ঢাকা ১২ আষাঢ় ১৪৩১, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪

বিএনপিতে ঝড়: কমিটি হঠাৎ বিলুপ্তির কী কারণ?

প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৪, ০৯:৪১ এএম
আপডেট: ১৫ জুন ২০২৪, ০৯:৪৮ এএম
বিএনপিতে ঝড়: কমিটি হঠাৎ বিলুপ্তির কী কারণ?

হঠাৎ বড় সিদ্ধান্ত নিল বিএনপি। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতেই বিলুপ্ত করা হলো দলের ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল মহানগর কমিটি। ভেঙে দেওয়া হয়েছে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটি। একই সঙ্গে ছাত্রদলের ঢাকা মহানগরের চারটি শাখার কমিটিও বিলুপ্ত করা হয়েছে। আর তাতে যেন ঝড় বইছে দলটিতে। 

গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাতে দলের এমন সিদ্ধান্ত প্রচার হওয়ার পর নানা আলোচনা হচ্ছে দলের বিভিন্ন পর্যায়ে। কেউ কেউ বলছেন, ঈদের আগে দল এত বড় সিদ্ধান্ত নেবে এটা তাদের ধারণার বাইরে। আবার অন্যরা বলছেন, এটা অনেকটা অনুমিত ছিল। কারণ সর্বশেষ আন্দোলনে ব্যর্থতার কারণে এসব কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত অনেকের ওপরই নাখোশ ছিলেন নীতিনির্ধারকরা। দল এখন উপযুক্ত সময় মনে করেই যথাযথ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস খবরের কাগজকে বলেন, দল পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে এসব ইউনিটের কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এর আগেও অনেক কমিটি হয়েছে। নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে তা আবার ভেঙে দেওয়াও হয়েছে। সিস্টেমের মধ্য থেকেই সংগঠনে আবারও নতুন নেতৃত্ব আসবে। শিগগিরই এসব ইউনিটে নতুন কমিটি দেওয়া হবে। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় খবরের কাগজকে বলেন, ‘দল ভালো মনে করেছে বলেই তিন মহানগর ও যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। এটা একটা সাংগঠনিক প্রক্রিয়া। আমাদের আগেই সিদ্ধান্ত ছিল, দল পুনর্গঠন করতে হবে। সবার সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনাও হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে এসব কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সহসাই নতুন কমিটি আসবে। তবে কমিটি ভেঙে দেওয়ায় নেতা-কর্মীরা মনঃক্ষুণ্ন হয়েছে বলে আমার জানা নেই।’ 

একই সঙ্গে এত কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার পরই এর পেছনের কারণ খুঁজছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। অনেকেই বলছেন, দল পুনর্গঠন করার অংশ হিসেবে এসব কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তিন মহানগরের আহ্বায়ক কমিটিই ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ। নতুন কমিটি গঠনের মাধ্যমে দলকে চাঙা করারও পরিকল্পনা করছে হাইকমান্ড। তবে আরও কয়েকটি কারণ দেখছেন অনেকে। এর মাধ্যমে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলে নিজের একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চান। অঙ্গসংগঠনে নতুন নেতৃত্ব মানেই তারেক রহমানের পছন্দের নেতারা জায়গা পাবেন। 

নতুন সরকারের এখন হানিমুন পিরিয়ড চলছে। এই সময়ে বিরোধী দলগুলো এক ধরনের রাজনৈতিক স্পেস পায় এবং দল ঢেলে সাজানোর সুযোগ পায়। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর সরকার এখন অর্থনীতিসহ একাধিক ইস্যুতে বিপাকে আছে। এই সুযোগে দল পুনর্গঠন করে নতুন শক্তি নিয়ে রাজপথে আগামীর আন্দোলন-সংগ্রামে নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত করা হবে। এ ছাড়া কমিটি ভাঙার পেছনে সর্বশেষ এক দফার আন্দোলনের সময় কিছু নেতা বড় পদে থেকেও রাজপথে না থাকায় তাদের ওপর ক্ষুব্ধ ছিল বিএনপির হাইকমান্ড।

