ঢাকা ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪

নাশকতা, অগ্নিসংযোগের উদ্দেশ্য নির্বাচন ব্যাহত করা : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:০৩ পিএম
আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:৪১ পিএম
নাশকতা, অগ্নিসংযোগের উদ্দেশ্য নির্বাচন ব্যাহত করা : পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
ছবি : সংগৃহীত

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধকালে রেলওয়েতে সাম্প্রতিক নাশকতা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা আসন্ন নির্বাচন ও দেশের অগ্রগতি ব্যাহত করার লক্ষ্যে রাষ্ট্র ও জনগণের উপর সরাসরি হামলা।  

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে বলেছে, বিএনপি-জামায়াত জোটের কর্মকাণ্ড রাজনৈতিক অস্থিরতা ছাড়িয়ে গেছে; তারা নাগরিকদের শারীরিক ক্ষতি করা ছাড়াও সরকারের সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি করেছে। 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, যখন নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে তখন সরকার ও বাংলাদেশের মানুষ সন্ত্রাস ও এ ধরনের সহিংস কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করছে। 

এতে বলা হয়, এসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ শান্তি বজায় রাখতে এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখার জন্য বদ্ধপরিকর। 

পোস্টে বলা হয়েছে; বাংলাদেশ ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি একটি অংশগ্রহণমূলক ও অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনের উৎসবমুখর শীতকালে প্রবেশ করেছে। এদিকে, জাতি বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নস্যাৎ করার জন্য একটি স্বার্থান্বেষী মহলের জোরদার প্রচেষ্টা লক্ষ্য করছে।  

জনসমর্থন ও রাজনৈতিক সমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হওয়ার পর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) একটি অংশ ও তাদের মিত্ররা অবরোধ কর্মসূচি কার্যকর করার জন্য তাদের তৎপরতা জোরদার করেছে, তাদের লক্ষ্য আসন্ন নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা।  

বিএনপির এই কৌশলগত পদক্ষেপে সারা দেশে নাশকতা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা বেড়েছে। তাদের বিতর্কিত দাবি আদায়ের জন্য তাদের সমর্থকরা আতঙ্ক সৃষ্টি করতে এবং সরকারের উপর অযাচিত চাপ প্রয়োগ করার জন্য এসব ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে। 

এসব সহিংসতার একটি উজ্জ্বল নজির হচ্ছে ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর, যখন বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা ইচ্ছাকৃতভাবে রেললাইনের ২০ ফুট অংশ সরিয়ে দেয়।

নাশকতার এই কর্মকাণ্ডের ফলে বাঁখারিয়ার কাছে মর্মান্তিকভাবে ঢাকাগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। 
ভোর ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয় এবং আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক যাত্রী।

এ দুর্ঘটনাটি  বিএনপির ডাকা ৩৬ ঘণ্টার অবরোধের সরাসরি পরিণতি। দেশের স্থিতিশীলতা ব্যাহত করার লক্ষ্যে এই দলগুলো কোন বিপজ্জনক পর্যায়ে যেতে পারে এটি তার উদাহরণ। 

এদিকে, আবারও ১৯শে ডিসেম্বর ঢাকার তেজগাঁও রেলস্টেশন এলাকায় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে তিনটি কোচে নাশকতাকারীরা অগ্নিসংযোগ করে এক মহিলা ও তার তিন বছরের ছেলেসহ অন্তত চার যাত্রীকে হত্যা করেছে। 
বিএনপি-জামায়াত জোটের কর্মকা- রাজনৈতিক অস্থিরতা ছাড়িয়ে গেছে; তারা নাগরিকদের শারীরিক ক্ষতি এবং সরকারের সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি করেছে।  পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা রেল ট্র্যাক বিচ্ছিন্ন করতে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার সহ ঘটনার সাথে গ্রুপগুলোর সম্পৃক্ততার বিষয়টি উদঘাটন করেছেন। 

ট্রেনে লক্ষ্যবস্তু করে হামলার এই ধরণ নতুন নয়। বিএনপি-জামায়াত জোট পূর্বে ২০১৩ ও ২০১৫ সালের মধ্যে অনুরূপ সহিংস কর্মকা-ে জড়িত ছিল। তারা প্রায় ৪,০০০ যানবাহন এবং একাধিক রেল গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছিল। এই ধরনের কৌশলের সাম্প্রতিক পুনরুত্থান তাদের ধ্বংসাত্মক পথে ফিরে আসার ইঙ্গিত দেয়। 

