![তওবা করার নিয়ম](uploads/2024/06/24/tawbaq-1719203115.jpg)
তওবা শব্দের অর্থ ফিরা, ফিরে আসা, প্রত্যাবর্তন করা ইত্যাদি। পরিভাষায় তওবা বলা হয়, শরিয়তবহির্ভূত নিষিদ্ধ কাজ ত্যাগ করে ইসলাম নির্দেশিত কাজ করার মাধ্যমে আল্লাহর পথে ফিরে আসা এবং আল্লাহর বিধানের ওপর অটল-অবিচল থাকা। আল্লাহতায়ালা তওবা করার আদেশ দিয়ে পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন, ‘হে মুমিনরা, তোমারা সবাই আল্লাহর কাছে তওবা করো; যাতে তোমরা সফল হতে পারো।’ (সুরা নুর, আয়াত: ৩১)
আল্লাহতায়ালা আরও বলেন, ‘হে মুমিনরা, তোমরা আল্লাহর কাছে তওবা করো; খাঁটি তওবা।’ (সুরা তাহরিম, আয়াত: ৮)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘হে মানবজাতি, তোমরা আল্লাহর কাছে তওবা করো।’ (মুসলিম, হাদিস: ৭০৩৪)
শয়তান মানুষের আজন্ম শত্রু। সে সব সময় মানুষের পদস্খলন চায়। শয়তানের অভিনব প্রলোভনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় পা দিয়ে ফেলে অনেকেই। তাই বিশেষজ্ঞ আলেমরা বলেন, সবসময় তাওবা করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ওয়াজিব। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং পবিত্রতা অর্জনকারীকে ভালোবাসেন।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ২২২)
তওবা যেভাবে করতে হয়
মহান আল্লাহর হক বা অধিকার সম্পর্কিত হলে তিনটি শর্ত বাস্তবায়ন করলেই তওবা হয়ে যাবে। শর্ত তিনটি হলো—
- পুরোপুরিভাবে পাপ ছেড়ে দিতে হবে।
- পাপের জন্য অনুশোচনা করতে হবে, লজ্জিত ও অনুতপ্ত হতে হবে।
- ওই পাপ দ্বিতীয়বার না করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে, দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করতে হবে। এবং এর ওপর অটল ও অবিচল থাকতে হবে।
মানুষের হক বা অধিকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হলে আরও একটি শর্ত যুক্ত হবে, তা হলো সেই ব্যক্তি মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে অথবা তার পাওনা-প্রাপ্তি, হক ফিরিয়ে দিতে হবে। এই শর্তগুলো পূরণ করলেই তওবা শুদ্ধ হবে। অন্যথায় তওবা বিশুদ্ধ হবে না।
তওবা জান্নাতপ্রাপ্তি ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি এবং আল্লাহর ক্ষমা ও ভালোবাসা লাভের একটি বড় সুযোগ ও উপায়। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাওবাকারীকে ভালোবাসেন।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ২২২)
লেখক: আলেম ও গবেষক