ঢাকা ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪

যুদ্ধবিরতিতে সম্মত নেতানিয়াহু

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৪, ০৯:০৩ এএম
আপডেট: ০৩ জুন ২০২৪, ০৯:০৩ এএম
যুদ্ধবিরতিতে সম্মত নেতানিয়াহু
ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

রবিবার (২ জুন) ইসরায়েলের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান উপদেষ্টা ওফির ফক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
 
বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, ব্রিটেনের সানডে টাইমসের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে ওফির ফক জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের প্রস্তাবিত গাজায় যুদ্ধ বন্ধের একটি কাঠামো চুক্তি মেনে নিয়েছে ইসরায়েল। যদিও এটি ‘ভালো প্রস্তাব না’ তবে আমরা সকল জিম্মির মুক্তি চাই।’ 

এ সময় তিনি এই চুক্তিকে ত্রুটিপূর্ণ এবং আরও সংস্কারের প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন। 

ফক আরও বলেন, ‘জিম্মিদের মুক্তি এবং সন্ত্রাসী সংগঠন হামাসকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করার মতো শর্ত থেকে ইসরায়েল নিজেদের মত পরিবর্তন করেনি।’ 

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাইডেন, যার সমর্থনে ইসরায়েলের আগ্রাসী আক্রমণে বহু সংখ্যক বেসামরিক লোকের মৃত্যু হয়েছে। গত শুক্রবার তিনিই আবার নেতানিয়াহু সরকারের কাছে তিন ধাপের যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনা প্রস্তাব করেছেন। 
   
বিবিসি জানায়, ওই প্রস্তাবে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে- প্রথম ধাপে ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) গাজা থেকে পুরোপুরিভাবে সেনা সরিয়ে নেবে। ওই সময়টিতে মানবিক সহায়তা দেওয়াও বাড়ানো হবে। পাশাপাশি ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে মুক্তি দেওয়া হবে কিছু জিম্মিকে। দ্বিতীয় ধাপে জীবিত সব ইসরায়েলি জিম্মিকে ফেরত দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এটি করা হলে চুক্তিটি স্থায়ী রূপ নেবে এবং সব সংঘাত থেমে যাবে। আর চুক্তির তৃতীয় ধাপে মৃত ইসরায়েলি জিম্মিদের দেহাবশেষ ফেরত দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি এ ধাপে যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক মহলের সহায়তায় গাজায় পুনর্গঠন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে জানান বাইডেন।  

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ঘোষণার পর গত শনিবার রাতে অনেক ইসরায়েলি বিক্ষোভ করে চুক্তিটি গ্রহণ করার আহ্বান জানান নেতানিয়াহুর সরকারকে। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যস্থতাকারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতার ইসরায়েল-হামাসকে প্রস্তাবিত চুক্তিতে সম্মত হয়ে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং সংকট অবসানের আহ্বান জানায়। একই সঙ্গে উভয় পক্ষের জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ারও আহ্বান জানায়। 

জোট ত্যাগের হুঁশিয়ারি ইসরাইলি মন্ত্রীদের
গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত হলে জোট ত্যাগের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরাইলের উগ্র ডানপন্থী জোটের দুই মন্ত্রী। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলের অর্থমন্ত্রী বেজালল স্মোট্রিচ এবং জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির নেতানিয়াহুর জোট ত্যাগের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তারা বলেছেন, হামাসকে নির্মুল করার আগে যুদ্ধবিরতির যেকোনো চুক্তির বিরোধী তারা।  

তবে এ বিষয়ে পাল্টা প্রতিক্রিয়াও দেখিয়েছেন দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার ল্যাপিড। তিনি বলেছেন, ‘নেতানিয়াহু যদি যুদ্ধবিরতির চুক্তিকে সমর্থন করেন তাহলে তিনি সরকারকে সমর্থন করবেন। কিন্তু গাজায় হামাসের শক্তি পুরোপুরি শেষ না হলে এবং সকল জিম্মিদের মুক্তি না দিলে কোনো ধরনের যুদ্ধবিরতির আলোচনায় যাবে না ইসরায়েল।’

