ঢাকা ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪

দেশে অবৈধ বিদেশি শ্রমিকদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৪, ১২:০০ এএম
আপডেট: ২৯ মে ২০২৪, ১২:০০ এএম
দেশে অবৈধ বিদেশি শ্রমিকদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের কর্মরত কতজন বৈধ ও অবৈধ শ্রমিক আছে, তার তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। এই তালিকা প্রতিবেদন আকারে দাখিল করতে পুলিশের মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৮ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। শুনানিতে রিটের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। 

বাংলাদেশের কর্মক্ষেত্রে কতজন বৈধ ও অবৈধ শ্রমিক কাজ করছেন তার তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে এই রিট দায়ের করেন অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন রিগ্যান। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশে ১০ লাখের বেশি অবৈধ বিদেশি শ্রমিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মরত। এর ফলে এ দেশের নাগরিকরা যোগ্যতা অনুযায়ী নিয়োগ লাভের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ‘অবৈধ বিদেশি খেদাও আন্দোলন’ নামে একটি সংগঠন এসব তথ্য দিয়েছে।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘যোগ্যতা অনুযায়ী নিয়োগ পাওয়া সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু গত দেড় দশকে বাংলাদেশে বেকার সমস্যা চরম আকার ধারণ করেছে। দেশে বর্তমানে বেকারত্বের হার ১২ শতাংশ, যা এ যাবৎকালে সর্বোচ্চ। এ দেশের নাগরিক কর্মসংস্থান খুঁজতে গিয়ে বঙ্গোপসাগর থেকে ভূমধ্যসাগরে মৃত্যুবরণ করছে। অন্যদিকে বাংলাদেশে কর্মরত অবৈধ বিদেশিরা ২০১৭ সাল থেকে প্রতিবছর ১০ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এ দেশ থেকে নিয়ে যাচ্ছে। অবৈধ হওয়ায় তারা ট্যাক্স ও ভ্যাট প্রদান না করে টাকা পাচার করছে। এর ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্রমান্বয়ে ধ্বংস হচ্ছে আর মানবাধিকার ও জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। তার পরও আমাদের রাষ্ট্র বা সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।’

 

 

আইনজীবীদের কালো গাউন পরতে হবে ৭ জুলাই থেকে

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০২:৩৯ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৪:০৮ পিএম
আইনজীবীদের কালো গাউন পরতে হবে ৭ জুলাই থেকে
ফাইল ফটো

তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে মামলা শুনানির সময় আইনজীবীদের কালো গাউন পরিধানের বাধ্যবাধকতা শিথিলের কার্যকারিতা রহিত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এই বিজ্ঞপ্তি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে মামলা শুনানিতে আইনজীবীদের গাউন পরিধানের আবশ্যকতা শিথিল করে গত ২৬ মে জারি করা বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা রহিত করা হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের রুলসে উল্লিখিত পরিধেয় পোশাক বিষয় থাকা সংশ্লিষ্ট বিধানাবলি অনুসরণ করে আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে মামলা শুনানিতে অংশগ্রহণ করবেন। এ নির্দেশনা আগামী ৭ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।

সাদিয়া নাহার/অমিয়/

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দাখিলের নির্দেশনা চেয়ে রিট

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫০ এএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫৮ এএম
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দাখিলের নির্দেশনা চেয়ে রিট
হাইকোর্ট

দুর্নীতি প্রতিরোধে আইন অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দাখিল ও ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস সোমবার (১ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলান তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের বেঞ্চে এ রিট উপস্থাপন করেন।

তবে মঙ্গলবার (২ জুলাই) এ রিটের শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে। 

রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, অর্থসচিব, জনপ্রশাসন সচিব, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, দুদক চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও বিএফআইইউর প্রধানকে বিবাদী করা হয়েছে। 

রিটে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের অবৈধ-সম্পদ অর্জন প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় নীতিমালা, আইন ও নীতি করতে বিবাদীদের ভয়াবহ ব্যর্থতা এবং কথিত নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না, আইনানুসারে দেশে-বিদেশে সরকারি কর্মচারীদের থাকা সম্পদের তথ্য সংগ্রহে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সরকারি কর্মচারীদের সম্পদ বিবরণী প্রকাশ ও ডিজিটাল মাধ্যমে সময়ে আপডেট করার নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন করা হয়েছে।

