ঢাকা ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪

ফ্রান্সে ক্ষমতায় আসতে পারে অতি ডানপন্থি দল

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৮:২৭ এএম
আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৪, ০৮:২৭ এএম
ফ্রান্সে ক্ষমতায় আসতে পারে অতি ডানপন্থি দল
ন্যাশনাল র‌্যালি (আরএন) দলের প্রার্থী মেরিন লে পেন গতকাল হেনিন-বিউমন্টের একটি ভোটকেন্দ্রে তার ভোট দিচ্ছেন। ছবি: সংগৃহীত

ফ্রান্সে পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এবারের নির্বাচনে অতি ডানপন্থি দল ন্যাশনাল র‌্যালি (আরএন) প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রবিবার (৩০ জুন) স্থানীয় সময় সকাল ৬টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ফ্রান্সের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হয় দুই ধাপে। ৭ জুলাই দ্বিতীয় দফার ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ছোট শহরগুলোতে ভোট চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। আর বড় শহরগুলোতে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোটকেন্দ্র খোলা থাকবে। নির্বাচনে ৫৭৭টি আসনের জন্য ভোট হয়ে থাকে। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য একটি দলের প্রয়োজন হয় ২৮৯টি আসন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরএন দলটি অভিবাসনবিরোধী ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমালোচনাকারী হিসেবে পরিচিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দেশটিতে প্রথমবারের মতো অতি ডানপন্থি সরকারের সূচনা হতে পারে। যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের কেন্দ্রস্থলে একটি বড় ধরনের পরিবর্তনের সম্ভাবনাকে হাতছানি দিচ্ছে। 

প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ এই মাসে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে দেশকে হতবাক করে দিয়েছেন। কারণ এমন এক সময়ে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন যখন ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নির্বাচনে অতি ডানপন্থি রাজনীতিবিদ মেরিন লে পেনের দল আরএন দল ক্ষমতাসীন মাখোঁ কেন্দ্রবাদী জোটকে পরাজিত করে। পেনের দলটি দীর্ঘ সময় ধরে নিষ্ক্রিয় ছিল। কিন্তু এখন আগের চেয়ে ক্ষমতার কাছাকাছি।

ভোটের আগে বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, এবার আরএন বেশ এগিয়ে রয়েছে। তবে জনমত জরিপগুলো বলছে, আরএন এগিয়ে থাকলেও, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। তাদের দাবি, ভোটে ৩৩ থেকে ৩৬ শতাংশ ভোট পাবে আরএন। বামপন্থি জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট পাবে ২৮ থেকে ২৯ শতাংশ আর মাখোঁ মধ্যপন্থি জোট পাবে ২০ থেকে ২৩ শতাংশ ভোট।

গেল বুধবার স্থানীয় এক সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লে পেন বলেছেন, ‘নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জিততে যাচ্ছি আমরা।’ জিতলে তার দলের নেতা বারডেলা প্রধানমন্ত্রী হবেন বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। সূত্র: রয়টার্স

সৎসঙ্গে পদদলিত হয়ে ১২১ জনের মৃত্যু, কে এই ভোলেবাবা?

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ১০:৩০ এএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ১১:০৩ এএম
সৎসঙ্গে পদদলিত হয়ে ১২১ জনের মৃত্যু, কে এই ভোলেবাবা?
নারায়ণ শঙ্কর হরি ওরফে ভোলেবাবা

ভারতের উত্তরপ্রদেশে এখন প্রচণ্ড গরম আবহাওয়া বিরাজমান। আর এই গরমের মধ্য়ে হাথরস জেলায় চলছিল ভোলেবাবার সৎসঙ্গ অনুষ্ঠান। সেই সময় তাঁবুর ভেতরে একেবারে গলদঘর্ম অবস্থা। ফলে সৎসঙ্গ শেষ হতেই হুড়মুড় করে বের হতে শুরু করেন তার অনুসারীরা। এতে পদদলিত হয়ে অন্তত ১২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) জেলার সিকান্দ্রা রাউ এলাকায় বিশেষভাবে স্থাপিত তাঁবুতে ভোলেবাবার সৎসঙ্গের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে বেঁচে ফিরতে পারেননি অনেকেই। 

