![সংঘর্ষে জড়িতদের ছাত্রত্ব বাতিল করা হবে : চবি উপাচার্য](uploads/2024/02/19/1708314279.shirin_akhtar.jpg)
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় বারবার জড়িতদের বিষয়ে তদন্তে প্রমাণ পেলে ছাত্রত্ব বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার। এ সময় তিনি চবিতে নতুন থানা হওয়ার কথাও জানান।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে চলমান সংঘাত ও সার্বিক বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, গত ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি সময়ে দফায় দফায় ছাত্রদের মধ্যকার সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের সর্বোচ্চ পরিশ্রম এবং সংযম প্রদর্শন করেছেন। এ ঘটনা তদন্তে ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং অছাত্রদের হল থেকে বের করে দেওয়া হবে।
তিনি নিজের ও উপ-উপাচার্যের বিরুদ্ধে শিক্ষক সমিতির তোলা অভিযোগের জবাবে বলেন, আমরা শিক্ষকদের স্বার্থে যেকোনো সমস্যা সমাধান এবং যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নিতে বদ্ধপরিকর। শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি-২০২৩ ইতিপূর্বে প্রশাসনের কাছে ২৬ দফা সংবলিত দাবিনামা পেশ করেছিল, যার অনেকগুলো ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে এবং অবশিষ্ট যৌক্তিক দাবিগুলোর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। শিক্ষক সমিতির সাম্প্রতিক কর্মসূচির মধ্যে ক্লাস বর্জনের মতো হটকারী কর্মসূচিও ছিল। যদিও সেখানে শিক্ষকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ না থাকার কারণে তা সফল হয়নি। শিক্ষক সমিতির এ ধরনের সিদ্ধান্ত সাধারণ শিক্ষকরা প্রত্যাখ্যান করেছেন বিধায় তারা তাদের কর্মসূচি থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমদ, প্রক্টর অধ্যাপক ড. নুরুল আজিম সিকদার, অধ্যাপক ড. ফরিদুল আলম, অধ্যাপক ড. সজিব কুমার ঘোষ ও অন্য শিক্ষকরা।