ঢাকা ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪

১ ওভারে ৪৩ রানের বিব্রতকর রেকর্ড রবিনসনের

প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৪, ০৯:১০ পিএম
আপডেট: ২৬ জুন ২০২৪, ০৯:১০ পিএম
১ ওভারে ৪৩ রানের বিব্রতকর রেকর্ড রবিনসনের
ছবি : সংগৃহীত

হার্শেল গিভস ও যুবরাজ সিংয়ের কল্যাণে ক্রিকেটবিশ্ব দেখেছে এক ওভারে সর্বোচ্চ ছয় ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ড। এই দুই ব্যাটারই দেখিয়েছেন কীভাবে বৈধ ছয় বলে সর্বোচ্চ ৩৬ রান নিতে হয়। ছয় ছক্কার রেকর্ডের কথা আসলেই সামনে আসে স্টুয়ার্ট ব্রডের নাম।

গত বছর জুলাইয়ের ২৯ তারিখ সব ধরনের আন্তর্জারিক ক্রিকেট থেকে অবস্রের ঘোষণা দেন ইংলিশ এই তারকা পেসার। এবার বল হাতে ক্রিকেট লজ্জার রেকর্ড গড়েছেন আরেক ইংলিশ পেসার ওলি রবিনসন। এক ওভারে তিনি দিয়েছেন ৪৩ রান।

সাসেক্সের বিপক্ষে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচে এক ওভারে ৪৩ রান দেওয়ার বিব্রতকর রেকর্ড গড়েছেন লেস্টারশায়ারের রবিনসন। তাকে পিটিয়ে এক রান নিয়েছেন লুইস কিম্বার।

মূলত ওভারটি ছিল ৯ বলের। যেখানে রবিনসন দেন ৩টি নো বল। ৯ বলের ওভারে ৫টি ছয়ের পাশাপাশি ছিল তিনটি চার ও একটি সিঙ্গেল। এই ওভারের মাধ্যমে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে এক ওভারে সবচেয়ে বেশি রান হজম করা বোলার এখন ওলি রবিনসন।

ম্যাচের ৫৯তম ওভারে এই অঘটন ঘটান লুইস কিম্বার। শুরুটা করেছিলেন ছয় মেরে। এরপর নো বলেও ছয় হাঁকান লেস্টারশায়ারের লুইস। এরপর দ্বিতীয় বৈধ ডেলিভারিতে মারেন চার, চতুর্থ বলেও চার মারেন। মাঝের তৃতীয় বলে ছয়। পঞ্চম বলটিও নো বল দেন রবিনসন, সে বলেও তিনি হজম করেন ছয়।

দীর্ঘ ওভারটির বৈধ পঞ্চম বলে চার আসে কিম্বারের ব্যাট থেকে। রবিনসন ওভারের শেষ বলটিও নো বল করেন। সেটিও অনায়াসে ছক্কা হাঁকান কিম্বার। আর শেষ বলে এক রান নিয়ে মোট ৪৩ রান যোগ করেন সেই ওভারে।

টুর্নামেন্ট সেরার দৌড়ে এগিয়ে যারা

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ০৩:২০ পিএম
আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪, ০৩:২২ পিএম
টুর্নামেন্ট সেরার দৌড়ে এগিয়ে যারা
ছবি : সংগৃহীত

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দারুণ ছন্দে আছেন ভারতের হিটম্যান খ্যাত ব্যাটার অধিনায়ক রোহিত শর্মা। সতীর্থ ওপেনার বিশ্বসেরা ব্যাটার বিরাট কোহলি যেখানে রান খরায় ভুগছেন। একের পর এক ম্যাচে দলকে বিপদে রেখে দ্রুত আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরছেন। সেখানে দারুণ ব্যাটিং করে দলকে শুরুতেই ভালো একটা সূচনা এনে দিচ্ছেন রোহিত। এ কারণেই মূলত তাকে চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টুর্নামেন্ট সেরার দৌড়ে সবার আগে এগিয়ে রাখছেন ক্রিকেট বিশ্লেষক-বোদ্ধা থেকে সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীরা। বিশেষ করে শেষ দুটি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া (৯২ রান) এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে (৫৭ রান) খেলা ইনিংস দুটি তাকে সবার থেকে আলাদাভাবে এগিয়ে রাখছে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল ভারতের সেমিফাইনালে ওঠার সিঁড়ি। এরপর সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রোহিতের ৫৭ রানের ইনিংসে ভর করে ফাইনালের টিকিট পায় শিরোপা প্রত্যাশী ভারত।

