![অবন্তিকার আত্মহত্যা : জবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলবে](uploads/2024/03/21/1711034232.JnU.jpg)
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার বিচারের দাবিতে স্বাভাবিক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ায় ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টর বরাবর পাঁচ দফা দাবিতে স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা।
স্মারকলিপি প্রদান শেষে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী শাহ্ সাকিব সোহবান বলেন, ‘প্রশাসন আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি শিক্ষার্থীবান্ধব ও নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার লক্ষ্যে তারা কাজ করবেন। বিগত দিনে অভিযোগপত্র জমা হলেও তা তেমনভাবে আমলে নেওয়া হয়নি, এখন থেকে যেকোনো অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে দেখার ঘোষণাও দিয়েছে প্রশাসন।’
এ সময় ২০২২ সালের ৮ মার্চ অংকন বিশ্বাসের রহস্যজনক মৃত্যুর বিষয়ে প্রশাসনকে সুষ্ঠু তদন্তেরও দাবি জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আগামী রবিবার (২৪ মার্চ) অংকনের মৃত্যুর বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচির ঘোষণা করেন তারা। ওই কর্মসূচি থেকে পরবর্তী দিনের কর্মসূচির ঘোষণা করাও হবে বলে জানান তারা।
স্মারকলিপিতে উল্লিখিত দাবিগুলো হলো ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার সব প্রমাণ আমলে নিয়ে দ্রুততম সময়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিশ্ববিদ্যালয় আইনে এবং রাষ্ট্রীয় আইনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে; দ্রুততম সময়ে সম্পূর্ণ প্রভাবমুক্ত যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল কার্যকর করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভয়মুক্ত গণতান্ত্রিক পরিবেশ নির্মাণ করতে হবে; অংকন বিশ্বাসসহ পূর্বে দায়ের করা সব অভিযোগের দ্রুত তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে হবে; পূর্বতন প্রক্টরিয়াল বডির বিরুদ্ধে গ্রহণযোগ্য তদন্ত করাতে হবে এবং দোষীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে এবং অবন্তিকা ও অংকনের স্মৃতিতে ক্যাম্পাসে দুটি স্থায়ী ফলক নির্মাণ করতে হবে।
অবন্তিকা-অংকনকে ঘিরে গ্রাফিতিতে প্রতিবাদ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা ও ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী অংকন বিশ্বাসের স্মৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গ্রাফিতি এঁকে সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ ভবনের নিচতলায় গ্রাফিতি আঁকার মাধ্যমে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
এ বিষয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী সুমাইয়া সোমা বলেন, ‘গ্রাফিতি আঁকা আমাদের সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ। এটি আমাদের ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ। যে দুজনকে আমরা হারিয়েছি তারা আমাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সঙ্গে জড়িত ছিল। তাদের মনে রাখার জন্য আমাদের এ উদ্যোগ। এ গ্রাফিতির মাধ্যমে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের জানাতে চাই, তোমাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমরা আছি তোমাদের সঙ্গে।’