ঢাকা ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪

বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ ম রেজাউলের শ্রদ্ধা

প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০৩:২৮ পিএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:১২ এএম
বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ ম রেজাউলের শ্রদ্ধা
ছবি : খবরের কাগজ

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পিরোজপুর-১ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে নেতা-কর্মীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা জানান তিনি।

পরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করেন।

এ সময় টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলাম, পাটগাতী ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শুকুর আহম্মেদ, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হাসান আহম্মেদ কচি, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ বিশ্বাস, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল হক বিশ্বাসসহ পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও ইন্দুরকানী উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাদল সাহা/জোবাইদা/অমিয়/

সরকারের প্রশ্রয়ে দুর্নীতি : বাম জোট

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ১০:১৯ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ১০:১৯ পিএম
সরকারের প্রশ্রয়ে দুর্নীতি : বাম জোট
ছবি : খবরের কাগজ

সরকার দুর্নীতির প্রশ্নে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করলেও সরকারের ‘ছত্রচ্ছায়ায়’ দুর্নীতি, লুটপাট, অর্থ পাচার, ঋণখেলাপির মাত্রা ‘অবিশ্বাস্য হারে বেড়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে বাম গণতান্ত্রিক জোটের উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে মিছিল নিয়ে পদযাত্রা করে বাম জোট। কিন্তু পুরানা পল্টন মোড়ে পুলিশের বাধায় এগোতে না পেরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন বাম নেতারা। 

বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহীন রহমান, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা রাশেদ শাহরিয়ার ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী।

বাম জোটের নেতারা জানান, দুর্নীতিবাজ, ঋণখেলাপি, অর্থ পাচারকারী ও তাদের সহযোগীদের গ্রেপ্তার-বিচারের দাবিতে এবং ‘ফ্যাসিবাদী’ সরকার উচ্ছেদের লক্ষ্যে তারা এই সমাবেশে করেছেন।

সমাবেশে সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদ, সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, সাবেক ডিআইজি সামছুদ্দোহা, এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে নানা মন্তব্য করেন বাম নেতারা। 

বক্তারা বলেন, ‘সরকার দুর্নীতির প্রশ্নে জিরো টলারেন্স নীতির কথা বললেও বাস্তবে সরকারের প্রশ্রয়েই এরা দুর্নীতি করছে। এর কারণ বর্তমান সরকার গত ৩টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমলা-প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে জনগণের ভোট ছাড়া ক্ষমতায় বসেছে। ফলে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে না। এরা একে অপরের সহযোগী।’ 

তারা আরও বলেন, বর্তমান আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের ছত্রচ্ছায়ায় দুর্নীতি, লুটপাট, অর্থ পাচার, ঋণখেলাপির মাত্রা অবিশ্বাস্য হারে বেড়েছে। দুর্নীতির কথা উঠলেই মন্ত্রীরা পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘পৃথিবীর কোন দেশে দুর্নীতি নেই।’ 

দুদক ‘লোক দেখানো’ তদন্ত ও মামলা করছে উল্লেখ করে বাম নেতারা বলেন, দুদক নিজেই খুঁজে দুর্নীতির হোতাদের বের করতে পারছে না। ইতোপূর্বে ইয়াবা বদিসহ বিভিন্ন দুর্নীতিবাজকে দুদক সার্টিফিকেট দিয়ে সাধু বানিয়েছে। এতে করে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে দুদকের পদক্ষেপের দুর্বলতা রয়েছে।

দেশের টাকা পাচার প্রসঙ্গে বাম নেতারা আরও বলেন, দেশের ব্যাংকগুলো দেউলিয়া হয়ে গেছে। প্রায় ৪ লাখ কোটি টাকার ওপরে খেলাপি ঋণ রয়েছে। ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে সরকার কোনো যৌক্তিক পদক্ষেপ না নিয়ে বিভিন্ন সময়ে তাদের সুবিধা দিয়ে আসছে। আগে যেখানে ৩০ পার্সেন্ট ডাউন পেমেন্ট দিয়ে খেলাপি ঋণ রিশিডিউল করার আইন ছিল। গত মেয়াদে সরকার সেটা পরিবর্তন করে ২ পার্সেন্ট দিলেই ঋণ রিশিডিউল করার সুযোগ দিয়েছে। তারপরও খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েই চলছে। ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের সময় খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার কোটি টাকা। সেটা এখন ১ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা। দেশে কালোটাকা অর্থাৎ চুরি, ঘুষ, দুর্নীতির টাকা মোট অর্থনীতির ৮২ শতাংশ। 

