![বুয়েটে নতুন করে আবরারের মতো মর্মান্তিক পরিণতি হতে পারে : ছাত্রদল](uploads/2024/04/03/1712154193.Chatrodol.jpg)
‘বুয়েটে ছাত্রলীগের কার্যক্রম চালুর পদক্ষেপ বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। বুয়েটের শিক্ষার্থীরা এখন শঙ্কিত এই কারণে যে, ছাত্রলীগের কার্যক্রম পুনরায় চালু হলে তাদের পড়াশোনা এবং ক্লাস পরীক্ষা বাদ দিয়ে ছাত্রলীগের মিছিল, মিটিং, গেস্টরুমে হাজিরা দিতে হবে। তাদের কর্মসূচিতে অংশ না নিলে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হবে। ছাত্রলীগের ক্যাডারদের বিরাগভাজন হলে হল থেকে বিতাড়িত করা হতে পারে। বুয়েটের প্রতিটি শিক্ষার্থী আতঙ্কিত। কারণ যেকোনো মুহূর্তে তাদের যে কারও জীবনে ছাত্রলীগের নির্যাতনে শহিদ আবরারের মতো মর্মান্তিক পরিণতি নেমে আসতে পারে।’
বুধবার (৩ এপ্রিল) ডিআরইউ-এ সাগর-রুনী মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর উদ্ভূত পরিস্থিতি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। ছাত্রদল মনে করে, ছাত্রলীগের প্রাণঘাতী নির্যাতন থেকে নিস্তার পেতেই বুয়েটের শিক্ষার্থীরা বুয়েটে ছাত্রলীগের রাজনীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।’
রাকিব বলেন, ‘ছাত্রদল মনে করে, বুয়েটের শিক্ষার্থীদের আপাত দৃষ্টিতে ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে যে অবস্থান তার একক দায়ভার ছাত্রলীগের। ছাত্রলীগ দীর্ঘদিন ধরে খুনি, ধর্ষক, নারী নির্যাতনকারী, প্রশ্নফাঁসকারী, মাদক কারবারি এবং টেন্ডারবাজদের অভয়ারণ্য। দেশপ্রেমিক মেধাবী শিক্ষার্থী শহিদ আবরার ফাহাদকে হত্যা করে তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সব সীমা অতিক্রম করেছে। একইসঙ্গে দেশের ছাত্ররাজনীতির ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছে। ছাত্রদলসহ কোনো গণতান্ত্রিক ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের এই দুষ্কর্মের দায়ভার বহন করবে না।’
তিনি বলেন, ‘বুয়েটে ছাত্রলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার পরে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা স্বস্তি এবং নিরাপত্তা লাভ করেছে। কারণ বুয়েটসহ দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগ টর্চারসেল গড়ে তুলেছে।’
লিখিত বক্তব্যে ছাত্রদল বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ক্যাম্পাসে অপরাজনীতির বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে। পাশাপাশি বুয়েটসহ দেশের সব ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ নির্বাচন এবং সহাবস্থান দাবি করে।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, ‘দেশ এখন গভীর সংকটে। ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদকে নিকৃষ্টতম হত্যা করেছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। ছাত্রলীগ আবারও আদালতের রায় নিয়ে ছাত্ররাজনীতি করার যে অপচেষ্টা চালাচ্ছে তা ছাত্ররাজনীতির জন্য কলঙ্কজনক অধ্যায়। আমরা আদালতের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু আদালত বুয়েট প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মতের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন।’
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছিরের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুম, সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান, দফতর সম্পাদক (সহসভাপতি) জাহাঙ্গীর প্রধান, প্রচার সম্পাদক শরীফ প্রধান শুভ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন প্রমুখ।
সবুজ/সালমান/