পরে অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাস সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব যেন নেওয়া হয় এবং সেগুলো যেন প্রকাশ করা হয়, তার নির্দেশনা চেয়ে রিট দাখিল করেছি। সম্প্রতি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের আয়ের কিছু অফিশিয়ালের বিপুল পরিমাণে সম্পদের খবর প্রকাশিত হয়েছে। যত বড় কর্মকর্তাই হোক না কেন, তিনি কীভাবে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জন করেন, সে বিষয়টি জানতে চেয়েছি। কারণ সরকারের একটি রুলস আছে। ওই রুলস অনুযায়ী কোনো সরকারি অফিসার পুর্বানুমতি ছাড়া একটি বিল্ডিংও নির্মাণ করতে পারেন না। ইনভেস্ট করতে পারেন না। তিনি আইন থাকার পরেও কীভাবে এত বিপুল সম্পত্তি অর্জন করলেন। চাকরির প্রবেশকালে সম্পদের হিসাব দাখিল করতে হবে। প্রতিবছর কত বাড়ল বা কমল তার বিবরণী দাখিল করার আইন রয়েছে। পরবর্তী সময়ে তা সংশোধন করে প্রতি পাঁচ বছর পর পর দাখিল করার বিধান করা হয়। কিন্তু সর্বশেষ ২০০৮ সালে কিছু কর্মকর্তা দাখিল করেছিলেন। ২০০৮ সালের পরে সরকার চাইলেও কর্মকর্তারা সেটা দেননি। আমরা বলেছি, আইনটা যথাযথভাবে প্রতিপালন করা হোক।’

ধর্ষণ মামলায় টিকটকার প্রিন্স মামুনের জামিন

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ১০:২২ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ১০:২২ পিএম
ধর্ষণ মামলায় টিকটকার প্রিন্স মামুনের জামিন
টিকটকার আবদুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুন

ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার টিকটকার আবদুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুন (২৫) জামিন পেয়েছেন। 

সোমবার (১ জুলাই) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

গত ১১ জুন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গ্রেপ্তার মামুনকে হাজির করার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ওই দিন জামিনের আবেদন নামঞ্জুর হয়।

এর আগে গত ৯ জুন বহুল আলোচিত-সমালোচিত ৪৮ বছর বয়সী এক নারী টিকটকার প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, তিন বছর আগে ফেসবুকে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে ওই নারীর পরিচয় হয়। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মামুন তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়েন। তাকে বিয়ে করবে বলে জানান। তার কথায় সরল মনে ওই নারী মামুনকে নিজের বাসায় থাকার অনুমতি দেন।

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে ওই নারীর বাসায় বসবাস করতে থাকেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন।

ওই নারীর অভিযোগ, একাধিকবার বিয়ের বিষয়ে বললেও মামুন বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। সর্বশেষ গত ১৪ মার্চ মামুন তাকে বিয়ে করবেন, এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে তিনি বিয়ের কথা বললে মামুন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। মামুনের মা-বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারাও তাকে গালিগালাজ করেন।

হাইকোর্টের রুল এস আলমের ২ প্রতিষ্ঠানের কাছে ভ্যাট দাবির আদেশ কেন বাতিল নয়

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৭:১৩ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৯:৩১ এএম
এস আলমের ২ প্রতিষ্ঠানের কাছে ভ্যাট দাবির আদেশ কেন বাতিল নয়
ছবি: খবরের কাগজ গ্রাফিকস

দেশের বৃহৎ শিল্পগ্রুপ এস আলমের দুইটি প্রতিষ্ঠানের কাছে ভ্যাট বাবদ ২ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা দাবি করে চট্টগ্রাম ভ্যাট ও একসাইজ কমিশনারেটের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না এবং ওই আদেশ বাতিল করে কেন পুনরায় শুনানির নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। 

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম ভ্যাট ও একসাইজ কমিশনারেটসহ সংশ্লিষ্টদের জবাব দিতে বলা হয়েছে। 

সোমবার (১ জুলাই) এস আলম গ্রুপের পক্ষে করা এক রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। শুনানিতে রিটের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম। 

আদেশের পর অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন,  ‘এস আলম গ্রুপের দুইটি প্রতিষ্ঠান এস আলম সুপার এডিবল ওয়েল লিমিটেড ও এস আলম ভেজিটেবল ওয়েল লিমিটেডের কাছে অনাদায়ী উল্লেখ করে ২ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা দাবি করে দাবিনামা পাঠানো হয়। এ দুই কোম্পানি সঙ্গে সঙ্গে জবাব দেওয়ার জন্য যোগাযোগ করে। জবাব দেওয়ার জন্য এখানে ভ্যাট অফিস তিনটি অভিযোগ করে। সেগুলো হলো- অগ্রিম ভ্যাট দেওয়া হয়নি, একাধিক ব্যক্তির কাছে মালামাল বিক্রি করেও ভ্যাট দেওয়া হয়নি, স্থানীয় বাজার থেকে কাঁচামাল কিনে উৎপাদন করা হলেও তার অগ্রিম কর দেওয়া হয়নি।