এবারের বাজেটে ১৫ শতাংশ কর দেওয়ার মাধ্যমে কালোটাকা সাদা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর সমালোচনায় বাম নেতারা বলেন, ‘এর মাধ্যমে দুর্নীতিকে জায়েজ ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হচ্ছে।’ 

ভারতকে রেল করিডর করে দেওয়া, তিস্তা চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না করায় সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন বাম নেতারা। 

বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমাবেশ থেকে একই দাবিতে আগামী ১৬ জুলাই ঢাকাসহ সারা দেশে দুদক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান বিক্ষোভের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। 

বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৫ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৮ পিএম
বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
ছবি: খবরের কাগজ

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ১০ দিন চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার (২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর গুলশানের ফিরোজা বাসভবনে পৌঁছেন তিনি। বাসায় তাকে স্বাগত জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। 

তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, পেসমেকার বসানোর পর এখন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা অনেকটা স্থিতিশীল। সে কারণে তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়া হয়। বাসায় সার্বক্ষণিক চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে তার নিয়মিত চিকিৎসা চলবে। 

এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে হাসপাতাল ছাড়েন খালেদা জিয়া। এ সময় খালেদা জিয়াকে একনজর দেখতে হাসপাতাল ও গুলশানে বাসভনের সামনে ভিড় করেন নেতা-কর্মীরা। এভারকেয়ার থেকে ফিরোজা পর্যন্ত দলের নেতা-কর্মীরা গাড়িবহর নিয়ে তাকে বাসা পর্যন্ত পৌঁছে দেন। হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু,  যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ  রায় চৌধুরীসহ দলের সহস্রাধিক নেতা-কর্মী।   

গত ২২ জুন রাত সাড়ে ৩টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। পরদিন ২৩ জুন তার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়। এর আগে গত বছরের ২৭ অক্টোবর লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা তিনজন চিকিৎসক। তবে আবারও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ২২ জুন তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন।

শফিক/এমএ/

ভারতকে এক ইঞ্চি জমিও ব্যবহার করতে দেব না : ড. রিপন

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৫:০০ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৫:০০ পিএম
ভারতকে এক ইঞ্চি জমিও ব্যবহার করতে দেব না : ড. রিপন
প্রতিবাদ সভায় কথা বলছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন। ছবি : খবরের কাগজ

ভারতকে বাংলাদেশের এক ইঞ্জি জমিও ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন। 

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার শুধু অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে ভারতকে তোষণ করতে গিয়ে বাংলাদেশকে গোলামির জিঞ্জির পরিয়ে দিয়েছে।’

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনসহ নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি’তে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভাটি আয়োজন করে জিয়া শিশু কিশোর মেলা-কেন্দ্রীয় কমিটি।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ১০টি সমঝোতা ও চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে ড. রিপন বলেন, ‘ওরা (ভারত) যেহেতু বুঝতে পেরেছে বাংলাদেশে জনগণের সরকার নেই। বরং তাদের তাঁবেদার সরকার বসে আছে; তাই তারা রেল করিডোর, সড়ক করিডোর ও নৌ করিডোরের নামে বাংলাদেশকে আষ্টেপৃষ্টে বাধার ষড়যন্ত্র করছে। ফলে স্বাভাবিকভাবে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বিপর্যয়ের মধ্যে পড়তে পারে।’

তিনি আরও বলেন, “খালেদা জিয়াকে শুধু নির্বাচন থেকে দূরে রাখার অসৎ অভিপ্রায় নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে দণ্ডিত করেছেন। আওয়ামী সরকারপ্রধান ও তাদের লোকজন প্রায়ই বলেন, ‘বেগম জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেছেন।’ অথচ আদালতের ফরমায়েশি রায়ে পর্যন্ত কোথাও খালেদা জিয়া টাকা আত্মসাৎ করেছেন এমন কথা লেখা নেই। তারা এই অসত্য বয়ান দিয়েই যাচ্ছেন। যদি দেশে আইনের শাসন ও জবাবদিহিতা থাকত তাহলে শুধু এই বক্তব্যের জন্য তাদের ১০০ বছরের জেল হয়ে যেত।” 

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি জাহাঙ্গীর শিকদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক কে এস হোসেন টমাসের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জেড খান মো. রিয়াজ উদ্দিনসহ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। 

