![বাজেটের এক তৃতীয়াংশ সুদ দিতেই চলে যাবে: ফয়জুল করীম](uploads/2024/06/13/foyzul-karim-1718278401.jpg)
বাজেটে রাজস্ব আয়ের প্রায় এক তৃতীয়াংশ ঋণের সুদ পরিশোধ করতেই চলে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই।
তিনি বলেন, ‘এবারের বাজেটের সবচেয়ে বড় ব্যয়ের খাত হচ্ছে ঋণের সুদ পরিশোধ। ঋণনির্ভর বাজেটের সর্বোচ্চ বরাদ্দ ঋণের সুদ প্রদানেই চলে যাবে। অর্থাৎ এ বছর আগের ১২ বিলিয়ন ডলারের আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধ করতে হবে, যা মোট রাজস্ব আয়ের প্রায় এক তৃতীয়াংশ।’
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ফয়জুল করিম বলেন, ‘দেশ আজ ভয়াবহ সংকটে নিপতিত। ঋণ করে ঋণ পরিশোধ করার পরিকল্পনাকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের বড় দুর্বলতা। ঋণ করে মেগা প্রকল্প চালু এবং দফায় দফায় তার খরচ বাড়িয়ে দেশকে ঋণগ্রস্ত করে ফেলেছে সরকার।’
তিনি বলেন, ‘দেশ যে একটা বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকটের মুখে, তা প্রস্তাবিত বাজেটে সরকার প্রথমবারের মতো স্বীকার করেছে। এ সংকট আসলে এ বছর বা এক দিনে তৈরি হয়নি, বহুদিন থেকেই এ সংকট তৈরি হচ্ছে। সেই সংকট অস্বীকার করে যেভাবে অর্থনীতি চালানো হয়েছে, তার পরিণামে সংকট আরও গভীর হয়েছে।’
ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমীর বলেন, ‘অর্থনৈতিক সংকোচনের কথা বলে ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ঋণপত্র খোলায় যত বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে, তাতে অর্থনীতির গতি কমবে। আর সরকার যে হারে ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ করার পরিকল্পনা করেছে, তাতে বেসরকারি খাত, বিশেষ করে ক্ষুদ্র-মাঝারি উদ্যোক্তারা ঋণ পাবে না। সরকার বিদেশ থেকে ঋণ করে যেভাবে রিজার্ভ সংকট কাটানোর চেষ্টা করছে, তা নতুন ঋণের ফাঁদে ফেলে দেশকে আরও গভীর সংকটের দিকে নিয়ে যাবে।’
মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, ‘১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার বিধান রাখার কারণে দুর্নীতিবাজরা আরও উৎসাহিত হবে। এই শর্ত না থাকা প্রমাণ করে সরকার অবৈধ অর্থ উপার্জনকে উৎসাহিত করছে এবং তাদের বিশেষ সুযোগ দিচ্ছে। এভাবে দেশ আরও দুর্নীতিগ্রস্ত দেশে পরিণত হবে। যা জাতি হিসেবে আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, মুফতী মোস্তফা কামাল।
শফিকুল ইসলাম/অমিয়/