![এ সপ্তাহের নতুন বই](uploads/2024/06/07/New-Books-of-the-week-1717743247.jpg)
সভ্যতার ইতিহাস বেঁচে থাকে সমকালীন সাহিত্যের মাধ্যমে। যে দেশের সাহিত্য যত সমৃদ্ধ, সেই দেশের সভ্যতার ইতিহাস তত সমৃদ্ধ। সাহিত্যের শক্তিতেই মানুষ বিবেকতাড়িত হয়ে যৌক্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে অনুপ্রাণিত হয়; যার ইতিহাস মানুষ নিজেই সময়ের সঙ্গে তৈরি করে।…
সমাজতন্ত্র: তত্ত্ব ও অভিজ্ঞতা একুশ শতকের ভাবনা
মনোজ দাস
শ্রেণি: মার্কসবাদ
প্রকাশনী: দেশ পাবলিকেশনস, ভারত
প্রকাশকাল: প্রথম প্রকাশ, ২০২৪
পৃষ্ঠা: ৩৬০; মূল্য: ৭০০ টাকা
সত্যিকার অর্থেই বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের জন্য সংগ্রামে মার্কসবাদ মানবজাতিকে দিয়েছে এক মহান মতাদর্শিক গাইডলাইন। প্রতিক্রিয়াশীল ও ডানপন্থি তাকে ধ্বংস করতে চায়। সংশোধনবাদীরা সূক্ষ্ম মারপ্যাঁচে তাকে সংস্কারবাদের মধ্যে নিক্ষেপ করে। মতান্ধবাদীরা আপ্তবাক্যের মধ্যে প্রাণরস শুষে নিয়ে তার বিকাশে বাধা দেয়। তাই একুশ শতকে সমাজতন্ত্রের জন্য সংগ্রামে ও সমাজতন্ত্র নির্মাণে দরকার হবে উচ্চ মার্কসবাদী মতাদর্শিক মান, সত্যিকার বিপ্লবী উদ্ভাবনী শক্তি ও সৃজনশীলতা। বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের তত্ত্ব সম্পর্কে জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে নির্মিত-সমাজতন্ত্রের সাফল্য-ভুল-ক্রুটি-বিচ্যুতি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে একুশ শতকে সমাজতন্ত্রের সংগ্রাম মার্কসবাদী মতাদর্শিক মান, বিপ্লবী উদ্ভাবনী শক্তি ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতে এই বইয়ের অবদান রয়েছে।
চা বাগান ও শ্রমিক উন্নয়ন
ড. নাহিদ ফেরদৌসী
শ্রেণি: বিবিধবিষয়ক প্রবন্ধ
প্রকাশনী: এপিপিএল, ঢাকা
প্রকাশকাল: প্রথম প্রকাশ, ২০২৪
পৃষ্ঠা: ১৪৪; মূল্য: ৩৫০ টাকা
চা বাগানের সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যময় বনায়ন দেখার জন্য দেশ-বিদেশের প্রচুর মানুষ বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছুটে যায়। এই সৌন্দর্যের পেছনে আছে একদল চাশ্রমিক, যাদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি এবং হবে কি না তা আজও অজ্ঞাত। টিলা-পাহাড়ের চা বাগানে নিয়মিত কমি পাতা গজিয়েও শ্রমিকদের জীবনে আসে না কোনো পরিবর্তনের ছোঁয়া। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রেক্ষাপটে চা-শিল্পের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঊনবিংশ শতাব্দী থেকে ভারত উপমহাদেশে চাশ্রমিক-সংক্রান্ত আইনকানুন চালু হলেও আজ পর্যন্ত শ্রমিকরা নায্য অধিকার ও নাগরিক মর্যাদা থেকে পিছিয়ে। বইটিতে বাংলাদেশের চা-শিল্পে শ্রমিকদের আগমন, এ জনগোষ্ঠীর জীবনাচরণ, তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, যেমন: বাসস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা, কর্মক্ষেত্র ও অর্থনৈতিক অবস্থা, সামাজিক উন্নয়ন ও নিরাপত্তাবিষয়ক প্রতিটি দিক আলোকপাত করা হয়েছে।
প্রশ্নমঙ্গল: বুদ্ধিজীবীর অ আ ক খ
কাজল রশীদ শাহীন
শ্রেণি: সমাজ, সভ্যতা ও সংস্কৃতিবিষয়ক প্রবন্ধ
প্রকাশনী: বাংলানামা, ঢাকা
প্রকাশকাল: প্রথম প্রকাশ, ২০২৪
পৃষ্ঠা: ২০৮; মূল্য: ৫০০ টাকা
প্রশ্নের চর্চায় ‘মঙ্গল’ কীভাবে নিশ্চিত হয়, তার সুলুকসন্ধানে এই অন্বেষণ। বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের আলোকবর্তিকা। একুশের চেতনার সারবান প্রকাশ হলো, ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা। বুদ্ধিবৃত্তির চর্চার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যো ঠিক তাই। যা পূরণে প্রশ্ন অবিকল্প এক সত্তা। ...যখন প্রশ্ন করার পথ থাকে না, তখনো বুদ্ধিজীবীরা প্রশ্ন করেন- বিকল্প পথ বেছে নেন। স্রোতের পক্ষে নয়- বিপক্ষে দাঁড়ানোই বুদ্ধিজীবীর দায়িত্ব ও কর্তব্য। তাতে ঝুঁকি আছে, বিপন্ন হওয়ার ভয় আছে। বুদ্ধিজীবীর চ্যালেঞ্জ এখানেই- এ কারণেই প্রশ্নমঙ্গল’।...
