ঢাকা ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪

শেরপুর-ঝিনাইগাতী রুট একযুগ পর লোকাল বাস চালু, স্বস্তিতে যাত্রীরা

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ০৮:৪৮ এএম
আপডেট: ২৯ জুন ২০২৪, ০৮:৪৮ এএম
একযুগ পর লোকাল বাস চালু, স্বস্তিতে যাত্রীরা
শেরপুর শহরের খোয়ারপাড় শাপলা চত্বরে একটি লোকাল বাস ঝিনাইগাতীর উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে/ খবরের কাগজ

ভারতের মেঘালয় রাজ্যঘেঁষা শেরপুর জেলার উত্তরের জনপদ ঝিনাইগাতী। শেরপুর শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরের এই উপজেলায় যেতে আগে সিএনজিচালিত অটোরিকশা কিংবা ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের কোনো বিকল্প ছিল না। উপজেলা থেকে জেলা পর্যন্ত আসতে গুনতে হতো ৫০ থেকে ৬০ টাকা। ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে চালকদের প্রায়ই কথা কাটাকাটি হতো। এ ছাড়া তুলনামূলক অনিরাপদ এসব যানবাহন প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়ত। রয়েছে প্রাণহানির ঘটনাও। এ ছাড়া ধীরে চলার কারণে যাত্রীদের অতিরিক্ত সময় ব্যয় হতো। এসব সংকট থেকে যাত্রীদের রক্ষায় দীর্ঘ একযুগ পর আবারও চালু হয়েছে লোকাল বাস সার্ভিস। এতে অটোরিকশা চালকদের দৌরাত্ম্য কমেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বাধীনতার পর শেরপুর জেলা শহর থেকে ঝিনাইগাতীতে যাতায়াতের একমাত্র বাহন ছিল লোকাল বাস। কিন্তু সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক বাজারে আসার পর বাসের ব্যবসায় ভাটা পড়ে। এ ছাড়া বাস ডিজেলচালিত হওয়ায় খরচ বেশি পড়ত, মালিকের লাভও হতো কম। বাসের সংখ্যা কমতে কমতে এক সময় লোকাল বাস সার্ভিস পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। তখন যাত্রীদের অটোরিকশা ছাড়া অন্য কোনো বাহনে যাতায়াতের বিকল্প ছিল না।

যাত্রীরা জানিয়েছেন, লোকাল বাস সার্ভিস যখন চালু ছিল তখন ইজিবাইকে ঝিনাইগাতী যেতে ভাড়া লাগত ২৫ টাকা, আর সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ভাড়া লাগত ৩০ টাকা। কিন্তু নানা অজুহাতে এসব যানবাহনের ভাড়া বাড়তে থাকে। তখন ঝিনাইগাতী যেতে সিএনজিতে ভাড়া দিতে হতো ৫০ থেকে ৬০ টাকা আর ইজিবাইকে ভাড়া গুনতে হতো ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

জানা গেছে, তিন বাস মালিকের প্রচেষ্টায় গত ১৪ মে থেকে সাতটি বাস দিয়ে আবারও লোকাল বাস সার্ভিস চালু হয়েছে। এতে সাধারণ যাত্রীদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। তারা এখন ঝুঁকিপূর্ণ সিএনজিতে না উঠে বাসে যাতায়াত করছেন। বাস ভাড়া লাগছে ২০ টাকা। বাস চালুর পর সিএনজির ভাড়া কমতে শুরু করে। এখন সিএনজির ভাড়া কমিয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে, তবুও আগের মতো যাত্রী মিলছে না। 

সম্প্রতি সরেজমিনে শেরপুর শহরের খোয়ারপাড় শাপলা চত্বরে গিয়ে দেখা গেছে, দুটি বাস দাঁড়িয়ে আছে। পাশেই আছে সিএনজি ও ইজিবাইক। কিন্তু যাত্রীরা ওগুলোতে না উঠে বাসের সিটে গিয়ে বসছেন। কিছুক্ষণ পর বাসটি যাত্রী নিয়ে ঝিনাইগাতীর উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ওই বাস যাওয়ার পর আরেকটি বাস আগের জায়গায় এসে যাত্রী তুলতে শুরু করে। কিন্তু পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সিএনজি এবং ইজিবাইক তখনো যাত্রী পায়নি।
 
ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল এলাকার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আগে বাস পাইনি। তাই সিএনজি দিয়ে যাতায়াত করেছি। সিএনজি চালকরা আগে যেভাবে বাড়তি ভাড়া নিতেন এখন আর তা পারছেন না। মাত্র ২০ টাকায় বাসে আরামে বাড়িতে যাচ্ছি। আমরা যারা নিম্ন আয়ের মানুষ তাদের যে কী উপকার হয়েছে, সেটা বোঝাতে পারব না।’

একই এলাকার আরেক যাত্রী আসলাম মিয়া বলেন, ‘আগে লোকাল বাস ছিল না। তখন সিএনজি চালকরা এর সুযোগ নিতেন। আমাদের মতো সাধারণ যাত্রীদের কাছ থেকে তখন তারা দ্বিগুণ ভাড়া নিয়েছেন। শুধু তা-ই না, ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটিও হয়েছে। তবে এখন ২০ টাকা দিয়ে খুব সহজে বাসে যেতে পারছি।’

উপজেলার তেঁতুলতলা বাজারের যাত্রী হবির উদ্দিন বলেন, ‘চালকরা বেপরোয়া গতিতে সিএনজি চালাতেন। মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটত। অনেক যাত্রী মারাও গেছেন। বাসের ভাড়া যদি বাড়ানো হয়, তারপরও আমি বাস দিয়েই যাতায়াত করব। সিএনজি দিয়ে চলাচল করব না। সিএনজি ঝুঁকিপূর্ণ, বাস অনেকটাই নিরাপদ।’

বাসচালক আবু সাইদ বলেন, ‘মাত্র ২০ টাকায় আমরা যাত্রীদের শেরপুর থেকে ঝিনাইগাতী নিয়ে যাচ্ছি। এই এলাকার মানুষের আর্থিক সচ্ছলতা কম। এতদিন তাদের বাড়তি ভাড়া দিয়ে সিএনজি দিয়ে যাতায়াত করতে হয়েছে। বাস চালুর পর নিম্ন আয়ের মানুষরা অনেক উপকার পাচ্ছেন। এতে আমারও ভালো লাগছে।’

পরিবহন মালিক সমিতির বুকিং মাস্টার দেলওয়ার হোসেন মিন্টু বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা সাতটি বাস দিয়ে লোকাল সার্ভিস চালু করেছি। যাত্রী সেবার মান বৃদ্ধি ও কম খরচে দ্রুত সময়ে যাতায়াতের জন্য প্রয়োজনে আরও বাস চালু করা হবে। আমাদের লোকাল বাস সার্ভিস এখন প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলছে। আমরা যাত্রীদের কাছ থেকে ২০ টাকা করে ভাড়া নিচ্ছি। বর্তমানে আমাদের সব গাড়ি গ্যাসে রূপান্তর করা হয়েছে। তাই আমাদের খরচও কমেছে। আশা করি, যাত্রী সেবায় আমরা এই সার্ভিস চালু রাখতে পারব।’

‘৬ মাসের মধ্যেই কালুরঘাট সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করতে হবে’

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৩:০৫ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৩:০৫ পিএম
‘৬ মাসের মধ্যেই কালুরঘাট সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করতে হবে’
ছবি : খবরের কাগজ

অর্থায়ন জটিলতা কেটে যাওয়ার মধ্য দিয়ে কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়নের কার্যক্রমে প্রত্যাশিত গতি এসেছে। এটা যেন বহাল থাকে। পাশাপাশি একনেকের অনুমোদন, দরপত্রসহ আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষ করে আগামী ছয় মাস অর্থাৎ চলতি বছরের মধ্যেই সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করার দাবি জানায় বোয়ালখালী-কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদ।

রবিবার (৩০ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

এ সময় বোয়ালখালী-কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল মোমিন বলেন, কর্ণফুলী নদীর ওপর যে কালুরঘাট রেলসেতু আছে, সেটা প্রায় ১০০ বছরের পুরোনো ও জরাজীর্ণ। ৮০-এর দশক থেকেই বারবার জোড়াতালি দিয়ে এ সেতুকে এখন পর্যন্ত ট্রেন ও যান চলাচলের জন্য কোনোভাবে ঠিক করে রাখা হয়েছে। এক বছর ধরে জোড়াতালির সংস্কার কাজের জন্য সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে। বিকল্প উপায়ে ফেরি দিয়ে মানুষ পারাপার করতে গিয়ে ইতোমধ্যে একাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। 