তা ছাড়া সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ ও সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ- এই দুই আলোচিত ইস্যু, বিরোধী দলগুলোকে মাঠে সোচ্চার হওয়ার জন্য একটা বড় সুযোগ এনে দিয়েছে। তাই দ্রুত নতুন উদ্যমে রাজপথে ফেরার পরিকল্পনা আছে দলটির। 

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তিন মহানগর ও যুবদলের কমিটি ভাঙার সিগন্যাল সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতাদের আগেই জানানো হয়েছিল। প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলে এসব কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বিলুপ্ত কমিটির কোন কোন শীর্ষ নেতাকে আগামীতে আরও কোনো বড় দায়িত্বে দেখা যাবে- এটা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিশ্চিত করেছেন। তবে আরেকটি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতেই যে তিন মহানগর ও যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত করা হবে, সে বিষয়ে স্থায়ী কমিটিতে আলোচনা হয়নি। স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য জানান, পরদিন সকালে গণমাধ্যমে তারা এ বিষয়ে জানতে পেরেছেন। 

এদিকে ঈদের আগমুহূর্তে এবং রাতে কমিটি বিলুপ্ত করায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন কয়েক নেতা ও তাদের অনুসারীরা। বিশেষ করে ঈদের ঠিক আগে বিলুপ্তির ঘোষণা আসায় তাদের কাছে এবারের ঈদ বেদনায় পরিণত হয়েছে। নেতা-কর্মীরা বলছেন, ঈদের আগমূহূর্তে কমিটিগুলো ভেঙে দেওয়ায় কার্যত দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ও তাদের কর্মীদের ঈদ নিরানন্দে পরিণত হয়েছে। এ ছাড়া এত বড় দলের কমিটি কেন রাতের অন্ধকারে ভেঙে দেওয়া হবে? বিলুপ্ত কমিটির কারও কারও যুক্তি, আন্দোলনে ব্যর্থতার কথা বলা হলেও গত ১৫ বছরে কোনো মহানগর কমিটি কি সরকারের পতন ঘটাতে পেরেছে? বর্তমান কমিটির কমবেশি সবাই জেল-জুলুম ও হামলা-মামলার শিকারও হয়েছেন। 

২০২১ সালের ২ আগস্ট আমানউল্লাহ আমানকে আহ্বায়ক এবং আমিনুল হককে সদস্যসচিব করে ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটি ঘোষণা করা হয়। যদিও এখন ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার। অন্যদিকে একই দিন আবদুস সালামকে আহ্বায়ক ও রফিকুল আলম মজনুকে সদস্যসচিব করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। সারা বছর সফল কর্মসূচি পালন করলেও শেষ পর্যন্ত আন্দোলনে বিজয়ী হতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেননি ঢাকার নেতারা। কেউ কেউ ছিলেন পুরোপুরি আত্মগোপনে। আমিনুল হকসহ কয়েকজন ছিলেন কারাগারে।

দক্ষিণের সাবেক সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম মজনু খবরের কাগজকে বলেন, কমিটি ভাঙা বা নতুন কমিটি গঠন- এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আগামী দিনে দলের প্রয়োজনে যে সিদ্ধান্ত নেবেন, তার সঙ্গে আমরা একমত। 

মহানগর উত্তরের আমিনুল হক খবরের কাগজকে বলেন, ‘কমিটি পুনর্গঠন একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমাদের আহ্বায়ক কমিটির বয়সও প্রায় তিন বছর। দীর্ঘ এই সময়ে ভালোমন্দ ও ভুলত্রুটি সবই ছিল। সবকিছুর দায়ভার আমাদের। তারপরও জেল-জুলুম এবং হামলা-মামলা মোকাবিলা করেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’ 

