ঢাকা ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪

বাবা-কোচকে ট্রফি উৎসর্গ ইয়ারজানের

প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৪, ১১:১৬ এএম
আপডেট: ১১ মার্চ ২০২৪, ১১:১৬ এএম
বাবা-কোচকে ট্রফি উৎসর্গ ইয়ারজানের
ছবি : সংগৃহীত

টাইব্রেকারে তিন-তিনটি শট রুখে দেশকে শিরোপা এনে দিয়েছেন ইয়ারজান বেগম। হয়েছেন টুর্নামেন্টের সেরা গোলরক্ষক। তার মতো সুখী এই মুহূর্তে আর কে হতে পারে! পঞ্চগড়ের মেয়ে ইয়ারজান সত্যিই সুখী, গর্বিতও।

সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে গতকাল ভারতকে হারানোর মূল কারিগর ছিলেন ইয়ারজান। ১-১ সমতায় ম্যাচ শেষ হওয়ার পর টাইব্রেকারে নির্ধারণ হয় ম্যাচের ফল। যেখানে শুরুতে পিছিয়ে পড়ার পরও ইয়ারজানের দৃঢ়তায় ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ভারতের নেওয়া পঞ্চম শটটি ইয়ারজান রুখে দিতেই আনন্দে ফেটে পড়ে বাংলাদেশের ডাগআউট। ইয়ারজান তখন মাটিতে লুটিয়ে অঝোর কাঁদছিলেন। ম্যাচ শেষে কথা বলার সময়ও জড়িয়ে যাচ্ছিল তার কণ্ঠ। নেপাল থেকে বাফুফের পাঠানো ভিডিওতে বলছিলেন, ‘প্রথম কোনো টুর্নামেন্ট খেলছি এবার। আমার কোচদের আমি ধন্যবাদ জানাই আমাকে এই পর্যায়ে আনার জন্য। আজকে অনেক খুশি আমি। এই প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে আমি সেরা গোলরক্ষক হয়েছি।’

সেরা গোলরক্ষক হওয়ার ট্রফি কাকে উৎসর্গ করতে চান? এমন প্রশ্ন করতেই আপ্লুত কণ্ঠে ইয়ারজান বলেন, ‘আমি আমার বাবা ও কোচকে উৎসর্গ করছি।’ কোচ বলতে দলের গোলরক্ষক কোচ আরিফুর রহমান পান্নুর কথা বুঝিয়েছেন ইয়ারজান। যিনি জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক গোলরক্ষক।

সাফের বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের দাপট শুরু থেকেই। তবে সেই দাপটের মাঝেও ছিল একটা আক্ষেপ। ২০১৭ সালে প্রথমবার আয়োজিত অনূর্ধ্ব-১৫ সাফে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। কিন্তু এরপর এই প্রতিযোগিতার তিনটি আসরে রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের। সবশেষ ২০২৩ সালে অনূর্ধ্ব-১৭ ফরম্যাটে আয়োজিত আসরেও রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। সাফের ওই প্রতিযোগিতাটি এবার আয়োজিত হয়েছে অনূর্ধ্ব-১৬ ফরম্যাটে। যেখানে চ্যাম্পিয়ন হয়ে এক অর্থে শিরোপা পুনরুদ্ধার করল বাংলাদেশ।

ঠিক এক মাস আগে অনূর্ধ্ব-১৯ সাফেও শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। তবে সেটা ছিল মহানাটকীয়তার ফাইনাল শেষে যৌথ চ্যাম্পিয়নশিপ। এবার এককভাবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় বাংলাদেশের মেয়েদের আনন্দ বেড়ে গেলে অনেক। দলের কোচ সাইফুল বারী টিটু বললেন, ‘এটার আনন্দ অন্য রকম। বিশেষ করে বিদেশের মাটিতে বলে।’ তবে এই অর্জনের সব কৃতিত্ব মেয়েদের দিয়েছেন টিটু, ‘একটা জিনিস হচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৬ দলকে তৈরি করার জন্য সময় ছিল খুব কম। সেই হিসেবে ওরা যা করেছে, তা অসাধারণ। সব কৃতিত্ব মেয়েদের। এখানে আমার বিন্দুমাত্র কোনো অবদান নেই।’

বাংলাদেশ অধিনায়ক অর্পিতা বিশ্বাস বললেন, ফাইনালের আগের দিন ট্রফির সঙ্গে ফটোসেশনের সময় থেকেই ট্রফি নিয়ে ঘরে ফেরার স্বপ্ন আঁকছিলেন তিনি। সতীর্থদেরও তিনি সেটা বলেছিলেন। স্বপ্ন পূরণ হওয়ার আনন্দ নিয়ে তাই তার উচ্চারণ, ‘আমি এখন সার্থক যে ট্রফিটা আমাদের কাছে ধরে রাখতে পেরেছি।’