জানেন কি? কে এই ভোলেবাবা? যার সৎসঙ্গে পদদলিত হয়ে এত এত মানুষের প্রাণ গেল।

বেশিরভাগ সময়ই তাকে সাদা পোশাকে দেখা যায়। নারায়ণ শঙ্কর হরি নামে ডাকা হয় তাকে। প্রায় ১৮ বছর তিনি উত্তরপ্রদেশ পুলিশের গোয়েন্দা দপ্তরে চাকরি করেছেন। তিনি তার ভক্তদের বলেছিলেন, পুলিশে চাকরি করার সময় তিনি আধ্যাত্মিকতার দিকে ঝুঁকে পড়েন এবং আধ্যাত্মিক পথে চলার জন্য চাকরিতে ইস্তফা দেন।

উত্তরপ্রদেশের ইটাহ জেলার বাহাদুর নাগরি গ্রামের কৃষক নান্নে লাল এবং কাতোরি দেবীর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন ভোলেবাবা। তার আসল নাম সুরজ পাল। তারা দুই ভাই ছিলেন। ইতোমধ্যে একজন মারা গেছেন। গ্রামের স্কুলেই তিনি প্রাথমিক পড়াশোনা শেষ করেছেন। পরে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের গোয়েন্দা ইউনিটের হেড কনস্টেবল ছিলেন। ১৯৯৯ সালে তিনি পুলিশের চাকরি ছেড়ে তার নাম পরিবর্তন করে নারায়ণ শঙ্কর হরি রাখেন।

গুরু হিসেবে নারায়ণ শঙ্কর হরির একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হলো, তিনি রঙিন পোশাক পরেন না। তিনি সাদা স্যুট টাই পছন্দ করেন। তার অন্য পছন্দের পোশাক হলো কুর্তা-পায়জামা। তার স্ত্রী প্রেম বাতি সাধারণত তার সঙ্গেই থাকেন।

তার ধর্মোপদেশের সময় তিনি বলেন যে, তাকে যে দান করা হয় তার কোনো কিছুই তিনি রাখেন না। পুরোটাই তার ভক্তদের জন্য ব্যয় করেন। 

নারায়ণ হরি নিজেকে হরির শিষ্য বলে থাকেন। উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং দিল্লিসহ ভারতজুড়ে তার লাখ লাখ অনুসারী রয়েছে। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকেন। কোনো প্ল্যাটফর্মেই তার অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট নেই। 

তবে, তার অনুসারীদের দাবি, তৃণমূল স্তরে ভোলেবাবার যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। সূত্র: এনডিটিভি/হিন্দুস্তান টাইমস

অমিয়/

যুক্তরাজ্যে নির্বাচন জরিপে এগিয়ে লেবার, ৩৪ প্রার্থী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ১০:০৪ এএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ১২:২১ পিএম
জরিপে এগিয়ে লেবার, ৩৪ প্রার্থী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত
প্রতীকী ছবি। সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবার নিধারিত সময়ের আগেই নির্বাচন হচ্ছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক গত ২২ মে নির্বাচন আগেভাগে করার ঘোষণা দেন।

গত ১৪ বছর ধরে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতায় রয়েছে সুনাকের কনজারভেটিভ পার্টি। তবে জনমত জরিপ বলছে, এবার হয়তো লেবার পার্টি আসতে চলেছে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতায়। দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন স্যার কির স্টারমার।

যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে প্রায় ৯৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে। ভোট শুরু হবে স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে। ভোট চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাজ্যজুড়ে ৬৫০টি নির্বাচনি এলাকায় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমনসের জন্য প্রার্থী নির্বাচিত হবে।

