ঢাকা ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪

ঢাবির চার ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৬:২৭ পিএম
আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৬:৫৫ পিএম
ঢাবির চার ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট, বিজ্ঞান ইউনিট, ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট এবং চারুকলা ইউনিটের ১ম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে চার ইউনিটের গড়ে শতকরা ১১ দশমিক ০১ শতাংশ উত্তীর্ণ হয়েছেন। সে হিসেবে অকৃতকার্য হয়েছেন শতকরা ৮৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

এ বছর কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষায় এক লাখ দুই হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে পাসের সংখ্যা ১০ হাজার ২৭৫। সেই দিক বিবেচনায় পাসের হার শতকারা ১০ দশমিক ০৭ শতাংশ। এই ইউনিটে মোট আসন সংখ্যা দুই হাজার ৯৩৪টি। এতে প্রথম হয়েছেন প্রিয়ন্তি মন্ডল। তার প্রাপ্ত নম্বর ১০৫ দশমিক ২৫। তিনি খুলনার গভ এম এম সিটি কলেজের শিক্ষার্থী। 

অন্যদিকে বিজ্ঞান ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় এক লাখ ৯ হাজার ৩৬৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে পাসের করেছেন ৯ হাজার ৭২৩ জন। পাসের হার শতকরা ৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ। এই ইউনিটে মোট আসন সংখ্যা এক হাজার ৮৫১টি। এতে প্রথম হয়েছেন প্রতীক রসূল। তার প্রাপ্ত নম্বর ১১১ দশমিক ২৫। তিনি নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী। 

এ বছর ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৩৪ হাজার ৩৬৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে পাস করেছেন চার হাজার ৫৮২ জন। পাসের হার ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এই ইউনিটে মোট আসন সংখ্যা এক হাজার ৫০টি। এতে প্রথম হয়েছেন অথৈ ধার। তার প্রাপ্ত নম্বর ১০৫ দশমিক ৫০। তিনি চট্টগ্রাম গভ কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী। 

চারুকলা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা চার হাজার ৫১০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে পাস করেছেন ৫৩০ জন। পাসের হার ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এই ইউনিটে মোট আসন সংখ্যা ১৩০টি। এতে প্রথম হয়েছেন মো. বাঁধন তালুকদার। তার প্রাপ্ত নম্বর ৯৮ দশমিক ১৬। তিনি বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আবদুর রউফ পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থী। 

উত্তীর্ণদের করণীয়:

ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদেরকে আগামী ৩ এপ্রিল বিকেল ৩টা থেকে ২৫ এপ্রিল রাত ১১ টা ৫৯ পর্যন্ত পরীক্ষার ওয়েবসাইটে বিস্তারিত ফরম ও বিষয়ের পছন্দক্রম ফরম পূরণ করতে হবে। বিভিন্ন কোটায় আবেদনকারী উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ফরম ২১ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে অফিস চলার সময়ে সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিন অফিস থেকে সংগ্রহ করতে হবে এবং যথাযথভাবে পূরণ করে উক্ত সময়ের মধ্যে একই অফিসে জমা দিতে হবে। 

ফলাফল নিরীক্ষণ: 

ফলাফল নিরীক্ষণের জন্য নির্ধারিত ফি প্রদান সাপেক্ষে আগামী ৩১ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিন অফিসে আবেদন করা যাবে।

ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়কারী ডিন, শিক্ষক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর দুপুর ১২টায় শুরু হয় ঢাবির চলতি শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন। যা চলে ৫ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ পর্যন্ত। 

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ‘কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান’ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হয় চলতি বছরের ভর্তি পরীক্ষা। 

এ ছাড়া ২৪ ফেব্রুয়ারি ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের, ১ মার্চ বিজ্ঞান ইউনিটের এবং সবশেষ ৯ মার্চ চারুকলা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান ও অংকন) অনুষ্ঠিত হয়। 

এ ছাড়া ১০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় ঢাবির ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের বিবিএ প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা।

ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা ঢাবির ভর্তির ওয়েবসাইটের (https://admission.eis.du.ac.bd) মাধ্যমে বিস্তারিত জানতে পারবেন। 

আরিফ জাওয়াদ/পপি/

মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে জবিতে মানববন্ধন

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ১০:৩৪ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ১০:৩৪ পিএম
মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে জবিতে মানববন্ধন
ছবি: খবরের কাগজ