গত ২৮ অক্টোবর থেকে বিএনপির সরকার বিরোধী সমাবেশগুলো ফলে দেশব্যাপী প্রায় ৪০০ গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে হরতাল-অবরোধ ডাকার কৌশল তাদের অতীত কর্মকা-ের পুনরাবৃত্তি। তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনে বিএনপি-জামায়াত জোট শুধুমাত্র শারীরিক ক্ষতি এবং সম্পত্তির ক্ষতিই করেনি বরং পুলিশ হাসপাতাল ও অ্যাম্বুলেন্স সহ অপরিহার্য পরিষেবার ওপরও আক্রমণ করেছে। 

এতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ওঠেছে: বিএনপি-জামায়াত জোটের কর্মকাণ্ড কি রাজনৈতিক মত প্রকাশের একটি বৈধ উপায়, নাকি তারা মানবাধিকার ও জননিরাপত্তার গুরুতর লঙ্ঘন করছে? 

সর্বশেষ মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার পর স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ এবং দমকল বিভাগ দ্রুত সাড়া দিয়েছে। নাশকতার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে যে, এই কাজটি পূর্বপরিকল্পিত।  

আগামী নির্বাচন ও জাতির অগ্রগতি ব্যাহত করার লক্ষ্যে এই নাশকতা রাষ্ট্র ও এর জনগণের উপর সরাসরি আক্রমণ।  
নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ দৃঢ়ভাবে সন্ত্রাসবাদ এবং এই ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। তারা এই চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও শান্তি বজায় রাখা এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সূত্র : বাসস

মূল্যায়ন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে উড়োজাহাজ কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে: বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:২৩ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:২৩ পিএম
মূল্যায়ন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে উড়োজাহাজ কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে: বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী
ছবি: সংগৃহীত

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, বোয়িং না এয়ারবাস কোন কোম্পানি থেকে উড়োজাহাজ কেনা হবে তা নির্ভর করছে মূল্যায়ন প্রতিবেদনের উপর। মূল্যায়ন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে উড়োজাহাজ কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

রবিবার (৭ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এর সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।

তিনি আরও বলেন, আমরা নতুন উড়োজাহাজ কিনতে চাই। কারণ আমাদের বহর সম্প্রসারণের জন্য উড়োজাহাজ প্রয়োজন। বোয়িং এবং এয়ারবাস দুটি কোম্পানিই এক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা করছে। তারা তাদের প্রস্তাব বিমানের কাছে জমা দিয়েছে। প্রস্তাবটি বর্তমানে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি মূল্যায়ন করছে। মূল্যায়ন এখনো শেষ হয়নি। মূল্যায়ন শেষ হলে মূল্যায়ন কমিটি যে কোম্পানিকে সুপারিশ করবে আমরা সেখান থেকেই উড়োজাহাজ কিনব। 

মন্ত্রী বলেন, দুটি কোম্পানিই ভালো প্রস্তাব দিয়েছে। প্রস্তাব যাচাই বাছাই শেষে যেটি আমাদের জন্য ভালো হবে, যাতে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষিত হবে তার ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

ফারুক খান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে ক্যাটাগরি-১ এ উন্নীতকরণ ও  ঢাকা-নিউইয়র্ক ফ্লাইট চালুর বিষয়েও কথা হয়েছে। আমি বলেছি এটা আমাদের একটি রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি। সুতরাং এটির গুরুত্ব আমাদের কাছে অপরিসীম। আমরা দ্রুত এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আশা করছি। তার জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বলেছেন তারা আন্তর্জাতিক এভিয়েশন আইন ও তাদের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের নিয়ম মেনে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। 

এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বন্ধুত্ব, অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা বৃদ্ধি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমরা দুই দেশের বন্ধুত্বের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আগামীতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কোম্পানি এখানে ব্যবসায়িক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে চায়। বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান এভিয়েশন শিল্পের অংশীদার হওয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলির আগ্রহ রয়েছে। 

পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার কোন কারণ দেখছি না। আমাদের দিক থেকেও কোন কারণ নেই, যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকেও কোন কারণ নেই‌। আগেও দেশের বিভিন্ন কেনাকাটায় যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি অংশগ্রহণ করেছে। তখন হয়তো তারা কাজ পায়নি, হয়তো অন্য দেশের কোন কোম্পানি কাজ পেয়েছে। তাতে তো সম্পর্কে কোন প্রভাব পড়েনি। পণ্য কেনার ক্ষেত্রে পণ্যের গুণগত মান, দেশের আইন মেনে দেশের স্বার্থ যাতে রক্ষিত হয় তার উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

