![ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন গড়াল দ্বিতীয় দফায়](uploads/2024/06/30/irankk-1719688985.jpg)
ইরানে গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনো প্রার্থীই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট নিশ্চিত করতে পারেননি। এ অবস্থায় দেশটির নিয়ম অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়িয়েছে। আগামী ৫ জুলাই দ্বিতীয় দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার (২৯ জুন) ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তথ্যটি জানায়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের নির্বাচন নিয়ম অনুযায়ী কোনো প্রার্থী যদি ন্যূনতম ৫০ শতাংশ ভোট না পান, সে ক্ষেত্রে নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়ায়। প্রথম দফার নির্বাচনে প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা দুই প্রার্থীর মধ্যে তখন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। নিয়ম অনুযায়ী প্রথম দফার ফলাফল ঘোষণার পর প্রথম যে শুক্রবারটি আসে সেদিনই দ্বিতীয় দফার ভোট অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার ইরানের নির্বাচন কার্যালয়ের মুখপাত্র মোহসেন এসলাম ঘোষণা করেন, সারা দেশে ৫৮ হাজার ৬৪০টি কেন্দ্রের ও বিদেশের ৩৪৪টি নির্বাচনি কেন্দ্রের ভোট গণনা করা হয়েছে।
দেশটির ১৪তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায়, সংস্কারপন্থি আইনপ্রণেতা মাসুদ পেজেশকিয়ান ও কট্টরপন্থি প্রার্থী সাইদ জালিলির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। ২ কোটি ৪৫ লাখ ৩৫ হাজার ১৮৫টি ভোট গণনার পর দেখা যায় মাসুদ পেজেশকিয়ান ১ কোটি ৪ লাখ ১৫ হাজার ৯৯১ ভোট পেয়ে প্রথম অবস্থানে রয়েছেন। আর সাইদ জালিলি ৯৪ লাখ ৭৩ হাজার ২৯৮ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।
সে হিসাব অনুসারে আগামী শুক্রবার পেজেশকিয়ান ও জালিলির মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির নেতৃত্বে গঠিত কট্টরপন্থি কর্তৃপক্ষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ছয়জনকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছিল। তাদের মধ্যে দুজন নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন চার প্রার্থী।
অন্য দুই প্রার্থীর মধ্যে মোহাম্মদ বাঘের কালিবাফ পেয়েছেন ৩৩ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ ভোট এবং মোস্তফা পৌরমোহাম্মাদি ২০ লাখ ৬ হাজার ৩৯৭ ভোট পেয়েছেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী ইরানে ২০২৫ সালের জুনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। সে সময়টিতে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের চার বছরের মেয়াদ শেষ হতো। কিন্তু গত ১৯ মে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। ফলে আগাম নির্বাচনের বিকল্প ছিল না। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট পদ শূন্য হওয়ার ৫০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
তবে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ইরানের পররাষ্ট্রনীতিতে বড় ধরনের কোনো বদল আসার সম্ভাবনা নেই। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইরানের প্রেসিডেন্টের ভূমিকা বড় করে দেখা হলেও দেশের প্রকৃত ক্ষমতা থাকে সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার হাতে। সূত্র: রয়টার্স, আইআরএনএ