![‘ছেলেকে দেখলেই যেন মরে যাবো’](uploads/2024/06/09/COx-1717904044.jpg)
‘ছেলেকে দেখলেই যেন মরে যাবো। মা ছাড়া আমার ছেলেটা কিছু চেনে না। ১১ মাস পর মায়ানমার থেকে ফিরছে ছেলে জয়নাল। আমি খুশিতে আত্মহারা। আজ মায়ানমার থেকে কারাভোগ শেষে তাকে ফিরিয়ে আনছে সরকার।’
রবিবার (৯ জুন) সকালে কক্সবাজার শহরের বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে ছেলের অপেক্ষায় থাকা জয়নালের মা রশিদা বেগম খবরের কাগজকে এসব কথা বলছিলেন।
রশিদা বেগম জানান, উখিয়ার জালিয়া পালং এলাকা থেকে ছেলেকে নেওয়ার জন্য এসেছেন। গত ১১ মাস আগে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে মায়ানমারে সেনাদের হাতে বন্দি হন ছেলে জয়নাল।
তিনি জানান, ঈদের আগে ছেলের খবর পান তিনি। এরপর থেকে ছেলের জন্য বিভিন্ন সময় খরচের টাকা পাঠাতেন। এ পর্যন্ত ৮০ হাজার টাকা তার খরচ হয়েছে। কিছু না খেয়েই ছুটে এসেছি। ছেলেকে পেলেই তার সব কষ্ট মুছে যাবে।
কাল থেকে অধীর অপেক্ষায় ছিলেন জানিয়ে বলেন, ‘কখন সকাল হবে, আমার বুকের ধনকে পাবো সেটির অপেক্ষায় ছিলাম। যখনই শুনছি ছেলেকে কক্সবাজার নুনিয়াছড়া ঘাটে আনা হচ্ছে, তখনই হন্যে হয়ে ছুটে আসি।’
সেখানে অপেক্ষারত আরও একজন স্বজনের সঙ্গে কথা হয়। তার নাম রাশেদা আকতার। তিনি জানান, সকালেই ফোন করে জানিয়েছে ভাইপুত মুমিন রশিদ কক্সবাজার আসছে। এই খবরে তারা পরিবারের সবাই ছুটে এসেছেন। সকাল থেকে এখনো খাননি কিছুই। একই এলাকার ছয়জন একসঙ্গে ধরা পড়েছিল।
তৃতীয়বারের মতো রবিবার বাংলাদেশ আশ্রিত ১৩৪ মায়ানমারের বিজিপি ও সেনাসদস্য ফিরে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে মায়ানমারে কারাভোগ করা ৪৫ জন বাংলাদেশি ফিরে আসছেন বাংলাদেশে। আজ সকালে দুই দেশের কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে তাদের হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছেন।
মুহিববুল্লাহ মুহিব/ইসরাত চৈতী/অমিয়/