অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত প্রত্যয় স্কিম প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
রবিবার (২৬ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনের সামনে প্যারিস রোডে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানানো হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সুপার গ্রেডে অন্তর্ভূক্তকরণ এবং স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিও জানান তারা।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. হাবিবুর রহমান। সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. ওমর ফারুক সরকার। এ সময় বক্তব্য দেন প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল করিম, অধ্যাপক মোহাম্মদ আমীরুল ইসলাম ও অধ্যাপক মো. সোহেল হাসান, ব্যাংকিং ও ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মানিকুল ইসলাম প্রমুখ।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সর্বজনীন পেনশন প্রত্যয় স্কিম প্রজ্ঞাপনের বাইরে রাখার দাবি জানিয়ে অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, যে প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোনো পেনশন ব্যবস্থা ছিল না, সেগুলোকে সর্বজনীন পেনশনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দেশের চারটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় যেগুলো ১৯৭৩-এর নিয়ম অনুযায়ী চলে, এগুলোতে আগে থেকেই পেনশন ব্যবস্থা চালু আছে। তারপরও বর্তমান সরকার কিসের ভিত্তিতে বা কার চক্রান্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও সর্বজনীন পেনশনের আওতায় নিয়ে আসলো তা আমরা জানি না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে এই প্রজ্ঞাপনের বাইরে রাখার দাবি জানাচ্ছি।
অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, পূর্ববর্তী পেনশন ব্যবস্থায় আমাদের কোনো সমস্যা হয়নি। আমরা সন্তুষ্ট ছিলাম। কিন্তু এ বছরের জুলাই থেকে যারা নতুন নিয়োগ পাবেন, তারা এই স্কিমের আওতাভুক্ত হবে। আর এই স্কিমের জন্য আমাদের সঙ্গে তাদের একটা বড় বৈষম্যের সৃষ্টি হবে। এই পেশায় যাতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা না আসে সেজন্য একটা চক্রান্ত করা হচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক হাবিবুর রহমান বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমে যখন সবাই প্রশংসা করছিল, ঠিক সেই সময় এই বৈষম্যমূলক এই প্রত্যয় স্কিম ঘোষণা করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তটি আমাদের সংবিধানের চেতনার পরিপন্থী। প্রজ্ঞাপনের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে আগামীতে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করবেন, তারা বৈষম্যর শিকার হবেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশের ওপর প্রভাব পড়বে। দাবি আদায় না হলে আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচি পালনের হুশিয়ারি দেন তিনি।
সুমন/এমএ/