ঢাকা ১২ আষাঢ় ১৪৩১, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪

৫৩ বছরে নৌ দুর্ঘটনায় ২০ হাজার নিহত

প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৪, ০৮:১২ পিএম
আপডেট: ২৩ মে ২০২৪, ০৮:১২ পিএম
৫৩ বছরে নৌ দুর্ঘটনায় ২০ হাজার নিহত
ছবি : খবরের কাগজ

গত ৫৩ বছরে রাষ্ট্রীয় অবহেলায় ও অতিলোভী লঞ্চ মালিকদের চলাচলের অযোগ্য নৌযান দুর্ঘটনায় অন্তত ২০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ১৯৯১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ২৯ বছরে ৫৭০টি নৌ দুর্ঘটনায় ৩ হাজার ৬৫৪ জন মারা গেছেন। এ সব ঘটনায় ৫১৬ জন আহত ও ৪৮৯ জন নিখোঁজ হন। এসব দুর্ঘটনার মধ্যে যাত্রীবাহী নৌযানের সংখ্যা ২৩৬টি। ২০১৯ সালে ২৬টি নৌ দুর্ঘটনায় তিনজন মারা গেছেন, ৩৩ জন আহত ও ২০ জন নিখোঁজ হন। ২০১৭ সালে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির প্রকাশিত প্রতিবেদনে ৫০ বছরে দেশে নৌ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২০ হাজার ৫০৮ জন। 

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে নোঙর ট্রাস্টের আয়োজনে ‘ঢাকা নদী সম্মেলন-২০২৪’ প্রস্তুতি সভায় এ সব কথা জানানো হয়। 

এ সভায় দেশের নৌপথে নিহত সব শহিদের স্মরণে এবং নদী ও নৌযানের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২৩ মে ‘জাতীয় নদী দিবস’ ঘোষণার দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে দেশের সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা পদ্মা ও মেঘনা নদীর মোহনায় একটি স্মৃতিস্তম্ভ এবং নদী সংস্কৃতিবিষয়ক গবেষণা ইনস্টিটিউট নির্মাণের দাবি জানানো হয়। 

নোঙর ট্রাস্টের সভাপতি সুমন শামসের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ড. মো. আওলাদ হোসেন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও দৈনিক সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান।

সভায় ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘একসময় আমাদের দেশে প্রায় ১২শ’ নদী ছিল। এখন আমরা বলি ৭০০ নদী আছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই সংখ্যা কমে কত হয়েছে তা খতিয়ে দেখা দরকার। দেশে নদীর সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার পেছনে বড় একটা কারণ জলবায়ু পরিবর্তন। ৫০ বছর আগেও হিমালয় থেকে যে পরিমাণ পানি আসত, এখন তা আসে না। আরেকটি কারণ হলো জনসংখ্যার বৃদ্ধি। মানুষ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিল্পায়ন, নগরায়ণ ও কৃষির উৎপাদন বাড়ানোর কারণে পানির ব্যবহার বেড়েছে। যার প্রভাব পড়ছে নদীতে। সবার জন্য পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার জন্য আঞ্চলিক সহায়তা দরকার।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘কিছু অসাধু ও ক্ষমতাবান ব্যক্তিরা নদী দখল করে নেওয়ার পাঁয়তারা করছে। দেশে নদী দখলকারী ও বালি খেকোদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। একইসঙ্গে নদীতে যারা শিল্পবর্জ্য ফেলে নদীর পানি দূষণ করছে তাদের বিরুদ্ধেও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’ 

নোঙর ট্রাস্টের সভাপতি সুমন শামস বলেন, ‘দেশের ৪৩ শতাংশ নৌ দুর্ঘটনা ঘটে অন্য নৌযানের সঙ্গে ধাক্কায়, ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনে এবং ২৩ শতাংশ দুর্ঘটনা বৈরী আবহাওয়ার কারণে ঘটে। নৌ নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড, বিআইডব্লিউটিএর সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী টাস্কফোর্স গঠন করা প্রয়োজন। ত্রুটিপূর্ণ, সার্ভেবিহীন ও অনিবন্ধিত লঞ্চসহ সব ধরনের অবৈধ নৌযান চলাচল বন্ধে নৌপরিবহন অধিদপ্তর ও বিআইডব্লিউটিএর নিয়মিত অভিযান পরিচালনা, দুর্যোগ মৌসুম বিবেচনায় ঈদের আগে অবৈধ নৌযান চলাচল বন্ধে নৌপথে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালু রাখার বিকল্প নেই। লঞ্চের চালক এবং স্টাফদের যথাযথ প্রশিক্ষিত ও লাইসেন্স প্রাপ্ত হতে হবে। যাত্রীবাহী বৈধ লঞ্চের সংখ্যা বৃদ্ধি ও উন্নততর লঞ্চ সার্ভিস চালু করতে হবে।’

আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু কন্যা কখনো দেশ বিক্রি করেনি: শেখ সেলিম

প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৪, ১২:৩১ এএম
আপডেট: ২৬ জুন ২০২৪, ১২:৩১ এএম
আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু কন্যা কখনো দেশ বিক্রি করেনি: শেখ সেলিম
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, যারা সুযোগ পেলে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের কাছে বিক্রি করে দিত তাদের মুখে নেত্রীর বিরুদ্ধে দেশ বিক্রির অভিযোগ শোভা পায় না। 

মঙ্গলবার (২৫ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শেখ সেলিম বলেন, ‘বিএনপির নেতারা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নাকি দেশ বিক্রি করছে। তোমরা সুযোগ পেলে বাংলাদেশকে তো পাকিস্তানের কাছে বিক্রি করে দিতে, বা এমনিই দিয়ে দিতে। আওয়ামী লীগ কোনো দিন দেশ বিক্রির রাজনীতি করে না। বঙ্গবন্ধু কারও কাছে দেশ বিক্রি করে নাই, প্রধানমন্ত্রী কারও কাছে দেশ বিক্রি করা তো দূরের কথা এ দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিন্দুমাত্র নস্যাৎ হবে সেটা বঙ্গবন্ধুর মেয়ে কখনো মানবে না।’

ভারত বিরোধিতাকারীদের দেশের শত্রু মন্তব্য করে শেখ সেলিম বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের দুর্দিনের বন্ধু, যা রক্তের অক্ষরে লেখা। যুদ্ধের পরে মিত্রবাহিনী এত তাড়াতাড়ি দেশ ছেড়ে চলে যায় এমন ইতিহাস পৃথিবীর কোথাও নেই। স্বাধীনতার পর থেকে যারা ভারত বিরোধিতা করে আসছে, তারা দেশের শত্রু, জনগণের শত্রু, পাকিস্তানের এজেন্ট। তাদের উচিত এ দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া।’

৪ মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম স্থগিত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আইন ও নীতিমালা অনুসারে মানসম্পন্ন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা না করায় চারটি মেডিকেল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে এবং দুটি মেডিকেল কলেজের অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে। মঙ্গলবার সংসদে বাজেট অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন এসব তথ্য জানান। 

এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সরকারি ও বেসরকারি মিলে দেশে মোট মেডিকেল কলেজ ১১০টি। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সরকারি মেডিকেল কলেজ ৩৭টি, যার আসন সংখ্যা ৫ হাজার ৩৮০টি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত সরকারি মেডিকেল কলেজ একটি, যার আসন সংখ্যা ১২৫টি। এ ছাড়া বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ৭২টি। এর মধ্যে সেনাবাহিনী পরিচালিত বেসরকারি  মেডিকেল কলেজ ৫টি, যার আসন সংখ্যা ২৬০টি। অপর ৬৭টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন ৬ হাজার ২৯৭টি।

১৪ বছরে ২৬ হাজার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ: নৌ প্রতিমন্ত্রী

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানিয়েছেন, বিআইডব্লিউটিএর অভিযানে ২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সারা দেশে ২৬ হাজার ১৮১টি ছোট-বড় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে এবং প্রায় ১ হাজার ১৬০ দশমিক ৬২ একর নদীর তীরভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য খসরু চৌধুরীর প্রশ্নের উত্তরে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী এসব তথ্য জানান। 

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে নদী দখলের অপতৎপরতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে বিআইডব্লিউটিএ বিভিন্ন সময় ঘোষিত নদীবন্দর সীমানার মধ্যে এবং ক্ষেত্র বিশেষে অন্যান্য নদীর তীরভূমির অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রমের উদ্যোগ নেয়। ২০১০-২০২৪ সাল পর্যন্ত সমগ্র বাংলাদেশে ২৬ হাজার ১৮১টি ছোট-বড় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে এবং প্রায় ১ হাজার ১৬০.৬২ একর নদীর তীরভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। উচ্ছেদ কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রায় শতভাগ অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করা হয়েছে এবং এখনো বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক নিয়মিতভাবে এর কার্যক্রম অব্যাহত আছে।’

এ ছাড়া দেশের নৌ যোগাযোগ স্বাভাবিক রাখতে গত ১৫ বছরে ভরাট হওয়া ৪৯১টি নদী খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ভরাট হওয়া ওইসব নদী খননের জন্য একটি ড্রেজিং কনসেপ্ট পেপার তৈরি হয়েছে। সেই অনুযায়ী বিআইডব্লিউটিএ ১৭৮টি নদী ও পানি উন্নয়ন বোর্ড ৩১৩টি নদী খনন করবে। ২০০৯ সাল থেকে বিআইডব্লিউটিএ খননের মাধ্যমে ৩ হাজার ৭৩৩ কিলোমিটার নৌপথে নাব্য এনেছে।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে দেশের সবচেয়ে বড় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়েছে ১১ কোটি ৩৪ লাখ টন। আমদানি-রপ্তানির এ কার্যক্রম থেকে রাজস্ব আয় হয়েছে ৪১০০ কোটি টাকার বেশি। 