হাউস অব কমনসে কোনো দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য মোট আসনের অন্তত ৫০ শতাংশ বা ৩২৬টি আসনে জয়লাভ করতে হবে। এরপর তাদের সরকার গঠনের জন্য আহ্বান জানাবেন ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস। পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ হাউস অব লর্ডসের সদস্যদের নিয়োগ দেওয়া হয়, নির্বাচনের মাধ্যমে বেছে নেওয়া হয় না।

আগামীকাল রাতেই বুথফেরত জরিপ থেকে ভোটারদের অবস্থান সম্পর্কে কিছুটা আভাস মিলবে। কে ক্ষমতায় আসতে পারে, সে বিষয়টিও বেশ স্পষ্ট হবে। কিছু কেন্দ্রের ফলাফলও চলে আসবে। তবে পূর্ণাঙ্গ ফল আসতে শুক্রবার প্রথম ভাগ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। অতীতেও এ রকমটি হওয়ার নজির রয়েছে। ২০১৯ সালে কনজারভেটিভ পার্টির বিজয় নিশ্চিত হয়েছিল যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় ভোর ৫টা নাগাদ।

দেশটির নির্বাচনে এবার যে কয়টি বিষয় ভূমিকা রাখবে, তার মধ্যে অন্যতম হলো- মূল্যস্ফীতি ও অভিবাসন।
নির্বাচনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রার্থী

এদিকে যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে বিভিন্ন দলের হয়ে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৩৪ জন ব্রিটিশ নাগরিক লড়বেন বলে জানা গেছে। প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টি থেকে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আটজন ব্রিটিশ নাগরিক মনোনয়ন পেয়েছেন। 

তাদের মধ্যে চারজন বর্তমানে এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তারা হলেন রুশনারা আলী, রুপা হক, টিউলিপ সিদ্দিক ও আফসানা বেগম। বাদবাকি চারজন হলেন রুমি চৌধুরী, রুফিয়া আশরাফ, নুরুল হক আলী ও নাজমুল হোসাইন।

ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দল থেকেও ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত বাংলাদেশি নাগরিকদের লড়তে দেখা যাবে। মোট ২ জন লড়বে এ দল থেকে। তারা হলেন আতিক রহমান ও সৈয়দ সাইদুজ্জামান।

ওয়ার্কার্স পার্টি অব ব্রিটেন থেকে লড়তে দেখা যাবে ৬ জনকে। তারা হলেন গোলাম টিপু, প্রিন্স সাদিক চৌধুরী, মোহাম্মদ সাহেদ হোসাইন, ফয়সাল কবির, মোহাম্মদ বিলাল ও হালিমা খান।

এ ছাড়া রিফর্ম পার্টির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেখা যাবে রাজ ফরহাদকে, লিবারেল ডেমোক্র্যাটস থেকে লড়বেন রাবিনা খান, স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি থেকে দাঁড়িয়েছেন নাজ আনিস মিয়া, গ্রিন পার্টির মনোনয়ন পেয়েছেন সাইদ সিদ্দিকী, সাইদ শামসুজ্জামান শামস ও শারমিন রাহমান। আর সোশালিস্ট পার্টির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মমতাজ খানম।

নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও দাঁড়িয়েছেন ১১ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। তারা হলেন ওয়েইছ ইসলাম, আজমাল মাশরুর, সুমন আহমেদ, সাম উদ্দিন এহতেশামুল হক, ওমর ফারুক, নিজাম আলী, নূরজাহান বেগম, হাবিব রহমান, আবুল কালাম আজাদ ও রাজা মিয়া। সূত্র: বিবিসি, গার্ডিয়ান

দক্ষ কর্মী সংকটে কাজের সময় বাড়ল গ্রিসে

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৫ এএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৫ এএম
দক্ষ কর্মী সংকটে কাজের সময় বাড়ল গ্রিসে
ছবি : সংগৃহীত