ফাইনালের আগ পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার রেসে ছিলেন সুরভী আকন্দ প্রীতি। শেষ পর্যন্ত এই পুরস্কার না পেলেও সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন। সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে না পারার কোনো আক্ষেপ নেই তার, ‘সর্বোচ্চ গোলদাতা না হওয়ার জন্য আফসোস নেই। কারণ চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা জরুরি ছিল।’

প্রীতির কণ্ঠেও উঠে এল ইয়ারজানের বীরত্বের কথা, ‘ইয়ারজান যেভাবে সেভ দিয়েছে, আমাদের আলাদা আত্মবিশ্বাসই ছিল ও ভালো কিছু করবে। আমরা পেনাল্টিতে জিতব।’ সত্যিই জিতেছে বাংলাদেশ। এই অর্জনকে নিজেদের পরিশ্রমের ফল বললেন প্রীতি, ‘আমরা দুই মাস কষ্ট করে এখানে এসেছি। সবাই যে কষ্ট করেছি, সেটার ফল আল্লাহ দিয়েছে আমাদের।’

ফাইনালে বৃষ্টি হলে যেভাবে নির্ধারণ হবে শিরোপা

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৯:০৫ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৯:১৭ পিএম
ফাইনালে বৃষ্টি হলে যেভাবে নির্ধারণ হবে শিরোপা
ছবি : সংগৃহীত

ম্যাচের সময় বৃষ্টির আগমন এবারের বিশ্বকাপে একেবারে স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যভাবে বললে আতঙ্কের নামও। গ্রুপ পর্ব থেকে সুপার এইট হয়ে সেমিফাইনালেও আগমন ঘটেছে বৃষ্টির। ফাইনালেও রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, বার্বাডোসে ফাইনালের দিন নামতে পারে বৃষ্টি।

প্রথম সেমিফাইনালে রিজার্ভ ডে থাকলেও, ছিল না দ্বিতীয় সেমিতে। বৃষ্টি হলেও ম্যাচে তা কোনো প্রভাব পড়েনি। ইংল্যান্ডকে ৬৮ রানে হারিয়ে এক দশক পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পা রেখেছে ভারত। সে ম্যাচ বৃষ্টির কারণে ভেস্তে গেলে সুপার এইটে এগিয়ে থাকায় ফাইনালে ভারতই উঠতো।

তবে ফাইনালে বৃষ্টি শঙ্কা থাকলেও রাখা হয়েছে রিজার্ভ ডে। দুইদিনই যদি বৃষ্টির কারণে ম্যাচ ভেস্তে যায় তাহলে দুই দলকেই যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হবে।

এবারের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী ফাইনালে বৃষ্টি হলে ১৯০ মিনিট বা ৩ ঘন্টা ১০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে ওভার কাটার জন্য। ম্যাচের ফলাফল আনার জন্য কমপক্ষে খেলা হতে হবে দুই দলের কমপক্ষে১০ ওভার করে। এই ১০ ওভারের খেলার ফাইনালের দিন শেষ না হলে খেলা গড়াবে রিজার্ভ ডেতে।

রিজার্ভ ডেতেও খেলা না হলে যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন হবে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাচ টাই হয়ে সুপার ওভারে খেলা গড়ালে সেখানেও যদি ফলাফল না আসে বৃষ্টির কারণে, সেক্ষেত্রেও যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হবে দুই দলকে।

বিব্রতকর রেকর্ডে সৌম্য-তামিমের পাশে কোহলি

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৬:৩৯ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৬:৩৯ পিএম
বিব্রতকর রেকর্ডে সৌম্য-তামিমের পাশে কোহলি
ছবি : সংগৃহীত

দাপুটে পারফরম্যান্স করে ভারত ফাইনালে পা রাখলেও ব্যাট হাতে এখনও ভালোকিছু করতে পারেননি বিরাট কোহলি। এবারের বিশ্বকাপে ৭ ইনিংসে এখন পর্যন্ত মাত্র ৭৫ রান করেছেন তিনি ১০.৭১ গড়ে। এর মধ্যে রয়েছে দুটি শূন্য। সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেছেন তিনি সুপার এইটে বাংলাদেশের বিপক্ষে। অধিনায়ক রোহিত শর্মা অবশ্য আস্থা হারাচ্ছেন না কোহলির ওপর।

