সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের সম্পদে যেকোনো মুহূর্তে গাজীপুর জেলা প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযান হতে পারে। এ কথা জানিয়ে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আইন অনুযায়ী তাদের সাত দিনের সময় দিয়ে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। যেকোনো সময়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হবে।’
বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে গাজীপুরের সদর ও কালীগঞ্জে বিপুল পরিমাণ জমি ক্রয়ের তথ্য পাওয়া গেছে। এসব জমির বেশির ভাগই তিনি কিনেছেন হিন্দু ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের লোকজনের কাছ থেকে। কালীগঞ্জের নাগরী ইউনিয়নের বেতুয়াটেক গ্রামে বেনজীর ও তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে-বেনামে প্রায় ১৮১ বিঘা জমি রয়েছে। ভয় দেখিয়ে পানির দামে এসব জমি ক্রয় করার অভিযোগ রয়েছে বেনজীরের বিরুদ্ধে। যাদের কাছ থেকে জমিগুলো কেনা হয়েছে তারা হলেন সুধীর দাসের ছেলে সুদেব দাস, নরেশ মল্লিকের ছেলে কাশীনাথ মল্লিক, পরেশ মল্লিক ও আশুতোষ মল্লিক, সিলভেস্টার রোজারিওর ছেলে প্রদীপ রোজারিও, তার মেয়ে তারামনি, লোপেজ টছকানুর ছেলে হেনরি টছকানু, রিচার্ড টছকানু, রায়মন রোনাল্ড টছকানু ও দুই মেয়ে মিসেস রেবেকা কুইয়া ও রিনা টছকানু, হরেন্দ্র চন্দ্র গোপের ছেলে আশুতোষ ঘোষ ও সুশীল ঘোষ।
বন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, বনের জায়গা উদ্ধারে চলতি সপ্তাহে ভাওয়াল রিসোর্টে অভিযান চালানো হতে পারে। ইতোমধ্যে আইনি প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। আদালত রিসোর্টের মামলা খারিজ করে দিয়েছেন। এখন চলছে বন বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি।
এ বিষয়ে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক জানান, ভাওয়াল রিসোর্টের করা এক মামলায় এই জমির বিষয়ে একটি স্থগিতাদেশ ছিল। এ কারণে বন বিভাগ চাইলেও জেলা প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। তবে ২০১৭ সালেই জেলা জজ আদালতের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগ যৌথভাবে আপিল করে। গত বৃহস্পতিবার এর রায় হয়েছে। আদালত আপিলটি গ্রহণ করে স্থগিতাদেশটি প্রত্যাহার ও ভাওয়াল রিসোর্টের মামলা খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে এখন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনায় কোনো বাধা নেই।