তিনি বলেন, কালুরঘাট সেতুর দাবি সামনে আনার পর সরকারেরও বিষয়টির ওপর দৃষ্টি আসে। বিগত ১০ বছরে সেতুটি নির্মাণে অর্থায়ন নিয়ে আলোচনা, নকশা প্রণয়ন এবং সরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ ছিল। কিন্তু এরপরও সেতুর নির্মাণের বিষয়ে প্রক্রিয়াগত কার্যক্রম স্থবির ছিল। তবে সম্প্রতি কিছু অগ্রগতি হয়েছে। গত ২৭ জুন দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ঋণচুক্তি স্বাক্ষরসহ সর্বশেষ যে অগ্রগতি সেটা গত এক দশকের ধারাবাহিক কর্মপ্রচেষ্টার ফলাফল, যার সঙ্গে বোয়ালখালী-কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদসহ সর্বস্তরের মানুষের সংযুক্তি আছে।

বোয়ালখালী-কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুস্তফা নঈম বলেন, দক্ষিণ রাঙ্গুনীয়ার বসবাসকারী মানুষদের প্রায় ৬৪ মাইল ঘুরে চট্টগ্রামে আসতে হয়। কালুরঘাট সেতু হলে অন্তত ৪০ মাইল দূরত্ব কমবে। তাছাড়া কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন হলে বান্দরবানের সঙ্গেও ২০ কিলোমিটার রাস্তার দূরত্ব কমে আসবে। 

সংগঠনের সদস্য সচিব রমেন দাশগুপ্ত বলেন, ২০১৪ সালের শুরুতে বোয়ালখালী-কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদের কার্যক্রম শুরু হয়। এর মধ্য দিয়েই সেতুর দাবি প্রথম জনসম্মুখে আসে। চুক্তি সইয়ের মধ্য দিয়ে বহুল প্রত্যাশিত কালুরঘাট সেতু নির্মাণে চূড়ান্ত অগ্রগতি হয়েছে। পদ্মা সেতুর মতো এ সেতু নির্মাণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া উচিত। 

সেতু বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য উত্তম সেনগুপ্ত বলেন, কালুরঘাট সেতু হলে শুধু বোয়ালখালী বা পটিয়াবাসী উপকার পাবে সেটা নয়, সেতু হলে পুরো চট্টগ্রামবাসী এর সুফল ভোগ করবে। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বোয়ালখালী-কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদের সমন্বয়কারী আলমগীর মোরশেদ বাবু, অমল কান্তি নাথ, উজ্জ্বল সরকার, সেহাব উদ্দিন সাইফু, নেছার আহমেদ খান, তপন দাশগুপ্ত, সাদেকুর রহমান সবুজ, সাংবাদিক নুরুল আবসার, রণজিৎ চৌধুরী বাচ্চু ও প্রকৌশলী সিঞ্চন ভৌমিক প্রমুখ। 

চট্টগ্রাম ব্যুরো/অমিয়/ 

টেকনাফে মাঠিচাপা দেওয়া অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৩:০২ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৪:০৯ পিএম
টেকনাফে মাঠিচাপা দেওয়া অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার
ছবি: খবরের কাগজ

টেকনাফের হ্নীলায় একটি লবণের মাঠ থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির মাটিচাপা দেওয়া গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। 

সোমবার (১ মে) সকালে হ্নীলা আলীখালী হাইওয়ে ব্রিজের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গনি খবরের কাগজকে বলেন, ‘সকালে স্থানীয়রা আমাদের জানান, মাঠিচাপা দেওয়া অবস্থায় এক অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ দেখতে পেয়েছেন তারা। সঙ্গে সঙ্গে গিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে লাশটি সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। সনাক্তের কাজ চলছে।’

টেকনাফ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজাহারুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, ‘এক অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। লাশটি পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে’।

শাহীন/পপি/অমিয়/

যানজট কমাতে পে-পার্কিং চালু করল চসিক

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০২:৪৯ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৩:২৩ পিএম
যানজট কমাতে পে-পার্কিং চালু করল চসিক
ছবি : খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকায় যানজট কমাতে পরীক্ষামূলকভাবে পে-পার্কিং চালু করেছে সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। 

রবিবার (৩০ জুন) দুপুরে হোটেল আগ্রাবাদে মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী নগরীর প্রথম পে-পার্কিং উদ্বোধন করেন। 

বি-ট্র্যাক সলিউশন নামের একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে আগ্রাবাদে সিলভার স্পুনের সামনে এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সড়কে মোট ১৭৭টি গাড়ির পার্কিং-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। নাগরিকরা ইয়েস পার্কিং অ্যাপসের মাধ্যমে অনলাইন এবং নগদ টাকা দুভাবেই পার্কিং এর জায়গা ভাড়া নিতে পারবেন।