কোহলির এই রান খরার মাঝেই সামনে এসেছে এক বিব্রতকর রেকর্ড। যেই রেকর্ডে রয়েছে কোহলিরও নাম। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এক আসরে সর্বনিম্ন ৫ ইনিংস খেলেছেন এমন ব্যাটারদের মধ্যে কোহলির গড় তৃতীয় সর্বনিম্ন। যে তালিকায় প্রথম অবশ্য সৌম্য সরকার। ২০১৬ বিশ্বকাপে তিনি রান করেছিলেন ৯.৬০ গড়ে। এটি আবার বিশ্বকাপের ইতিহাসে কোনো ওপেনারের সর্বনিন্ম গড়।

এই তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে অবস্থান জিম্বাবুয়ের ওয়েসলি মাধেভেরে। তার গড় বেশি ৯.৮০। এরপর কোহলি। তার গড় ১০.৭১।

এই তালিকায় বাংলাদেশের আছেন তিনজন। কোহলির পরেই তার অবস্থান। তিনি তানজিদ হাসান তামিম। প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে এসে এমন বিব্রতকর রেকর্ডে বসে গেছে তার নাম। এবারের বিশ্বকাপে ১০.৮৫ গড়ে তার ব্যাটে এসেছে ৭৬ রান। 

২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স দিয়ে তামিম ইকবালের অবস্থান পঞ্চম। প্রথম আসরে তার গড় ছিল ১১.২০। ৫ ম্যাচ খেলে করেছিলেন ৫৬ রান। 

ভারত ফাইনালে পা রাখায় কোহলির সামনে এখন এই বিব্রতকর রেকর্ড থেকে নিজের নাম সরিয়ে ফেলার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া ১২১৬ রান নিয়ে এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপে সবসময়ের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের তালিকায় সবার ওপরেন অবস্থান করছেন তিনি।

ফাইনালে ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে যারা

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৫:৫৪ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৫:৫৭ পিএম
ফাইনালে ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে যারা
ছবি : সংগৃহীত

দরজায় কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল। যেখানে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে আসরের সেরা দুই দল দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত। দুই দলই অপরাজেয় হয়ে পা রেখেছে ফাইনালে। ফাইনালে যেই দলই জিতুক না কেন, সেই দলই কোনো ম্যাচ না হেরেই শিরোপা উঁচিয়ে ধরার রেকর্ড গড়বে।

সেই ম্যাচকে ঘিরে যারা ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে থাকছেন তাদের নাম নিশ্চিত করেছে আইসিসি। মূলত দুই সেমিফাইনালে দায়িত্ব পালন করা আম্পায়ারদের মধ্য থেকেই বেছে নেওয়া হয়েছে বার্বাডোসে হতে যাওয়া ফাইনালের জন্য। 

আগামীকাল বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে মাঠে গড়াবে ফাইনাল। যেখানে অনফিল্ড আম্পয়ারের দায়িত্ব পালন করবেন ইংল্যান্ডের রিচার্ড ইলিংওর্থ ও  নিউজিল্যান্ডের ক্রিস গ্যাফানি।  

তৃতীয় আম্পায়ারের দায়িত্বে পেয়েছেন আরেক ইংলিশ আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবোরো। চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবে থাকছেন অস্ট্রেলিয়ার রডনি টাকার।

ফাইনালে কোহলি জ্বলে উঠবেন বিশ্বাস রোহিতের

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৫:১১ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৫:১১ পিএম
ফাইনালে কোহলি জ্বলে উঠবেন বিশ্বাস রোহিতের
ছবি : সংগৃহীত

২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরের শিরোপা ঘরে তোলার পর দ্বিতীয়বার এই সংস্করণের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ভারত। যদিও ২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার পর আইসিসির বেশ কয়েকটি বিশ্ব আসরের ফাইনালে পা রাখার পরও শিরোপার স্বাদ নিতে পারেনি দলটি।

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে পা রাখার পর পুরস্কার বিতরণীতে রোহিতকে দিতে হয়েছে এবার কি ভারত পারবে - এমন প্রশ্নের জবাব ‘আমরা নিজেদের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করব। দল ভালো অবস্থায় আছে। আশা করি, ফাইনালে আমরা ভালো খেলব।’

