![ছেলে দোষী হলেও আইনের প্রতি সম্মানের প্রতিশ্রুতি বাইডেনের](uploads/2024/06/13/biden-and-son-hunter-1718247451.jpg)
আগ্নেয়াস্ত্র মামলায় ছেলেকে (হান্টার বাইডেন) দোষী সাব্যস্ত করে জুরিবোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান বজায় রাখবেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গত মঙ্গলবার (১১ জুন) এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, এক সপ্তাহ ধরে বিচারকাজ চলার পর মঙ্গলবার ৫৪ বছর বয়সী হান্টারকে দোষী সাব্যস্ত করেন ১২ সদস্যবিশিষ্ট জুরিবোর্ড। বাইডেনপুত্রের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে উইলমিংটনের আগ্নেয়াস্ত্রের দোকান থেকে একটি রিভলবার কেনার অভিযোগ আনা হয়।
আগ্নেয়াস্ত্রটি কেনার সময় তিনি নিজের মাদকাসক্তি নিয়ে ফেডারেল কাগজপত্রে মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন। সে সময় নিজের মাদকাসক্তির কথা গোপন করেছিলেন তিনি। এ ঘটনায় হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ এনেছেন সরকারি আইনজীবীরা।
প্রথম অভিযোগ, আগ্নেয়াস্ত্র কেনার সময় মিথ্যা তথ্য দেন হান্টার। দ্বিতীয় অভিযোগ, অস্ত্র বিক্রেতার নথিপত্রেও মিথ্যা তথ্য থাকার বন্দোবস্ত করেন তিনি। আর তৃতীয় অভিযোগ, হান্টার বাইডেন অবৈধভাবে আগ্নেয়াস্ত্র নিজের কাছে রেখেছিলেন।
প্রমাণিত অপরাধগুলোয় সর্বোচ্চ সাজা দাঁড়ায় ২৫ বছর। সর্বোচ্চ সাজা হওয়ার সম্ভাবনা কম হলেও হান্টারকে কারাভোগ করতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। হান্টার হলেন দেশটির ইতিহাসে প্রথম কোনো ক্ষমতাসীন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সন্তান, যিনি ফৌজদারি মামলায় বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন।
বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট, তা ঠিক; কিন্তু আমি তো একজন বাবাও। সে (হান্টার) এখন যে ধরনের মানুষ, তাকে নিয়ে আমরা গর্বিত। হান্টার আপিল করার কথা ভাবছেন।’ এমন অবস্থায় মামলায় ছেলের বিরুদ্ধে যে ধরনের সাজাই ঘোষণা করা হোক না কেন বিচারপ্রক্রিয়ার প্রতি সম্মান বজায় রাখবেন বলে জানিয়েছেন বাইডেন।
আগামী নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে বাইডেন যখন নির্বাচনি প্রচারণায় ব্যস্ত তখনই এমন সিদ্ধান্ত আসল আদালত থেকে। এতদিন ডেলাওয়ার অঙ্গরাজ্যের আদালতে হান্টারের বিরুদ্ধে বিচার চলাকালে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কোনো শুনানিতে অংশ নেননি। যদিও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য নিয়মিত শুনানিতে উপস্থিত থাকতেন। মঙ্গলবার রায় ঘোষণার পর বাইডেন ডেলাওয়ারের উইলমিংটনে যান। সেখানে গিয়ে ছেলেকে জড়িয়ে ধরেন তিনি। সূত্র: বিবিসি