Godwin
গোডউইন
যোসেফ ও’নিল
প্রকাশনী: প্যানথিয়ন বুকস, নিউইয়র্ক
প্রকাশকাল: ৪ জুন ২০২৪
পৃষ্ঠা: ২৮৮; মূল্য: ২৮ ডলার
পিইএন ফকনার পুরস্কার পাওয়া আইরিশ কথাসাহিত্যিক যোসেফ ও’নিলের উপন্যাস ‘গোডউইন’ পুঁজিবাদের সর্বশেষ পর্যায়ের অবস্থার চিত্র তুলে ধরে। এ উপন্যাসের কাহিনির প্রধান চরিত্র জিওফ এবং মার্ক একে অপরের সৎভাই। তবে জিওফের ভাগ্য বদলের উচ্চাভিলাষে সহায়তা করে মার্ক। আফ্রিকার এক উঠতি বয়সী ফুটবলারের খোঁজ পায় জিওফ। তাকে ঠিকমতো তৈরি করে ফুটবলে নিয়োগ করতে পারলে অনেক লাভের মুখ দেখতে পাবে বলে বিশ্বাস জিওফের। সে মনে করে, এই ফুটবলারকে ঠিকমতো তৈরি করতে পারলে ভবিষ্যতের মেসি বানানো যাবে। পরিবার, অভিবাসন এবং আন্তর্জাতিক অভিযানের এ উপন্যাসের বয়ানের দায়িত্ব পালাক্রমে পালন করে মার্ক এবং তার সহকর্মী উইলিয়ামস। প্রধানত ফুটবলের সৌন্দর্য ও কুৎসিত বিষয়, আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ের সম্ভাবনা ও বিপদ এবং আন্ত-আটলান্টিক অঞ্চলে মুনাফা অর্জনের বিষয়ে মার্ক এবং জিওফের সংশ্লিষ্টাতা নিয়ে তৈরি হয়েছে এ উপন্যাস।
The Future Was Color
দ্য ফিউচার ওয়াজ কালার
প্যাট্রিক নাথান
প্রকাশনী: কাউন্টারপয়েন্ট, যুক্তরাষ্ট্র
প্রকাশকাল: ৪ জুন ২০২৪
পৃষ্ঠা: ২২৪; মূল্য: ২৬ ডলার
যুদ্ধপরবর্তী লসঅ্যাঞ্জেলেসের অবক্ষয়ের কালে স্থাপিত কাহিনিতে ব্যক্তিগত বিষয়ের সঙ্গে রাজনৈতিক বিষয়ের সংশ্লিষ্টতায় তৈরি হয়েছে প্যাট্রিক নাথানের ‘দ্য ফিউচার ওয়াজ কালার’ উপন্যাসে। এ উপন্যাসের কাহিনিতে বলা হয়েছে, হাঙ্গেরি থেকে আগত অভিবাসী জর্জ কাজ করতে আসে লসঅ্যাঞ্জেলেসে। মেডেলিন নামক একজন বিখ্যাত অভিনেত্রী তাকে রাজনৈতিক কাহিনি লেখার কাজ দেয়। খুব নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার কারণে জর্জের জগৎ খুব দ্রুতই নাটকীয়ভাবে বদলে যায়। খুব সহজেই এভাবে আনন্দ-ফূর্তির জোয়ারে ভেসে চলে তার জীবন। সব দিক থেকে আনন্দের ধারা আসতে থাকে। আর যুদ্ধপরবর্তী সময়ের অ্যাঞ্জেলেসের একটা বিশেষ শ্রেণিতে সে বিচরণ করার সুযোগ পায় মেডেলিনের মাধ্যমে। সাধারণভাবে এরকম সমাজের চেহারা তার মতো লোকদের দৃষ্টির বাইরেই থাকার কথা।