ঢাকা ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মধ্যে বাড়ছে বিভাজন

প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৪, ০৯:১৯ এএম
আপডেট: ২২ জুন ২০২৪, ০৯:১৯ এএম
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মধ্যে বাড়ছে বিভাজন
ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ গাজার পশ্চিম রাফায় বাস্তুচ্যুত মানুষের তাঁবুতে ট্যাংক দিয়ে তীব্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এ সময় হামাসের পক্ষ থেকেও জবাব দেওয়া হয়েছে। তারা ইসরায়েলের একটি সাঁজোয়া সামরিক যান বিস্ফোরক দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছে।

গাজার দেইর এল-বালাহ থেকে অলাভজনক সংস্থা ইনারার সভাপতি আরওয়া ড্যামন আল-জাজিরাকে বলেন, ‘অন্যান্য যুদ্ধাঞ্চল থেকে গাজাকে যা আলাদা করে তা হলো এখানে পালানোর কোনো পথ নেই, কোনো অবকাশ নেই, শ্বাস নেওয়ারও কোনো জায়গা নেই … নিরাপদ স্থানের কোনো সন্ধান নেই।’ 

আল-জাজিরার প্রতিবেদন বলছে, ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নেওয়ার একমাত্র রাস্তা- রাফা সীমান্ত পারাপার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পেটে ছুরিকাঘাতের শিকার এক ছোট ছেলের কথা উল্লেখ করে ড্যামন বলেন, ‘ছেলেটি যদি চিকিৎসার জন্য গাজা থেকে বের হতে না পারে তাহলে সে স্থায়ীভাবে অক্ষম হয়ে যাবে, মারাও যেতে পারে।’ 

এদিকে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, খান ইউনিসের পূর্ব পাশে গতকাল ভোরে ইসরায়েলি হামলায় দুই ব্যক্তি ও এক শিশু নিহত হয়েছে। ইসরায়েলি হামলায় উত্তর গাজার তুফাহ ও শুজাইয়া এলাকায় দুই বসতবাড়িতে আরও দুজন আহত হয়েছেন।

ওয়াফার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গাজা শহরের জেইতুন, মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবির ও মাঘাঝি শরণার্থী শিবিরসহ দেইর এল-বালাহের আশপাশের এলাকাগুলোতে গোলাবর্ষণ করেছে ইসরায়েল। এ ছাড়া হেলিকপ্টার থেকে রাফা শহরের পূর্বাঞ্চলে গুলি চালানো হয়েছে। রাফার কেন্দ্রে যুদ্ধবিমান দিয়েও হামলা চালানো হয়েছে।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র বাহিনীর দুটি দল গত বৃহস্পতিবার গাজা শহরের জেইতুন এলাকার পূর্বে জড়ো হয়েছিল। তারা যৌথভাবে ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে মর্টার শেল ব্যবহার করে। এ ছাড়া হামাস যোদ্ধারা একই দিন গাজার কেন্দ্রে ও পশ্চিম রাফাতে ‘কৌশলগতভাবে সীমিত’ আক্রমণ পরিচালনা করে।

মার্কিন থিঙ্ক ট্যাংক দ্য ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার (আইএসডব্লিউ) ও ক্রিটিকাল থ্রেটস প্রজেক্ট (সিটিপি) জেইতুনে হামলায় হতাহতের কোনো তথ্য দেয়নি। তবে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গতকাল জানিয়েছে, উত্তর গাজায় মর্টার শেল হামলায় তাদের দুই সেনা নিহত হয়েছেন।

আইএসডব্লিউ ও সিটিপির সর্বশেষ যৌথ প্রতিবেদন অনুসারে পশ্চিম রাফায় হামলায় জড়িত হামাস যোদ্ধারা কয়েক দিন ধরে তাল আস-সুলতানে ইসরায়েলি অভিযান পর্যবেক্ষণ করছে। আর কেন্দ্রীয় রাফায় হামাস যোদ্ধারা একটি কঠিন অভিযান পরিচালনা করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল রকেটচালিত গ্রেনেড দিয়ে চারটি ইসরায়েলি সাঁজোয়া যানে আঘাত হানা ও শাবোরা শরণার্থী শিবিরের সরু গলিপথে যানবাহন থেকে নেমে আসা ইসরায়েলি সেনাদের হটিয়ে দেওয়া।

