গেল বছরের জুলাই মাসের ৬ তারিখ অশ্রুসিক্ত নয়নে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায়ের একদিন পর প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ অনুরোধে আবারও ফিরে আসেন অবসর ভেঙে। বিশ্বকাপের আগে সবশেষ সিরিজে ঘরের মাঠে দুই ম্যাচে মাঠে নামেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। যদিও এরপর নানা নাটকীয়তায় তার আর বিশ্বকাপে যাওয়া হয়নি। বিপিএল দিয়ে মাঠের ক্রিকেটে ফেরত এসে নেতৃত্ব দিয়ে ফরচুন বরিশালকে প্রথমবারের মতো জিতিয়েছেন শিরোপা। বিপিএলে তামিমের ব্যাট থেকেই এসেছে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ৪৯২ রান। হয়েছেন ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্টও।
বিশ্বকাপের পর তামিম জানিয়েছিলেন বিপিএলের মাঝেই তিনি জানাবেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার ভবিষ্যৎ। সদ্য শেষ হওয়া বিপিএলে দারুণ পারফরম্যান্সে দলকে শিরোপা জেতালেও এই বিষয়ে কিছুই জানাননি। তবে ফাইনাল শেষে নতুন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেনের সঙ্গে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না, আমার সঙ্গে তার কোনো কথাবার্তা হয়নি। আমার সঙ্গে জালাল ভাইয়ের কথা হয়েছে। আমি কথা বলার জন্য অ্যাভেইলেবল ছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সম্ভবত...আমার সঙ্গে বসার কথা ছিল। কিন্তু আমাদের যোগাযোগ আছে। আমি আগামীকাল সকালে আবার দেশের বাইরে চলে যাচ্ছি। আশা করি আসার পর আবার আমরা বসব।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তামিম চাইলেই ফিরে আসছেন না এমনটাও নিশ্চিত করে বলেছেন। পরিস্কার করে না বললেও তার কথায় স্পষ্ট ফিরে আসা নিয়ে জাতীয় দলে অনেক শর্ত বেঁধে দিয়েছেন তিনি, ‘একটা জিনিস পরিষ্কারভাবেই আপনাদের বলতে চাই, আমার জন্য ফিরে আসতে অনেক কিছু ঠিক হতে হবে। নয়তো শুধু এসে খেলার কোনো পয়েন্ট নেই। কারণ, আমি ক্যারিয়ারের এমন স্টেজে আছি, হয়তো দুই বছর খেলব। ওই কথাগুলো ওনাদের সঙ্গে বলতে হবে।’
ফাইনাল জেতার পর সংবাদ সম্মেলনে এমন সিরিয়াস কথাবার্তার মাঝে মজা করেছেন নিজের ফিটনেস নিয়েও। গত সেপ্টেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ম্যাচ খেলার সময় তামিম নাকি আরও ভালো শারীরিক অবস্থায় ছিলেন, ‘ফিজিক্যালি আমি ওই সময় আরও ভালো ছিলাম। এখন তো একটু পেট–টেট বের হয়েছে। শারীরিকভাবে আমি ওই সময় আরও ভালো অবস্থায় ছিলাম।’