কোটা পদ্ধতিতে পুনর্বহালের প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে বিভিন্ন বক্তব্যে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারকে অবমাননা ও কটুক্তি করা হচ্ছে অভিযোগ করে এর প্রতিবাদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্ম কমান্ড, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখার আয়োজনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়ে। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানরা অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে দেওয়া বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্ম কমান্ড, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখার সভাপতি রাকিবুল হাফিজ অন্তর বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি সম্প্রতি কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে, কটুক্তি করা হচ্ছে। কোটা বাতিল নাকি সংস্কার সেটা নিয়ে আমাদের কোনো মাথা ব্যাথা নেই। এই দেশে বাকস্বাধীনতা আছে, সবাই নিজেদের দাবি জানাতে পারে, কথা বলতে পারে। আমাদের বাপ-দাদারা মুক্তিযুদ্ধ করেই আপনাদের এই বাক স্বাধীনতা এনে দিয়েছে৷ আর সেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা করা হচ্ছে, কটুক্তি করা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা এসব শিক্ষার্থীদের বহিস্কারের দাবি জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটুক্তিকারীদের বিচার দাবি করছি।

সাধারণ সম্পাদক তানিম ফারহান বলেন, এই দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন যে বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদেরকে নিয়েই কটুক্তি করা হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্য নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া হবে না। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের যারা এমন কাজ করছে, তাদের বহিষ্কারের দাবিতে আমরা উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিবো। তাদের বিরুদ্ধে যাতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয় সেই দাবি জানাচ্ছি।

মুজাহিদ/এমএ/ 

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তাদের সংঘর্ষ, আহত ৭

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৭:০৭ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৭:০৮ পিএম
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তাদের সংঘর্ষ, আহত ৭
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের দুই পক্ষে মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ছবি : খবরের কাগজ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) পেনশন স্ক্রিম বাতিলের দাবিতে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের চলমান আন্দোলনের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের সাতজন আহত হয়েছেন। 

সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক বদরুজ্জামান ভূঁইয়া।

সংঘর্ষে আহত পাঁচজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ও সহকারী রেজিস্ট্রার তৌছিক আহমেদ রাহাত, সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. মো. তানজিল হোসেন, সেকশন অফিসার মো. সায়েম, মিজানুর রহমান খান ও মাহামুদুল হাসান। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসারদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি ‘প্রত্যয়’ বাস্তবায়নসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অননুমোদিত ডিরেক্ট অফিসার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য একটি ব্যানার টাঙান। তখন বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা ওই ব্যানারটি সরিয়ে ফেলার অনুরোধ করেন। ব্যানারটি না সরানোয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা ব্যানার সরিয়ে ফেলেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ের হাতাহাতি থেকে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় উভয় পক্ষ চেয়ার ছোড়াছুড়ি করে। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও বন্দর থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে উভয় পক্ষের সাতজন আহত হন। 

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বাহাউদ্দিন গোলাপ বলেন, ‘চলমান আন্দোলনকে পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করার জন্যই ডিরেক্ট অফিসার অ্যাসোসিয়েশনের নামে ভুয়া সংগঠনটি পরিকল্পিতভাবে এ কাজ করেছে।’

এদিকে ডিরেক্ট অফিসার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুব্রত কুমার বাহাদুর বলেন, ‘কর্মসূচি চলাকালে বিনা উসকানিতে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের লোকজন। আমাদের দুই সদস্যকে মেরে আহত করা হয়েছে।’ 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া খবরের কাগজকে বলেন, ‘অফিসারদের দুই পক্ষের মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দাখিল জন্য নিদের্শ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পেয়ে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 

কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনেও আন্দোলনে জবি শিক্ষার্থীরা

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৬:৪৫ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৬:৪৫ পিএম
কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনেও আন্দোলনে জবি শিক্ষার্থীরা
ছবি: খবরের কাগজ

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। ২০১৮ সালে সরকার ঘোষিত পরিপত্রের পুনর্বহালসহ চার দফা দাবি জানিয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বেলা ১২টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যানারে প্রতিবাদ মিছিল বের করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। 

প্রতিবাদ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে থেকে বের হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে মূল ফটকের সামনে এসে কিছুক্ষণ অবস্থান করে। এরপর বাহাদুর শাহ পার্ক হয়ে প্রতিবাদ মিছিলটি রায়সয়াহেব বাজার মোড়, তাতীবাজার মোড় প্রদক্ষিণ করে এসে পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্ত্বরের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন তারা।

