ঢাকা ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪

খোঁজা হচ্ছে শিলাস্তির বন্ধু নির্মাতা শুভংকরকে

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৪, ১০:০৯ এএম
আপডেট: ০৩ জুন ২০২৪, ১০:১৭ এএম
খোঁজা হচ্ছে শিলাস্তির বন্ধু নির্মাতা শুভংকরকে
শিলাস্তি রহমান

চাঞ্চল্যকর এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়া উঠতি মডেল শিলাস্তি রহমান দ্বিতীয় দফার রিমান্ডে নতুন অনেক তথ্য দিয়েছেন। মডেল হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে অপরাধের জগতে জড়িয়ে যাওয়া শিলাস্তি তার সব অপরাধের দায় চাপাচ্ছেন এমপি আনার হত্যার মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীনের ওপর। রিমান্ডে শিলাস্তি কলকাতার সহকারী চলচ্চিত্র নির্মাতা শুভংকর রাজবংশীর নাম বলেছেন। ঘটনার পর থেকেই শুভংকর পলাতক রয়েছেন। তবে শিলাস্তি দাবি করেছেন, শুভংকর তার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। কোনো ছবি বা সিরিয়ালে সুযোগ পাইয়ে দেননি। 

শুভংকর কলকাতার টালিগঞ্জে অভিনয়ের সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়েছিলেন শিলাস্তিকে। শিলাস্তিকে তিনি বলেছিলেন, তার সঙ্গে অনেক পরিচালকের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। দ্রুতই তিনি নায়িকা হয়ে তার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন। আর টালিগঞ্জে নায়িকা হওয়ার সুযোগ পেলে ঢাকার সিনেমায় দ্রুতই ডাক পড়বে তার। তখন আর পরিচালকদের দুয়ারে দুয়ারে যেতে হবে না। এই লোভে পা দিয়ে আরও ফেঁসে যান বলে শিলাস্তি পুলিশের কাছে দাবি করেছেন। পরে শুভংকর ছাড়াও কলকাতার আরও দুজনের সঙ্গে পরিচয় হয় শিলাস্তির। এই দুজন কলকাতায় অবৈধ মানি একচেঞ্জের সঙ্গে জড়িত। তাদের বহুমুখী ট্র্যাপে পড়ে শিলাস্তি নিজেও অবৈধ বিদেশি মুদ্রার পাচারের সঙ্গে জড়িয়ে যান। 

শিলাস্তি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন, গত ছয় মাসে তিনি পাঁচবার হ্যানিট্র্যাপে পড়ে কলকাতায় গেছেন। তবে একবার পরিবারের সঙ্গে গেছেন বলে দাবি করেছেন। পরিবারকে তিনি পাঠিয়ে দিলেও পরে শাহীনের সঙ্গে কলকাতার অশোকা রোডের একটি ফ্ল্যাটে চলে যান। 

প্রথম দফা রিমান্ডে অনেক তথ্য গোপন করার কারণে ডিবি পুলিশ তাকে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে নেয়। এই রিমান্ডে অল্প সময়ের মধ্যে একজন উঠতি নারী মডেলের অপরাধের জগতে জড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাদের বিস্মিত করেছে। 

গত ২২ মে আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। ২৩ মে শিলাস্তিসহ আরও দুজনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গত ২৪ মে তাদের আদালতে হাজির করে ডিবি পুলিশ। অন্য দুজন হলেন আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া ও তানভীর ভূঁইয়া ওরফে ফয়সাল সাজি। পরে আদালত শিলাস্তিসহ মোট তিনজনকে আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। প্রথম দফায় রিমান্ডে কিছু তথ্যের ঘাটতি থাকার কারণে ডিবি পুলিশ গত ৩১ মে পুনরায় আদালতে আসামিদের হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করে। 

আদালত তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। ডিবি পুলিশ তাদের ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখেছে। 
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এডিসি মো. শাহিদুর রহমান গতকাল সকালে খবরের কাগজকে জানান, শিলাস্তি একাধিকবার কলকাতায় গেছেন। এর মধ্যে পলাতক শাহীন তাকে একবার নিয়ে গেছেন। 