হোয়াইট হাউস ও নেতানিয়াহুর মধ্যে নতুন উত্তেজনা
এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মধ্যে চলতি সপ্তাহে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। 

মূলত অস্ত্র সরবরাহকে কেন্দ্র করে এই বিতণ্ডতার সূত্রপাত। হোয়াইট হাউস বৃহস্পতিবার এই পরিস্থিতিকে ‘উদ্বেগজনক’ ও ‘হতাশাজনক’ বলে অভিহিত করেন।

নেতানিয়াহু চলতি সপ্তাহের শুরুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দাবি করেন, ইসরায়েলের প্রধান সামরিক সমর্থক মার্কিন প্রশাসন। অথচ তারা সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ‘অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ আটকে রেখেছে।’ এরপর দিয়েই নতুন করে শুরু হয় বিতর্ক। 

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই মন্তব্যগুলো গভীরভাবে হতাশাজনক এবং অবশ্যই আমাদের জন্য বিরক্তিকর। আমাদের যে পরিমাণ সমর্থন রয়েছে তা দেওয়া অব্যাহত থাকবে।’

গত বুধবার হোয়াইট হাউস প্রেস সেক্রেটারি কারিন জেন-পিয়েরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সত্যিকার অর্থে জানি না তিনি কী বিষয়ে কথা বলছেন। এখানে অন্য কোনো অস্ত্র সরবরাহের বিরতি নেই। কোনোটিই নয়।’ ২০০০ পাউন্ড বোমার একটি চালানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ওয়াশিংটন ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ওই অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে উদ্বিগ্ন। সেটি নিয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে।’

নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে জানান, ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্রের চালান পেলে তিনি ব্যক্তিগত আক্রমণের শিকার হওয়ার জন্যও প্রস্তুত।

ইসরায়েলি সরকারপ্রধান ও বাইডেন প্রশাসনের মধ্যে বিরোধ এই প্রথম নয়। বাইডেন এর আগে দক্ষিণ গাজার রাফাতে ইসরায়েলি স্থল অভিযানের কঠোর বিরোধিতা করেছিলেন। সেখানে সে সময় ১০ লাখেরও বেশি বেসামরিক মানুষ ছিল। সে সময় বাইডেন জানিয়েছিলেন, তার সতর্কতা না মানলে কিছু অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে। সূত্র: আল-জাজিরা, এএফপি

ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০২:০৫ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৪:৪৭ পিএম
ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে
ছবি: সংগৃহীত

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর ঘটনায় ইরানে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ চলছে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৭ জুন) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, যা চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।

তবে দুই ঘণ্টা করে মধ্যরাত পর্যন্ত কয়েক দফায় সময় বাড়ানো হতে পারে।

দেশের ৫৮ হাজার ৬৪০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে। যেখানে প্রায় ৬ কোটি ১০ লাখ মানুষ ভোট দিতে যাচ্ছেন। 

ভোটকেন্দ্রগুলোর বেশিরভাগই স্কুল ও মসজিদ।

ব্যালটগুলো হাতে গোনা হবে বলে চূড়ান্ত ফলাফল দুদিনের মধ্যে ঘোষণা করা হতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে। তবে এর আগেই পাওয়া যেতে পারে প্রাথমিক পরিসংখ্যান।

ইরানের গার্ডিয়ান কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের যাচাই-বাছাই করে ছয়জনকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়। তবে এদের মধ্যে তেহরানের মেয়র আলিরেজা জাকানি এবং আমিরহোসেন গাজিজাদে হাসেমি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় এখন চার প্রার্থী ভোটে লড়ছেন।

তারা হলেন- মোহাম্মদ বাগের গালিবাফ, সাইদ জালিলি, মাসুদ পেজেশকিয়ান ও মোস্তফা পুরমোহাম্মদী। সূত্র: আল-জাজিরা

পপি/

ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে ভালো করেছেন, দাবি বাইডেনের

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৪:০৫ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৪:০৯ পিএম
ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কে ভালো করেছেন, দাবি বাইডেনের
ছবি: সংগৃহীত

নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রথমবারের মতো মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নিয়েছেন রিপাবলিকান দলের প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিতর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ভালো করেছেন বলে দাবি জো বাইডেনের।  