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দাপুটে খেলে ফাইনালে ওঠার পরও দুশ্চিন্তা কাটছে না দলের বিরাট কোহলিকে নিয়ে। আসরের শুরু থেকেই চলছে রান খরা। যদিও ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা কোহলির ফর্ম নিয়ে খুব একটা যে চিন্তিত নন সেটি স্পষ্ট হয়েছে তার কথায়, ‘আমরা তার ক্লাস সম্পর্কে জানি। ১৫ বছর ধরে খেললে ফর্ম কোনো সমস্যাই নয়। সম্ভবত ফাইনালের জন্য জমিয়ে রেখেছে।’

দুঃসময়ে কেবল অধিনায়ক নয়, ভারতের এই তারকা ব্যাটার পাশে পাচ্ছেন দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়কেও। তিনিও কথা বলেছেন রোহিতের সুরেই, ‘বিরাটকে আপনারা জানেন। একটু ঝুঁকিপূর্ণ ক্রিকেট খেললে সব সময় সফল হওয়া যায় না। আজও (গতকাল ম্যাচে) যেমন, সে একটি ছক্কা মারার পর ভাবলাম ম্যাচের গতিপ্রকৃতি হয়তো ঠিক করে দেবে। কিন্তু তার দুর্ভাগ্য বলটি একটু সিমের ওপর মুভমেন্ট করেছে। তবে ইন্টেন্ট ভালো লেগেছে।’

দ্রাবিড় এরপর ফাইনালে কোহলির রানে ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে বলেছেন, ‘এমন কিছু বলতে চাই না, যাতে হিতে বিপরীত হয়; তবে আমার মনে হয় বড় কিছুই আসছে। তার আচরণ ভালো লাগে এবং মাঠে যেভাবে নিজেকে নিংড়ে দেয়—আমার মনে হয় তার এটা (রানে ফেরা) প্রাপ্য।’

আগামীকাল বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে ব্রিজটাউনে হতে যাওয়া ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে ভারত।

তাসকিনের বিশ্বাস দুই সিনিয়রের অফফর্ম ভুগিয়েছে

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ১২:৫২ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০২:২০ পিএম
তাসকিনের বিশ্বাস দুই সিনিয়রের অফফর্ম ভুগিয়েছে
ছবি- সংগ্রহীত

দীর্ঘ ভ্রমণের পর আজ সকালে ঢাকায় পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ থাকলেও শেষ পর্যন্ত সুপার এইট থেকে বাজে বাংলাদেশের বিদায় ঘণ্টা। গ্রুপপর্বের তিন জয়ের পর আর কোনো ম্যাচ নিজেদের পক্ষে নিতে পারেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। দেশে ফিরে পেসার তাসকিন আহমেদ বলেন, ‘জন সিনিয়রের ফর্মে না থাকা অবশ্যই প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু মাঠের বাইরে প্রভাব পড়েনি। ৪৭ দিন একসঙ্গে ছিলাম, সবাই একসঙ্গে ছিলাম। অফ দ্য ফিল্ডে সব ভালো ছিল। দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়রা অফ ফর্মে থাকলে ওই দলে সমস্যা হওয়াটাই স্বাভাবিক। আশা করছি দ্রুত সামনে এসব কাটিয়ে উঠব।’

বিশ্বকাপে ব্যাটারদের পারফরম্যান্স নিয়ে হয়েছে তুমুল সমালোচনা। এই বিষয়ে তাসকিন বলেন, ‘ব্যাটিং বিপর্যয় যেটা, আসলে সত্যি বলতে বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে যুক্তরাষ্ট্রে যখন খেলা হয়েছে, তখন কিন্তু ব্যাটারদের ফেভার খুব কম ছিল। আপনারা যদি স্ট্যাট চেক করেন, অন্যান্য দেশের ব্যাটার, বড় বড় দলগুলোও স্ট্রাগল করেছে। ওখানে বোলারদের একটু অ্যাডভান্টেজ ছিল।’ 

বিশ্বকাপে নজর কেড়েছেন রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিবের মতো তরুণরা। বোলিং ইউনিটে ভর করে বাংলাদেশ শিবিরে আসে তিন জয়। তাসকিন বলেন, ‘মাশাআল্লাহ তানজিম সাকিব, রিশাদ এরা সেরা পাঁচ উইকেটশিকারীর মধ্যে ছিল। রিশাদ এখনও আছে। ওভারঅল ভালো করছে মাশাআল্লাহ। এটা খুব পজেটিভ সাইন বাংলাদেশ থেকে ফিউচার স্টাররা উঠে আসবে। অলরেডি বিশ্বকে বোঝানো হয়েছে যে আমাদের সবার মধ্যে ডিফারেন্ট অ্যাবেলেটি আছে।’