শফিকুল ইসলাম/সালমান/

বিকেলে বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৪:১৮ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৪:১৮ পিএম
বিকেলে বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া
ফাইল ছবি

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ১০ দিন চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজার উদ্দেশে রওনা দেবেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এবং চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার।

জাহিদ হোসেন জানান, এরই মধ্যে মেডিকেল বোর্ডের ছাড়পত্র পাওয়া গেছে। বিকেলেই এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে তাকে বাসায় নেওয়া হবে।

গত ২২ জুন রাত সাড়ে ৩টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। পরদিন ২৩ জুন তার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়। 

এর আগে, গত বছরের ২৭ অক্টোবর লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়ার রক্তনালিতে অস্ত্রোপচার করেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা তিনজন চিকিৎসক। তবে আবারও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ২২ জুন তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন।

শফিকুল ইসলাম/সালমান/

ভারতের সঙ্গে সমঝোতা-চুক্তিতে স্বাধীনতা খর্ব হওয়ার পথে: ফারুক

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৩:৩২ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৫ পিএম
ভারতের সঙ্গে সমঝোতা-চুক্তিতে স্বাধীনতা খর্ব হওয়ার পথে: ফারুক
ছবি: খবরের কাগজ

ভারতের সঙ্গে নতুন করে সমঝোতা ও চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব খর্ব হওয়ার পথে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক। 

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ভারত গেলেন এক সপ্তাহে দুই বার। কি মধুর সম্পর্ক, কি প্রেম-প্রীতি-ভালবাসা। আম, লিচু, ইলিশ পাঠান কিন্তু ভারতে গিয়ে ফেরত আসেন খালি হাতে। তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিসাব আনতে পারেন না বরং নতুন করে বাংলাদেশের বুকের উপর দিয়ে রেললাইন নির্মাণের সমঝোতা চুক্তি আপনি স্বাক্ষর করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন দিল্লির দাসত্ব গ্রহণ করার জন্য নয়।’

মঙ্গলবার (২ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ভারতের সঙ্গে ‘অবৈধ চুক্তি, দুর্নীতি, দেশকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র’র প্রতিবাদে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

এই অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে গণতন্ত্র ফোরাম।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশ্যে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘গান গায় শিল্পী, তলে তলে ব্যথা। আসলেই সত্যি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রীর তলে ব্যথা আছে। তিনি একেক দিন একেকটা নতুন কথা আবিষ্কার করেন। আজকে আবার আবিষ্কার করলেন পত্রিকায় দেখলাম, মমতার জন্য নাকি আমরা তিস্তার পানির শেয়ার পাচ্ছি না। হায়রে কপাল আমাদের এত মন্দ। এই মন্দের পেছনে দায়ী আওয়ামী লীগ। এই কপাল খারাপের পেছনে আওয়ামী লীগ। আজকে এই সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ কথা বলা শুরু করেছে।’

আওয়ামী লীগ সরকার সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ, সাবেক পুলিপ্রধান বেনজীর আহমেদ, ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, এনবিআর মতিউর তৈরি করেছে বলে অভিযোগ করেন জয়নুল আবেদিন ফারুক। 

তিনি বলেন, ‘সরকার এক এক কাণ্ড তৈরি করে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে সরানোর জন্য শেষে ছাগলকাণ্ড ঘটিয়েছে। নতুন করে ফয়সাল তৈরি করেছেন। এসব কাণ্ড ঘটিয়ে কোনো লাভ হবে না। বাংলাদেশের মানুষ শহিদ জিয়ার দল, তারেক রহমানের নেতৃত্বে আজ অত্যান্ত সুদৃঢ় অবস্থায়।’

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার বছরে ৯২ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে। আর হিন্দুস্তানের সঙ্গে অসম চুক্তি করে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে আপনারা হুমকি মুখে ফেলবেন না। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন সৈনিক, একজন কর্মী থাকতেও আমরা কোনদিনও এটা গ্রহণ করব না।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে সরকার। আইনের শাসনের নামে বেআইনি শাসন করে আমাদের লক্ষ লক্ষ কর্মীকে জেলে রেখেছেন। মির্জা আলমগীর, মির্জা আব্বাসের মতো সততার পরিচয় দেওয়া নেতাদের বিচারপতিরে বাসভবনে ঢিল মারার কারণে জেল খাটতে হয়। এর চেয়ে লজ্জার কিছু হয় না।’

গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে ও কৃষক দলের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নাঈমের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপির শিশুবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আ ক ম মোজাম্মেল, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজ প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/অমিয়/