![হংকং একাদশের বিপক্ষে না খেলার কারণ জানালেন মেসি](uploads/2024/02/06/1707218825.Lionel-Messi.jpg)
হংকং একাদশের বিপক্ষে ইন্টার মায়ামির হয়ে লিওনেল মেসি মাঠে নাম নামায় বইছে সমালোচনার ঝড়। কেননা, ইন্টার মায়ামি ও হংকং একাদশ ম্যাচের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন ছিলেন মেসি। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের খেলা গ্যালারিতে বসে দেখতে সর্বনিম্ন ১২৫ ডলারের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৪ হাজার টাকা) টিকিট কিনেছেন হংকংয়ের ফুটবলপ্রেমীরা।
সে ম্যাচে হংকং একাদশকে ৪-১ গোলে ইন্টার মায়ামি পরাজিত করলেও পুরো সময় বেঞ্চে বসে কাটিয়ে দেন মেসি। এ নিয়ে বেজায় চটেছেন হংকংয়ের ফুটবলপ্রেমীরা। ম্যাচের শেষ দিকে মেসিকে দুয়োও দিয়েছেন তারা। দিয়েছে টিকিটের মূল্য ফেরত চেয়ে স্লোগানও।
এমন পরিস্থিতি দেখে হংকংয়ের ক্রীড়ামন্ত্রী কেভিন ইয়েউং বলেছেন, এই ম্যাচে মেসিকে অন্তত ৪৫ মিনিট খেলানো হবে বলে চুক্তি হয়েছিল। এরপরও তাকে কেন খেলানো হয়নি, অবশেষে এই ব্যাখ্যা দিয়েছেন মেসি নিজেই।
হংকং একাদশের বিপক্ষে না খেলা নিয়ে এবার মুখ স্বয়ং মেসি। অনেক আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দেওয়া বিষয়টি নিয়ে মেসি বলেন, ‘হংকং ম্যাচে আমার খেলতে না পারাটা দুর্ভাগ্য। সৌদি আরবে প্রথম ম্যাচ খেলার সময় আমি অ্যাডাক্টর পেশিতে (ঊরুর পেশি) অস্বস্তি অনুভব করি। এ কারণে আমি মাঠ থেকে উঠে যাই। (সৌদি আরবে) দ্বিতীয় ম্যাচে দেখতে চেয়েছিলাম কী রকম বোধ করি। কারণ, এমআরআই করানোর পর আমি জানতে পেরেছিলাম যে আমার অ্যাডাক্টর পেশিতে ফোলা আছে। কোনো চোট ছিল না বলে সেই ম্যাচে আমি খেলার চেষ্টা করেছি।’
হংকংয়ে খেলতে না পেরে তিনি নিজেও যে হতাশ হয়েছেন, এরপর সেটাই বলেছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক, ‘আমি যে হংকং ম্যাচে খেলতে পারিনি, এটা দুঃখজনক। আমি সব সময়ই খেলতে চাই। বিশেষ করে আমরা যখন সফর করি এবং মানুষ আমাদের ম্যাচ দেখার জন্য উন্মুখ থাকে।’ এরপর হংকংয়ের ফুটবলপ্রেমীদের সান্ত্বনা দেওয়ারই যেন চেষ্টা করেছেন মেসি, ‘আশা করছি আমরা আবার আসব এবং আরেকটা ম্যাচ খেলব আর আমি সেখানে থাকব। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, আমার খেলতে না পারাটা দুঃখজনক।’
সৌদি আরবে দ্বিতীয় ম্যাচে আল নাসরের বিপক্ষে শেষ দিকে বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন মেসি। এরপর হংকংয়ে হংকং একাদশের বিপক্ষে খেলতে চলে যায় মায়ামি। এমএলসের দলটি হংকংয়ে পৌঁছানোর পরই মেসিকে নিয়ে শুরু হয় উন্মাদনা। তাঁকে কাছ থেকে একনজর দেখতে রাস্তায় নামে হাজার হাজার মানুষ। একপর্যায়ে সেখানকার পুলিশ শহরের রাস্তা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়।