ঢাকা ১১ আষাঢ় ১৪৩১, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪

নেপালও পারল না, যেন বাংলাদেশের ম্যাচের পুনরাবৃত্তি

প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৪, ১০:১৩ এএম
আপডেট: ১৫ জুন ২০২৪, ১০:১৩ এএম
নেপালও পারল না, যেন বাংলাদেশের ম্যাচের পুনরাবৃত্তি
ছবি : সংগৃহীত

মাঠে খেলছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নেপাল। আর বাইরে থেকে টেনশন বাড়াচ্ছে বাংলাদেশের। এর কারণ নেপালের জয়ের সম্ভাবনা। দক্ষিণ আফ্রিকার ৭ উইকেটে করা ১১৫ রান তাড়া করতে নেমে শেষ পযন্ত তারা টনাটান উত্তেজনার জন্ম দিয়ে হেরেছে ১ রানে। 

এই একই ভেন্যুতে সোমবার বাংলাদেশ খেলবে নেপালের বিপক্ষে। নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘ডি’ গ্রুপ থেকে সুপার  এইটে যাওয়ার পথে বাংলাদেশ নিজেদের বেশ এগিয়ে রেখেছে। শেষ নেপাল হওয়াতে সেখানে অনেকটা নির্ভার কাজ করছে। কিন্তু নেপাল জিতে গেলে ‘ডি’ গ্রুপের সমীকরণই বদলে যেতে। তখন বাংলাদেশ-নেপাল দুই দলেরই সুপার এইটে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হতো। ৩ ম্যাচে বাংলাদেশ ৪ ও নেপাল ৩ পয়েন্ট নিয়ে খেলতে নামত। ২ পয়েন্ট নিয়ে থাকা নেদারল্যান্ডস বাদ পড়ে যেতো। শেষ ম্যাচে তারা শ্রীলঙ্কাকে হারালেও ৪ পয়েন্ট নিয়ে সুপার এইটে যেতে পারত না। কারণ বাংলাদেশ জিতলে ৬ আর নেপাল জিতলে ৫ পয়েন্ট হতো। তখন বাংলাদেশ-নেপালের ম্যাচটি পরিণত হতো গ্রুপের অলিখিত সেমি ফাইনাল। ম্যাচে নতুন করে প্রাণ তৈরি হতো। কিন্তু শেষ পযন্ত তা আর হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে নেপাল নতুন করে রূপকথা লিখতে পারেনি।  নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশ মাঠে নামবে আগের সমীকরণেই। হারাতে হবে নেপালকে। আর হারাতে না পারলেও শ্রীলঙ্কা-নেদারল্যান্ডসের ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। নেদারল্যোন্ডস হেরে গেলে বাংলাদেশ চলে যাবে সুপার এইটে। আর নেদারল্যান্ডস জিতলে দুই দলের পয়েন্ট হবে সমান। তখন নেট রান রেট সামনে চলে আসবে!

নেপাল হয়তো হেরে গিয়ে বাংলাদেশকে এক হিসেবে  টেনশনমুক্ত রেখেছে। কিন্তু যে ম্যাচ তারা হেরেছে, সেটি ছিল অবিশ্বস্য। বাংলাদেশের চেয়েও  এগিয়ে ছিল তারা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১১৩ রান  তাড়া করতে নেমে এক পযায়ে বাংলাদেশের  জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৬ উইকেটে ১৮ বলে ২০ রান।  

উইকেটে দুই সেট ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ ৩৭ ও তাওহীদ হৃদয় ১৬ রানে অপরাজিত। সেখান থেকে বাংলাদেশ আর ২০ রান করতে পারেনি। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১১ রানের। ৫ রান সংগ্রহ করে হেরেছিল ৪ রানে। নেপালের শেষ ৩ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৮ রানের। হাতে ছিল ৬ উইকেট। তাদের এই অবস্থানে নিয়ে গিয়েছিলেন মূলত ওপেনার আসিফ শেখ ও  অনিল শাহ তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৫০ রান যোগ করে। এই জুটি যখন ভাঙ্গে, তখন তাদের প্রয়োজন ছিল ৩৮ বলে ৩১ রানের। সেখান থেকে শেষ ৩ ওভারের সমীকরণ দাঁড়িয়েছিল ৬ উইকেট হাতে নিয়ে ১৮ বলে ১৮ রানের। 

বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৭ নম্বার ওভারে  রাবাদা হৃদয়কে আউট করে ২ রান দিয়ে সমীকরণ দাঁড় করিয়েছিলেন ৫ উইকেটে ১২ বলে ১৮ রানের। নেপালর  বিপক্ষে ১৭ নম্বার করেন তাবরাইজ সামসি। তিনি ২ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন। যেখানে ছিল সেট ব্যাটার ওপেনার আসিফ শেখও ( ৪২)। শেষ  ২ ওভারে তাদের প্রয়োজন পড়ে ৫ উইকেটে ১৬ রানের।  বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৯ নম্বার ওভার বার্তম্যান করে রান দিয়েছিলেন ৭। নেপালের বিপক্ষে এই ওভার করেন নরকিয়া। প্রথম ৪ বলে কোনো রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়ে তিনি ম্যাচকে নেপালের জন্য কঠিন করে তুলেন। কিন্তু পঞ্চম বলে সম্পাল খান ছক্কা মারলে ম্যাচের পাল্লা আবার নেপালের  দিকে হেলে পড়ে। শেষ বলে ২ রান নিয়ে সমীকরণ অনেকটা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখে নেপাল। শেষ ওভারে  তাদের প্রয়োজন পড়ে ৮ রানের। হাতে উইকেট ৪টি। বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ ওভার করেছিলেন কেশব মহারাজ। চরম উত্তেজনার জন্ম দিয়ে কেশব মহারাজ ৫ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে জিততে দেননি ম্যাচ। নেপালের বিপক্ষে শেষ ওভার করেন বাতম্যান। প্রথম দুই বলে তিনি কোনো রান না দিয়ে নেপালের জন্য ম্যাচটি কঠিন করেন তুলেন। কিন্তু তৃতীয় বলে  গুলশান বাউন্ডারি মেরে ম্যাচকে আবার  নিজেদের দিকে নিয়ে আসেন।  ৩ বরে প্রয়োজন পড়ে ৪ রানের। পরের  বলে ২ রান নিলে সমীকরণ দাঁড়ায় ২ বলে ২ রান। পঞ্চম বলে কোন রান না আসাতে শেষ বলে প্রয়োজন পড়ে ২ রানের।  ১ রান হলে  টাই। খেলা গড়াবে সুপার ওভারে। কিন্তু শেষ বলেও  গুলশান কোনো রান নিতে না পারলেও স্টেডিয়ামে উপস্থিত হাজার হাজার নেপালি দর্শক স্তব্ধ হয়ে পড়েন। যেমনটি স্তব্ধ হয়ে পড়েছিলেন নিউইয়র্ক  স্টেডিয়ামে হাজার হাজার বাঙ্গালি দর্শক। 

এই ম্যাচ নেপাল জিততে পারলে ‘ডি’ গ্রুপে সুপার নাটকীয়তা তৈরি হওয়ার  পাশাপাশি কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে নেপালের প্রথম জয় পাওয়াও হতো।  কিন্তু প্রোটিয়াদের অবিশ্বাস্য লড়াই তা আর হতে দেয়নি।

বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিফাইনালে আফগানিস্তান

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ১১:১০ এএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ১১:১০ এএম
বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিফাইনালে আফগানিস্তান
ছবি- সংগ্রহীত