শনিবার পৃথক এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ‘হামাসের সামরিক এবং প্রশাসনিক কাঠামো নিশ্চিহ্ন না করা পর্যন্ত যুদ্ধ অব্যাহত রাখা হবে। যুদ্ধ বন্ধ করার ক্ষেত্রে ইসরায়েলের যে শর্ত রয়েছে সেটি পরিবর্তিত হয়নি। হামাসের সামরিক ও প্রশাসনিক কাঠামো ধ্বংস করা, সব জিম্মিকে মুক্ত করা এবং গাজা আবারও ইসরায়েলের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে না এটি নিশ্চিত করা। স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হওয়ার আগ পর্যন্ত ইসরায়েল তার শর্তে অটল থাকবে। এসব শর্ত পূরণ হওয়ার আগে ইসরায়েল স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে এমন ধারণা বাস্তব হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।’ সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি, এপি, টাইমস অব ইসরায়েল।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিততে পারব, দাতাদের আশ্বাস বাইডেনের

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ০৮:৪২ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ০৮:৪২ পিএম
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিততে পারব, দাতাদের আশ্বাস বাইডেনের
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে অনুষ্ঠিত বিতর্কে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিপরীতে অনেকটাই নিষ্প্রভ ছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ট্রাম্পের সামনে তার এই বিপর্যয়ের কারণে অনেক ডেমোক্রাটিক সমর্থকের মনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। তবে বাইডেন নিজে এখনো যথেষ্ট আশাবাদী। নভেম্বরের নির্বাচনে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এখনো জয়লাভ করতে পারবেন বলে ডেমোক্রাট দাতাদের আশ্বস্ত করেছেন বাইডেন।

৮১ বছর বয়সী এই প্রেসিডেন্ট গতকাল শনিবার (২৯ জুন) নিউইয়র্ক ও নিউজার্সিতে কয়েকটি তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে বাইডেন সিএনএন বিতর্কে তার বাজে পারফরম্যান্স নিয়ে আত্মরক্ষামূলক বক্তব্য দেন। খবর বিবিসির।

বাইডেন তার বক্তব্যে স্বীকারোক্তি দিয়ে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (বিতর্কের রাত) আমার ভালো রাত ছিল না। ট্রাম্পেরও ছিল না। তবে আমি আপনাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আমরা এই (প্রেসিডেন্ট) নির্বাচনে জয়ী হব।’ এ সময় বিতর্ক প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি দেখে তার দল থেকে অন্য প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে সরে দাঁড়াবেন না বলেও জানিয়েছেন বাইডেন। 

এদিকে বাইডেনের বাজে পারফরম্যান্সকে কেন্দ্র করে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য যোগ্য কি না, তা নিয়েও কিছু ডেমোক্রাটের মধ্যে নতুন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে ডেমোক্রাট হাউসের সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বিবিসিকে বলেন, ‘বাইডেনের বিতর্কের পারফরম্যান্স ভালো ছিল না।’ এ ছাড়া বাইডেনের সাবেক যোগাযোগ পরিচালক কেট বেডিংফিল্ড এই বিতর্ককে হতাশাজনক বলে উল্লেখ করেছেন। 

নিউজার্সির তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানে বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনের সঙ্গে অংশ নিয়েছিলেন ডেমোক্রাট গভর্নর ফিল মারফি। তিনি বাইডেনকে সমর্থন দিয়ে বলেন, ‘আমরা সবাই আপনার সঙ্গে ১০০০ ভাগ আছি।’ 

