![চেয়ারম্যান পদ অবৈধ, ফেরত দিতে হবে ৫ বছরের বেতন-ভাতা](uploads/2024/05/16/Mejbaul_Haider-1715874648.jpg)
ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেলের বিগত ৫ বছরের দায়িত্ব পালনকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই ৫ বছরে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নেওয়া বেতন-ভাতাসহ সব সুযোগ-সুবিধা বাবদ ৩৩ লাখ ২৬ হাজার ৬১৯ টাকা ৯০ দিনের মধ্যে ফেরত দিতে মেজবাউল হায়দার চৌধুরীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি স্বেচ্ছায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ওই টাকা পরিশোধ না করলে টাকা আদায় করতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক রিট আবেদনের নিষ্পত্তি করে হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
শুনানিতে রিটের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার এস এম কফিল উদ্দিন। সোহেল চৌধুরীর পক্ষে অ্যাডভোকেট এ এফ হাসান আরিফ ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান সাংবাদিকদের জানান, ২০১৯ সালে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আব্দুল হালিম ও শহিদুল্লাহ মজুমদারের প্রার্থিতা বাতিল হয়। এর ফলে অপর প্রার্থী মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এর মধ্যে প্রার্থিতা ফেরত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন আব্দুল হালিম ও শহিদুল্লাহ মজুমদার। এ ছাড়া রিটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সোহেলকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। ২০১৯ সালেই এসব বিষয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের আদেশে ছাগলনাইয়ার উপজেলা চেয়ারম্যানের গ্যাজেট স্থগিত হয়। পরে চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত ঘোষণা করেন। গ্যাজেট না হওয়ায় আইনি জটিলতায় মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নিতে পারেননি। শপথ না নিয়েও তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন।
দীর্ঘ শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার রিটের নিষ্পত্তি করে রায় দিলেন হাইকোর্ট।