চলতি বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচে ৩টি ফিফটিসহ ৪১ গড়ে মোট ২৪৮ রান সংগ্রহ করেছেন রোহিত শর্মা। স্ট্রাইকরেটটা দারুণ, ১৫৫.৯৭। বিশ্বকাপে এখনো এক ম্যাচ বাকি রোহিতের। ফাইনাল ম্যাচ। সেই ম্যাচ খেলতে আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামবেন রোহিতরা। এই ম্যাচেও তার কাছ থেকে দারুণ কিছুর প্রত্যাশা তার সমর্থকদের। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে বড়সড় একটা ইনিংস খেলতে পারলে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার নিশ্চিত হয়ে যাবে রোহিতের। তবে ম্যাচে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে না পারলে সেক্ষেত্রে সেরার দৌড়ে আর যারা এগিয়ে রয়েছেন তাদের পারফরম্যান্স তখন বিবেচনায় আসবে। বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে রোহিতের পাশাপাশি এগিয়ে রয়েছেন আফগানিস্তানের রহমানুল্লাহ গুরবাজ। এবারের আসরে আফগানিস্তানকে সেমিফাইনালে তুলে আনার পেছনে ব্যাটিংয়ে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন তিনি। ৮ ম্যাচে ৩৫.১২ গড়ে ২৮১ রান সংগ্রহ করেছেন। যা এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান। ৩ ফিফটিতে ১২৪ স্ট্রাইকরেটে রান তুলেছেন গুরবাজ। তার দল সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে। ফাইনালে উঠতে পারলে গুরবাজেরও দারুণ সম্ভাবনা ছিল টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার জেতার! তবে সেই সুযোগ যে একেবারে শেষ হয়ে গেছে তাও নয়। কারণ ফাইনাল ম্যাচ এখনো বাকি। সেই ম্যাচ শেষেই ফয়সালা হবে কে হচ্ছেন টুর্নামেন্ট সেরা?

এবারের আসরে অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেড (২৫৫ রান), আফগানিস্তানের ইব্রাহিম জাদরান (২৩১ রান), ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিকোলাস পুরান (২২৮ রান), যুক্তরাষ্ট্রের গাউস (২১৯ রান) কিংবা ইংল্যান্ডের দলপতি জস বাটলার (২১৪ রান) করলেও তাদের দল আসরের ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হওয়ায় কিংবা সেমিফাইনালে না ওঠার দরুণ তাদের সেরা হওয়ার সম্ভাবনা আগেই ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। তবে ব্যাট হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি ককের এখনো ভালো সুযোগ রয়েছে। আজ ভারতের বিপক্ষে শতরানের একটা ইনিংস ডি কককে অনেক দূর এগিয়ে নিতে পারে। কারণ ৭ ম্যাচে ইতোমধ্যে ১৪৩ স্ট্রাইকরেটে ২০৪ রান সংগ্রহ করেছেন এ প্রোটিয়া ওপেনার। ব্যাটিংয়ে ভারতের সূর্যকুমার যাদবকেও ভুলে গেলে চলবে না। কোহলি, রিশাভ পান্থদের ব্যর্থতার দিনে ভারতকে ভালোই এগিয়ে নিচ্ছেন এ মিডলঅর্ডার। ৭ ম্যাচে ১৩৭ স্টাইকরেটে ১৯৬ রান তুলেছেন সূর্যকুমার। ফাইনালে 
ঝলমলে একটা ইনিংস খেলে টুর্নামেন্ট সেরার কাতারে তারও চলে আসার দারুণ সম্ভাবনা দেখছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। 

ব্যাটে-বলে ডাবল রোল-প্লে করে টুর্নামেন্ট সেরার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন ভারতের অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া, অস্ট্রেলিয়ার মারকাস স্টইনিসরাও। ৭ ম্যাচে ১৩৯ রান করার পাশাপাশি বল হাতে ৮ উইকেট শিকার করেছেন পান্ডিয়া। আজ ফাইনালেও সুযোগ থাকছে নিজেকে প্রমাণের। ভারতকে এবার দারুণ কিছু ইনিংস উপহার দিয়েছেন; প্রয়োজনের সময় কখনো ব্যাট হাতে কখনো আবার বল হাতে সেবা দিয়ে শিরোপার মঞ্চে তুলে এনেছেন হার্দিক। এদিকে টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার দারুণ একটা সুযোগ বলতে গেলে হাতছাড়া হয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়ান স্টয়নিসের। কারণ তার দল সেমির আগেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে। তারপরও স্টয়নিসের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স তাকে এখনো আলোচনার টেবিলে রেখেছে। ৭ ম্যাচ খেলে ১৬৯ রান করার পাশাপাশি ১০ উইকেট শিকার করেছেন এ অজি স্টাইলিশ অলরাউন্ডার। স্টয়নিসও তাই টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার জেতার দৌড়ে রয়েছেন।

