প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ তথা আইসিসির কোনো বৈশ্বিক আসরে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেওয়া আফগানিস্তান দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং তোপে অলআউট হয়েছে মাত্র ৫৬ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে প্রথমবারের মতো ফাইনালে যেতে লক্ষ্য এখন ৫৭ রান।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার সম্মিলিত আক্রমণে ৫৬ রানের বেশি করতে পারেনি রশিদ খানরা। মার্কো ইয়ানসেন ও তাব্রাইজ শামসি নেন সমান ৩টি করে উইকেট। ২টি করে নেন কাগিসো রাবাদা ও আনরিখ নরকিয়া।
দলীয় ৪ রানে রানের খাতা খোলার আগেই রহমানউল্লাহ গুরবাজের উইকেট হারানোর পর দলীয় ২০ রানে আরেক ওপেনার ইব্রাহীম জাদরানের উইকেটও হারায় আফগানিস্তান। তার উইকেট পর ২০ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে আফগানরা। দ্বিতীয় উইকেটটি ছিল গুলবাদীন নাইবের। দলের প্রধান দুই ব্যাটারের উইকেট হারিয়ে সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি আফগানিস্তান। এরপর অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নবী ফিরে যান রাবাদার বলে রানের খাতা খোলার আগেই বোল্ড হয়ে। ফলে ২০ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। এই চার উইকেটের মধ্যে সমান দুটো করে শিকার করেন ইয়ানসেন ও রাবাদা।
বাকিরাও ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে ব্যস্ত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০ রান করেন আজমতউল্লাহ ওমরাজ আউট হন নরকিয়ার বলে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮ রান করেন রশিদ খান ও করিম জান্নাত। রশিদকেও নরকিয়া ফেরান আর করিমকে শামসি। ০ এবংব ২ রান করে আউট হন নুর ও নভীন শামসির বলেই। তিনিই অলআউট করেন আফগানদের। মাঝে খারোতের উইকেট নেন ইয়ানসেন।