![ভেঙে পড়া আজমকে জড়িয়ে ধরে স্বাভাবিক করলেন বাবর](uploads/2024/06/01/Azam-Khan-1717226040.jpg)
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজটা মোটেও ভালো যায়নি পাকিস্তানের উইকেটকিপার ব্যাটার আজম খানের। বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতিমূলক এই সিরিজ ভালো যায়নি পাকিস্তানেরও। ৪ ম্যাচের সিরিজ তারা হেরেছে ২-০ ব্যবধানে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সিরিজের চতুর্থ ও শেষ ম্যাচে পাকিস্তান হেরেছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে। সে ম্যাচেও অফ-ফর্মের ধারাবাহিকতা চালু ছিল আজম খানের। ৫ বল খেলে ০ রানে আউট হওয়ার পর উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে ছেড়েছেন দুটি গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ।
প্রথম ক্যাচটি ছাড়েন তিনি মোহাম্মদ আমিরের বলে ফিল সল্টের। ৩৪ রানে থাকা সল্ট আমিরের বাউন্সার পুল করতে গেলে বল স্পর্শ করে তার ব্যাটের এইজ। বাম দিকে সামান্য ঝুঁকে বলকে গ্লাভসে বন্দী করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে, চার উপহার দেন ব্যাটারকে।
পরের ঘটনাটি ম্যাচের ৮.৩ ওভারের সময়। হারিস রউফের ১৪৩ কিলোমিটার গতির বল লং অফ বরাবর পুল করতে গিয়ে ব্যর্থ হন উইল জ্যাকস। এইজ স্পর্শ করা বল সোজাসুজি চলে যায় আজমের গ্লাভস বরাবর, সেই সহজ ক্যাচটিও ফসকে যায় তার গ্লাভস থেকে।
ব্যাট হাতে ব্যর্থ হওয়া আজম খান উইকেটের পেছনেও ছিলেন নড়বড়ে। পাকিস্তানও ৭ উইকেটে সেই ম্যাচ হেরে আদর্শ প্রস্তুতি নিতে পারেনি বিশ্বকাপের। এমন হতশ্রী ব্যাটিং ও কিপিংয়ের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অত্যধিক সমালোচনার শিকার হতে হয়ে হয়েছে এই তরুণ উইকেটকিপারকে।
প্রশ্ন ওঠে পাকিস্তান দলে তার অন্তর্ভূক্তি নিয়ে। সাবেক ক্রিকেটার মঈন খানের ছেলে হওয়ায় জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন যোগ্যতা ছাড়াই, এমন তির্যক মন্তব্যও হজম করতে হয়েছে তাকে। তবে সবকিছু ছাড়িয়ে আলোচনায় এসেছে ম্যাচে শেষে বাবর আজম ও আজম খানের ‘এক্সে’ ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও।
সেই ভিডিওতে দেখা যায় নিজের পারফরম্যান্সে হতাশ আজম ম্যাচশেষে দুই দলের হাত মেলানোর পর্ব শেষে ছিলেন বিমর্ষ অবস্থায়। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে চোখ দিয়ে প্রায় পানি বের হওয়ার উপক্রম ছিল তার। এমন অবস্থায় অধিনায়ক বাবর ছুটে যান তার কাছে।
পিঠে, বুকে হাত চাপড়ে ও গালে হাত দিয়ে তাকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন। অধিনায়ক হিসেবে দলের তরুণ সদস্যকে ভেঙে না পড়ার বার্তা দিয়েছেন তিনি নিজের সেই আচরণ দিয়ে।
অধিনায়কত্ব ফিরে পাওয়া বাবর আজমের সতীর্থের প্রতি এমন দায়িত্বশীল আচরণ মুগ্ধ করেছে পাকিস্তানের সমর্থকদের। বিশ্বকাপের আগে অধিনায়কের এমন বৈশিষ্ট্যই পাকিস্তানকে বিশ্বকাপে ভালোকিছু করতে সহায়তা করবে বলে ভক্তদের বিশ্বাস।