![রাইসির উত্তরসূরি বেছে নিতে ইরানে নির্বাচন](uploads/2024/06/29/Iran-1719628112.jpg)
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে ইরানে গতকাল শুক্রবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে অংশ নেওয়া চার প্রার্থীর সবাই দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনির প্রতি অনুগত।
এমন একটি সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন ইরানের ভেতরে আর্থিক ও রাজনৈতিক কারণে অসন্তোষ বাড়ছে। রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, ভোট গ্রহণের সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৬টা। তবে দেশটিতে ভোট গ্রহণের সময় বৃদ্ধির নজির রয়েছে। মধ্যরাত পর্যন্তও ভোট হয়েছে এমন উদাহরণও আছে।
নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ইরানের নীতিতে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা নেই। তবে ভবিষ্যতে খামেনির স্থলাভিষিক্ত কে হবেন, তার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে বিষয়টি।
এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে উচ্চ ভোটার উপস্থিতি আশা করছেন খামেনি। তিনি বলেছেন, ‘ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের টেকসই হওয়া, দৃঢ়তা ও মর্যাদা নির্ভর করছে মানুষের উপস্থিতির ওপর। উচ্চ ভোটার উপস্থিতি প্রয়োজনীয়।’
এর আগে ২০২১ সালের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৪৮ শতাংশের কিছু বেশি, যা ইরানের কোনো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সর্বনিম্ন ভোটার উপস্থিতি। এবারের নির্বাচনে ফলাফল আসতে কিছুটা সময় লাগবে। ভোট হাতে গণনা করা হবে। এ কারণে পূর্ণ ফলাফল আসতে দুই দিন সময় লাগতে পারে। তবে প্রাথমিক ফলাফল আগেই চলে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রার্থীরা হলেন পার্লামেন্ট স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ, আইনপ্রণেতা মাসুদ পেজেশকিয়ান, জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা সাইদ জালিলি এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোস্তফা পুরমোহাম্মদি।
নির্বাচনে বিজয়ীকে ইরানের পড়তির মুখে থাকা অর্থনীতি নিয়ে কাজ করতে হবে। এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি ও পশ্চিমের নিষেধাজ্ঞা সামাল দিতে হবে। সূত্র: রয়টার্স