![ভাঙা আঙুল নিয়ে খেলেছেন ইমরান তাহির](uploads/2024/02/14/1707889025.Imran-Tahir..jpg)
কাগজে কলমে ইমরান তাহিরের বয়সটা ৪৪। বয়স যে কোনো বাঁধা নয় সেটাই বারবার প্রমাণ করছেন তিনি। এবার এই বয়সেই ভাঙা আঙুল নিয়েই ৫ উইকেট শিকার করে জিতলেন ম্যাচসেরার পুরস্কারও।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম বরাবরই ব্যাটারদের জন্য তীর্থস্থান। এমন মাঠেও কিনা নিজের স্পিন ভেল্কি দেখিয়ে আদায় করলেন ফাইফার। তাও আবার ভাঙা আঙুল নিয়ে।
দারুণ এই পারফরম্যান্সের পর জানালেন, ক্রিকেটের প্রতি নিজের নিবেদনের কথাও। জানিয়েছেন, আরও অনেকটা দিন ক্রিকেট খেলার ইচ্ছার কথাটাও।
সংবাদ সম্মেলনে এই প্রোটিয়া স্পিনার বলেন, ‘বয়স কোন বাধা নয়। এটা বলতে চাইনি কিন্তু দেখুন আজকেও আমি ভাঙা আঙুল নিয়ে খেলেছি। এটা প্রমাণ করে যে এই খেলাটির প্রতি আমি কতটা সমীহ রাখি। কারণ আমি ২০-২২ বছরে এই সুযোগগুলো পাইনি। সুযোগটা পেয়েছি ৩২ বছর বয়সে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে। এজন্য দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলাটা আমার স্বপ্ন। যা দেরিতে পূর্ণ হয়েছে, এখন এই স্বপ্ন থেকে আমি জেগে উঠতে চাই না।'
এই বয়সে এসেও তাহির চেষ্টা চালিয়ে যান নিজের সামর্থ্যের সর্বোচ্চটা উজাড় করে দিতে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সাথে না থাকলেও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে যেখানে ডাক পান সেখানেই ঢেলে দিতে চান নিজের সর্বোচ্চটা, ‘এখন যতগুলো সুযোগ আমি পাই তা কোনোরকম খেলে কাটাতে চাই না। আমি প্রতিটা সুযোগে চেষ্টার চেয়েও বেশি করতে কিছু করতে চাই। বয়স ৪৫, ৪৭ যাই হোক না কেন যতদিন আমি দলকে কিছু দিয়ে যেতে পারব, ক্রিকেট উপভোগ করতে পারব ততদিন খেলে যাব। হতে পারে সেটা ৫০ বছর বয়সে খেলে বিশ্বরেকর্ড গড়ার মতো কীর্তি এবং হতে পারে তখনও আমি রংপুরের হয়ে খেলতে পারি (হাসি)।'
ইমরান তাহিরের ২৬ রানে ৫ উইকেট শিকারের দিনে সাকিব আল হাসানও করেন ৩১ বলে ৬৯ এবং বল হাতে নেন ২ উইকেট। কিন্তু, ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন প্রোতিয়া স্পিনারই।