মামলার তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর আগে ঢাকার উত্তরা ক্লাবে আক্তারুজ্জামান শাহীনের সঙ্গে শিলাস্তির পরিচয় হওয়ার পর থেকে তাদের মধ্যে সখ্য গড়ে ওঠে। এ সময় শিলাস্তি নিজেকে একজন মডেল হিসেবে শাহীনের কাছে পরিচয় দেন। শাহীন তাকে জানান, কলকতায় তার ব্যবসা রয়েছে। সেখানে তার সঙ্গে একাধিক পরিচালকের যোগাযোগ রয়েছে। এরপর থেকেই শিলাস্তি শাহীনের খপ্পরে পড়েন। 

সূত্র জানায়, শাহীন পরে শুভংকর রাজবংশীর সঙ্গে শিলাস্তির পরিচয় করে দিলে শুভংকরের সঙ্গে তার ‘বিশেষ সম্পর্ক’ গড়ে ওঠে। শিলাস্তি কলকাতায় গেলে শুভংকরের সঙ্গে আলাদা করে সময় কাটাতেন। 

সূত্র জানায়, শুভংকর তার আরও দুই বন্ধুর সঙ্গে শিলাস্তির পরিচয় করিয়ে দেন। তারা হলেন কলকাতার গুয়াবাড়িয়ার রোডের বাসিন্দা প্রমথেশ চ্যাটার্জি ও জোড়াসাঁকো রোডের বাসিন্দা রতন হরিবালা। তারা দুজন মূলত বিদেশি মুদ্রা চোরাকারবারের সঙ্গে জড়িত। শিলাস্তি তদন্ত কমকর্তাদের কাছে দাবি করেছেন, এই দুজন তাকে বিভিন্ন সময় মুদ্রা বহন করার জন্য কাজে লাগিয়েছেন। এর জন্য তিনি মূলত শাহীনকে দায়ী করেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি তাদের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। তবে শাহীনের সঙ্গে যোগাযোগ অটুক থাকে। সূত্র জানায়, শিলাস্তি যতবার কলকতায় গেছেন, ততবার তার সব খরচ শাহীন দিয়েছেন। এ ছাড়া তাকে মোটা অঙ্কের শপিংও করে দিয়েছেন। 

সূত্র জানায়, এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড শাহীন যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যাওয়ার কারণে এ ঘটনার মোটিভ উদঘাটন হচ্ছে না। তাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে সরকার।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মালামাল চুরি, গ্রেপ্তার ২

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৪, ০৬:২৭ পিএম
আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ০৬:২৯ পিএম
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মালামাল চুরি, গ্রেপ্তার ২
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মালামাল চুরির ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) তেজগাঁও থানার বাউলবাগ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি করা মালামাল উদ্ধার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. সাদ্দাম হোসেন (৩০) ও মো. মোরশেদ (২৯)।

শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন। 

তিনি জানান, গ্রেপ্তারকৃত সাদ্দাম ট্রাক ভাড়া করে এক্সপ্রেসওয়ের মালামাল চুরি করেন। সাদ্দাম ট্রাক ভাড়া করে প্রথমে এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন স্পটে ঘোরেন। এরপর সুযোগ বুঝে এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন মালামাল চুরি করেন। বৃহস্পতিবার এক্সপ্রেসওয়েতে দায়িত্ব পালনকালে সেখানকার নিরাপত্তারক্ষীরা সিসিটিভিতে মালামাল চুরির বিষয়টি শনাক্ত করেন। সাদ্দাম এক্সপ্রেসওয়েতে উঠে সেখানে থাকা রোড ব্যারিয়ার চুরি করেন। পরে নিরাপত্তারক্ষীরা ধাওয়া দিয়ে তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।

সাদ্দাম পুলিশকে জানান, চুরি করা এসব মালামাল তিনি বিভিন্ন হাউজিং সোসাইটির কাছে বিক্রি করেন৷

গ্রেপ্তার সাদ্দামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৩টি মামলা রয়েছে।

খাজা/এমএ/

কাজাকিস্তানের নাগরিক হত্যায় বেলারুশ নাগরিকের যাবজ্জীবন

প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৪, ১২:২৫ পিএম
আপডেট: ২৭ জুন ২০২৪, ১২:৪৫ পিএম
কাজাকিস্তানের নাগরিক হত্যায় বেলারুশ নাগরিকের যাবজ্জীবন
ছবি: খবরের কাগজ