বিশ্বকাপে এবার ব্যাটারদের চেয়ে ভালো করছেন বোলাররা। ২০২৪ যুক্তরাষ্ট্র-ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপকে বোলারদের বিশ্বকাপ বললে মোটেও বাড়িয়ে বলা হবে না। এবারের আসরে বল হাতে সবার আগে নাম রয়েছে আফগানিস্তানের পেসার ফজলহক ফারুকীর। ৮ ম্যাচে ৬.৩১ ইকোনমিরেটে টুর্নামেন্ট সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। ৯ রানে ৫ উইকেট শিকার এই আসরে ফারুকীর সেরা বোলিং ইনিংস। টুর্নামেন্ট সেরার দৌড়ে ফারুকীকে তাই এগিয়ে রাখতেই হচ্ছে। ভারতের তরুণ পেসার অর্শদ্বীপ সিং ১৫ উইকেট নিয়ে ফারুকীর গায়ে তপ্ত নিঃশ্বাস ফেলছেন। ফাইনাল ম্যাচে দারুণ বোলিং করলে অর্শদ্বীপেরও সেরা খেলোয়াড় হওয়ার দারুণ সুযোগ থাকছে। এ ছাড়া বল হাতে আফগান অধিনায়ক রশিদ খান (১৪ উইকেট), বাংলাদেশি অলরাউন্ডার রিশাদ হোসেন (১৪ উইকেট), আফগান পেসার নাভিন-উল-হক (১৩ উইকেট) দখল করলেও তাদের সেরা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে ১৩ উইকেট শিকার করা ভারতের আরেক পেসার জসপ্রিত বুমরাহ কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকার এনরিচ নর্টজে (১৩ উইকেট), কাগিসো রাবাদাদের (১২ উইকেট) টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার সুযোগ একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। ফাইনাল ম্যাচে তাদের পারফরম্যান্স এখনো বাকি রয়েছে।

পেরুর বিপক্ষে ম্যাচে বিশ্রামে মেসি, নিষিদ্ধ স্কালোনি

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ০২:৪০ পিএম
আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪, ০২:৪০ পিএম
পেরুর বিপক্ষে ম্যাচে বিশ্রামে মেসি, নিষিদ্ধ স্কালোনি
ছবি : সংগৃহীত

ইতোমধ্যেই কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে আর্জেন্টিনা। নিজেদের শেষ ম্যাচে আগামীকাল ভোর ৬টায় পেরুর বিপক্ষে মাঠে নামবে দলটি। এ ম্যাচে চোটের কারণে বিশ্রামে থাকবেন অধিনায়ক লিওনেল মেসি এবং এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন দলটির কোচ লিওনেল স্কালোনি।

চিলির বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচে ডান পায়ের ঊরুতে চোট পেয়েছিলেন মেসি। তখন থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল মেসি হয়তোবা পরের ম্যাচে মাঠে নামছেন না পেরুর বিপক্ষে। সেই ধারণাই শেষ পর্যন্ত সত্যি হলো।

মেসিকে বিশ্রাম করানোর ব্যাপারে আর্জেন্টিনা দলের সহকারী কোচ ওয়াল্টার স্যামুয়েল বলেছেন, ‘সর্বশেষ ম্যাচে লিওর একটু সমস্যা হয়েছে। সে পেরুর বিপক্ষে ম্যাচটা খেলতে পারবে না। (চোটের) কতটা উন্নতি করে, সেটা বুঝতে আমরা দিনের পর দিন তাকে পর্যবেক্ষণ করব।’ কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে মেসিকে পাওয়ার প্রত্যাশায় রয়েছে আর্জেন্টিনা।

এদিকে, চিলির বিপক্ষে ম্যাচে বিরতির পর মাঠে ফিরতে দেরি করায় এক ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছে আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনিকে।  পেরুর বিপক্ষে তাই ডাগআউটে দেখা যাবে না আর্জেন্টিনা কোচকে। ফলে ম্যাচটিতে আর্জেন্টিনার কোচের ভূমিকায় পাবলো আইমার অথবা রবার্তো আয়ালাকে দেখা যেতে পারে।