২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর ডা. শাহাদাত হোসেনকে আহ্বায়ক ও আবুল হাশেম বক্করকে সদস্যসচিব করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির ৩৯ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘কমিটির মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। তাই মহানগরে নতুন নেতৃত্ব আনতে চাইছে হাইকমান্ড। এ ব্যাপারে আমাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।’ 

২০২২ সালের জানুয়ারিতে মনিরুজ্জামান খান ফারুককে আহ্বায়ক ও জাহিদুল কবির জাহিদকে সদস্যসচিব করে বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। সদ্য বিলুপ্ত বরিশাল মহানগর কমিটির সদস্যসচিব জাহিদুল কবির জাহিদ বলেন, ‘দলের জন্য ছিলাম, আছি, থাকব। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তিন মাসের কমিটি হলেও আমরা ৩৩ মাস দায়িত্ব পালন করেছি। আর নেতৃত্ব নির্বাচন বেসিক্যালি চলমান প্রক্রিয়া।’ 

সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও মোনায়েম মুন্নার নেতৃত্বাধীন যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটিও বিলুপ্ত করা হয়। দলীয় সূত্রমতে, মেয়াদ থাকা অবস্থায়ই ভেঙে দেওয়া হয়েছে কমিটি। মূলত, নির্বাচনের পর দলকে নতুনভাবে চাঙা করা এবং পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে এই সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। এ বিষয়ে যুবদলের সদ্য সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি মামুন হাসান খবরের কাগজকে বলেন, ‘হঠাৎ নয়, দল পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সবাইকে একত্রিত করেই দল পরিচালনা করতে চান। সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আমাদের আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।’ 

এদিকে গত বৃহস্পতিবার রাতে ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক (সহসভাপতির পদমর্যাদা) জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিম শাখা ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছিরউদ্দীন নাছির এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন। 

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছিরউদ্দীন নাছির বলেন, ‘কমিটি যেগুলো বিলুপ্ত করা হয়েছে, সব কটিই মেয়াদোত্তীর্ণ। এটা সাংগঠনিক সিদ্ধান্তের বিষয়। টানা আন্দোলন আর সার্বিক পরিস্থিতির কারণে তখন দল সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। এখন উপযুক্ত সময় বিবেচনা করে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সর্বশেষ ও অতীত আন্দোলনে যারা রাজপথে ছিলেন, তাদের নিয়েই কমিটি গঠন করা হবে। আশা করছি, ঈদুল আজহার পরপরই নগর কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে।’

ঢাকা মহানগর ও যুবদলে আলোচনায় যারা 
দু-এক দিনের মধ্যে বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং জাতীয়তাবাদী যুবদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা হতে পারে। দলীয় সূত্রে এমন আভাস পাওয়া গেছে। 

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় রয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব, দক্ষিণের সদ্য সাবেক সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম মজনু এবং ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ রবিন। 

অন্যদিকে ঢাকা মহানগর উত্তরের শীর্ষ দুই পদে নাম শোনা যাচ্ছে বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী, সাবেক সদস্যসচিব আমিনুল হক, তাবিথ আউয়াল ও এস এম জাহাঙ্গীরের।

যুবদলের নতুন কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি মামুন হাসান, সহসভাপতি নূরুল ইসলাম নয়ন, যুগ্ম সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহিন। তবে মুন্না ও নয়নকে দিয়ে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। 

পরিচ্ছন্ন রাজনীতির পথ পাড়ি দেওয়া আলোকিত মানুষ মাইনুল হোসেন খান নিখিল

প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৪, ০১:০৩ এএম
আপডেট: ২৬ জুন ২০২৪, ০১:০৩ এএম
পরিচ্ছন্ন রাজনীতির পথ পাড়ি দেওয়া আলোকিত মানুষ মাইনুল হোসেন খান নিখিল
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ আওয়ামী-যুবলীগের পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতা আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল। প্রায় ৪০ বছরেরও অধিক সময় ধরে সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত একজন বিশ্বস্ত-আস্থাভাজন এবং কর্মীবান্ধব জনপ্রিয় নেতা। 