গ্রিসের কর্মীদের কাজের সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে সপ্তাহে তাদের ছয় দিন কাজ করতে হবে। মূলত ‘উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর’ লক্ষ্যেই এ কাজ করছে দেশটি। 

সোমবার (১ জুলাই) থেকে চালু হয়েছে নতুন ওই নিয়ম। বিভিন্ন কর্মী ইউনিয়ন বিষয়টিকে ‘বর্বরতা’ আখ্যা দিয়ে এর সমালোচনা করেছে।

এমন একটি সময় গ্রিস এ পদক্ষেপ নিলো যখন বিশ্বের অনেক দেশ উৎপাদনশীলতা বাড়াতে কর্মঘণ্টা কমিয়ে আনছে।

গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোতাকিস বলেন, গ্রিসের কমতে থাকা জনসংখ্যা ও দক্ষ কর্মীর সংকট- এই দুই কারণে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গ্রিস একসময় তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছিল। পরে তারা অনেকটাই তা কাটিয়ে উঠে। 

তবে ২০০৯ সালে অর্থনৈতিক সংকট শুরু হওয়ার পর দেশটির বহু নাগরিক অন্য দেশে চলে গেছে। এদের বেশির ভাগই উচ্চশিক্ষিত তরুণ-তরুণী।

দেশটিতে এ পদক্ষেপ নিয়ে কড়া সমালোচনা হচ্ছে। নতুন নিয়মের প্রতিবাদে ইতোমধ্যে রাস্তায় নেমেছেন বিরোধীরা। 

সরকারি চাকরি ইউনিয়নের নির্বাহী কমিটির সদস্য আকিস সতিরোপোউলস বলেন, ‘এটির কোনো মানে হয় না। যখন অন্যান্য সব সভ্য দেশ চার কর্মদিবসের সপ্তাহের দিকে যাচ্ছে, তখন গ্রিস পেছনের দিক হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সূত্র: গার্ডিয়ান

আবারও খান ইউনিসে হামলা

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩৭ এএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩৭ এএম
আবারও খান ইউনিসে হামলা
ইসরায়েলি হামলার মুখে নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে সরে যেতে দেখা যায় ফিলিস্তিনিদের। শিশুরাও রয়েছে সে দলে। ছবিটি গতকাল তোলা। সংগৃহীত

গাজার খান ইউনিস থেকে ফিলিস্তিনিদের সরে যেতে বলেছে ইসরায়েল। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে তারা। গত সোমবার রাতভর ও মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে খান ইউনিসের ভেতরে আশপাশে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। 

এ রকম পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনিদের আশপাশের অঞ্চলগুলোতে সরে যেতে দেখা গেছে। এক চিকিৎসাসূত্র ও ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট জানায়, ইসরায়েলি আট ব্যক্তি মারা গেছেন ও আরও ৩০ জন আহত হয়েছেন। 

খান ইউনিস থেকে শুধু জনসাধারণ নয়, হাসপাতালের রোগী, চিকিৎসক ও সেবাকর্মীদেরও সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। হামাসশাসিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ইউরোপিয়ান গাজা হাসপাতালের রোগী, চিকিৎসাকর্মীদের সরে যেতে বলা হয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সরাসরি হাসপাতাল থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশনা দেয়নি। তবে অতীতে হাসপাতাল ও সেবাকর্মীদের লক্ষ্য করে হামলা চালানোর রেকর্ড রয়েছে তাদের। রেডক্রস রোগীদের অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরে সহায়তা করেছে। 

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর কর্মকর্তা লুইস ওয়াটারিজ বলেছেন, মানুষকে আবারও ঘর ছাড়তে বাধ্য করা হলো। তারা এখন কোথায় যাবে?

