![পাকিস্তানে তীব্র গরমে পাঁচ শতাধিক মৃত্যু](uploads/2024/06/28/pakistan-1719543499.jpg)
পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ছয় দিনে ওই অঞ্চলে ৫ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শুধু একদিনেই দেশটির জরুরি সেবাকর্মীরা প্রায় দেড়শ জনের লাশ সংগ্রহ করেছে।
পাকিস্তানের দ্য ইদি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস জানায়, সাধারণত করাচিতে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ জনের লাশ মর্গে নিয়ে থাকে তারা। কিন্তু গত ছয় দিনে তারা মোট ৫৬৮টি লাশ সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে শুধু মঙ্গলবারই লাশ সংগ্রহ করতে হয়েছে ১৪১টি।
বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, প্রত্যেকটি মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এখনই আলাদা করে স্পষ্টভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে করাচির তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে বেড়ে যাওয়ায় মৃতের সংখ্যাও বেড়েছে। আর উচ্চ আর্দ্রতার কারণে ৪৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো গরম অনুভূত হচ্ছে। এত গরমে জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনসাধারণ।
করাচির সরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ইমরান সারওয়ার শেখ জানান, গত রবিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত ২৬৭ জন মানুষ হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ১২ জন মারা গেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি- হাসপাতালে যারা আসছেন তাদের বেশিরভাগই ৬০-৭০ বছর বয়সী। যদিও কয়েকজন ছিলেন ৪৫ বছরের। আর দুজনের বয়স ছিল বিশের কোঠায়।’
যারা হাসপাতালে আসছেন- তাদের বমি, ডায়রিয়া ও উচ্চমাত্রায় জ্বরসহ নানা উপসর্গ রয়েছে জানিয়ে ইমরান শেখ বলেন, ‘তাদের অনেকেই বাইরে কাজ করতেন। আমরা তাদের বলেছি, তারা যেন প্রচুর পানি পান করেন এবং হালকা জামাকাপড় পরেন।’
পাকিস্তানের এক আবহাওয়াবিদ এই উচ্চ তাপমাত্রাকে ‘আংশিক দাবদাহ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। দেশটির গণমাধ্যমের খবর বলছে, গরম পরিস্থিতি সামাল দিতে বিভিন্ন স্থানে ‘হিটওয়েভ সেন্টার ও ক্যাম্প’ খোলা হয়েছে।
তবে হিটস্ট্রোকে উচ্চ মৃত্যু হওয়ার খবর অস্বীকার করেছেন করাচির কমিশনার সৈয়দ হাসান নাকভি। তিনি বলেন, ‘প্রকৃত মৃতের সংখ্যা প্রতিবেদনে যতটা দেখানো হচ্ছে, ততটা বেশি নয়।’ সূত্র: বিবিসি, জিও নিউজ