স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলন, বিএনপি-জামায়াত সরকারের জ্বালাও পোড়াও আন্দোলনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের কাণ্ডারি, এক-এগারোসহ দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সংগ্রামী অকুতোভয় বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে দৃঢ়তার সঙ্গে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্ছার হয়ে মাঠ ময়দান কাঁপিয়েছিলেন। নেতা-কর্মীদের আপন করে নিতেন খুব সহজে, তাদের বিপদ আপদে সবসময় পাশে থাকেন তিনি।

নিখিল বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে আছেন। যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই যুবলীগকে আপন মহিমায় ফিরিয়ে আনতে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। 

তিনি বিএনপি জামাত জোট সরকারের আমলে বহুবার কারা নির্যাতনের শিকার হন। ২০০৪ সালে তৎকালীন ঢাকা জোনের ডিসি পুলিশ পল্লবী থেকে তাকে আটক করে কারাগারে পাঠান। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দেখানো পথ অনুসরণ করে দেশের কল্যাণে কাজ করার লক্ষ্যে ছুটে চলছেন প্রতিনিয়ত।

আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিলের জন্ম চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার নিশ্চিন্তপুরের ঐতিহ্যবাহী খান পরিবারে। শৈশবে দুরন্ত দুর্বার চৌকস ডানপিঠে মেধাবী ছেলেটি হাঁটি হাঁটি পা পা করে আজ একজন জাতীয় নেতা। সততা দক্ষতা সেবা ন্যায়পরায়ণতা নিষ্ঠায় সর্বদা একজন নিবেদিতপ্রাণ।

পরিবারের সাত বোন,পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে তিনি সেজো। পিতা মরহুম মোফাজ্জল হোসেন খান ছিলেন বঙ্গবন্ধু আদর্শের একজন নিবেদিত কর্মী। বৃহত্তর মতলবে আওয়ামী লীগের রাজনীতি শক্তিশালী করতে কাজ করেছেন। বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত হন মাইনুল হোসেন খান নিখিল। 

তিনি ১৯৭৯ সালে নিশ্চিন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস এস সি পাশ করেন। পরবর্তিতে তিনি বগুড়ার শাহ সুলতান ডিগ্রি কলেজ থেকে বি এস এস ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯৭ সালে ঢাকার নবাবগঞ্জের সম্রান্ত মুসলিম পরিবারের কন্যা মমতাজ বেগমের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ব্যাক্তিগত জীবনে তিনি দুই সন্তানের জনক।

মাইনুল হোসেন খান নিখিল ৯০ দশকে লালবাগ থানা ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য ছিলেন, পরবর্তী ১৯৯১ সালে ঢাকা মহানগর অবিভক্ত যুবলীগের সাবেক (৯ নং ওয়ার্ড) বর্তমান ১৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক নির্বাচিত হন, ১৯৯৩ সালে সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তর এর সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৩ সালে সাধারন সম্পাদক ,২০১২ সালে সভাপতি নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৭ম কংগ্রেসের মধ্য দিয়ে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালে ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ১৮৭ ঢাকা ১৪ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ।

২৭ জুন মানবিক যুবলীগের স্বপ্নদ্রষ্টা, ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক জননেতা আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল ভাইয়ের জন্মদিনে লাল গোলাপ শুভেচ্ছা ও হৃদয়ের অন্তঃস্হল থেকে গভীর ভালোবাসা।

লেখক-মো. মুক্তার হোসেন চৌধুরী কামাল।

নিবিড় পর্যবেক্ষণে খালেদা জিয়া

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ১০:২৩ পিএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ১০:২৩ পিএম
নিবিড় পর্যবেক্ষণে খালেদা জিয়া
ফাইল ছবি

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। তিনি সিসিইউর সুযোগ-সুবিধাসংবলিত কেবিনে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন বলে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন। 

