![বাইডেন ও ট্রাম্পকে নিয়ে উদ্বিগ্ন ভোটাররা](uploads/2024/07/02/biden-trump-1719890342.jpg)
নির্বাচনি বিতর্কে ধরাশায়ী হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ডেমোক্রেটিক পার্টির ভেতর থেকেই নানা প্রশ্ন উঠছে। এমনকি ভোটাররাও তার বয়স নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে আরও একটি মেয়াদে দেশ পরিচালনার জন্য বাইডেন মানসিকভাবে উপযুক্ত কি না, সেই প্রশ্নও তুলছেন অনেকে।
যুক্তরাষ্ট্রের অনেক নাগরিক এটিও বলেছেন যে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও তারা পুরোপুরি উপযুক্ত মনে করেন না।
বিতর্ক বিপর্যয়ের ঘটনার পর এক জরিপ চালায় মার্কিন গণমাধ্যম সিবিএস নিউজ। সেটিতেই উঠে এসেছে এ বিষয়গুলো। গত রবিবার প্রকাশিত ওই জরিপের ফলাফলে বলা হচ্ছে, নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে প্রায় ৭২ শতাংশই মনে করেন যে, আরও একটি মেয়াদে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করার মতো মানসিক সুস্থতা বাইডেনের নেই।
আগেও একটি জরিপে এমন রায় দিয়েছিল মানুষ। সেবার ৬৫ শতাংশ ভোটার একই কথা বলেছিলেন। বৃহস্পতিবারের নির্বাচনি বিতর্কের পর সে সংখ্যা আরও বেড়েছে বলে জানিয়েছে সিবিএস নিউজ।
নির্বাচনের আরেক প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষেত্রেও প্রায় কাছাকাছি ধরনের ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে। জরিপে প্রায় ৪৯ শতাংশ ভোটার বলছেন যে, প্রার্থী হিসেবে তারা সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকেও মানসিকভাবে উপযুক্ত মনে করেন না।
তবে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের জন্য বিষয়টি বেশি উদ্বেগের। কারণ জরিপে অংশগ্রহণকারীদের তার নিজ দলের সমর্থকরাও রয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৪৫ শতাংশ ভোটার মনে করেন বাইডেনের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে দলের অন্য কাউকে সুযোগ করে দেওয়া উচিত।
যুক্তরাষ্ট্রের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দুজন প্রার্থীই বেশ বয়স্ক। জো বাইডেনের বয়স এখন ৮১ বছর, আর ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৭৮ বছর।
যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের ডেমোক্রেট কংগ্রেসম্যান জেমি রাস্কিন রবিবার মার্কিন গণমাধ্যম এমএসএনবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দলের বর্তমান অবস্থাকে ‘কঠিন পরিস্থিতি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
তবে শেষপর্যন্ত নির্বাচনে থাকবেন কি না, সে সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্ট বাইডেন নিজেই নিবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন বলছে, বাইডেনকে বাদ দেওয়ার বা নির্বাচনে অংশ নিতে না দেওয়ার গুঞ্জন সত্য নয় বলে জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ ডেমোক্রেটি নেতারা। সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স