তিথি/এমএ/

পঁচা ডিম মেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা: তদন্ত কমিটি গঠন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫০ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫৮ পিএম
পঁচা ডিম মেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা: তদন্ত কমিটি  গঠন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের
ছবি : সংগৃহীত

গোপালগঞ্জে পঁচা ডিম মেরে শিক্ষককে লাঞ্ছনার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। 

রবিবার (৭ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেনকে প্রধান করে গঠিত কমিটিকে আগামী ১০ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। পরীক্ষায় অনৈতিক সুবিধা নিতে বাধা দেওয়ায় গোপালগঞ্জে শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক মৃণাল বিশ্বাসকে গত পহেলা জুলাই পঁচা ডিম মেরে লাঞ্চিত করা হয়।

গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত গোপালগঞ্জের সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের বিএ অনার্স পরীক্ষা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের আধুনিক মুসলিম রাষ্ট্রের ইতিহাস পরীক্ষা চলাকালে ৩-৪ জন শিক্ষার্থী দেখাদেখি ও কথা বলছিলেন। তখন ৪০৮নং কক্ষের দায়িত্বে ছিলেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজ, গোপালগঞ্জের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মৃণাল বিশ্বাস। তিনি তাদের বারবার সতর্ক করেন। এ সময় তারা শিক্ষকের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরে শিক্ষক খাতা নিয়ে নেওয়া হবে বলে জানান। এ ঘটনায় তারা ক্ষিপ্ত হয়। অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষার পরে কলেজের কাজ শেষ করে শহরের উদয়ন রোডের বাসায় যাওয়ার সময় বঙ্গবন্ধু ক্যাম্পাসের অডিটরিয়াম সড়কে পৌঁছালে তার মাথায় পেছন থেকে পঁচা ডিম ছুঁড়ে মারা হয়। ১ জুলাই এ ঘটনা ঘটে। ওইদিন রাতে থানায় অভিযোগ করা হয়।

কবির/এমএ/

অটিজম জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে সায়মা ওয়াজেদ-রাসিক মেয়র আলোচনা

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:১৬ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:২০ পিএম
অটিজম জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে সায়মা ওয়াজেদ-রাসিক মেয়র আলোচনা
ডব্লিউএইচও'র আঞ্চলিক পরিচালক অটিজম বিশেষজ্ঞ ড. সায়মা ওয়াজেদ'কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। ছবি: খবরের কাগজ

রাজশাহীতে আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিস সম্প্রসারণ, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও অটিজম জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিচালক অটিজম বিশেষজ্ঞ ড. সায়মা ওয়াজেদের সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

রবিবার (৭ জুলাই) দুপুরে ঢাকায় ডব্লিউএইচও-এর কার্যালয়ে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে নগর প্রাইমারি স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম সম্প্রসারণ, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও বিশেষ করে অটিজম জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে রাসিক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ ও সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেছেন অটিজম বিশেষজ্ঞ ড. সায়মা ওয়াজেদ।

এ ব্যাপারে মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন জানান, ডব্লিউএইচও-এর আঞ্চলিক পরিচালক ও প্রখ্যাত অটিজম বিশেষজ্ঞ ড. সায়মা ওয়াজেদের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। তিনি রাজশাহীবাসীর প্রাথমিক ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবা এবং অটিজম জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে ডব্লিউএইচও-এর পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেছেন। আমরা আশা করছি ডব্লিউএইচও'র সহায়তায় রাজশাহীর স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি ও আলোচিত ক্ষেত্রসমূহে উন্নতমানের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করতে পারবো। এতে মহানগরবাসীসহ এই অঞ্চলের মানুষেরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন। ফলে স্বাস্থ্যখাতে রাজশাহী অনেক এগিয়ে যাবে।

সভার শুরুতে ডব্লিউএইচও-এর আঞ্চলিক পরিচালক অটিজম বিশেষজ্ঞ ড. সায়মা ওয়াজেদ'কে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

সভায় ডব্লিউএইচও-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এফ এ এম আঞ্জুমান আরা বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এনায়েত করিম/এমএ/

শিক্ষক ও কোটা আন্দোলন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:০১ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:০১ পিএম
শিক্ষক ও কোটা আন্দোলন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কোটা আন্দোলন পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রবিবার (৭ জুলাই) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের মাঝে শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। 