তিনি বলেন, ‘এই পেসমেকার তো শরীরের সঙ্গে অ্যাডজাস্ট হতে হবে। এটা গত রবিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় লাগানো হয়েছে। পেসমেকার প্রথম ৭২ ঘণ্টার অবজারভেশন করতে হয়। তারপর ৪২-৪৫ দিন অবজারভেশনে রাখতে হয়। এ পেসমেকার বসিয়ে সাময়িক একটা সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।’

এদিকে মঙ্গলবার (২৫ জুন) গুলশানে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, ২৪ ঘণ্টা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার পর সোমবার তাকে সিসিইউর সুযোগ-সুবিধাসংবলিত কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানোর পর তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। 

৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া হৃদযন্ত্রের জটিলতা ছাড়াও ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিস, ফুসফুস, লিভার, কিডনিসংক্রান্ত বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেয়ে ঢাকার গুলশানের বাসায় ছিলেন। সেখানে অসুস্থতা বাড়লে শুক্রবার রাতে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। গত রবিবার তার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে গঠিত এই মেডিকেল বোর্ডে রয়েছেন অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকী, অধ্যাপক শামসুল আরেফিন, অধ্যাপক এ কিউ এম মহসিন।

রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল করেছে শ্যামপুর-কদমতলী থানা বিএনপি। এ সময় রিজভী বলেন, ‘খালেদা জিয়া যে আজ গুরুতর অসুস্থ তার জন্য দায়ী বর্তমান সরকার। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা এমনকি জাতিসংঘ পর্যন্ত তার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও সরকার তাকে সাজা দিয়ে বন্দি করে রেখেছে। প্রতিহিংসার শিকার হয়ে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত খালেদা জিয়া।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদ, মহানগর বিএনপি নেতা তানভীর আহমেদ রবিন, জাসাসের সদস্যসচিব জাকির হোসেন রোকন প্রমুখ। 

এদিকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সদ্য বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আ ন ম সাইফুল ইসলামের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আরেকটি দোয়ার মাহফিল অয়োজন করে শ্যামপুর-কদমতলী থানা বিএনপি। 

 

 

বিনা ভোটে ক্ষমতায় থাকার মূল্য পরিশোধ করছেন প্রধানমন্ত্রী: জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ০৯:৩৩ পিএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ০৯:৩৩ পিএম
বিনা ভোটে ক্ষমতায় থাকার মূল্য পরিশোধ করছেন প্রধানমন্ত্রী: জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল
ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিনা ভোটে ক্ষমতায় থাকার মূল্য পরিশোধ করতে ভারতের হাতে একের পর এক দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রণ তুলে দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি বদরুদ্দীন উমর ও সম্পাদক ফয়জুল হাকিম।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) ভারত সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এক বিবৃতিতে দলটির নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।  

‘শেখ হাসিনা এই দেশকে বিক্রি করে না’ উদ্ধৃত করে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ২০১০ সালে নদী নিয়ে বাংলাদেশ-ভারত যে ফ্রেমওয়ার্ক করা হয়েছিল সেখানে তিস্তা-ব্রহ্মপুত্র-গঙ্গা অববাহিকা ভিত্তিক সমাধানের দিকে নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু গত ১৪ বছরে তার কিছুই হয়নি। ৫৪টি অভিন্ন নদীর উপর বাংলাদেশের ন্যায্য অধিকার ভারতকে ছেড়ে দিয়ে, তিস্তার পানি বন্টনের বিষয়টিকে এড়িয়ে যাওয়ার ব্যাখ্যা কি?