শুক্রবার (২৮ জুন) বিতর্ক পরবর্তী খাবারের জন্য আটলান্টার একটি ওয়াফেল হাউস রেস্তোরাঁ থেকে নেমে আসার পর বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা ভালো করেছি।’

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সিএনএনের আটলান্টা স্টুডিওতে এই বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। বিতর্কের আয়োজন করে সিএনএন ও এবিসি। 

বিতর্ক মঞ্চে প্রথা অনুসারে করমর্দন করেননি বাইডেন ও ট্রাম্প। 

সিএনএনের তাৎক্ষণিক জরিপে অনুসারে, অধিকাংশ দর্শকের মতে জো বাইডেনের সঙ্গে বিতর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হয়েছেন।

তাদের তাৎক্ষণিক জরিপ অনুযায়ী, দর্শকদের মতে নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে ৬৭ শতাংশ বলেছেন ট্রাম্প ভালো করেছেন। বাকি ৩৩ শতাংশ বাইডেনের পক্ষে মত দিয়েছেন।

তবে সিএনএন বলছে, জরিপে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা দেশটির ভোটারদের প্রতিনিধিত্ব করেন না। শুধুমাত্র যারা বিতর্কটি দেখেছেন এবং এই জরিপে অংশ নিয়েছেন তাদের মতামতই এই ফলাফলে প্রতিফলিত হয়েছে। সূত্র : এএফপি

ইসরাত চৈতী/ 

যুক্তরাজ্যের নির্বাচনচূড়ান্ত বিতর্কে মুখোমুখি সুনাক-স্টারমার

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৯:৩০ এএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৯:৩০ এএম
যুক্তরাজ্যের নির্বাচনচূড়ান্ত বিতর্কে মুখোমুখি সুনাক-স্টারমার
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা কেইর স্টারমার। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের নির্বাচন সামনে রেখে চূড়ান্ত টেলিভিশন বিতর্কে মুখোমুখি হয়েছিলেন দেশটির ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা কেইর স্টারমার।

চূড়ান্ত বিতর্কে উঠে এসেছিল স্বাস্থ্য, সামাজিক নীতি, অভিবাসন, নির্বাচন ফলাফল নিয়ে বাজির অভিযোগের মতো বিষয়গুলো। একে অন্যকে ধরাশায়ী করার চেষ্টারও কমতি ছিল না। তবে শেষ পর্যন্ত সমতায় শেষ হয় বিতর্ক।

নির্বাচনি ফলাফল নিয়ে বাজি ধরার অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেন, তিনি ওই অভিযোগগুলো শোনার পর হতাশ ও ক্ষুব্ধ অনুভব করেছেন।

অন্যদিকে লেবার পার্টির নেতা কেইর স্টারমার বলেন, ‘বাজির অভিযোগগুলো নেতৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।’ স্বল্প কর, সামাজিক কল্যাণের বিষয়গুলোও উঠে এসেছিল বিতর্কে। সুনাক দাবি করেন, লেবার ক্ষমতায় এলে উচ্চ করের সম্মুখীন হতে হবে জনসাধারণকে। অন্যদিকে তারা স্বল্প কর বজায় রাখতে পারবেন। পাশাপাশি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে দুর্বলের জন্য সমর্থনের বিষয়টি সব সময় রক্ষণশীল সরকারের আমলেই হবে।

অভিবাসন নিয়ে স্টারমার বলেন, সীমান্তের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হলো যে পরিমাণ মানুষ ছোট নৌকা নিয়ে ইংলিশ চ্যানেল দিয়ে প্রবেশ করছে, সে বিষয়টি। এর জবাবে সুনাককে বলতে শোনা যায়, এ ধরনের নৌকা আসা ঠেকানোর জন্যই তারা রুয়ান্ডা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলেন।

মূলত ওই নীতিতে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের যুক্তরাজ্য থেকে রুয়ান্ডায় পাঠিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে সুনাকের সরকার। তবে লেবার পার্টি জানিয়েছে, তারা এ পরিকল্পনার বিরোধী। ক্ষমতায় এলে সেটি বাতিল করা হবে বলেও জানিয়ে রেখেছে তারা। এর বদলে বিভিন্ন বাহিনী ও দক্ষ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে ‘বর্ডার সিকিউরিটি কমান্ড’ গড়ে তুলবে। সূত্র: আল-জাজিরা

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টকে ‘কালো জাদু’!