সব উপজেলায় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী 

সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান জানিয়েছেন, দেশের সকল উপজেলায় ‘উপজেলা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র’ নির্মাণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। ১ম পর্যায়ে ২৩টি উপজেলায় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের বিষয়ে সমীক্ষা কার্যক্রম শেষ হয়েছে। ওইসব উপজেলায় এখন ডিপিপি প্রণয়নের কাজ চলছে। মঙ্গলবার সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।

 

ধর্ষণ মামলা মাওলানা মামুনুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ১১:২৮ পিএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ১১:২৮ পিএম
মাওলানা মামুনুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
মাওলানা মামুনুল হক। ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ রয়েল রিসোর্টে কথিত স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার দায়ের করা ধর্ষণ মামলার শুনানিতে সশরীর হাজির না হওয়ায় মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালত। মঙ্গলবার (২৫ জুন) নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রাকিবউদ্দিন জানান, হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক তার কথিত স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণাকে নিয়ে সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টের ৫০১ নম্বর কক্ষ ভাড়া নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় জান্নাত আরা ঝর্ণা বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করে আসার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। সম্প্রতি ওই মামলায় মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ থেকে জামিন লাভ করেন। জামিনের শর্ত ছিল আদালতের হাজিরার সময় সশরীরে উপস্থিত থাকবেন। তবে মঙ্গলবার ছিল ধর্ষণ মামলার হাজিরার ধার্য তারিখ। মামুনুল হক আদালতে উপস্থিত না হয়ে তার আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরার আবেদন করেন। আদালতের শর্ত ভঙ্গ করার অভিযোগে জামিন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

মতিউর ও স্ত্রী-সন্তানদের ব্যাংক, বিও হিসাব জব্দ

প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৪, ১২:২০ এএম
আপডেট: ২৬ জুন ২০২৪, ১২:২০ এএম
মতিউর ও স্ত্রী-সন্তানদের ব্যাংক, বিও হিসাব জব্দ
মতিউর রহমান। খবরের কাগজ গ্রাফিকস

এনবিআরের সাবেক সদস্য মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের ৮টি ব্যাংক হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। এদিকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডকে (সিডিবিএল)  মতিউর রহমান এবং তার পরিবারের ১৬টি বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট (বিও হিসাব) স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিএফআইইউ এবং বিএসইসি এ নির্দেশনা দেয়। 

বিএফআইইউয়ের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা খবরের কাগজকে জানান সন্দেহজনক ব্যাংক হিসাব তদন্তের স্বার্থে, প্রতিবারে ৩০ দিন করে সর্বোচ্চ ৭ বার জব্দ বা স্থগিত করতে পারে বিএফআইইউ। আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে এসব ব্যাংক হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি, লেনদেন বিবরণী ইত্যাদি তথ্য সরবরাহের জন্য নির্দেশ দেয় বিএফআইইউ। 

অপরদিকে পুঁজিবাজারে কারসাজির অভিযোগে মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী-সন্তানদের ১৬টি বিও হিসাব স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম খবরের কাগজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  

জব্দ করা ব্যাংক ও বিও হিসাবগুলো হলো- মতিউর রহমান, তার প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ, দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিবলী, দ্বিতীয় স্ত্রীর মেয়ে ইফতিমা রহমান মাধুরী, দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত, প্রথম স্ত্রীর মেয়ে ফারজানা রহমান (ইপ্সিতা), প্রথম স্ত্রীর ছেলে আহাম্মেদ তৌফিকুর রহমান এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে ইরফানুর রহমান ইরফানের। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত শুধু প্রাইভেট প্লেসমেন্ট প্রক্রিয়ায় ২০ কোম্পানিতে নিজ নাম ছাড়াও স্ত্রী, নিকটাত্মীয় এবং স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোম্পানির নামে ২০১০ সাল থেকে গত বছর পর্যন্ত প্লেসমেন্ট শেয়ার নিয়েছেন মতিউর। 

পুঁজিবাজারে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে বিও হিসাব ও শেয়ার ধারণসংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণ করে সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড বা সিডিবিএল। বিএসইসি এই প্রতিষ্ঠানকে বিও হিসাব স্থগিত করার নির্দেশ দেয়। 

মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুরোধে বিএসইসি ও বিএফআইইউ এ আদেশ দেয়। 

মতিউর বছরের পর বছর ধরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে তার উচ্চপদের অপব্যবহার করেছেন এবং আর্থিক ও রিয়েল এস্টেট সম্পদসহ কয়েক শ কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