তারা বলেন, ভারত কর্তৃক বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সহায়তার অর্থ এই নয় যে বাংলাদেশকে ভারতের গোলাম হয়ে থাকতে হবে। বাংলাদেশের বিদেশ নীতি দিল্লিনির্ভর হবে। সরকারের জাতীয় স্বার্থ বিরোধী নীতি ও কাজের সমালোচনাকারীদের প্রধানমন্ত্রী ‘পাকিস্তানের দালাল’ বলে চিহ্নিত করার যে পরিচিত কৌশল নিয়েছেন। যা অতীতে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীও ষাটের দশকে করে থাকত। এইভাবে জনগণের দৃষ্টি ভিন্নদিকে চালিত করার সরকারি কৌশল কোনো কাজে আসবে না। 

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় আরও বলা হয়, ১৫ বছর ধরে কানেক্টিভিটির নামে হাসিনা সরকার ভারতের স্বার্থ দেখে এসেছে। এমনকি মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের চাইতে ভারতের ব্যবসায়ীদের স্বার্থ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এভাবে মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দরে ভারতের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা কি দেশ বিক্রির সঙ্গে তুলনীয় নয়? 

বিবৃতিতে বলা হয়, সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক গত ১৫ বছরে কয়েক শতাধিক বাংলাদেশি নাগরিক গুলি করে হত্যা করার মতো ঘটনা ইউরোপসহ পৃথিবীর কোন দেশের সীমান্তে ঘটে চলে কি? ভারতীয় কর্তৃপক্ষ সীমান্তে বিএসএফকে দায়মুক্তি দিয়ে চলেছে। এখন সেই ভারতের সঙ্গে সীমান্ত ব্যবস্থাপনার অর্থ কি? 

ট্রানজিট-এর নামে ভারতকে করিডোর প্রদানের কঠোর সমালোচনা করে  নেতারা বলেন, জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্নকারী যে-কোন চুক্তি সমঝোতা স্মারক বাংলাদেশের জনগণ মেনে নিবে না। শেখ হাসিনা বিনা ভোটে ক্ষমতায় থাকার মূল্য পরিশোধ করতে ভারতের হাতে একের পর এক দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রণ তুলে দিয়ে। সাম্রাজ্যবাদী ভারতের কাছে বাংলাদেশের জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিকিয়ে দিয়ে, দেশের জনগণের রাজনৈতিক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে একদলীয় ফ্যাসিবাদী শাসন অব্যাহত রাখার সকল চক্রান্ত মোকাবেলায় দেশের সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। বাংলাদেশের রাজনীতিতে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদসহ সাম্রাজ্যবাদী ভারতের হস্তক্ষেপের সকল চক্রান্তকে চূর্ণ করে দিতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

শফিক/এমএ/

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে ভারত সফরে বাংলাদেশের অর্জন স্পষ্ট নয়: বাম জোট

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ০৯:২৯ পিএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ০৯:২৯ পিএম
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে ভারত সফরে বাংলাদেশের অর্জন স্পষ্ট নয়: বাম জোট
ছবি : খবরের কাগজ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক চুক্তির বিষয়টি পূর্ণাঙ্গভাবে প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা। 

মঙ্গলবার (২৫ জুন) গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর নিয়ে যে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তাতে এসব চুক্তির বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য উপস্থাপিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন জোটের নেতারা। 

এদিন দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাসদ কার্যালয়ে আয়োজিত বাম জোটের সভা শেষে নেতারা এই মন্তব্য করেন।

সভার প্রস্তাবে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সময়ে ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক চুক্তির ব্যাপারে মোটা দাগে কিছু বিষয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হলেও বিশদভাবে পুরো চুক্তি কিংবা সমঝোতা স্মারক প্রকাশ করা হয়নি। জনগণ জানে না কী ধরনের বোঝাপড়া, সম্মতি ও চুক্তি শেখ হাসিনা নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে করেছেন। দেশের সংবিধান অনুসারে অন্য দেশের সঙ্গে এই ধরনের কোনো চুক্তি বা এমওইউ করতে হলে তা দেশবাসীর কাছে প্রকাশ করা জরুরি। কিন্তু আমরা দেখছি জনগণকে আড়ালে রেখেই এই ধরনের চুক্তিগুলো করা হয়।’

