![ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২৮ জুন](uploads/2024/06/26/iran-election-1719369615.jpg)
ইরানিরা আগামী ২৮ জুন নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে নির্বাচনে অংশ নেবেন। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর এক মাস পর এ নির্বাচন হতে চলেছে। এরই মধ্যে পশ্চিমা গণমাধ্যম নির্বাচনটিকে ‘নিয়ন্ত্রিত’ আখ্যা দিয়েছে।
ভবিষ্যতে ইরানের শীর্ষনেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির স্থলাভিষিক্ত কে হবেন, সে বিষয়টিকেও প্রভাবিত করবে নির্বাচনের ফলাফল। রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের মধ্যেও যাতে খামেনির কট্টর মতাদর্শ থাকে, তা এরই মধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে।
এমন একটি সময়ে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যখন ওই অঞ্চলে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের কারণে আগে থেকেই বিরাজ করছে অস্থিতিশীল একটি অবস্থা। এ ছাড়া ইরানের ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা, দেশের ভেতরে রাজনৈতিক অস্থিরতা, সামাজিক ও আর্থিক সংকট বাড়তি চাপ তৈরি করছে।
সব মিলিয়ে ছয়জন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচজন কট্টরপন্থি ও একজন মধ্যমপন্থা অনুসরণকারী। তারা সবাই দেশের তরুণ বয়সীদের ভোটে টানার চেষ্টা করছেন। সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে ৩০ বছরের কম বয়সী আট কোটি ৫০ লাখ জনগোষ্ঠীর ৬০ শতাংশকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।
ইরানে প্রেসিডেন্টের হাতে অনেক ক্ষমতা থাকলেও মূল কলকাঠি নাড়েন শীর্ষনেতা। আন্তর্জাতিকভাবে প্রেসিডেন্ট স্বীকৃত হলেও সব সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে শীর্ষনেতার কথাই শেষ কথা। পররাষ্ট্র বা পারমাণবিক নীতি, গণমাধ্যম, সামরিক বাহিনী, আর্থিক সম্পদ– সবকিছুর নিয়ন্ত্রণই শীর্ষনেতার হাতে। সূত্র: রয়টার্স