ঈদুল আজহার আগে ঢাকার সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কিনতে গিয়ে আলোচনার জন্ম দেন মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত। তবে শুরুতে ইফাতকে ছেলে হিসেবে অস্বীকার করেন মতিউর রহমান। পরে অবশ্য জানা যায়, সে তারই ছেলে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা ও খবর প্রকাশিত হতে থাকে।

এরপর মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে রিসোর্ট, শুটিং স্পট, বাংলো, জমিসহ নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির তথ্য বের হয়ে আসে।

 

 

পরোক্ষ ধূমপানের শিকার প্রায় ৪ কোটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ১০:৩০ পিএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ১০:৩০ পিএম
পরোক্ষ ধূমপানের শিকার প্রায় ৪ কোটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ
ছবি : সংগৃহীত

দেশে দেশে ৩ কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করেন। আর এর ফলে কর্মক্ষেত্রসহ জনসমাগমস্থল ও গণপরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন ৩ কোটি ৮৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। একই সঙ্গে তামাকজনিত বিভিন্ন রোগে প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। 

মঙ্গলবার (২৫ জুন) ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে হাসপাতালের সভাকক্ষে তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ‘বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণে চিকিৎসকদের অংশগ্রহণ: সফলতা ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এসব তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী। 

সেমিনারে সম্মানিত অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘তামাক খাত থেকে সরকার প্রতিবছর যে পরিমাণ ট্যাক্স পায়, তার থেকে কয়েকগুণ বেশি তামাকজনিত চিকিৎসায় ব্যয় হয়। তামাকে ৭ হাজার কেমিক্যাল রয়েছে, যার মধ্যে ন্যূনতম ৭-৮টি উপাদান সরাসরি ক্যানসারের জন্য দায়ী।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘বিদ্যমান তামাক আইন সংশোধনের ব্যাপারে আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আইন সংশোধনের ব্যাপারে আগ্রহী।’ 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ-এর সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভী। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দেশে মোট মৃত্যুর ৬৭ শতাংশই অসংক্রামক রোগের কারণে ঘটছে। আর এই অসংক্রামক রোগ সৃষ্টির অন্যতম কারণ ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার। তাই এই অকালমৃত্যু ঠেকাতে অবিলম্বে বিদ্যমান আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।’ 

সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল, সিটিএফকের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ডা. মাহিন মালিক, যুক্তরাষ্ট্রের গ্লোবাল টোব্যাকো ব্রাঞ্চের প্রধান ড. ইন্দু আহলুওয়ালিয়া, কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আর রশিদ প্রমুখ।

এ ছাড়াও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে বিলম্ব হওয়ায় তামাক ব্যবহারজনিত মৃত্যু ও ক্ষয়ক্ষতি বাড়ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তামাকবিরোধী সংগঠন প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স (আত্মা)। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানারস কনফরেন্স রুমে অনুষ্ঠিত ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন: অগ্রগতি, বাধা ও করণীয়’ শীর্ষক সাংবাদিক কর্মশালায় তামাকের ক্ষতি হ্রাসে আইনের সংশোধনী দ্রুত চূড়ান্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন বক্তারা। 

কর্মশালায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস (সিটিএফকে) এর রিজিওনাল ডিরেক্টর সাউথ এশিয়া প্রোগ্রামস ডা. মাহিন মালিক, বাংলাদেশ লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আত্মার কনভেনর লিটন হায়দার প্রমুখ। 

বাংলাদেশের সাংবাদিকদের প্রশংসা যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ১০:১২ পিএম
আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ১০:১২ পিএম
বাংলাদেশের সাংবাদিকদের প্রশংসা যুক্তরাষ্ট্রের
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। 

ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার (২৪ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ প্রশংসা করেন। 

অতি সম্প্রতি সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদসহ কয়েকজন কর্মকর্তার দুর্নীতি নিয়ে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর সংবাদ প্রকাশে সতর্ক থাকার বিষয়ে বিবৃতি দেয় বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএসএ)। 

এই বিবৃতি নিয়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও গণমাধ্যমকর্মীদের স্বাধীন ভূমিকার সমর্থনে কথা বলেন ম্যাথিউ মিলার। 

তিনি বলেন, ‘কার্যকর গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান বজায় রাখতে এবং সরকারের স্বচ্ছতা প্রচারে মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমের ভূমিকাকে আমরা দৃঢ়ভাবে সমর্থন করি। সাংবাদিকদের হয়রানি বা ভয় দেখানোর যেকোনো প্রচেষ্টায় আমরা আপত্তি জানাই।’

মুক্ত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের শান্তি, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা ইস্যুতে হাসিনা-মোদি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের বিষয়েও প্রশ্ন করা হয় ম্যাথিউ মিলারকে। জানতে চাওয়া হয়, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিয়েও। জবাবে মুখপাত্র বলেন, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র।’