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে পা রাখতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প ছিল না বাংলাদেশের সামনে। তবে জয়ের পাশাপাশি ছিল সমীকরণের হিসাব-নিকাশ। সে লক্ষ্যে শুরু থেকে দারুণ বোলিং করে বাংলাদেশ। আফগানদের ইনিংস থামে ১১৫ রানে। সেমিফাইনাল খেলতে বাংলাদেশকে এই লক্ষ্য তাড়া করতে হতো ১২.১ ওভারের মধ্যে। তবে নির্ধারিত ওভারের মধ্যে সেই লক্ষ্য তাড়া করতে না পারায় সুপার এইট থেকে নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের বিদায়। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটাও নিজেদের করে নিতে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্তর দল। আফগানদের কাছে ম্যাচ হারে ৮ রানের ব্যবধানে। বাংলাদেশকে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে টপকে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠল আফগানরা।

আফগানদের ছুড়ে দেওয়া ১১৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে স্কোরবোর্ডে ২৩ রান যোগ করতে তিন উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের পাশাপাশি প্যাভিলিয়নে ফেরেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান। টুর্নামেন্টজুড়ে টপ অর্ডারের এই ব্যর্থতা সুপার এইটের শেষ ম্যাচে এসেও কাটেনি। এমন ব্যর্থতার মাঝে খানিকটা আশার আলো হয়ে ছিলেন ওপেনার লিটন দাস। পুরো ম্যাচে একপ্রান্ত সামলে রাখেন এই ডানহাতি ব্যাটার। তিনি অপরাজিত ছিলেন ৪৯ বলে ৫৪ রান করে।

২৩ রানে তিন উইকেট হারানো বাংলাদেশকে চতুর্থ উইকেটে পথ দেখানোর চেষ্টা করেন লিটন ও সৌম্য সরকার। দুজন মিলে চতুর্থ উইকেটে যোগ করেন ২২ বলে ২৫ রান। ইনিংসের ৭ম ওভারের তৃতীয় বলে দ্রুতগতির ফ্লাইটেড ডেলিভারি উইকেটে আঘাত করলে আউট হন সৌম্য। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে তার ব্যাটে আসে ১০ বলে ১০ রান।

সৌম্যর বিদায়ের পর তাওহিদ হৃদয় উইকেটে আভাস দেন ঝড় তোলার। তবে ভাগ্য তার পক্ষে ছিল না। ৮ম ওভারের তৃতীয় বলে জীবন পেলেও বড় করতে পারেননি ইনিংস। রশিদ খানের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে তার ব্যাটে আসে ৯ বলে ১৪ রান। পরে অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৯ বলে ৬ ও রিশাদ হোসেন আউট হন গোল্ডেন ডাকের শিকার হয়ে। দুজনই ছিলেন রশিদ খানের শিকার। নিজের কোটার পুরোটা বোলিং করে ২৩ রান খরচায় ৪ গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটারকে প্যাভিলিয়নে ফেরান এই লেগি।

আফগানদের হয়ে নাভিন উল হক ২৬ রানে নেন ৪ উইকেট। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন ফজল হক ফারুকি ও গুলবাদিন নাঈব।

এর আগে সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নোস ভ্যাল স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশি বোলারদের নিখুঁত লাইন ও লেন্থের বোলিংয়ে শুরু থেকেই রান   করতে ভুগতে হচ্ছিল আফগান ব্যাটারদের। বিশেষত বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহীম জাদরান এদিনও ৫৯ রানের জুটি গড়লেও এই রাত করতে তারা খেলেছে ৬৪ বল। ইব্রাহীম লেগস্পিনার রিশাদ হোসেনের বলে ২৯ বলে মাত্র ১৮ রান করে তানজিম হাসান সাকিবকে ক্যাচ দেন তিনি।

অন্য ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজও আউট হন রিশাদের বলে। দলের তৃতীয় উইকেট হিসেবে তিনি আউট হলেও করেন স্বভাব বিরুদ্ধ ব্যাটিংয়ে ৫৫ বলে ৪৩ রান। একই ওভারেই গুলবেদীন নাইবকে ফেরান এই বোলার। তিনি করেন ৪ রান। মাঝখানে মোস্তাফিজের বলে ১২ বলে ১০ রান করে আজমতউল্লাহ ওমরজাই। 

