![দেশে অবৈধ বিদেশি শ্রমিকদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট](uploads/2024/05/29/1711255923.highcourt-1716919210.jpg)
বাংলাদেশের কর্মরত কতজন বৈধ ও অবৈধ শ্রমিক আছে, তার তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। এই তালিকা প্রতিবেদন আকারে দাখিল করতে পুলিশের মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৮ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। শুনানিতে রিটের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
বাংলাদেশের কর্মক্ষেত্রে কতজন বৈধ ও অবৈধ শ্রমিক কাজ করছেন তার তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে এই রিট দায়ের করেন অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন রিগ্যান। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশে ১০ লাখের বেশি অবৈধ বিদেশি শ্রমিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মরত। এর ফলে এ দেশের নাগরিকরা যোগ্যতা অনুযায়ী নিয়োগ লাভের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ‘অবৈধ বিদেশি খেদাও আন্দোলন’ নামে একটি সংগঠন এসব তথ্য দিয়েছে।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘যোগ্যতা অনুযায়ী নিয়োগ পাওয়া সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু গত দেড় দশকে বাংলাদেশে বেকার সমস্যা চরম আকার ধারণ করেছে। দেশে বর্তমানে বেকারত্বের হার ১২ শতাংশ, যা এ যাবৎকালে সর্বোচ্চ। এ দেশের নাগরিক কর্মসংস্থান খুঁজতে গিয়ে বঙ্গোপসাগর থেকে ভূমধ্যসাগরে মৃত্যুবরণ করছে। অন্যদিকে বাংলাদেশে কর্মরত অবৈধ বিদেশিরা ২০১৭ সাল থেকে প্রতিবছর ১০ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এ দেশ থেকে নিয়ে যাচ্ছে। অবৈধ হওয়ায় তারা ট্যাক্স ও ভ্যাট প্রদান না করে টাকা পাচার করছে। এর ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্রমান্বয়ে ধ্বংস হচ্ছে আর মানবাধিকার ও জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। তার পরও আমাদের রাষ্ট্র বা সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।’