মেয়র বলেন, নাগরিক সমস্যা সমাধানে ডিজিটাল সলিউশন আনার চেষ্টা করছি। এর অংশ হিসেবে যানজট কমাতে আগ্রাবাদে পে-পার্কিং চালু করা হলো। এই পাইলট প্রকল্পের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে নগরীতে আরও পে-পার্কিং স্পট চালু করা হবে। ইতোমধ্যে নগরীর ঝুলন্ত তারের জঞ্জাল সরাতে ৩ ওয়ার্ডে ঝুলন্ত তারকে মাটির নিচে নেওয়া হচ্ছে। 

সিডিএ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, নগরীতে গাড়ি পার্কিং করা নিয়ে যে বিশৃঙ্খলা তা পে-পার্কিং এর মাধ্যমে লাঘব হবে বলে আশা করি। আধুনিক সিগন্যাল সিস্টেম চালু হলে যানজট কমবে। মেয়র সাহস করে হকার উচ্ছেদ করার উদ্যোগ নিয়েছেন। কিন্তু হকার উচ্ছেদ করার পর দেখা যাচ্ছে আবার রাস্তা দখল হয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় একযোগে কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মাসুদ আহাম্মদ, প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মো. বেলাল, আবদুস সালাম মাসুম, আতাউল্লাহ চৌধুরী, শাহীন আক্তার রোজী, রুমকি সেনগুপ্ত, সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন, প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম,  প্রধান প্রকৌশলী শাহীন শাহীন-উল-ইসলাম চৌধুরী, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. ফরহাদুল আলম, জসিম উদ্দিন, চসিকের পক্ষে পে-পার্কিং বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব সহকারী প্রকৌশলী মাহমুদ শাফকাত আমিন, বি-ট্র্যাক সলিউশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম তানভীর সিদ্দিকী, প্রকল্পপ্রধান সাফায়েত আবদুল্লাহ, হেড অব সেলস সিরাজ উদ্দিন, ডেপুটি ম্যানেজার মো. শাহ ফারুক ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ সরোয়ার হোসেন চৌধুরী, এক্সিকিউটিভ তারিকুল ইসলামসহ চসিকের কর্মকর্তারা।

এস এম ইফতেখারুল/জোবাইদা/অমিয়/

গাইবান্ধায় নদী থেকে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০২:৩৩ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৩:২০ পিএম
গাইবান্ধায় নদী থেকে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবকের (৩২) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম।

এর আগে উপজেলার ধাপেরহাট আখিরা নদীর ওপর জামদানী ঘাট এলাকায় ব্রিজের নিচ থেকে সকালে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ভাসমান অবস্থায় লাশ দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।

ওসি জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত যুবকের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর রহস্য জানা যাবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। 

রফিক খন্দকার/জোবাইদা/অমিয়/

নড়াইলে বজ্রপাতে ৩ রাখালের মৃত্যু

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ১২:১৫ পিএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৩:০২ পিএম
নড়াইলে বজ্রপাতে ৩ রাখালের মৃত্যু
ছবি : খবরের কাগজ

নড়াইলে বজ্রপাতে তিন রাখালের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আরও একজন আহত হয়েছেন।

রবিবার (৩০ জুন) মধ্যরাতে উপজেলার কলোড়া ইউনিয়নের রামনগরচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন- যশোরের মনিরামপুর উপজেলার কাজীয়াড়া গ্রামের রতন মণ্ডল (৫৫), খুলনার নিজগ্রাম এলাকার মিল্টন রায় ও সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের নন্দ ঢালি (৫০)।

আহত চিত্ত মণ্ডল একই এলাকার বাসিন্দা। তারা সবাই মাঠে শূকর চরাতেন। 

জানা যায়, প্রায় ২৫ দিন আগে বাড়ি থেকে শুকর চরাতে বের হয়েছিলেন তারা। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে তিন দিন আগে সদর উপজেলার রামনগরচর বিলে এসেছিলেন। রবিবার মধ্যরাতে বৃষ্টির সময় বজ্রপাতে চারজনের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়। অন্যজন গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই পড়েছিল।

সোমবার (১ জুলাই) সকালে স্থানীয়রা মাঠে যাওয়ার সময় তাদের দেখতে পেয়ে আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠায়।

কলোড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রদীপ কুমার বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সকালে স্থানীয়রা জানায় রাতে বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে একজন আহত হয়। তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নড়াইল সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাজেদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশগুলো উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

শরিফুল ইসলাম/অমিয়/