বাইডেনের ক্যাম্পেইন চেয়ারওম্যান জেনিফার ও’ম্যালি ডিলন জানান, ‘অভ্যন্তরীণ বিতর্ক-পরবর্তী ভোট গ্রহণ থেকে দেখা যায় ভোটারদের মতামতে পরিবর্তন হয়নি। এটি প্রথমবারের মতো নয় যে অতিমাত্রায় প্রস্ফুটিত গণমাধ্যম উপখ্যান নির্বাচনকে অস্থায়ীভাবে তলিয়ে দিয়েছে।’

বাইডেনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে বলেছেন, ‘খারাপ বিতর্কের রাত ছিল। তবে বাইডেনের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এই নির্বাচনে এমন একজন লড়ছেন, যিনি তার সারা জীবন সাধারণ মানুষের জন্য লড়াই করেছেন। অন্যদিকে অপরজন যিনি শুধু নিজের জন্য চিন্তা করেন।’ সূত্র: বিবিসি

নাইজেরিয়ার আত্মঘাতী হামলায় নিহত ১৮

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ০৩:৪৬ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ০৪:১৯ পিএম
নাইজেরিয়ার আত্মঘাতী হামলায় নিহত ১৮
ছবি: সংগৃহীত

নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্ব বোর্নো রাজ্যে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৩০ জন। নিহতদের মধ্যে শিশু এবং গর্ভবতীরাও রয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

শনিবার (২৯ জুন) গোওজা শহরে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে সন্দেহভাজন বোমা হামলায় ছয়জন নিহত ও অন্যদের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

দেশটির জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানায়, সন্দেহভাজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীরা গোওজা শহরে একটি বিয়ে, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ও হাসপাতালে হামলা চালায়।

তবে স্থানীয় মিডিয়া নাইজেরিয়ার ভ্যানগার্ড ও দিস ডে সংবাদপত্র জানিয়েছে, বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছে।

এ ঘটনার পর সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দেশ জুড়ে কারফিউ জারি করা হয়েছে।

এখন পর্যন্ত কেউ এসব হামলার দায় স্বীকার করেনি।

আফ্রিকার জনবহুল দেশ নাইজেরিয়া। দেশটিতে ২০ কোটির অধিক লোকের বসবাস। নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ২০০৯ সাল থেকে লড়াই চালিয়ে আসছে জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারাম।

বোকো হারাম এর আগে দেশটিতে বহু হামলা চালিয়েছে। সেসব হামলায় নারী আত্মঘাতী বোমারুদেরও ব্যবহার করা হয়েছে। 

রাজ্যটি ১৫ বছর ধরে বোকো হারামের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জঙ্গিগোষ্ঠীর হামলায় এ পর্যন্ত ২০ লাখেরও অধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। প্রাণ হারিয়েছে ৪০ হাজারের মতো মানুষ।  

এর আগে গেল নভেম্বরে পাশের ইয়োবে রাজ্যে একটি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া থেকে ফেরার সময় বোকো হারামের হামলায় ২০ জন নিহত হয়।

ইসরাত চৈতি/অমিয়/

দিল্লিতে বৃষ্টিতে শিশুসহ ১১ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ১২:৫৪ পিএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ০২:০৬ পিএম
দিল্লিতে বৃষ্টিতে শিশুসহ ১১ জনের মৃত্যু
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ভারী বৃষ্টিপাতে চার শিশুসহ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) থেকে শনিবারের (২৯ জুন) বৃষ্টিতে তাদের মৃত্যু হয়। 

প্রশাসন জানিয়েছে, এদের মধ্যে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে বৃষ্টিতে জমে থাকা পানিতে ডুবে।

ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর রবিবার (৩০ জুন) মাঝারি থেকে ভারী এবং সোমবার (১ জুলাই) ও মঙ্গলবার (২ জুলাই) ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করেছে। 

রবি ও সোমবারে ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ারও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। 

আগামী চার দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হলেও সাত দিন পর্যন্ত এই পরিস্থিতি চলতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। 

আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা বলেছেন, বর্ষার মৌসমে দিল্লিতে ৬৫০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে শুধু শুক্রবারই (২৮ জুন) গোটা মৌসুমের এক-তৃতীয়াংশ বৃষ্টি হয়েছে দিল্লিতে। এদিন ২২৮ দশমিক ১ মিলিমিটার বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছে গোটা রাজধানী।

শনিবারের বৃষ্টিতে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে রোহিণী, বুরারি এবং মধ্য দিল্লির অনেক এলাকা। 

শনিবার সফদর জং-এ বৃষ্টি হয়েছে ৮ দশমিক ৯ মিলিমিটার। লোধি রোডে বৃষ্টি হয়েছে ১২ দশমিক ৬ মিলিমিটার। সূত্র: দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া

পপি/অমিয়/

বিতর্ক ভালো হয়নি স্বীকার করলেন বাইডেন

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ০৮:৫৪ এএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ০৮:৫৪ এএম
বিতর্ক ভালো হয়নি স্বীকার করলেন বাইডেন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

বিতর্ক আশানুরূপ না হওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে তিনি বলেছেন, রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নির্বাচনে পরাজিত করবেনই তিনি। গতকাল শুক্রবার (২৮ জুন) নর্থ ক্যারোলাইনার এক সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন তিনি। ওই অঙ্গরাজ্যটি ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট হিসেবে পরিচিত।

এ সময় ৮১ বছর বয়সী বাইডেনকে বলতে শোনা যায়, ‘জানি যে আমি তরুণ বয়সী নই, স্পষ্টভাবে যদি বলতে চাই। আগের মতো করে আর হাঁটতে পারি না, আগের মতো করে মসৃণভাবে আর কথা বলতে পারি না। আমি আগের মতো ভালো করে আর বিতর্কও করতে পারি না।’ 

তার সামনে থাকা জনতাকে এ সময় ‘আরও চার বছর’ স্লোগান দিতে শোনা যায়। বাইডেন বলেন, ‘আমি আবার দাঁড়ানোর কথা ভাবতাম না, যদি না আমি অন্তরের অন্তস্তল থেকে বিশ্বাস করতাম যে এই দায়িত্ব আমি সামাল দিতে পারব। হিসাবটা এখানে অনেক বড়।’ 

বয়সের কারণে বাইডেনের কথা অনেক সময়ে জড়িয়ে যায়। অনেক সময় তার পাল্টা জবাব ততটা জোরালো হয় না। বিষয়গুলোকে প্রতিদ্বন্দ্বী শিবির থেকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বলা হয়, তিনি আরও চার বছর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য ততটা যোগ্য না। অনেক ডেমোক্রেট বাইডেনের স্থানে অন্য কোনো ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়া যায় কি-না, তা নিয়েও ভাবছেন– এমন গুঞ্জনও শোনা গেছে।

তবে বাইডেনের প্রচার শিবিরের মুখপাত্র মাইকেল টাইলার বলেছেন, এ রকম কোনো কিছু নিয়ে কোনো আলোচনা চলছে না। বাজে চিন্তাভাবনা ও লক্ষ্যের প্রার্থীর চেয়ে আমরা একটি খারাপ রাত মেনে নিতে রাজি আছি।

গত বৃহস্পতিবার হয়ে যাওয়া বিতর্কে ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প অনেক মিথ্যা তথ্য দিলেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে স্থান করে নেন বাইডেন, বিশেষ করে ডেমোক্রেট শিবিরে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্রেট পার্টি নেতা হাকিম জেফরিসকে এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি সরাসরি উত্তর দেননি। তিনি বলেন, ‘আমি মনোনয়ন সমর্থন করি। আমি সিনেটে ডেমোক্রেট সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে সমর্থন করি। নভেম্বরে আবার হাউসের দখল নিতে যা যা করা প্রয়োজন, তার সবই আমরা করব।’