রেলওয়ে চুক্তি অনুসারে ভারত এখন বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ট্রেন পরিচালনা করতে পারবে। এই চুক্তির সমালোচনায় বাম জোট নেতারা বলেন, ‘ভারতকে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে রেল করিডর দেওয়ার চুক্তি হয়েছে। অথচ নেপালে যাওয়ার জন্য ভারতের ভেতর দিয়ে ১৮ কিলোমিটার করিডর ভারত আমাদের দেয়নি। ভারতকে একতরফাভাবে এত বড় করিডর দেওয়া হলে ভারতের এক অংশ থেকে অন্য অংশে যোগাযোগের ক্ষেত্রে পূর্বের রেল যাতায়াতের তুলনায় দূরত্ব অনেক কমবে। এতে করে রেল ব্যবস্থাপনা, মালামাল পরিবহনসহ বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে আমাদের দেশের ওপর ভারত তার প্রভাব আরও বাড়াবে। এমনকি অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে সামরিক সরঞ্জাম পরিবহন করল কি না, তা বাংলাদেশের জানার অধিকার থাকবে কি না, তাও নিশ্চিত নয়। ফলে তাদের পণ্যের এবং যাত্রীর নিরাপত্তার কথা বলে ভারত সামরিক বাহিনী নিয়োগ করলে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পড়বে।’

অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়, সীমান্ত হত্যা বন্ধ, অ্যান্টি ডাম্পিংয়ের নামে অশুল্ক বাধা দূর, বাণিজ্য ঘাটতি দূর নিয়ে কোনো আলোচনা এবারের চুক্তিতে আসেনি বলে মন্তব্য করেন বাম নেতারা। সভায় তারা বলেন, ‘বাংলাদেশ অংশে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের জন্য ভারত টেকনিক্যাল টিম তৈরি করে বাস্তবে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তিকে কৌশলে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। তা ছাড়া তিস্তা প্রকল্পের জন্য ভারতের টেকনিক্যাল টিম পাঠানো বাংলাদেশের জন্য অপমানজনক।’

ভারতের সঙ্গে দেশবিরোধী সব চুক্তি বাতিল করতে হবে: খেলাফত মজলিস

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ০৭:২৫ পিএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ০৭:২৫ পিএম
ভারতের সঙ্গে দেশবিরোধী সব চুক্তি বাতিল করতে হবে: খেলাফত মজলিস
খেলাফত মজলিস

বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ভারতের রেল চলাচলের সমঝোতা চুক্তিসহ দেশের স্বার্থ ও সার্বভৌমত্ববিরোধী সব চুক্তি বাতিলের দাবি জানিয়েছে খেলাফত মজলিস। 

মঙ্গলবার (২৬ জুন) এক যৌথ বিবৃতিতে দলটির আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের এ দাবি জানান।

নেতারা বলেন, ‘বাংলাদেশ তিস্তার পানি পায় না, চুক্তি অনুযায়ী গঙ্গার পানি পায় না, ভারতের অভ্যন্তরীণ সামান্য ২২ কিলোমিটার পথ দিয়ে নেপালের সঙ্গে সরাসরি বাণিজ্য করার সুযোগ পায় না, সীমান্তে বিএসএফের হত্যা থামছে না- এরপরও দেশের বুক চিরে ভারতের এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে রেল চলাচলের চুক্তি কোন স্বার্থে? দেশবিরোধী এ চুক্তি বাংলাদেশের জনগণ মানে না।’

তারা আরও বলেন, ‘দেশের স্বার্থকে বিসর্জন দিয়ে এই জনবিচ্ছিন্ন সরকার শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতের সঙ্গে নতুন রেল চুক্তি করেছে। অবিলম্বে ভারতের সঙ্গে রেল চুক্তিসহ বাংলাদেশের স্বার্থ ও সার্বভৌমত্ববিরোধী সব চুক্তি বাতিল করতে হবে।’

শফিকুল ইসলাম/সালমান/