বস্তুত, প্রথম অভিযোগটি মোটেও সত্য নয়। এ দুইটি কোম্পানি অগ্রিম কর দিয়েছে। দ্বিতীয় অভিযোগও সত্য নয়, কারণ উৎপাদনের আগেই কিছু মালামাল অগ্রিম বিক্রি করা হয়েছিল, পরে কোনো ক্রেতা মালামাল না কিনে অগ্রিম টাকা ফেরত নিয়েছে। পুরো অ্যামাউন্ট অ্যাকাউন্ট টু অ্যাকাউন্ট লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় অভিযোগও সত্য নয়, এখানে যে স্থানীয়বাজার থেকে কাঁচামাল কেনার যে কথা বলা হয়েছে তা দেশের অভ্যন্তরে পাওয়া যায় না। বিদেশ থেকে আমদানি করে আনতে হয়। ফলে এই অভিযোগ সত্য নয়।    

এসব অভিযোগের বিষয়ে চলতি বছর ১৮ মার্চ প্রাথমিকভাবে জবাব দেওয়া হয়। বলা হয় দালিলিক প্রমাণসহ জবাব দেওয়া হবে। এ বিষয়ে গত ১৭ এপ্রিল এক আদেশে শুনানির জন্য ৫ জুন দিন ধার্য করা হয়। নির্ধারিত তারিখের আগের দিন ৪ জুন সিনিয়র আইনজীবীর ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে সময় চাওয়া হয়। কিন্তু ৫ তারিখ নির্ধারিত দিনে কোনো আদেশ দেননি ভ্যাট কমিশনার। এরপর ৬ জুন আবার একটি আবেদন করা হয় যে, সময় চেয়ে আইনজীবীর আবেদন বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে কী না। আবেদন মঞ্জুর বা নামঞ্জুর হয়েছে কী না। কিন্তু এরপর ৯ এপ্রিল আবেদনকারীদের কোনো সুযোগ না দিয়ে ভ্যাট কমিশনার দাবিনামার আদেশ জারি করেন। কমিশনারেট কোনোরকম শুনানির সুযোগ না দিয়ে আইনের তোয়াক্কা না করে আদেশ জারি করেন। উচ্চ আদালতের রায় আছে, এ ধরনের মামলায় অবশ্যই আবেদনকারীর বক্তব্য শুনতে হবে। অথচ, চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনার কোনোরকম বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ না দিয়ে, কোনো তথ্য প্রমাণ না দেখেই আদেশ জারি করে দিলেন। যা সঠিক হয়নি।’

মতলু মল্লিক/এমএ/

চলন্ত ট্রেনে তরুণীকে ধর্ষণ : রিমান্ডে ৪ আসামি

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৪ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৫:১৪ পিএম
চলন্ত ট্রেনে তরুণীকে ধর্ষণ : রিমান্ডে ৪ আসামি

চলন্ত ট্রেনে তরুণীকে (১৯) ধর্ষণের অভিযোগে রেলের খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এসএ করপোরেশনের গ্রেপ্তার চার কর্মীর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হারুন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘চলন্ত ট্রেনে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে আসামিদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’

এর আগে গত বুধবার (২৬ জুন) সকালে তিন আসামি মো. জামাল (২৭), মো. শরীফ (২৮) ও মো. রাশেদকে (২৭) গ্রেপ্তার করে রেলওয়ে পুলিশ। আর ২৭ জুন ভোরে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আরেক আসামি মোহাম্মদ আবদুর রবকে (২৮)।

গত ২৫ জুন রাত ১০টায় সিলেট থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় উদয়ন এক্সপ্রেস। পরদিন ২৬ জুন ভোর সাড়ে ৪টায় ওই তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় ট্রেনটি লাকসাম পার হচ্ছিল। ট্রেনটি চট্টগ্রাম পৌঁছে সকাল ৮টায়। তবে ঘটনাটি জানাজানি হয় ওই দিন সন্ধ্যার পর।

রেলওয়ে পুলিশের তথ্যমতে, ওই তরুণী চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ভৈরব থেকে উদয়ন এক্সপ্রেসে ওঠেন। তিনি ট্রেনটির খাবার বগিতে অবস্থান করেন। ওই সময় খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন কর্মী প্রথমে তরুণীকে উত্ত্যক্ত এবং পরে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করেছেন। ওই তরুণী ভৈরবে তার আত্মীয়ের বাড়িতে থাকেন। তার গ্রামের বাড়ি বান্দরবান যেতে চট্টগ্রামে যাচ্ছিলেন তিনি। 

এ ঘটনায় ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) আবদুর রহিমকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

সালমান/