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৯:০৬ এএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৯:০৬ এএম
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টকে ‘কালো জাদু’!
ফাথিমাত শামনাজ আলী সালিম ও মোহামেদ মুইজ্জু

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জুকে ‘কালো জাদু’ করার অভিযোগে দেশটির পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী ফাথিমাত শামনাজ আলী সালিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) পুলিশ জানিয়েছে, শামনাজ আলী সালিমকে গত রবিবার রাজধানী মালে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার সঙ্গে আরও দুজন ছিলেন। তদন্তের জন্য সালিমকে এক সপ্তাহের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

মালদ্বীপের স্থানীয় গণমাধ্যম সান জানিয়েছে, পুলিশ কালো জাদুর কারণে পরিবেশমন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের খবরের সত্যতা নিশ্চিত বা প্রত্যাখ্যান কোনোটিই করেননি। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ মালদ্বীপের আইনে ‘জাদুবিদ্যা’কোনো ফৌজদারি অপরাধ নয়। তবে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে ইসলামিক আইনের অধীনে ছয় মাসের কারাদণ্ড হতে পারে। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

পাকিস্তানে তীব্র গরমে পাঁচ শতাধিক মৃত্যু

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৮:৫৮ এএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৮:৫৮ এএম
পাকিস্তানে তীব্র গরমে পাঁচ শতাধিক মৃত্যু
ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ছয় দিনে ওই অঞ্চলে ৫ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শুধু একদিনেই দেশটির জরুরি সেবাকর্মীরা প্রায় দেড়শ জনের লাশ সংগ্রহ করেছে। 

পাকিস্তানের দ্য ইদি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস জানায়, সাধারণত করাচিতে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ জনের লাশ মর্গে নিয়ে থাকে তারা। কিন্তু গত ছয় দিনে তারা মোট ৫৬৮টি লাশ সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে শুধু মঙ্গলবারই লাশ সংগ্রহ করতে হয়েছে ১৪১টি।

বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, প্রত্যেকটি মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এখনই আলাদা করে স্পষ্টভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে করাচির তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে বেড়ে যাওয়ায় মৃতের সংখ্যাও বেড়েছে। আর উচ্চ আর্দ্রতার কারণে ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো গরম অনুভূত হচ্ছে। এত গরমে জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনসাধারণ। 

করাচির সরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ইমরান সারওয়ার শেখ জানান, গত রবিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত ২৬৭ জন মানুষ হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ১২ জন মারা গেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি- হাসপাতালে যারা আসছেন তাদের বেশিরভাগই ৬০-৭০ বছর বয়সী। যদিও কয়েকজন ছিলেন ৪৫ বছরের। আর দুজনের বয়স ছিল বিশের কোঠায়।’ 

যারা হাসপাতালে আসছেন- তাদের বমি, ডায়রিয়া ও উচ্চমাত্রায় জ্বরসহ নানা উপসর্গ রয়েছে জানিয়ে ইমরান শেখ বলেন, ‘তাদের অনেকেই বাইরে কাজ করতেন। আমরা তাদের বলেছি, তারা যেন প্রচুর পানি পান করেন এবং হালকা জামাকাপড় পরেন।’

পাকিস্তানের এক আবহাওয়াবিদ এই উচ্চ তাপমাত্রাকে ‘আংশিক দাবদাহ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। দেশটির গণমাধ্যমের খবর বলছে, গরম পরিস্থিতি সামাল দিতে বিভিন্ন স্থানে ‘হিটওয়েভ সেন্টার ও ক্যাম্প’ খোলা হয়েছে।

তবে হিটস্ট্রোকে উচ্চ মৃত্যু হওয়ার খবর অস্বীকার করেছেন করাচির কমিশনার সৈয়দ হাসান নাকভি। তিনি বলেন, ‘প্রকৃত মৃতের সংখ্যা প্রতিবেদনে যতটা দেখানো হচ্ছে, ততটা বেশি নয়।’ সূত্র: বিবিসি, জিও নিউজ