পাবনার ঈশ্বরদীতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে কর্মরত কাজাকিস্তানের এক নাগরিককে হত্যার ঘটনায় এক বেলারুশ নাগরিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়াও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ না হওয়ায় দুই বেলারুশ নাগরিককে খালাস দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৬ জুন) বিকেলে পাবনার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ওয়ালিউল ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন। 

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের ট্রেস্ট রোসেমের কর্মকর্তা মাতাভিয়েভ ভ্লাদিমির (৪৩)। 

এই মামলা থেকে উরবানোভিচাস ভিটালি এবং ফেডারোভিচ গেনেডি নামে অপর দুই বেলারুশ নাগরিক খালাস পেয়েছেন। 

রায়ের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৬ মার্চ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের বিদেশিদের আবাসিক এলাকা নতুনহাট গ্রিন সিটি আবাসিক এলাকার একটি ভবন থেকে সেভেত্স ভ্লাদিমির নামের এক কাজাকিস্তান নাগরিকের রক্তাক্ত মরদেহ এবং তার ভাইকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় তিন বেলারুশ নাগরিককে দায়ী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিকিমত কোম্পানির পরিচালক ভেদোরোভ ইউরি। তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ২৭ মে তিন বেলারুশ নাগরিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিশ। দীর্ঘ শুনানি শেষে বুধবার রায় ঘোষণা করেন আদালত।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ খান রতন এবং আসামিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট মুকুল বিশ্বাস ও হেদায়েত উল ইসলাম। 

এ ছাড়াও দোভাষী হিসেবে বাদীপক্ষে এস এম আরিফ আলম এবং আসামির পক্ষে কে এম মুরাদুজ্জামানন সহযোগিতা করেন।

পার্থ হাসান/ইসরাত চৈতী/অমিয়/

দুই মেডিকেল শিক্ষার্থীর যৌন ব্যবসা, ৭ বছরে আয় শতকোটি

প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৪, ০৮:১২ পিএম
আপডেট: ২৬ জুন ২০২৪, ০৯:৩২ পিএম
দুই মেডিকেল শিক্ষার্থীর যৌন ব্যবসা, ৭ বছরে আয় শতকোটি
ছবি : সংগৃহীত

বেসরকারি মেডিকেল কলেজের দুই শিক্ষার্থী ফেসবুকসহ বিভিন্ন যোগাযোগমাধ্যমে উঠতি বয়সী তরুণীদের ফাঁদে ফেলে গত সাত বছরে হাতিয়ে নিয়েছেন শতকোটি টাকা। 

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা, সাতক্ষীরা, চাঁদপুর ও যশোরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অতিরিক্ত আইজিপি জানান, গ্রেপ্তাররা হলেন মেহেদী হাসান (২৫), তার খালাতো ভাই শেখ জাহিদ বিন সুজন (২৬), মো. জাহিদ হাসান কাঁকন (২৮), তানভীর আহমেদ ওরফে দীপ্ত (২৬), সৈয়দ হাসিবুর রহমান (২৭), শাদাত আল মুইজ (২৯), সুস্মিতা আক্তার ওরফে পপি (২৭) ও নায়না ইসলাম (২৪)।

এ চক্রের নেতৃত্ব দিতেন মেহেদী হাসান ও জাহিদ বিন সুজন। তারা আকর্ষণীয় বেতনে চাকরি, ট্যালেন্ট হান্ট ও মডেলিংয়ের নামে বিজ্ঞাপন দিতেন বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করলে কৌশলে তোলা হতো নগ্ন ছবি। এরপর শুরু হতো ব্ল্যাকমেইল। শুধু তা-ই নয়, ফাঁদে পড়া মেয়েদের ভিডিও কলে নগ্ন হওয়া এবং যৌন সম্পর্কে বাধ্য করা হতো। সেগুলোর ভিডিও ধারণ করে অনলাইনে যৌন ব্যবসা চালাতেন এই দুই ভাই। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হতো, তেমনি তাদের ভিডিও টেলিগ্রাম গ্রুপে শেয়ার করে সেখানে থাকা লাখো দেশি-বিদেশি সাবস্ক্রাইবারের কাছ থেকেও টাকা নেওয়া হতো। এভাবে চক্রটি গত সাত বছরে হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় শতকোটি টাকা। 

সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর চক্রটিকে শনাক্ত করে এর প্রধানসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে পর্নোগ্রাফি তৈরি ও তরুণীদের ব্ল্যাকমেইল করার কাজে ব্যবহৃত ১২টি মোবাইল ফোন, ২০টি সিম কার্ড, ১টি ল্যাপটপ এবং আয়ের টাকা লেনদেনে ব্যবহৃত বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম কার্ড ও চেক বই জব্দ করা হয়েছে।

অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, ‘চক্রটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া নামে ফেসবুক আইডি ও পেজ খুলে ফ্রিল্যান্সিং কাজ, লোভনীয় চাকরি, মডেল বানানো, মেধা অন্বেষণের নামে অল্প বয়সী তরুণীদের কাছ থেকে কৌশলে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও হাতিয়ে নেয়। এরপর ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে জোরপূর্বক তাদের দেহ ব্যবসায় নামানোর ভয়ংকর কার্যক্রম চালায়। চক্রটি মূলত উঠতি বয়সী তরুণীসহ যেসব তরুণী পারিবারিক ভাঙনের শিকার এবং আর্থিকভাবে সমস্যা রয়েছে তাদের টার্গেট করে। কাজের সুযোগ দেওয়ার নামে প্রথমে ইন্টারভিউতে ডাকা হয়। এরপর বিজ্ঞাপনে সুযোগ দেওয়ার কথা বলে আপত্তিকর ছবি নেয়। প্রাথমিকভাবে কাজে আগ্রহী তরুণীদের চাহিদামতো টাকা ও প্রয়োজন মেটায় তারা। এরপর ধীরে ধীরে অসামাজিক কাজ করতে বাধ্য করে।’

তিনি জানান, এই চক্রের প্রধান মেহেদী হাসান টঙ্গীর ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী।  খালাতো ভাই শেখ জাহিদ বিন সুজন মিলে এই চক্রটি গড়ে তোলেন। জাহিদ কল্যাণপুর ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী। তারা দুজন আরও কিছু সহযোগী নিয়ে তরুণীদের ফাঁদে ফেলে যৌন নির্যাতনের পাশাপাশি অ্যাডাল্ট কন্টেন্ট তৈরি করতেন এবং সেগুলো টেলিগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এবং মেসেঞ্জারে ছড়িয়ে দিতেন। 

এসব অনৈতিক কাজের মাধ্যমে গত সাত বছরে চক্রটি প্রায় ১০০ কোটি টাকা আয় করেছে দাবি করে অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, ‘এই টাকা দিয়ে তারা যশোর, সাতক্ষীরা, খুলনা এবং ঢাকায় বিপুল পরিমাণ জমি ক্রয় ও বাড়ি নির্মাণ করেছেন। তাদের আত্মীয়স্বজনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও বিপুল অর্থ জমিয়ে রাখার তথ্য মিলেছে।’

সিআইডির প্রাথমিক অনুসন্ধানে চক্রটির নিয়ন্ত্রণে ১০টি টেলিগ্রাম গ্রুপের সন্ধান মিলেছে। এসব টেলিগ্রাম গ্রুপে দেশি-বিদেশি গ্রাহকের সংখ্যা তিন লাখের বেশি। একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিয়ে গ্রাহকরা ওই গ্রুপগুলোতে যুক্ত থাকেন। অর্থ লেনদেনের জন্য চক্রটি ব্যবহার করত মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস। এ ছাড়া ক্রিপ্টোকারেন্সিতেও তাদের হাজার হাজার ডলার লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। চক্রটি তরুণীদের সঙ্গে ভিডিও কলের সবকিছু গোপনে ধারণ করে রাখত। এরপর তাদের বাধ্য করা হতো যৌন সম্পর্ক স্থাপনে। এভাবেই চক্রটির হাতে আধুনিক যৌনদাসীতে পরিণত হন শত শত তরুণী।

এমপি আনার হত্যা : খাগড়াছড়িতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার ২

প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৪, ০৫:২০ পিএম
আপডেট: ২৬ জুন ২০২৪, ০৫:২৪ পিএম
এমপি আনার হত্যা : খাগড়াছড়িতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার ২
ছবি : সংগৃহীত

