![ইসলামে বিয়ে সহজ](uploads/2023/11/25/1700883725.WhatsApp Image 2023-11-25 at 6.52.01 AM (1).jpeg)
পৃথিবীর অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখার অন্যতম মাধ্যম বিয়ে। বিয়ের মাধ্যমে লজ্জাস্থানের হেফাজত হয়। পাপের দরজা বন্ধ হয়। বিয়েতে রয়েছে অনেক বরকত। কিন্তু বর্তমানে বিয়েকে নানাভাবে কঠিন ও জটিল করা হচ্ছে। বিয়ে কঠিন হওয়ার পেছনে বিশেষভাবে বর্তমান সমাজব্যবস্থা দায়ী। সমাজ আমাদের মাথায় ঢুকিয়ে দিয়েছে, দরিদ্রতা ও অভাব থাকলে বিয়ে করা যাবে না। অথচ রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘যে দারিদ্র্যের ভয়ে বিয়ে থেকে বিমুখ থাকল, সে যেন আল্লাহর ব্যাপারেই মন্দ ধারণা পোষণ করল।’ (আবু দাউদ)
বিয়ের পাত্র চাকরিজীবী বা প্রতিষ্ঠিত না হলে অনেক মেয়েপক্ষ বিয়ে দিতে চান না। এ পরিস্থিতিতে ছেলেরা মনে করছে, বিয়ে করতে হলে আগে চাকরিজীবী বা প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। অথচ বিয়ের সহজীকরণের ব্যাপারে আল্লাহর সুস্পষ্ট ঘোষণা— ‘যদি তারা দরিদ্র হয়, তবে আল্লাহ স্বীয় অনুগ্রহে তাদের স্বাবলম্বী বানিয়ে দেবেন।’ (সুরা নুর, আয়াত: ৩২)
বিয়ে করতে আগ্রহী ছেলের যদি সামর্থ্য না থাকে, সেক্ষেত্রে রাসুল (সা.) সুন্দর ও সহজ সমাধান দিয়েছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘হে যুব সম্প্রদায়, তোমাদের মধ্যে যারা বিয়ে করার সামর্থ্য রাখে, তারা যেন বিয়ে করে। কেননা, বিয়ে তার দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং লজ্জাস্থান হেফাজত করে। যার বিয়ে করার সামর্থ্য নেই, সে যেন রোজা রাখে। কেননা, রোজা তার যৌনতাকে দমন করবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৫০৬৬)
বিয়েতে দেনমোহর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মোহর সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘এবং স্ত্রীদের মোহর মনের সন্তোষসহকারে আদায় করো।’ (সুরা নিসা, আয়াত: ৪)
বর্তমানে মোহর নিয়ে বেশি জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। মেয়ের পক্ষ থেকে ছেলের সামর্থ্যের বাইরে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে আকাশচুম্বী মোহরের অঙ্ক— যা কখনো ইসলাম সমর্থন করে না। দেনমোহরের পরিমাণ স্বামীর অবস্থানুযায়ী বেশি বা কম হতে পারে। তবে পরিমাণ একবারে কমও হবে না— যা মেয়ের সম্মানহানি হয়। আবার বেশি পরিমাণও হবে না— যা ছেলের ওপর জুলুম হয়ে যায়। তাই এ ব্যাপারে স্বামীর অর্থনৈতিক শক্তি-সামর্থ্য বিবেচনা করে যৌক্তিকভাবে উভয়পক্ষের সম্মতিক্রমে মোহর নির্ধারণ করতে হবে।
লেখক: শিক্ষার্থী, আরবি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়