পিএসজি ছাড়ার পর লিওনেল মেসি ক্লাবটির প্রতি সম্মান দেখাননি বলে মন্তব্য করেছেন নাসের আল খেলাইফি। ফরাসি রেডিও আরএমসির সঙ্গে আলাপচারিতায় আর্জেন্টাইন তারকাকে নিয়ে এমন নেতিবাচক মন্তব্য করেন তিনি।
রেডিওতে তিনি বলেন, ‘আমি তাকে (মেসি) অনেক সম্মান করি। কিন্তু কেউ যদি পিএসজি ছেড়ে যাওয়ার পর ক্লাবটি নিয়ে বাজে কথা বলে, তাহলে সেটি ভালো নয়। এটা সম্মান দেওয়া হলো না।’
বার্সেলোনা ছেড়ে ২০২১ সালে পিএসজিতে যোগ দিয়ে ক্লাবটিতে দুই মৌসুম খেলেন মেসি। সেসময় ৭৫ ম্যাচে করেন ৬৭ গোল। দুবার জিতেছেন ফরাসি লিগও।
গেল বছর ক্লাবের অনুমতি না নিয়ে সৌদি আরবে যাওয়ায় মেসিকে নিষিদ্ধও করেছিল পিএসজি। চুক্তি শেষ হওয়ার পর পিএসজি চুক্তি বৃদ্ধি করতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত গত বছর জুলাইয়ে পিএসজি ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেন মেসি।
পিএসজি সভাপতি নাসের আল খেলাইফি আরএমসিকে বলেন, ‘আমরা তখনই কথা বলি, যখন সেখানে থাকি, চলে যাওয়ার পর কথা বলি না। আমি তাকে (মেসি) অনেক সম্মান করি। কিন্তু কেউ যদি পিএসজি ছেড়ে যাওয়ার পর ক্লাবটি নিয়ে বাজে কথা বলে, তাহলে সেটি ভালো নয়। এটা সম্মান দেওয়া হলো না। সে মানুষ হিসেবে খারাপ নয়, কিন্তু ব্যাপারটা আমার ভালো লাগেনি। আর এই কথাটা শুধু তার জন্য নয়, সবার জন্যই।’ খেলাইফি আরও বলেছেন, ‘আমি চাই, খেলোয়াড়েরা সেখানে (পিএসজি) থাকতে কথা বলুক, চলে যাওয়ার পর নয়। এটা আমাদের ধরন নয়।’
পিএসজিতে কাটানো দুই মৌসুম নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না মেসি। গত বছর আগস্টে মুখ খুলেছিলেন মেসি। মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পর স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে প্রথম আলাপচারিতায় বলেছিলেন, ‘আগেই বলেছি, আমি প্যারিসে যেতে চাইনি, বার্সেলোনাও ছাড়তে চাইনি। ব্যাপারগুলো হঠাৎ করেই ঘটে গেল। আর আমাকেও এমন জায়গায় মানিয়ে নিতে হয়েছে, যে জায়গাটা আমি এত দিন যেখানে যেভাবে বেড়ে উঠেছি, তার চেয়ে একদমই আলাদা। সেটা খেলাধুলা এবং শহর—দুটি দৃষ্টিকোণ থেকেই। এটা আমার জন্য কঠিন ছিল, তবে এখন (মায়ামিতে) যা ঘটছে, ব্যাপারটা তার উল্টো।’
মেসির প্রতি হতাশ হলেও তাকে নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি বদলায়নি পিএসজি সভাপতি খেলাইফির। আরএমসিকে বলেছেন, ‘মেসি ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়। বার্সেলোনায় অনেক বছর কাটিয়ে (পিএসজিতে) আসাটা তার জন্য সহজ ছিল না। বার্সেলোনায় তার জন্য সবকিছুই করা হয়েছে। ক্লাব, ম্যানেজমেন্ট, কোচ, খেলোয়াড়—সবই ছিল মেসির জন্য। কিন্তু এখানে (পিএসজি) ব্যাপারটা এক রকম ছিল না। নেইমার এবং কিলিয়ান এমবাপ্পের মতো আরও কয়েকজন খেলোয়াড় ছিল।’