![চবিতে ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন : কঠোর অবস্থানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন](uploads/2024/02/04/1707023057.CU.jpg)
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণচেষ্টায় অভিযুক্ত রসায়ন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুল মতিনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অভিযোগ আমলে নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন সেল। অভিযোগ নিয়ে করা হচ্ছে গভীর তদন্তও।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ছুটির দিনেও এ নিয়ে বৈঠক করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে আছি। এখানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান জড়িত রয়েছে। কোনো অবস্থাতেই আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান ক্ষুণ্ন হতে দেব না। এ ছাড়া আমাদের কোনো ছাত্রী অপ্রীতিকর অবস্থায় পড়লে আমরা সব সময় তাদের পাশে আছি। তদন্তসাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা আমরা নেব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী মুজিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘তদন্তের কাজ চলছে। এ সময় আমরা কিছু বলব না। কারণ তদন্ত ছাড়া কিছু বললে পরবর্তী সময়ে সেটা পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। তবে আমাদের কাজ দ্রুতগতিতে চলমান। ভিসি ম্যাম প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় আপডেট নিচ্ছেন। আমরা অভিযুক্তের অতীতের বিষয়গুলোও খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছি।’
তিনি আরও বলেন, রসায়ন বিভাগের বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সাবেক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ, আলাপ-আলোচনা করছি। তার (মাহবুবুল মতিন) বিরুদ্ধে আমরা গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ পেয়েছি। আশাকরি অতি অল্প সময়ে আমরা তদন্তসাপেক্ষে কোনো একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারব।
সিন্ডিকেট সদস্য ড. নঈম হাসান চৌধুরী আওরঙ্গজেব বলেন, ‘বিষয়টা খুব স্পর্শকাতর বলে আমরা সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও তদন্তের কাজ চলমান রেখেছি। এটা খতিয়ে দেখার জন্য একটু সময় দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় এই ব্যাপারে খুব সচেতন। এটার একটি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সক্ষম হবে।’
গত ৩১ জানুয়ারি দুপুরে উপাচার্য শিরীণ আখতার বরাবর রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুল মতিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ করেন একই বিভাগের এবং তারই তত্ত্বাবধানে স্নাতকোত্তর থিসিস করা এক ছাত্রী। তবে অভিযোগটি সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেন ওই শিক্ষক।
এ নিয়ে রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষকের বহিষ্কার ও যথাযথ বিচার চেয়ে অবস্থান করার পর বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি পর্যালোচনায় নিয়ে রসায়ন বিভাগের একাডেমিক কমিটির সুপারিশের আলোকে অভিযুক্ত অধ্যাপককে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মাহফুজ শুভ্র/ইসরাত চৈতি/অমিয়