ব্যর্থ হয়েছেন অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবীও। তাসকিনের আহমেদের বলে ১ রান করে আউট হন তিনি। তার বিদায়ে ১৭.৪ বলে ৯৩ রানে ৫ উইকেটে হারায় আফগানিস্তান। মাঠে নেমে দ্বিতীয় বলেই তাসকিনকে ছয় হাঁকান আফগানদের অধিনায়ক রশিদ খান। কিন্তু পরের ওভারে মোস্তাদিজ দেন মাত্র ১ রান।

শেষ ওভার করতে আসা তানজিমকে দুই ছয় হাঁকিয়ে ১০ বলে ১৯ রান করে দলের বোর্ডে ৫ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান যোগ করে মাঠ ছাড়েন। ততক্ষণে মাঠে বৃষ্টি শুরু হলে আম্পায়ারও মাঠকর্মীদের মাঠ ঢেকে দেওয়ার জন্য ডাক দেন।

লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন ৩টি, তাসকিন ও মোস্তাফিজ নেন ১টি করে উইকেট।

পয়েন্ট হারিয়ে শুরু ব্রাজিলের কোপা মিশন

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ১০:২৪ এএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ১০:২৯ এএম
পয়েন্ট হারিয়ে শুরু ব্রাজিলের কোপা মিশন
ছবি- সংগ্রহীত

কোপা আমেরিকায় নিজেদের প্রথম ম্যাচে কোস্টারিকার বিপক্ষে মাঠে নামে ব্রাজিল। তুলনামূলক দূর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষে গোল শূন্য ড্র করেছে ভিনিসিউয়াস-রদ্রিগোরা। আজ মঙ্গলবার (২৫ জুন) বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় লস অ্যাঞ্জেলেসের সোফাই স্টেডিয়ামে বিস্ময় বালক এন্ড্রিককে ছাড়াই মাঠে নামে ব্রাজিল। কোচ দরিভাল জুনিয়র দলকে মাঠে নামান ৪-২-৩-১ ফরমেশনে।

কোস্টারিকার বিপক্ষে ম্যাচে পুরোটা সময় বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল ব্রাজিল। ম্যাচের ৭৩ শতাংশ সময় নিজেদের পায়ে বল রাখে তারা। বিপরীতে কোস্টারিয়ার পায়ে বল ছিল ২৭ শতাংশ সময়। বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকা ব্রাজিল আক্রমণ সাজায় ১৯ বার। এরমধ্যে মাত্র দুইটি শট ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে 

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে ব্রাজিল। তাতে সপ্তম মিনিটে ভালো সুযোগ পেয়েছিলেন রাফিনহা। কিন্তু দানিলোর ক্রসে ছয় গজ বক্স থেকে নেওয়া তার শট রুখে দেন কোস্টারিকা গোলরক্ষক। এরপর বেশ কয়েকবার আক্রমণ সাজায় ব্রাজিল। তবে কোস্টারিকার জালে বল জড়াতে পারেনি ব্রাজিল। শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল করতে না পারায় গোল শূন্য ড্র করে মাঠ ছাড়তে হয় ব্রাজিলকে।

এই ম্যাচ ড্রয়ের ফলে ‘ডি’ গ্রুপের পয়েন্ট তালিকায় ১ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে অবস্থান করেছে ব্রাজিল। প্রথম ম্যাচেই জয় তুলে ৩ পয়েন্টে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করেছে কলম্বিয়া।

 

সেমিফাইনালে উঠতে বাংলাদেশের সামনে তিন সমীকরণ

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ০৮:২৫ এএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ০৮:২৫ এএম
সেমিফাইনালে উঠতে বাংলাদেশের সামনে তিন সমীকরণ
ছবি : সংগৃহীত

