![গাজায় বাস্তুচ্যুত আরও ৬০ হাজার](uploads/2024/06/30/Lead-1719715694.jpg)
গাজা সিটির শুজাইয়া এলাকায় নতুন করে অন্তত ৬০ হাজার বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ইসরায়েলের স্থল অভিযানের জেরে বাড়িঘর ছাড়তে হয়েছে তাদের। একই সঙ্গে গাজার আল-মাসওয়াসিতে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে পাঁচ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ওই এলাকায় অনেক হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। গতকাল শনিবার জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক এ তথ্য জানান।
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক ও সেনারা শুজাইয়ায় ঢুকে পড়লে আতঙ্কিত হাজার হাজার বেসামরিক লোক সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এর পরের দিন গতকাল শনিবার ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে তীব্র যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা জানিয়েছেন, লড়াইয়ে চার ইসরায়েলি সেনা নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন।
আল-জাজিরার প্রতিবেদক ইসমাইল আল-ঘৌল জানিয়েছেন, ‘শুজাইয়া একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। হামলার আগে কর্মব্যস্ততা ছিল এলাকাটিতে। কিন্তু ইসরায়েলের দুটি স্থল অভিযান এলাকাটিকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে সমতল বানিয়ে ফেলেছে। এটিকে ভূতুড়ে শহরে পরিণত করেছে, যেখানে মানুষের জীবনের কোনো চিহ্ন নেই।’
আল-ঘৌল ও আল-জাজিরার ক্রু যখন চিত্রধারণ করছিলেন, তখন তারা একটি অস্থায়ী আশ্রয়স্থলে লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার ভয়ে কেউ লাশ দাফন করতে যেতে পারেনি। এ ছাড়াও অনেক আহত ব্যক্তি আটকা পড়েছিলেন।
এদিকে ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, গাজার বাড়িঘরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় চার শিশুসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। মধ্য গাজার মাঘাঝি শরণার্থী শিবিরেও হামলায় হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক জাতিসংঘ সংস্থা বলেছে, গাজার জনসাধারণ ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবন ও তাঁবুতে বাস করছে। এগুলোর পাশে বর্জ্যের বিশাল স্তূপ রয়েছে। খাদ্য সংকটের মাত্রা বৃদ্ধি ও রোগাক্রান্ত বৃদ্ধির আশঙ্কায় পরিস্থিতি অসহনীয় করে তুলছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
আল-জাজিরার সর্বশেষ হিসাব অনুসারে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েলের হামলায় ৩৭ হাজার ৭৬৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৮৬ হাজার ৪২৯ জন। হামাসের হামলায় আনুমানিক এক হাজার ১৩৯ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়াও কয়েক ডজন মানুষ গাজায় বন্দি রয়েছেন। সূত্র: আল-জাজিরা