স্কালোনির মতো চিলি কোচ রিকার্দো গারেকাও বিরতির পর মাঠে দেরিতে ফেরায় এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন। ২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষে আর্জেন্টিনা। সমান ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় কানাডা, ১ পয়েন্ট পেয়ে তৃতীয় চিলি এবং পেরুও ১ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ।

রোহিত শর্মা কিংবদন্তি হওয়ার দিন

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ০২:০০ পিএম
আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪, ০২:০০ পিএম
কিংবদন্তি হওয়ার দিন
ছবি : সংগৃহীত

ভারতীয় ক্রিকেটে কিংবদন্তিদের তালিকায় কি নাম লেখাতে পেরেছেন রোহিত শর্মা? ‘হিট ম্যান’ খ্যাত এই ক্রিকেটারের ক্যারিয়ারজুড়ে যা অর্জন, তাতে রোহিতকে উপেক্ষা করার উপায় কোথায়! কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটে একজন মহেন্দ্র সিং ধোনি, একজন বিরাট কোহলির নামের যতটা জৌলুস, সমসাময়িক রোহিত সেখানে কিছুটা বোধহয় পিছিয়েই। এ অবশ্য অন্য এক আলোচনা। তবে নীরবেই মুক্তা ফলিয়ে যাওয়া রোহিত কিন্তু দারুণ এক সন্ধিক্ষণেই দাঁড়িয়ে। অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপ ট্রফি উঁচিয়ে ধরার সুযোগ তার সামনে। অবশ্য গত বছর ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপেও এই সুযোগ এসেছিল তার সামনে। সেবার না পারলেও এক বছরেরও কম সময়ের ব্যবধানেই আক্ষেপ মেটানোর দারুণ হাতছানি রোহিতের সামনে।

২০০৭ সালে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরের শিরোপা জিতেছিল ভারত। সেই দলের অংশ ছিলেন রোহিত। এরপর থেকে প্রতিটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই খেলেছেন তিনি। যে রেকর্ড সাকিব আল হাসান ছাড়া পৃথিবীর আর কারও নেই। টানা ৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা রোহিত খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ জিতেছেন। এবার ভারত চ্যাম্পিয়ন হলে অধিনায়ক হিসেবেও ট্রফি জয়ের স্বাদ পাবেন রোহিত।

বিশ্বকাপ ট্রফি ভারতীয় ক্রিকেটের জন্যই হাহাকারের নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১৩ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের পর আর বৈশ্বিক আসরে শিরোপা পাওয়া হয়নি দলটির। বিরাট কোহলির কাঁধে দেশের নেতৃত্ব ছিল অনেকদিন। সৌরভ গাঙ্গুলি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি থাকার সময় কোহলিকে সরিয়ে রোহিতকে অধিনায়ক করেন। মূল কারণ ছিল একটাই- ভারতীয় ক্রিকেটের শিরোপা খরা ঘোচানো। নেতৃত্ব বদলালে যদি ভাগ্য ফেরে! সাম্প্রতিক অতীতে দল হিসেবে ভারতের যে প্রতাপ, তাতে দলটার শিরোপার দেখা না পাওয়াটা তো বিস্ময়করই। বলা যায় কোনো ‘জুজু’র মধ্যে যেন আটকে আছে ভারতীয় ক্রিকেট।

পূর্ণ মেয়াদে ভারতীয় দলের অধিনায়ক হওয়াই আগেই নেতৃত্বগুণের জন্য প্রশংসিত হয়েছেন রোহিত। আইপিএলে সফল অধিনায়কদের একজন তিনি। ওদিকে বিরাট কোহলির কখনোই আইপিএল শিরোপা জেতা হয়নি। তাই তো অনেক ভারতীয় সমর্থকই মনে করতেন অধিনায়ক রোহিতই হয়তো পারবেন, ভারতের শিরোপা খরা ঘোচাতে। এখন পর্যন্ত রোহিতের নেতৃত্ব, ভারতীয় দলের পারফরম্যান্স, সবকিছু কিন্তু দলটার পক্ষেই কথা বলছে।

অধিনায়ক রোহিত ব্যাট হাতেও রয়েছেন দারুণ ছন্দে। ৭ ম্যাচে ১৫৫.৯৭ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ২৪৮ রান। ভারতীয়দের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। আর টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় তার অবস্থান তৃতীয়। ফিফটি করেছেন তিনটি। সর্বোচ্চ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৯২। যে ইনিংসটি খেলেছিলেন তিনি মাত্র ৪১ বলে। সুপার এইট পর্বের শেষ ম্যাচ ছিল সেটি। এরপর সেমিফাইনলেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করেছেন ৫৭ রান। আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফাইনালেও রোহিতের ব্যাট হাসলে নিশ্চিতভাবেই ভারতের কাজ সহজ হয়ে যাবে অনেকটা। রোহিতের ব্যাট হাসলে যে ভারতকে দমানো কঠিন!

