![বাংলাদেশ নিয়ে স্টারমারের মন্তব্যে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া](uploads/2024/07/01/UK-1719847756.jpg)
যুক্তরাজ্যের নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে। আগামী ৪ জুলাই ভোট গ্রহণ। শেষ মুহূর্তে সব দলই জোর প্রচার চালাচ্ছে। সবাই চেষ্টা করছে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে টানতে। নানা ধরনের কাণ্ডও করছেন অনেকে।
অন্যদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক অভিবাসন ইস্যুতে লেবার পার্টির সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাজ্যের সীমান্ত নিরাপদ করা প্রশ্নে দলটির কোনো উত্তর নেই। তবে লেবার পার্টির নেতা স্যার কির স্টারমার জনসেবা, অর্থনীতি ও জীবনমান ইস্যুতে আগামী পাঁচ বছর পর তাকে মূল্যায়ন করার অনুরোধ জানিয়েছেন ভোটারদের।
লেবার পার্টির প্রতিরক্ষা বাজেট ইউক্রেন যুদ্ধকে হুমকির মুখে ফেলবে বলেও মন্তব্য করেছেন সুনাক। তিনি বলেন, লেবার পার্টি প্রতিরক্ষা ব্যয় রাষ্ট্রীয় আয়ের আড়াই শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করবে না। কনজারভেটিভ পার্টির এটি করার পরিকল্পনা রয়েছে। এটি করা না হলে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মতো পক্ষগুলোর কাছে ভুল বার্তা যাবে যে যুক্তরাজ্য নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে যথেষ্ট করছে না।
লেবার পার্টির উপনেতা অ্যাঙ্গেলা রেনার এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি অতীতে যুক্তরাজ্যের পারমাণবিক কর্মসূচির পরিকল্পনা বাদ দেওয়ার জন্য ভোটাভুটি করেছিলেন বলেও উল্লেখ করেন সুনাক।
এদিকে লেবার পার্টির নেতা কির স্টারমারের অভিবাসী ইস্যুতে অযাচিতভাবে বাংলাদেশের নাম নিয়ে মন্তব্য করার বিষয়ে মুখ খুলেছেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি। তিনি বলেছেন, কির স্টারমার বাংলাদেশের কমিউনিটিকে লক্ষ্য করে যে কথা বলেছেন তাতে তিনি দাবি করেছেন যে আমরা বাংলাদেশের মানুষকে ফেরত পাঠাচ্ছি না। এটি প্রথমত সত্য নয়, আর দ্বিতীয়ত মূল বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়। কারণ ছোট নৌকায় করে যেসব অভিবাসী আসে, তাদের এক শতাংশের অর্ধেকও হবে না বাংলাদেশি কমিউনিটির।
বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্লেভারলি দাবি করেন, বাংলাদেশি অভিবাসী সম্পর্কে স্টারমারের মন্তব্যে তিনি ‘বেশ অবাক’ হয়েছেন। স্টারমারের মন্তব্যে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটিতে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। পরে স্টারমার নিজেও স্পষ্ট করার চেষ্টা করেন তিনি মূলত কী বুঝাতে চেয়েছেন, সে বিষয়টি নিয়ে।
তিনি জানান, বাংলাদেশিরা ব্রিটেনে বড় মাপের অবদান রেখেছেন এবং তিনি আসলে ফেরত চুক্তি প্রসঙ্গে কথা বলছিলেন। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের যে এরকম চুক্তি রয়েছে, তা আদতে ভালো একটি বিষয়। সূত্র: গার্ডিয়ান, বিবিসি