![অনেক কিছু প্রমাণের বাকি সাইফউদ্দিনের](uploads/2024/02/17/1708148380.Saifuddin.jpg)
চোট জর্জর ক্যারিয়ারে সুখের সময়টা কখনো লম্বা হয়নি মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের। অথচ একজন জেনুইন পেস বোলিং অলরাউন্ডারের কমপ্লিট প্যাকেজই তো তিনি। বিপিএলে গত বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে ফরচুর বরিশালের হয়ে তার পারফরম্যান্সের কথাই ধরা যাক না। তামিম ইকবালের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের পরও আগে ব্যাটিংয়ে নামা বরিশালের পুঁজিটা প্রত্যাশিত জায়গা খুঁজে পাচ্ছিল না। এমন সময় ২৭ বছর বয়সী সাইফউদ্দিন খেললেন ৬ বলে ২৩ রানের অপরাজিত ইনিংস। এবারের আসরের অন্যতম সেরা বোলার শরিফুল ইসলামকে শেষ ওভারে কী দুঃস্বপ্নই না উপহার দিলেন।
টানা চার বলে দুটি করে বাউন্ডারি ও ছক্কা হাঁকান তিনি। এরপর বল হাতেও ছিলেন সমান কার্যকরী। ঢাকার ইনিংসে দ্বিতীয় ওভারে আক্রমণে এসেই দুই উইকেট তুলে নেন। পরে নেন আরও এক উইকেট। যদিও তামিম ইকবালের পারফরম্যান্সের কারণে পার্শ্ব নায়ক হয়েই থাকতে হয় তাকে। কিন্তু এই সাইফউদ্দিনকে কী আর একেবারে আড়ালে রাখা যায়?
পিঠের চোটের কারণে লম্বা সময় মাঠের বাইরে ছিলেন সাইফউদ্দিন। দীর্ঘ প্রায় ৯ মাস পর গত ৬ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরেন। ফেরার ম্যাচেও অলরাউন্ড পারফরম্যান্স মেলে ধরেছিলেন। বল হাতে ২৪ রান খরচায় ১ উইকেট নিয়েছিলেন। এরপর ব্যাট হাতে খেলেন ১৮ বলে ৩০ রানের অপরাজিত ইনিংস। তবে ওই ম্যাচে তার দল হেরে যায়। এরপর ঢাকা ও চট্টগ্রামে পর পর দুই ম্যাচে ঢাকার বিপক্ষে আলো ছড়ান তিনি। ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিপক্ষে ব্যাট হাতে সুযোগ পাননি। তবে বল হাতে নেন ২১ রানে ৩ উইকেট। দলও জয় পায়। চট্টগ্রামে এসে সেই একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে আরও উজ্জ্বল ছিলেন।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সাইফউদ্দিনের দল বরিশাল মুখোমুখি হবে সিলেট স্ট্রাইকার্সের। এ ম্যাচের জন্য গতকাল জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের আউটারে ঘাম ঝরিয়েছে বরিশাল। অনুশীলনের ফাঁকে সংবাদমাধ্যমে মুখোমুখি হয়ে সাইফউদ্দিন নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে বলেন, ‘আসলে অনেক কিছু প্রমাণ করার বাকি আছে। এক-দুইটি ম্যাচ দেখে খুশি হওয়ার কোনো কারণ নেই। আরও যদি সুযোগ পাই, আরও বড় দলের সঙ্গে যদি করতে পারি তখন হয়তো বুঝব কতটা উন্নতি হয়েছে।’
বিপিএল দিয়ে মাঠে ফেরার আগে সাইফউদ্দিন সবশেষ ম্যাচ খেলেছিলেন গত বছর মে-তে, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। লম্বা সময় মাঠের বাইরে থাকায় শ্রীলঙ্কা সিরিজে বিবেচিত হননি তিনি। সাইফউদ্দিন বিষয়টি খুব সহজভাবেই দেখছেন। তবে এখন প্রতিটি সুযোগ কাজে লাগিয়ে আসছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
সাইফউদ্দিন বলেন, ‘আমি আশাবাদী। যদি আরও ভালো খেলি, তাহলে বিশ্বকাপের আগে যে সিরিজ থাকবে, সেখানে হয়তো বিবেচনা করবে। সেই লক্ষ্যে আমি আমার সেরাটা দিয়ে অনুশীলন করার চেষ্টা করব, নির্বাচকদের নজরে আসার চেষ্টা করব।’