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রোহিতের একটি ভিডিও ঘুরছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে ড্রেসিংরুমের বাইরে একটি চেয়ারে বসে রোহিত কাঁদছেন। বাঁ হাতে অশ্রু লুকানোর চেষ্টা করছিলেন। এ সময় পাশে দাঁড়িয়ে তাকে হাসানোর চেষ্টা করছিলেন কোহলি। কোহলি পেরেছিলেন। দুজনকেই একসঙ্গে হাসতে দেখেছে দর্শক। আজ আবারও একসঙ্গে চওড়া হাসি হাসুক কোহলি-রোহিত, ভারতীয় সমর্থকরা এমনটাই চাইছেন।

এইডেন মার্করাম জয়ই যার নেশা

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ১২:২০ পিএম
আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪, ১২:৩১ পিএম
জয়ই যার নেশা
ছবি : সংগৃহীত

দক্ষিণ আফ্রিকা কখনোই ফাইনাল খেলতে পারে না। ক্রিকেটে এই বাক্যটা অমর বাক্যে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু একজন এইডেন মার্করাম কথাটা বদলে দিয়েছেন। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে সাত-সাতবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আটকে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকাকে ফাইনালে নিয়ে গেছে মার্করামের নেতৃত্ব। কখনো বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলতে না পারলেও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে তো কম তারকা ক্রিকেটার উঠে আসেনি। কিন্তু তাদের সবার থেকে একজন মার্করাম যেন একেবারেই আলাদা। বয়স এখনো ত্রিশ হয়নি। মাঠে তার চলনে বলে ডাকাবুকো ভাবের লেশমাত্র নেই। কিন্তু চোখে ও মনে কেবল জয়ের নেশা। অধিনায়ক হিসেবে প্রোটিয়াদের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতানোর পর এখন যিনি বড় বিশ্বকাপ জয়ের দুয়ারে দাঁড়িয়ে। বার্বাডোসে ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে এই অন্য ধাতুতে গড়া মার্করামই কি হাসবেন শেষ হাসি?

ক্রিকেট ইতিহাসে মার্করামই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি অধিনায়ক হিসেবে অনূর্ধ্ব-১৯ ও সিনিয়র বিশ্বকাপের ফাইনালে দেশকে নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন। আইসিসি ইভেন্টে অধিনায়ক হিসেবে যার পরাজয়ের কোনো নজির নেই। এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত অপরাজিত দক্ষিণ আফ্রিকা। জিতেছে ৮ ম্যাচের ৮টিতেই। সবগুলোই মার্করামের নেতৃত্বে। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে টেম্বা বাভুমার চোটে ২ ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেন মার্করাম, দুটিতেই জিতেছিলেন। আর ২০১৪ সালে দেশকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতানোর পথে জেতেন ৬ ম্যাচের সবকটি। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপে মোট ১৬টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে মার্করামের জয় সবগুলোতেই। অবিশ্বাস্যই বলতে হবে।

দেশকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ এনে দেওয়ার পথে ব্যাট হাতে ৩৬০ রান করে ছিলেন ‍টুর্নামেন্টসেরা। এবার অবশ্য মার্করামের ব্যাট সেভাবে হাসেনি। ৮ ইনিংসে মাত্র ১১৯ রান তার নামের পাশে। সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। কিন্তু যদি বলা হয় মার্করামের দুই ক্যাচ প্রোটিয়াদের এতদূর এনেছে, ভুল হবে কি!