হেলিকপ্টার দিয়ে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবির আভিযানিক দল।

বুধবার (২৬ জুন) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালানো হয়।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন ফয়সাল ও মোস্তাফিজুর। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। 

ডিবি সূত্রে জানা গেছে, এমপি আনার খুন হওয়ার আগে গত ২ মে কলকাতায় যান মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল। পরে ১৯ মে দেশে ফিরে আসেন তারা। তারা দুজনই খুলনার ফুলতলার বাসিন্দা। হত্যার মাস্টারমাইন্ড শিমুল ভূঁইয়ার বাড়িও একই এলাকায়।

ডিবির তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই দুই আসামির কাছে এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের অনেক তথ্য-উপাত্ত রয়েছে এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদে অনেক তথ্য পাওয়া যাবে। 

গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার। ১৩ মে তাকে কৌশলে ডেকে নিয়ে কলকাতার নিউটাউন এলাকার সঞ্জিভা গার্ডেনসের একটি ফ্ল্যাটে হত্যা করে মরদেহ টুকরো টুকরো করে ট্রলিব্যাগে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেয় হত্যাকারীরা। এ ঘটনায় ভারত ও বাংলাদেশে ৬ জন গ্রেপ্তার হলেও মূল পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামান শাহীন যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক রয়েছেন। হত্যা নিশ্চিত হওয়ার ৩ সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এমপি আনারের মরদেহের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

এদিকে মঙ্গলবার (২৮ মে) সন্ধ্যার দিকে সঞ্জিভা গার্ডেনসের সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহের টুকরো উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এগুলো আনারের মরদেহের টুকরো কি-না, সেটা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।

সালমান/

কারাগারের ছাদ ফুটো করে ৪ ফাঁসির আসামির পলায়ন, পরে আটক

প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৪, ১১:৪৪ এএম
আপডেট: ২৬ জুন ২০২৪, ০২:৪৬ পিএম
কারাগারের ছাদ ফুটো করে ৪ ফাঁসির আসামির পলায়ন, পরে আটক
ছবি : সংগৃহীত

বগুড়া জেলা কারাগারের ছাদ ফুটো করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি পালিয়েছিলেন। তবে পালানোর পরপরই তাদের আটক করে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাতে এ ঘটনা ঘটে। 

পালিয়ে যাওয়ার পর আটকরা হলেন- কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা গ্রামের নজরুল ইসলাম ওরফে মজনু ওরফে মঞ্জু (৬০), নরসিংদীর মাধবদী উপজেলার ফজরকান্দি গ্রামের আমির হামজা ওরফে আমির হোসেন (৪১), বগুড়ার কাহালু উপজেলার উলট্ট গ্রামের জাকারিয়া (৩৪) এবং বগুড়া সদরের কুটিরবাড়ি গ্রামের ফরিদ শেখ (৩০)।

বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন কারাগারের ডেপুটি জেলার ফারুক হোসেন। 

এ ঘটনার পর বুধবার (২৬ জুন) সকালে জেলখানা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী।

পরে পুলিশ সুপার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে এই চার আসামি ছাদ ফুটো করে বের হয়। এরপর তারা বিছানার চাদর ব্যবহার করে দেয়াল টপকে বাইরে বের হয়। খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক টিম শহরে তল্লাশি করে ভোর ৪টা ১০ মিনিটে শহরের চেলোপাড়া চাষি বাজার থেকে চারজনকেই আটক করতে সক্ষম হয়।

তিনি বলেন, পালিয়ে যাওয়ার পরপরই জেলা কারাগার থেকে পাঠানো ছবি দেখে আটকদের শনাক্ত করা হয়। পরে তাদের ডিবি কার্যালয়ে আনা হলে কারা কর্তৃপক্ষ চারজনকে শনাক্ত করেন।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, কারাগার পরিদর্শন করে দেখা গেছে, তারা চারজন একই সঙ্গে একটি কক্ষে অবস্থান করত। তারা পরিকল্পিতভাবে ছাদ ফুটো করে পরিধেয় বস্ত্র এবং বিছানার চাদর জোড়া দিয়ে রশি বানিয়ে দেয়াল টপকে পালিয়ে করতোয়া নদীর পার হয়ে পালিয়ে যায়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।

অমিয়/