্রধান বরখাস্ত
ছবি: সংগৃহীত

উচ্চশিক্ষার জন্য সাম্প্রতিক সময়ে ভর্তি পরীক্ষাসমূহে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে ভারতের ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) প্রধান সুবোধ কুমার সিংকে বরখাস্ত করা হয়েছে। 

শনিবার (২২ জুন) তাকে বরখাস্ত করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। একই দিন তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার প্রদীপ সিং খারোলা।

অনিয়মের ঘটনায় রবিবারের মেডিসিন স্নাতকোত্তর ডিগ্রির প্রবেশিকা পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে পিএইচডি ফেলোশিপের যোগ্যতা নির্ধারণ পরীক্ষাও। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

এ ছাড়া দেশের সব বড় পর্যায়ের পরীক্ষায় স্বচ্ছতা বজায় রাখতে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এনটিএর যাবতীয় কার্যক্রম ও কাজের পদ্ধতি খতিয়ে দেখে আগামী দুই মাসের মধ্যে বিশেষ রিপোর্ট কেন্দ্রে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কমিটিকে। এ ছাড়া নিট বা নেটসহ সব গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষায় স্বচ্ছতা আনয়নে পরামর্শ দেবে এই কমিটি।

নিটের প্রশ্ন ফাঁস ও অনিময়ের অভিযোগে ইউজিসি নেট পরীক্ষা বাতিলকে কেন্দ্র করে ভারতজুড়ে তোলপাড় চলছে। বিষয়টি ক্রমাগত চাপ বাড়াচ্ছে সরকারের ওপর। এমন পরিস্থিতিতে একাধিক পরীক্ষা বাতিলসহ এনটিএ-প্রধানকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিলেও দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ বাড়ছে।

ভারতে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষাকে ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রেন্স টেস্ট (এনইইটি) বা নিট বলা হয়। এই পরীক্ষার আয়োজন করে এনটিএ। আর নেট হলো গবেষণা ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রবেশিকা পরীক্ষা।

ইরানের র‌্যাপারের মৃত্যুদণ্ড বাতিল

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ০৯:১৩ এএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ০৯:১৩ এএম
ইরানের র‌্যাপারের মৃত্যুদণ্ড বাতিল
ইরানি র‍্যাপার তোমাজ সালেহি। ছবি: সংগৃহীত

ইরানের জনপ্রিয় র‍্যাপার তোমাজ সালেহির মৃত্যুদণ্ড বাতিল করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। 

শনিবার (২২ জুন) সালেহির আইনজীবী আমির রাইসিয়ান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সরকারের সমালোচনা করে গান গাওয়ায় তাকে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হয়েছিল। খবর সংবাদমাধ্যম বিবিসির।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) আমির রাইসিয়ান বলেন, সালেহির মৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল করেছেন ইরানের সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে নতুন করে শুনানির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ‘অপূরণীয় একটি বিচারিক ত্রুটি’ রুখে দিলেন সর্বোচ্চ আদালত।

গত এপ্রিলে সালেহিকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছিল। তখন সালেহির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহে সহায়তা, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, দাঙ্গার উসকানিসহ নানা অভিযোগ আনা হয়েছিল।

এর আগে ২০২২ সালে পুলিশ হেফাজতে ২২ বছর বয়সী ইরানি কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুতে দেশব্যাপী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে এতে একাত্ম হন সালেহি। আন্দোলনের সময় ৩২ বছর বয়সী এই গায়ক ইরানের দুর্নীতি, শাসনব্যবস্থা্র ত্রুটিসহ সরকারের নানা সমালোচনা করে গান করেন। এমন ঘটনায় তিনি একাধিকবার গ্রেপ্তারও হন। বিভিন্ন সময় তাকে হুমকিও দেওয়া হলেও তিনি গান দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার ছিলেন।

উ.কোরিয়া-রাশিয়ার নতুন চুক্তি: ইউক্রেন নিয়ে পশ্চিমাদের সঙ্গে রাশিয়ার বাজি

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৪, ০৯:০৬ এএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪, ০৯:০৮ এএম
উ.কোরিয়া-রাশিয়ার নতুন চুক্তি: ইউক্রেন নিয়ে পশ্চিমাদের সঙ্গে রাশিয়ার বাজি
ছবি: সংগৃহীত

গেল সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া সফর করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেখানে তাকে বেলুন আর লাল-গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর পেছনের হাসিটি ছিল মূলত ইউক্রেনের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের জন্য প্যাঁচানো সংঘর্ষের শক্তিশালী এক প্রতিযোগিতার সংকেত। এর মাধ্যমে পশ্চিমা স্বার্থকে চ্যালেঞ্জ করতে ইচ্ছুক রাশিয়া যা এর আগে কখনো হয়নি।

রবিবার (২৩ জুন) বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের সঙ্গে পুতিন নতুন এক চুক্তি করেছেন। তাতে মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে পারস্পরিক সামরিক সহায়তার কথা বলা হয়েছে যদি কেউ আক্রমণ করে। পুতিনও প্রথমবারের মতো ঘোষণা করেছেন যে, রাশিয়া বিচ্ছিন্ন দেশটিকে অস্ত্র সরবরাহ করবে। এই পদক্ষেপ কোরীয় উপদ্বীপকে পুনঃসংস্কার ও অগ্রগতিতে সাহায্য করবে। তিনি ন্যাটো মিত্রদের রাশিয়া আক্রমণে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার অস্ত্র সরবরাহ করার প্রতিক্রিয়া হিসেবে সম্ভাব্য অস্ত্রের চালানও বর্ণনা করেছেন। এ সময় তিনি মস্কোর হারানোর কিছু নেই বলে স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেন। ইউক্রেনে তার লক্ষ্য অর্জনে ‘শেষ পর্যন্ত’ যেতে প্রস্তুত।

এপি জানায়, পুতিনের পদক্ষেপগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া জোটের উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে। কারণ উত্তর কোরিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য মস্কোকে অর্থনৈতিক সহায়তা ও প্রযুক্তি হস্তান্তরের বিনিময়ে প্রয়োজনীয় যুদ্ধাস্ত্র সরবরাহ করছে। যা কিমের পারমাণবিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র হুমকিকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।

নতুন চুক্তিটি স্নায়ুযুদ্ধ সমাপ্তির পর থেকে মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী সংযোগ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। কিম বলেছেন, ‘যখন পুতিন আরও সতর্ক ছিলেন চুক্তিটি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে একটি জোটের স্তরে উন্নীত করেছে। পারস্পরিক সামরিক সহায়তার এই অঙ্গীকার সোভিয়েত ইউনিয়ন ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে ১৯৬১ সালের চুক্তিকে প্রতিফলিত করেছে। সোভিয়েত পতনের পর সেই চুক্তিটি বাতিল করা হয়েছিল। পরে ২০০০ সালে পুতিনের প্রথম পিয়ংইয়ং সফরের সময় একটি দুর্বল চুক্তিতে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল।’ সূত্র: এপি