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কোটা আন্দোলন পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। সময় মতো সমাধান হয়ে যাবে। আই হোপ সো অ্যান্ড আই বিলিভ সো।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যে ইস্যুতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে, সেটা সরকারের সিদ্ধান্ত নয়। আদালত রায় দিয়েছেন। এখন আলতের ব্যপারটি যখন চলমান, সেখানে যেটি আপিল বিভাগে আছে। এই বিষয় নিয়ে তো কথা বলা উচিত নয়। তবে এটি দেশের ব্যপার, তাই আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।

শিক্ষকদের সঙ্গে দ্রুত বসবেন কি-না; জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বসাবসিটাতো বিষয় না, তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। বসাবসিটা কখন হবে- সেটা বলতে পারছি না। তবে সময় মতো সমাধান হয়ে যাবে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের অর্থনৈতিক সম্পদ মাথায় রেখে সমস্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিতে হবে। কোনো অবস্থাতেই শ্রীলঙ্কার দৃষ্টান্তের পুনরাবৃত্তি কিংবা ভুলের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়- সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।
 
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ভালো কাজের যেমন পুরস্কার, সেভাবে খারাপ কাজের জন্য নিন্দা শাস্তির ব্যবস্থা থাকা দরকার। দুর্নীতি, কমিশন পারসেন্টেজ, প্রমোশন ট্রান্সফার এসব নিয়ে আগে অনেক কথা ছিল। এ প্র্যাকটিস বন্ধ করা হয়েছে, বিশেষ করে বিআরটিএ ও সড়ক বিভাগে।

সরকার নাকি মেগা প্রকল্পে মেগা দুর্নীতি করছে- বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাস্তবে সরকার মেগা প্রকল্পে মেগা দুর্নীতি নয়, মেগা সাশ্রয় করছে। তিন সেতু- মেঘনা, গোমতী ও কাঁচপুুর সেতুতে ১১ শ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। আর পদ্মা সেতুতে সাশ্রয় হয়েছে এক হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা।

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রত্যেক তিন মাস পরপরই আমরা প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রণালয় এই ঋণ ফেরত দিচ্ছে সরকারকে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে আমরা ঋণ নিয়েছি, সে অর্থ মন্ত্রণালয়কে আমরা আবার দিয়ে দিচ্ছি। যেভাবে পদ্মা সেতুতে টোল আদায় হচ্ছে, এতে আমি তো মনে করি, ২৫ বছর লাগবে না, ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে আমরা ঋণ ফেরত দিতে পারব। সূত্র: বাসস

অমিয়/

৪৮ ঘণ্টায় ৩৫ শিশু নিখোঁজের তথ্য গুজব: ডিএমপি

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৫ পিএম
আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৪:৪৯ পিএম
৪৮ ঘণ্টায় ৩৫ শিশু নিখোঁজের তথ্য গুজব: ডিএমপি
ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ৩৫ শিশু নিখোঁজের যে খবর ছড়িয়ে পড়েছে তা ‘ভিত্তিহীন গুজব’ বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যাণ্ড অপারেশন) খন্দকার মহিদ উদ্দিন।

রবিবার (৭ জুলাই) এ প্রসঙ্গে ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যাণ্ড অপারেশন) সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘৪৮ ঘণ্টায় ৩৫ শিশু নিখোঁজ হয়েছে এমন কোনো তথ্য ডিএমপির কাছে নেই। তদন্তে দেখা গেছে, একের পর এক শিশু নিখোঁজ হওয়ার এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। পোস্টে যাদের নিখোঁজ হওয়া কথা বলা হয়েছিল তাদের অনেককে পরে পাওয়া গেছে।’

তিনি বলেন, ‘গত ৪ থেকে ৬ মে পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টায় বিভিন্নভাবে শিশু নিখোঁজের ঘটনায় বিভিন্ন থানায় ৩৩টি জিডি করা হয়েছে। জুন মাসে, ৪ থেকে ৬ তারিখ পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টায় ৩৬টি জিডি করা হয়েছে। ৪ থেকে ৬ জুলাই ৭২ ঘণ্টায় ৩২টি জিডি করা হয়।’

আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা এ ধরনের কোনো তথ্য পাইনি।’

একই বক্তব্য দেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর আলমও।

শনিবার (৬ জুলাই) সকাল থেকে ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপ ও ব্যক্তিগত আইডি থেকে বিভিন্ন পোস্টে বলা হয়, ‘ব্রেকিং নিউজ, গত ৪৮ ঘণ্টায় ঢাকা ও চট্টগ্রামে ৩৫ শিশু নিখোঁজ হয়েছে।’ ফেসবুকে ব্যাপকভাবে এই তথ্য ছড়িয়ে পড়লে অভিভাবকরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

খাজা/পপি/অমিয়/