ময়মনসিংহের পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ে সারা বছরই কমবেশি যানজট লেগে থাকে। ঈদের আগ মুহুর্তে যানবাহনের চাপ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। ফলে যানজটও বাড়ে কয়েকগুণ। এই যানজট পাটগুদাম মোড় ছাড়িয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু পার হয়ে তিন-চার কিলোমিটার পর্যন্ত হয়।
তবে এবার পুলিশের তৎপরতায় যানজট ভয়াবহ না হালেও পাটগুদাম ব্রিজ মোড়টি গলার কাটা হয়েই রয়ে গেছে। দুই মিনিটে পার হওয়ার মতো এই মোড়টি পার হতে চালকদের সময় লাগছে এক থেকে দেড় ঘন্টা।
রবিবার (১৬ জুন) বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, শত শত যানবাহন ব্রিজ মোড়ে আটকে আছে। কিছুক্ষণ পর পর দু’চার গজ এগোচ্ছে।
শেরপুর, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জগামী গাড়িগুলো ব্রিজ মোড় পার হতেই দ্রুত যেতে পারছে। কারণ যাওয়ার পথে সড়ক ফাঁকা। তবে একই সড়কে বিপরীত দিক থেকে আসা গাড়িগুলো নড়ছেই না। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। গাড়ির চাকা না ঘুরায় তারা বসে থাকতে হচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা।
পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ে একটি বাসের যাত্রী খায়রুজ্জামান খবরের কাগজকে বলেন, যানজট নিরসনের জন্য পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এতে কাজ হচ্ছে না। কারণ বেশিরভাগ গাড়ির চালক মোড়ে গাড়ি দাঁড় করিয়ে যাত্রী উঠানামা করছে। ফলে মোড়টি যানজটমুক্ত হচ্ছে না।
শেরপুরগামী একটি বাসের চালক জালাল উদ্দিন বলেন, মোড়টি পার হতে পারলেই পুরো সড়ক ফাঁকা। তবে এক ঘন্টাতেও মোড়টি পার হতে পারিনি। এ কারণে গাড়ির তেল বেশি পুড়ছে, যাত্রীরাও ভোগান্তিতে পড়েছেন।
কিশোরগঞ্জগামী বাসের চালক স্বপন মন্ডল বলেন, যানজটমুক্ত সড়ক উপহার দিতে পুলিশের চেষ্টার কমতি নেই। এ কারণে ব্রিজ মোড়ে যানজট থাকলেও বাকী সড়ক ফাঁকা। কিন্তু মোড়ে যানজট নিরসনে পুলিশ ব্যর্থ। অনেক চালক পুলিশের সামনে মোড়ে যাত্রী তুললেও পুলিশ কিছুই বলছে না।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক (প্রশাসন) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান খবরের কাগজকে বলেন, রেজিস্ট্রেশন বিহীন বহু যানবাহন সড়কে চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। তবুও ঈদের আগে বরাবরের মতো গাড়ির সংখ্যা বেড়ে গেছে। ফলে ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতায় অন্য সব সড়কগুলো ফাঁকা থাকলেও পাটগুদাম ব্রিজ পর্যন্ত এসে জটলার সৃষ্টি হচ্ছে।
তিনি বলেন, মোড়ে পুলিশের চোখের সামনে কোনো গাড়িতে যাত্রী উঠানামা করতে পারে না। তবে যানজট পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের চেষ্টার কমতি নেই।
কামরুজ্জামান মিন্টু/অমিয়/