তিনি বলেন, ‘এই এলাকায় মানুষ আগে থেকেই অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত ও অবকাঠামোগতভাবে অনিরাপদ ভবনে বসবাস করছিল। রাফায় সামরিক অভিযানের পর এ অবস্থা তৈরি হয়েছিল।’

ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে জানায়, গত সোমবার খান ইউনিস থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে প্রায় ২০টি রকেট ছোড়া হয়েছে। রাতভর আইডিএফ সেসব হামলার জবাব দিয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে। আইডিএফ আরও দাবি করে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অস্ত্রের মজুদ, পরিচালনা কেন্দ্র ও সন্ত্রাসী অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে।

আইডিএফের দাবি, হামাস বেসামরিক স্থাপনা ব্যবহার ও বেসামরিক মানুষকে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করে পদ্ধতিগতভাবে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে। তবে হামাস বরাবরই সে দাবি অস্বীকার করে আসছে। বরং আইডিএফের কর্মকাণ্ড নিয়ে জাতিসংঘসহ ও বিভিন্ন মানবিক সংস্থা প্রশ্ন তুলে আসছে শুরু থেকে।

গত সোমবার ইসরায়েলে যে হামলা হয়েছে, সেটি ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ চালিয়েছে বলে জানা গেছে। গাজা থেকে চালানো হামলাগুলোর মধ্যে সেটি বৃহত্তম।

চলতি বছরের শুরুতেই খান ইউনিসকে লক্ষ্য করে বড়মাপের অভিযান চালায় ইসরায়েল। সে সময়ই প্রায় গোটা খান ইউনিস ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে বাসিন্দারা ফিরে আসে। কিন্তু এখন আবারও ঘর ছাড়তে হলো তাদের।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় অন্তত ৩৭ হাজার ৯০০ মানুষ মারা গেছেন, যাদের বেশির ভাগই বেসামরিক মানুষ। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ৮০ হাজার ৬০ জন। এখনো নিখোঁজ বহু মানুষ। ইসরায়েলি হামলায় শুধু খান ইউনিস নয়, গোটা গাজা পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। ধারণা করা হচ্ছে, অনেক নিখোঁজ বিভিন্ন স্থানে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। সূত্র: বিবিসি, আল-জাজিরা

অ্যামাজনে বছরের প্রথমার্ধে দাবানলে রেকর্ড

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩৩ এএম
আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩৩ এএম
অ্যামাজনে বছরের প্রথমার্ধে দাবানলে রেকর্ড
ছবি : খবরের কাগজ

ব্রাজিলের অ্যামাজন বনাঞ্চল ও অন্যান্য অঞ্চলে ২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসে রেকর্ড সংখ্যক দাবানল হয়েছে। গত বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে নতুন দাবানলগুলো।

ব্রাজিলের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্পেস রিসার্চ বলছে, বছরের প্রথমার্ধে অ্যামাজনে ১৩ হাজার ৪৮৯টি দাবানলের ঘটনা ঘটেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬১ শতাংশ বেশি। গত সোমবার এসব তথ্য জানান তারা।

১৯৯৮ সাল থেকে দাবানলের তথ্য রেকর্ড করা শুরু হয়। এরপর শুধু ২০০৩ ও ২০০৪ সালে বেশি সংখ্যক দাবানলের ঘটনা দেখা গেছে।

বিশেষজ্ঞ ও সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, অ্যামাজন ও অন্যান্য অঞ্চলে এত বেশি সংখ্যক দাবানলের ঘটনা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঘটছে।

গ্রিনপিসের ব্রাজিলীয় শাখার মুখপাত্র রোমুলো বাতিস্তা বলেন, ‘অ্যামাজনে বৃষ্টির অভাবে চাপ তৈরি হচ্ছে। পরিবেশ শুষ্ক, ফলে উদ্ভিদ আরও শুকিয়ে রয়েছে এবং আগুনের কবলে পড়ার আরও ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।’

এদিকে অ্যামাজন ও অন্যান্য অঞ্চলে দাবানল ও বিরূপ পরিবেশের কারণে বণ্যপ্রাণীরা ঝুঁকির মুখে রয়েছে। সূত্র: ডয়চে ভেলে