হ্যাঁ, দক্ষিণ আফ্রিকার এতদূর আসার পেছনে আসলে সম্মিলিত পারফরম্যান্সেরই বড় ভূমিকা। কেউ না কেউ এক ম্যাচে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। নির্দিষ্ট কারও ওপর দলটি নির্ভরশীল নয়। কিন্তু পুরো আসরে দলটি এমন কিছু স্নায়ুক্ষয়ী ম্যাচ জিতেছে, যেখানে ভাগ্যও দলটির পাশে ছিল বলতে হবে। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের কথাতেই আসা যাক। মাত্র ৪ রানে ম্যাচটি জিতেছিল প্রোটিয়ারা। ভাগ্য নিশ্চিয়ই পাশে ছিল বলে। এ ক্ষেত্রে একজন মার্করামের কথা বলতেই হবে। শেষ দুই বলে যখন ৬ রান প্রয়োজন, তখন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নিশ্চিত ছক্কাকে ক্যাচে পরিণত করে প্রোটিয়াদের জয়ের আনন্দে মাতিয়েছিলেন মার্করাম। লং-অনে কীভাবে কোথা থেকে এসে ছোঁ মেরে মার্করাম ক্যাচটা নিলেন, বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকদের কাছে তো এখনো তা অবিশ্বাস্য লাগার মতো ঘটনা। সুপার এইট পর্বে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও প্রায় হেরে যাচ্ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ওভারে ৫ উইকেট হাতে রেখে ১৪ রান প্রয়োজন ছিল দলটির। সেই মুহূর্তে ৫৩ রানে উইকেটে থাকা হ্যারি ব্রুকের ক্যাচটা মুগ্ধকরভাবে লুফে নিয়েছিলেন মার্করাম। এরপর ইংল্যান্ড আর ম্যাচটা জিততে পারেনি। জিতবেন কি করে! একজন অধিনায়ক মার্করাম কি হারতে পারেন?

২০১৪ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ও ১৯৯৮ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয় ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাপ্তি শূন্য। ১৯৯২ ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রথমবার সেমিফাইনাল খেলে দলটি ৩২ বছরের অপেক্ষার ইতি টেনে আজ ফাইনাল খেলার অপেক্ষায়। ট্রফিটাও মার্করামের হাতে উঠবে কী? মার্করামের দলটা কি স্নায়ুর লড়াইয়ে হেরে যাওয়া কোনো দল নয়। মার্করামের দল চোকার্স নয়।

ভিনির জোড়া গোলে প্যারাগুয়ের জালে ব্রাজিলের ৪ গোল

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ১১:৩৬ এএম
আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪, ১১:৪০ এএম
ভিনির জোড়া গোলে প্যারাগুয়ের জালে ব্রাজিলের ৪ গোল
ছবি : সংগৃহীত

কোপা আমেরিকায় নিজেদের প্রথম ম্যাচে কোস্টারিকার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে ব্রাজিল। এরপর সমালোনায় বিদ্ধ হয় দলটি। অবশেষে সেই ব্যর্থতাকে ভুলে জয়ের ধারায় ফিরেছে দলটি। ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের জোড়া গোলে কোস্টারিকাকে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে ব্রাজিল।

শনিবার (২৯ জুন) সকালে যুক্তরাষ্ট্রের নেভাডার অ্যালিজায়ান্ট স্টেডিয়ামে কোস্টারিকাকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে সেলেসাওরা। ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের জোড়া গোলে খরা কাটিয়ে জয়ে ফিরেছে দলটি।

ভিনির দুই গোল ছাড়াও একটি করে গোল পেয়েছেন সাভিনিও ও লোকাস পাকেতা।

কোপার শুরুটা ড্র দিয়ে হওয়ায় এই ম্যাচে অনেকটাই চাপে ছিল ব্রাজিল। ম্যাচের ৩১ মিনিটে সেই চাপ আরও স্পষ্ট হয় লুকাস পাকেতা পেনাল্টি মিস করলে। যদিও তার ঠিক ৪ মিনিট পরই দলকে এগিয়ে নেন ভিনিসিয়ুস। পেনাল্টি কাজে লাগাতে না পারা পাকেতাই তৈরি করে দেন গোলের সুযোগ। সেই ব্যবধান ৪৩ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সাভিনিও। প্রথম অর্ধের যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন ভিনি।

বিরতিতে যাওয়ার আগেই ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। বিরতির পর একটি গোল হজম করে ব্রাজিল। একক প্রচেষ্টায় গোলটি করেন ওমর অ্যালডারেট। 

৬৫ মিনিটে আবারও গোলের দেখা পায় ব্রাজিল। এবারের গোলটি আসে পেনাল্টি থেকে। যেই পেনাল্টি শট নেন পাকেতাই। যিনি কিনা ম্যাচের শুরুতে করেছিলেন মিস। ব্রাজিলও মাঠ ছাড়া ৪-১ গোলের বড় জয় নিয়ে।

এই জয়ে দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ব্রাজিল আছে পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। টানা দুই ম্যাচ জিতে কলম্বিয়া আছে ডি গ্রুপের শীর্ষে।