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও বারাক ওবামাসহ ডেমোক্রেট শিবিরের অনেক জ্যেষ্ঠ নেতাই জানিয়েছেন, তারা বাইডেনকে সমর্থন দেবেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা লিখেছেন, ‘বাজে বিতর্ক হয়েই থাকে। আমার কথা বিশ্বাস করুন, কারণ আমি জানি। কিন্তু এই নির্বাচন এখনো এমন একটি লড়াই, যেখানে একজন মানুষ সারাজীবন সাধারণের জন্য লড়েছেন, আর আরেকজন শুধু নিজের কথা ভেবেছেন।’ 

মার্কিন গণমাধ্যমগুলোতেও বাইডেনের কড়া সমালোচনা হচ্ছে। ২০২০ সালে বাইডেনের প্রতি সমর্থন জানানো নিউইয়র্ক টাইমসের সম্পাদকীয়তেও বলা হয়েছে, ‘বাইডেন পুনরায় নির্বাচনে না দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে এ মুহূর্তে সবচেয়ে বড় জনসেবাটি করতে পারেন।’ সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি 

গাজায় বাস্তুচ্যুত আরও ৬০ হাজার

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৪, ০৮:৪৮ এএম
আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ০৮:৪৮ এএম
গাজায় বাস্তুচ্যুত আরও ৬০ হাজার
ছবি: খবরের কাগজ

গাজা সিটির শুজাইয়া এলাকায় নতুন করে অন্তত ৬০ হাজার বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ইসরায়েলের স্থল অভিযানের জেরে বাড়িঘর ছাড়তে হয়েছে তাদের। একই সঙ্গে গাজার আল-মাসওয়াসিতে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে পাঁচ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ওই এলাকায় অনেক হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। গতকাল শনিবার জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক এ তথ্য জানান। 

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক ও সেনারা শুজাইয়ায় ঢুকে পড়লে আতঙ্কিত হাজার হাজার বেসামরিক লোক সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এর পরের দিন গতকাল শনিবার ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে তীব্র যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা জানিয়েছেন, লড়াইয়ে চার ইসরায়েলি সেনা নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন।

আল-জাজিরার প্রতিবেদক ইসমাইল আল-ঘৌল জানিয়েছেন, ‘শুজাইয়া একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। হামলার আগে কর্মব্যস্ততা ছিল এলাকাটিতে। কিন্তু ইসরায়েলের দুটি স্থল অভিযান এলাকাটিকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে সমতল বানিয়ে ফেলেছে। এটিকে ভূতুড়ে শহরে পরিণত করেছে, যেখানে মানুষের জীবনের কোনো চিহ্ন নেই।’ 

আল-ঘৌল ও আল-জাজিরার ক্রু যখন চিত্রধারণ করছিলেন, তখন তারা একটি অস্থায়ী আশ্রয়স্থলে লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার ভয়ে কেউ লাশ দাফন করতে যেতে পারেনি। এ ছাড়াও অনেক আহত ব্যক্তি আটকা পড়েছিলেন। 

এদিকে ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, গাজার বাড়িঘরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় চার শিশুসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। মধ্য গাজার মাঘাঝি শরণার্থী শিবিরেও হামলায় হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।

ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক জাতিসংঘ সংস্থা বলেছে, গাজার জনসাধারণ ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবন ও তাঁবুতে বাস করছে। এগুলোর পাশে বর্জ্যের বিশাল স্তূপ রয়েছে। খাদ্য সংকটের মাত্রা বৃদ্ধি ও রোগাক্রান্ত বৃদ্ধির আশঙ্কায় পরিস্থিতি অসহনীয় করে তুলছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

আল-জাজিরার সর্বশেষ হিসাব অনুসারে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েলের হামলায় ৩৭ হাজার ৭৬৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৮৬ হাজার ৪২৯ জন। হামাসের হামলায় আনুমানিক এক হাজার ১৩৯ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়াও কয়েক ডজন মানুষ গাজায় বন্দি রয়েছেন। সূত্র: আল-জাজিরা