প্রতিবাদ সমাবেশে বাংলা বিভাগের ১০ম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন মুন্না বলেন, কোটা প্রথার মাধ্যমে মেধাবীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। আমাদের দাবি মেনে নিয়ে ২০১৮ সালে কোটা প্রথা বাতিল করে যে পরিপত্র জারি করা হয়েছিল সেটা পুনর্বহাল করতে হবে। আমরা যে চারটি দাবি জানিয়েছি তা মেনে নিতে হবে। আগামীকাল সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একযোগে প্রতিবাদ আন্দোলন কর্মসূচি পালিত হবে। আমাদের দাবি মানা না হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

শিক্ষার্থীদের চারটি দাবি হলো-

১। ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে। 

২। ১৮' এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকুরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।

৩। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে।  

 ৪। দূর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

মুজাহিদ বিল্লাহ/এমএ/ 

কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে পদযাত্রা, শাহবাগ অবরোধ

প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৬:১৪ পিএম
আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৪, ০৬:১৪ পিএম
কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে পদযাত্রা, শাহবাগ অবরোধ
ছবি: খবরের কাগজ

সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ৩০ শতাংশ কোটা বাতিলের ২২ দিনের আল্টিমেটাম শেষে ফের আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এবার পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অংশ হিসেবে গণপদযাত্রা করেছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুর পৌনে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন। পরে সেখান থেকে নীলক্ষেত-নিউমার্কেট হয়ে সাইন্সল্যাব দিয়ে শাহবাগে অবস্থান নেয়। গণপদযাত্রায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের ফলে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় রাস্তার দুই পাশের যানচলাচল।

এর আগে গতকাল সোমববার চার দফা দাবি ঘোষণা করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো- ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে; ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে (সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে), সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে; দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

আরিফ জাওয়াদ/এমএ/

শিক্ষার্থীদের লাভের জন্যই প্রত্যয় স্কিম বাতিলের আন্দোলন: জবি শিক্ষক সমিতি

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩৭ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩৭ পিএম
শিক্ষার্থীদের লাভের জন্যই প্রত্যয় স্কিম বাতিলের আন্দোলন: জবি শিক্ষক সমিতি
ছবি: খবরের কাগজ

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চলমান সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও আন্দোলন কর্মসূচি শিক্ষার্থী ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে বৈষম্যের শিকার না হয় সেই লাভের জন্যই আন্দোলন বলে জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষক সমিতি।

সোমবার (১ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারের সামনে সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে দেওয়া বক্তব্যে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসাম এসব কথা তুলে ধরেন।

ড. শেখ মাশরিক হাসান তার বক্তব্যে বলেন, প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে আমরা শিক্ষকরা যে আন্দোলন করছি, সেটা শুধু আমাদের আন্দোলন নয়। এটা আমাদের শিক্ষার্থী ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আন্দোলন। আমরা যারা ১ জুলাইয়ের আগে শিক্ষকতার চাকরিতে যোগদান করেছি তারা এই প্রত্যয় স্কিমের কারণে ভুক্তভোগী হবো না। ১ জুলাইয়ের পর যেসব শিক্ষার্থীরা এই পেশায় আসবে তারা এই বৈষম্যের শিকার হবে। আমরা আমাদের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এই আন্দোলনে নেমেছি। যাতে আমাদের সঙ্গে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আকাশ পাতাল বৈষম্য তৈরি না হয়।

এসময় শেখ মাশরিক আরও বলেন, একটি মহল এ আন্দোলনকে বিতর্কিত করার জন্য, শিক্ষার্থীদের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছানোর জন্য গুজব ছড়াচ্ছে যে এই আন্দোলন আমাদের স্বার্থে। কিন্তু আসলে এ আন্দোলন ভবিষ্যতে যারা শিক্ষকতায় যোগদান করবে তাদের জন্য।

এদিকে আজ থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি। এদিন সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহনে শিক্ষক, কর্মকর্তারা ক্যাম্পাসে আসলেও কোনো ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। কোনো কর্মকর্তা, কর্মচারী দাপ্তরিক কাজ করেননি।

মুজাহিদ বিল্লাহ/এমএ/