![বাজেটে কৃষক, শ্রমিক ও প্রবাসীদের জন্য কিছু নেই : নজরুল ইসলাম খান](uploads/2024/06/13/Nazrul_Islam_Khan-1718288780.jpg)
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষক, শ্রমিক এবং প্রবাসীদের জন্য কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি তিনটি ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। কৃষি, পোশাক এবং প্রবাসী আয়। তারাই অর্থনীতির প্রধান উৎস। কিন্তু এই বাজেটে কৃষক, শ্রমিক এবং প্রবাসীদের জন্য কিছু নেই।’ ‘আমি এবং ডামি’র সংসদ সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কল্যাণের বাজেট কখনোই করবে না বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ‘নৈতিকতাহীন অর্থনীতির সালতামামি’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘স্বাস্থ্য, শিল্প, খাদ্য সব ক্ষেত্রে বৈষম্য বাড়ছে। ধনীরা আরও ধনী হচ্ছে। একটি রিপোর্টে দেখা গেছে, বাংলাদেশে অতি ধনীর পরিমাণ চীনের চেয়ে বেশি। এই সরকার কৃষক, শ্রমিক, উৎপাদক, ভোক্তা কারও না। সংখ্যাগরিষ্ঠকে এই সরকার সন্তুষ্ট করার কোনো প্রয়োজন মনে করে না। কারণ তাদের ভোটের কোনো দরকার নেই।’
সভাপতির বক্তব্যে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী বলেছেন ছয় মাসের মধ্যে জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে আনবেন। কিন্তু এই বাজেটের মধ্য দিয়ে জিনিসপত্রের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। রিজার্ভ এখন ১২ বিলিয়নের নিচে। এর মধ্যে সরকার আমদানির ওপর নানা নিষেধ জারি করেছে। করলেই বা কি? কয়েক দিন পর আর আমদানির অবস্থাই থাকবে না। এর মধ্যে ব্যাংকগুলো ধ্বংসপ্রাপ্ত, সরকারের অলিগার্করা লুটপাটে ব্যস্ত।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘পুরো অর্থনীতি একটা দুর্বৃত্ত, লুটেরা, মাফিয়া নির্ভর। এই বাজেট দেশকে আরও গভীর বিপদের দিকে নিয়ে যাবে। এতে মানুষের উদ্বেগ কমানোর কোনো উদ্যোগ নেই। এই সরকার যতদিন থাকবে ততদিন এই লুটেরাদের পক্ষেই বাজেট প্রণয়ন করবে।’
আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান বলেন, এত ব্যাপকভাবে দুর্নীতি, লুটপাট ও সেই অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে যে রাষ্ট্র দেউলিয়ায় পরিণত হতে চলেছে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি বলেন, ‘সরকার এই বাজেটে গত ১৬ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো স্বীকার করেছে দেশে একটা অর্থনৈতিকসংকট তৈরি হয়েছে। বাজেটে অর্থাভাবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ন্যূনতম ভিত্তির ওপর দাঁড়াচ্ছে না। অন্যদিকে মেগা প্রজেক্ট করতে পুরো জাতিকে ঋণের জালে আটকে ফেলা হয়েছে।’
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, আমার বাংলাদেশ পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক হারুন চৌধুরী প্রমুখ।