![যেসব কারণে অজু ভেঙে যায়](uploads/2024/07/02/ش-1719890560.jpg)
প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের ওপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ। নামাজের জন্য অজু করতে হয়। অজু ছাড়া নামাজ হবে না। নামাজ ছাড়াও ইসলামে বেশ কিছু কাজ রয়েছে, যেগুলোর জন্য অজু থাকা আবশ্যক। অজু ভঙ্গের সাতটি কারণ রয়েছে, সেগুলো এখানে তুলে ধরা হলো—
- পায়খানা ও পেশাবের রাস্তা দিয়ে কোনো কিছু বের হওয়া। যেমন বায়ু, পেশাব-পায়খানা, পোকা ইত্যাদি। (হেদায়া: ১/৭)। পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তোমাদের কেউ প্রসাব-পায়খানা সেরে আসলে (নামাজ পড়তে পবিত্রতা অর্জন করে নাও)।’ (সুরা মায়িদা, আয়াত : ০৬)। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘শরীর থেকে যা কিছু বের হয়, তার কারণে অজু ভেঙে যায়...।’ (সুনানে কুবরা লিল বায়হাকি, হাদিস: ৫৬৮)
- রক্ত, পুঁজ বা পানি বের হয়ে গড়িয়ে পড়া। (হেদায়া : ১/১০)। আবদুল্লাহ বিন উমর (রা.)-এর যখন নাক দিয়ে রক্ত ঝড়তো, তখন তিনি ফিরে গিয়ে অজু করে নিতেন। (মুয়াত্তা মালেক, হাদি: ১১০)
- মুখ ভরে বমি করা। আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তির বমি হয় অথবা নাক দিয়ে রক্ত ঝরে বা মজি (সহবারের আগে বের হওয়া সাদা পানি) বের হয়, তাহলে ফিরে গিয়ে অজু করে নেবে।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১২২১)
- থুথুর সঙ্গে রক্তের ভাগ সমান বা বেশি হওয়া। হাসান বসরি (রহ.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি তার থুথুতে রক্ত দেখে তাহলে থুথুতে রক্ত প্রবল না হলে তার ওপর অজু করা আবশ্যক হয় না।’ (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা, হাদিস: ১৩৩০)
- চিৎ বা কাত হয়ে হেলান দিয়ে ঘুম যাওয়া। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সিজদা অবস্থায় ঘুমালে অজু ভঙ্গ হয় না, তবে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়লে ভেঙে যাবে, কেননা চিৎ বা কাৎ হয়ে শুয়ে পড়লে শরীর ঢিলে হয়ে যায়।’ (ফলে বাতকর্ম হয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে) (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ২৩১৫)
- পাগল, মাতাল বা অচেতন হলে। হাম্মাদ (রহ.) বলেন, যখন পাগল ব্যক্তি সুস্থ্ হয়, তখন নামাজের জন্য তার অজু করতে হবে। (মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস: ৪৯৩)
- নামাজে উচ্চৈঃস্বরে হাসি দিলে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নামাজে উচ্চৈঃস্বরে হাসে, সে ব্যক্তি অজু ও নামাজ পুনরায় আদায় করবে।’ (দারা কুতনি, হাদিস: ৬১২)
লেখক: আলেম ও অনুবাদক