![কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের আহ্বান ইসলামী আন্দোলনের](uploads/2024/06/12/Islami-andolon-1718207060.jpg)
ট্যানারি মালিকদের সিন্ডিকেট ভেঙে কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।
তিনি বলেন, ‘কোরবানির পশুর চামড়ার বিক্রয়লব্ধ অর্থের মালিক এতিম-গরিব ও মিসকিনসহ সমাজের প্রান্তিক দরিদ্র জনগোষ্ঠী। প্রতি বছর চামড়ার দরপতনে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন দরিদ্র জনগোষ্ঠী। এতে বিঘ্নিত হয় দারিদ্র্য বিমোচন প্রক্রিয়া।’
বুধবার (১২ জুন) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, ‘দেশে সব পণ্যের দাম বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। কিন্তু কোরবানির পশুর চামড়ার দাম বাড়ছে না। একটি সিন্ডিকেটগোষ্ঠী চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করার চক্রান্তে মেতে উঠেছে। পাট শিল্প শেষ করা হয়েছে। এখন চামড়া শিল্পকেও ধ্বংসের সব আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘কওমী মাদরাসায় দেশের লাখ লাখ এতিম, গরিব ও অসহায় মানুষ বিনা বেতনে ও বিনা খরচে পড়ালেখা করে। কোরবানির পশুর চামড়া থেকে যার অধিকাংশ ব্যয়ভার নির্বাহ করা হয়। এজন্য কওমী মাদরাসাগুলো যেন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সেজন্য একটি সিন্ডিকেট চামড়ার দাম কমিয়ে গরিব ও বঞ্চিতদের হক নষ্ট করছে।’
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব আরও বলেন, ‘কোরবানির পশুর চামড়ার দর নিয়ে বিগত বছরগুলোর ন্যায় আড়তদার ও ট্যানারি মালিকদের সিন্ডিকেট এবং তাদের এজেন্ট মৌসুমী ব্যবসায়ীরা সক্রিয় হয়ে উঠছে। এক শ্রেণির ব্যবসায়ী চামড়ার দাম কমিয়ে গরিব ও এতিমদের হক নষ্ট করছে এবং দেশের চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে। আসলে কোরবানি মৌসুমে কাঁচা চামড়া সংগ্রহকারীদের দর-কষাকষি করার তেমন সুযোগ থাকে না। এই জিম্মি দশা থেকে কওমী মাদরাসা, এতিমখানা, লিল্লাহ বোর্ডিং ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানকে মুক্ত করতে সরকারকে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।’
শফিকুল ইসলাম/সালমান/