সেন্ট ভিনসেন্টে আফগানিস্তানকে অল্পতেই বেঁধে রেখেছে টাইগার বোলাররা। আজ মঙ্গলবার (২৫ জুন) পুরো ২০ ওভার খেলে ৫ উইকেটে ১১৫ রান করতে পেরেছে রশিদ খানের দল।

এবার ব্যাটিংয়ে জবাব দেবার পালা লিটন-সৌম্যদের। সেমিফাইনালে খেলার কঠিন সমীকরণ এখন স্পষ্ট বাংলাদেশ দলের সামনে।

কিংসটাউনের আর্নোস ভ্যালে স্টেডিয়ামে টিম টাইগার্সের সামনে তিনটি সমীকরণ রয়েছে।

যদি তারা ১২.১ ওভারে টপকে যায় আফগানদের রান, তাহলে চতুর্থ দল হিসেবে সেমিফাইনালে পৌছে যাবে বাংলাদেশ। ১২.৫ ওভারে জিতলেও হবে, সেক্ষেত্রে শেষ বলে হাঁকাতে হবে ছক্কা। ১২.৩ ওভারে জিতলেও সেমিতে যাবে লাল-সবুজের দল, যদি শেষ বলে বাউন্ডারি আসে।

বোলারদের দাপটে আফগানিস্তানের সংগ্রহ মাত্র ১১৫

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ০৮:০৮ এএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ১১:১২ এএম
বোলারদের দাপটে আফগানিস্তানের সংগ্রহ মাত্র ১১৫
ছবি : সংগৃহীত

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে পা রাখতে জেতার বিকল্প নেই বাংলাদেশের। তবে শুধু জিতলেই হবে না, মেলাতে হবে সমীকরণ। তা মাথায় রেখেই বাংলাদেশি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে আফগানিস্তান করতে পেরেছে মাত্র ১১৫ রান। মোট ৬৬টি ডট বল করেছে বাংলাদেশ। ১২.১ ওভারে এই লক্ষ্য তাড়া করতে পারলেই সেমিফাইনালে যেতে পারবে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নোস ভ্যাল স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশি বোলারদের নিখুঁত লাইন ও লেন্থের বোলিংয়ে শুরু থেকেই রান   করতে ভুগতে হচ্ছিল আফগান ব্যাটারদের। বিশেষত বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহীম জাদরান এদিনও ৫৯ রানের জুটি গড়লেও এই রাত করতে তারা খেলেছে ৬৪ বল। ইব্রাহীম লেগস্পিনার রিশাদ হোসেনের বলে ২৯ বলে মাত্র ১৮ রান করে তানজিম হাসান সাকিবকে ক্যাচ দেন তিনি।

অন্য ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজও আউট হন রিশাদের বলে। দলের তৃতীয় উইকেট হিসেবে তিনি আউট হলেও করেন স্বভাব বিরুদ্ধ ব্যাটিংয়ে ৫৫ বলে ৪৩ রান। একই ওভারেই গুলবেদীন নাইবকে ফেরান এই বোলার। তিনি করেন ৪ রান। মাঝখানে মোস্তাফিজের বলে ১২ বলে ১০ রান করে আজমতউল্লাহ ওমরজাই। 

ব্যর্থ হয়েছেন অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবীও। তাসকিনের আহমেদের বলে ১ রান করে আউট হন তিনি। তার বিদায়ে ১৭.৪ বলে ৯৩ রানে ৫ উইকেটে হারায় আফগানিস্তান। মাঠে নেমে দ্বিতীয় বলেই তাসকিনকে ছয় হাঁকান আফগানদের অধিনায়ক রশিদ খান। কিন্তু পরের ওভারে মোস্তাদিজ দেন মাত্র ১ রান।

শেষ ওভার করতে আসা তানজিমকে দুই ছয় হাঁকিয়ে ১০ বলে ১৯ রান করে দলের বোর্ডে ৫ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান যোগ করে মাঠ ছাড়েন। ততক্ষণে মাঠে বৃষ্টি শুরু হলে আম্পায়ারও মাঠকর্মীদের মাঠ ঢেকে দেওয়ার জন্য ড্যাক দেন। 

লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন ৩টি, তাসকিন ও মোস্তাফিজ নেন ১টি করে উইকেট।

টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে সৌম্য-তাসকিন

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ০৬:০৯ এএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ০৬:২৫ এএম
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে সৌম্য-তাসকিন
ছবি : সংগৃহীত

সুপার এইটের গ্রুপ-১ থেকে শুধুমাত্র ভারতের জায়গা নিশ্চিত হয়েছে সেমিফাইনালে। পজিদের হারিয়ে ভারত সেমিতে জায়গা পাওয়ার পামল্টে গেছে দৃশ্যপট। দ্বিতীয় দল হিসেবে এই গ্রুপ থেকে কে যাবে তা নিশ্চিত হবে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচের মধ্য দিয়ে। দুই দলেরই রয়েছে সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ। এমন ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিলো আফগানিস্তান অধিনায়ক রশিদ খান। ফলে আগে ফিল্ডিং করবে বাংলাদেশ। একাদশে ফিরেছেন সৌম্য সরকার ও তাসকিন আহমেদ। এই ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকবে অস্ট্রেলিয়াও।

মঙ্গলবার (২৫ জুন)সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নোস ভ্যাল গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টা ৩০ মিনিটে শুরু হতে যাচ্ছে ম্যাচটি। এই মাঠে নেদারল্যান্ডস ও নেপালকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে ওঠার সমীকরণ অনুযায়ী আগে ব্যাটিং করলে আফগানিস্তানকে হারাতে হতো ৬২ রানে। আর এখন টসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরে ব্যাটিং করবে বাংলাদেশ তাই আফগানিস্তান ১৪০ রান করলে ১২ ওভারের মধ্যেই তা টপকে যেতে যেতে হবে নাজমুল হোসেন শান্তদের।

টস জিতে আফগানিস্তানের অধিনায়ক রশিদ খান বলেন, ‘আমরা আগে ব্যাটিং করবো। এখানকার কন্ডিশন অনুযায়ী ব্যাটিং করাই সেরা সিদ্ধান্ত। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা আমাদের জন্য গর্বের মুহূর্ত। আমাদের কাছে সেরা সুযোগ সেমিফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার। আমরা আমাদের মৌলিক কাজগুলো ঠিকঠাকভাবে সম্পন্ন করা নিশ্চিত করতে চাই। সবাই খুবই উজ্জীবিত। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেই জপ্য আমাদের অনেক শক্তি জুগিয়েছে। সেই ম্যাচের একাদশ নিয়ে মাঠে নামছি।’
 
অন্যদিকে, টস হেরে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, ‘আমরা ফিল্ডিংই করতে চেয়েছিলাম। আমাদের জন্য এই ম্যাচটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, আমাদের সামনে ছোট একটি সুযোগ রয়েছে। আমরা সেই সুযোগটি লুফে নিতে চাই। আমাদের শান্ত থেকে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। বোলিং ইউনিট দারুন করছে। গুরুত্বপূর্ণ হলো কীভাবে আমরা ব্যাটিং করি। একাদশে দুই পরিবর্তন জাকের ও মাহেদির পরিবর্তে তাসকিন ও সৌম্য এসেছে দলে।’

বাংলাদেশ একাদশ

তানজিদ হাসান তামিম, লিটন দাস (উইকেটকিপার), নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সৌম্য সরকার, তাসকিন আহমেদ, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব ও মোস্তাফিজুর রহমান।

আফগানিস্তান একাদশ

রহমানুল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক), ইব্রাহিম জাদরান, গুলবাদিন নাইব, আজমতুল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবি, করিম জানাত, রশিদ খান (অধিনায়ক), নাঙ্গেলিয়া খারোতে, নুর আহমদ, নবিন-উল হক, ফজলহক ফারুকি।